ফিচার ডেস্ক
এয়ার ফ্রায়ার। এখন অনেকেই এই যন্ত্র ব্যবহার করছেন রান্নার কাজে। চিকেন উইংস হোক বা সবজি ভাজা, এটি দ্রুত ও সহজে সব করে দেয়। এটি প্রচলিত ওভেনের তুলনায় অনেক বেশি সময় সাশ্রয়ী। কিন্তু সব খাবার এই যন্ত্রে রান্না করার জন্য উপযুক্ত নয়।
কিছু খাবার এয়ার ফ্রায়ারে রান্না করলে গন্ধ বা তেল ইত্যাদি ছড়িয়ে পড়ে বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি করতে পারে। স্টেক, পপকর্ন থেকে তৈরি খাবার, পাতাযুক্ত সবজি বা বড় কেক তৈরিতে এয়ার ফ্রায়ারের সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট। এই যন্ত্রে এগুলো রান্না করতে না যাওয়াই ভালো।
হার্ভার্ড-স্ট্যানফোর্ড প্রশিক্ষিত গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডা. সৌরভ সেথি বলেছেন, খাবারের স্বাস্থ্যকর উপকরণ ও রান্নার পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ এয়ার ফ্রায়ারের নিরাপত্তা ও উপযোগিতার সচেতন ব্যবহার।
যন্ত্র হলেও এর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। সেগুলো জানা থাকলে এয়ার ফ্রায়ারে রান্না করা সহজ হবে। আসুন দেখে নেওয়া যাক, এই যন্ত্রে কোন খাবারগুলো রান্না করা ঠিক হবে না।
স্টেক, হাড় বসানো বড় মাংস ও চামড়া ছাড়া মাছ
ভালো মানের স্টেক খেতে চাইলে তা বানাতে এয়ার ফ্রায়ারের সাহায্য না নেওয়াই ভালো। কারণ, ফ্রায়ারে রান্না করলে স্টেকের সঠিক রং আর স্বাদ আসে না। স্টেক ও চামড়া ছাড়া মাছের মতো খাবারে মনমাতানো ক্রাস্ট এয়ার ফ্রায়ারের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। আবার বড় হাড়যুক্ত মাংসও এখানে রান্না করা সম্ভব নয়। কারণ, এয়ার ফ্রায়ারে বায়ু সঞ্চালনের অভাব থাকে। ফলে মাংসের বাইরে পুড়ে গেলেও ভেতরে কাঁচা থেকে যায়। এয়ার ফ্রায়ার মূলত ভেতরে থাকা খাবার শুকিয়ে ফেলে। তাই চামড়া কিংবা কোটিং ছাড়া মাছ এতে দিলে তা দ্রুত শুকিয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে সস, তেল বা লেবুর রস দিয়ে ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। সস ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সচেতন থাকতে হবে। কারণ, এর ভেতরে থাকা ফ্যানের তাপ সসকে চারদিকে ছড়িয়ে দেয়। এতে ঝামেলার হতে পারে। পাশাপাশি এটি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিও বাড়ায়।
খাবার শুষ্ক হয়ে যায়
ব্রেডক্রাম্ব যদি শুষ্ক হয়, তাহলে এয়ার ফ্রায়ারে সেটা ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ, হালকা ব্রেডক্রাম্ব এর বাতাসে উড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আটা-ময়দা ও ডিমের মিশ্রণের সঙ্গে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। রান্নার জন্য পুদিনা, ধনেপাতা, কারিপাতা, তুলসী কিংবা রোজমেরিও এ যন্ত্রে দেওয়া যাবে না। এগুলো তেল বা বাটারে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। এয়ার ফ্রায়ারে ব্রকলি খুব শুষ্ক হয়ে যায়। তবে ব্রকলি ফ্রোজেন অবস্থায় থাকলে তা ব্যবহার করা যাবে। এতে পালংশাক কিংবা লেটুসের মতো উপাদান দিয়ে খাবার তৈরি না করাই ভালো।
ডিমযুক্ত খাবার তৈরিতে সতর্কতা
মাত্র পাঁচ মিনিটেই একটি ডিম সেদ্ধ হয়। কিন্তু এয়ার ফ্রায়ার দিয়ে এটি করা সময়সাপেক্ষ। এতে বেশি গরমে ডিম শক্ত হয়ে যায়। তাই ডিম সেদ্ধর জন্য পুরোনো পদ্ধতিই উত্তম। আবার যদি এতে পুডিং করার চিন্তা করে থাকেন, তাহলে তা-ও বাদ দিন। কারণ, উচ্চ তাপ ও ওয়াটার বাথ না থাকায় এয়ার ফ্রায়ারে পুডিং তৈরি করতে গেলে তা দানা দানা হয়ে যেতে পারে। কেক বানানোর ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার এড়ানো উত্তম। কারণ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এয়ার ফ্রায়ারে বড় কেক বানালে তা বাইরে পুড়ে গেলেও ভেতরে কাঁচা থেকে যায়।
অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার
এয়ার ফ্রায়ারের উদ্দেশ্যই তেল এড়ানো। তাই এমন কোনো খাবার এখানে রান্না করা ভালো হবে না, যাতে বেশি তেলের দরকার হয়।
আস্ত মুরগি
এয়ার ফ্রায়ারের বিজ্ঞাপনগুলোয় বেশির ভাগ সময়ই দেখানো হয়, এটিতে আস্ত মুরগি রান্না করা সম্ভব। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এখানে ২ পাউন্ড ওজনের ছোট আস্ত মুরগি রান্না সম্ভব হলেও বড় মুরগি আস্ত রান্না করা সম্ভব নয়। কারণ, মুরগির আকার বড় হলে ফ্রায়ারের বায়ু ভেতরে ভালো করে ঘুরতে পারে না। তাই মুরগি আকারে বড় হলে তা কেটে টুকরো করে তারপর রান্না করুন।
কাঁচা চাল, শস্যজাতীয় খাবার কিংবা পাস্তা
এয়ার ফ্রায়ারে দিলে কাঁচা চাল ঠিকমতো ফোটে না। তবে রান্না করা চাল দিয়ে তৈরি খাবার এখানে বানানো সম্ভব। তেমনই কাঁচা শস্যজাতীয় কিছুই এয়ার ফ্রায়ারে রান্না হয় না। পাস্তার ক্ষেত্রেও নিময় একই। পাস্তা দিয়ে কিছু তৈরি করতে হলে তা আগে থেকে সেদ্ধ করে নিতে হবে।
পপকর্ন ভুলেও না
এয়ার ফ্রায়ারে পপকর্ন বানানোর সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বিপজ্জনক। কারণ, যন্ত্রের ভেতরে থাকা হিটিং এলিমেন্টে পপকর্ন আটকে গেলে সেখান থেকে আগুন লেগে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
সূত্র: লাভ ফুডজ, এক্সপার্ট রিভিউজ
এয়ার ফ্রায়ার। এখন অনেকেই এই যন্ত্র ব্যবহার করছেন রান্নার কাজে। চিকেন উইংস হোক বা সবজি ভাজা, এটি দ্রুত ও সহজে সব করে দেয়। এটি প্রচলিত ওভেনের তুলনায় অনেক বেশি সময় সাশ্রয়ী। কিন্তু সব খাবার এই যন্ত্রে রান্না করার জন্য উপযুক্ত নয়।
কিছু খাবার এয়ার ফ্রায়ারে রান্না করলে গন্ধ বা তেল ইত্যাদি ছড়িয়ে পড়ে বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি করতে পারে। স্টেক, পপকর্ন থেকে তৈরি খাবার, পাতাযুক্ত সবজি বা বড় কেক তৈরিতে এয়ার ফ্রায়ারের সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট। এই যন্ত্রে এগুলো রান্না করতে না যাওয়াই ভালো।
হার্ভার্ড-স্ট্যানফোর্ড প্রশিক্ষিত গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ডা. সৌরভ সেথি বলেছেন, খাবারের স্বাস্থ্যকর উপকরণ ও রান্নার পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ এয়ার ফ্রায়ারের নিরাপত্তা ও উপযোগিতার সচেতন ব্যবহার।
যন্ত্র হলেও এর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। সেগুলো জানা থাকলে এয়ার ফ্রায়ারে রান্না করা সহজ হবে। আসুন দেখে নেওয়া যাক, এই যন্ত্রে কোন খাবারগুলো রান্না করা ঠিক হবে না।
স্টেক, হাড় বসানো বড় মাংস ও চামড়া ছাড়া মাছ
ভালো মানের স্টেক খেতে চাইলে তা বানাতে এয়ার ফ্রায়ারের সাহায্য না নেওয়াই ভালো। কারণ, ফ্রায়ারে রান্না করলে স্টেকের সঠিক রং আর স্বাদ আসে না। স্টেক ও চামড়া ছাড়া মাছের মতো খাবারে মনমাতানো ক্রাস্ট এয়ার ফ্রায়ারের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। আবার বড় হাড়যুক্ত মাংসও এখানে রান্না করা সম্ভব নয়। কারণ, এয়ার ফ্রায়ারে বায়ু সঞ্চালনের অভাব থাকে। ফলে মাংসের বাইরে পুড়ে গেলেও ভেতরে কাঁচা থেকে যায়। এয়ার ফ্রায়ার মূলত ভেতরে থাকা খাবার শুকিয়ে ফেলে। তাই চামড়া কিংবা কোটিং ছাড়া মাছ এতে দিলে তা দ্রুত শুকিয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে সস, তেল বা লেবুর রস দিয়ে ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। সস ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সচেতন থাকতে হবে। কারণ, এর ভেতরে থাকা ফ্যানের তাপ সসকে চারদিকে ছড়িয়ে দেয়। এতে ঝামেলার হতে পারে। পাশাপাশি এটি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিও বাড়ায়।
খাবার শুষ্ক হয়ে যায়
ব্রেডক্রাম্ব যদি শুষ্ক হয়, তাহলে এয়ার ফ্রায়ারে সেটা ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ, হালকা ব্রেডক্রাম্ব এর বাতাসে উড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আটা-ময়দা ও ডিমের মিশ্রণের সঙ্গে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। রান্নার জন্য পুদিনা, ধনেপাতা, কারিপাতা, তুলসী কিংবা রোজমেরিও এ যন্ত্রে দেওয়া যাবে না। এগুলো তেল বা বাটারে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। এয়ার ফ্রায়ারে ব্রকলি খুব শুষ্ক হয়ে যায়। তবে ব্রকলি ফ্রোজেন অবস্থায় থাকলে তা ব্যবহার করা যাবে। এতে পালংশাক কিংবা লেটুসের মতো উপাদান দিয়ে খাবার তৈরি না করাই ভালো।
ডিমযুক্ত খাবার তৈরিতে সতর্কতা
মাত্র পাঁচ মিনিটেই একটি ডিম সেদ্ধ হয়। কিন্তু এয়ার ফ্রায়ার দিয়ে এটি করা সময়সাপেক্ষ। এতে বেশি গরমে ডিম শক্ত হয়ে যায়। তাই ডিম সেদ্ধর জন্য পুরোনো পদ্ধতিই উত্তম। আবার যদি এতে পুডিং করার চিন্তা করে থাকেন, তাহলে তা-ও বাদ দিন। কারণ, উচ্চ তাপ ও ওয়াটার বাথ না থাকায় এয়ার ফ্রায়ারে পুডিং তৈরি করতে গেলে তা দানা দানা হয়ে যেতে পারে। কেক বানানোর ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার এড়ানো উত্তম। কারণ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এয়ার ফ্রায়ারে বড় কেক বানালে তা বাইরে পুড়ে গেলেও ভেতরে কাঁচা থেকে যায়।
অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার
এয়ার ফ্রায়ারের উদ্দেশ্যই তেল এড়ানো। তাই এমন কোনো খাবার এখানে রান্না করা ভালো হবে না, যাতে বেশি তেলের দরকার হয়।
আস্ত মুরগি
এয়ার ফ্রায়ারের বিজ্ঞাপনগুলোয় বেশির ভাগ সময়ই দেখানো হয়, এটিতে আস্ত মুরগি রান্না করা সম্ভব। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এখানে ২ পাউন্ড ওজনের ছোট আস্ত মুরগি রান্না সম্ভব হলেও বড় মুরগি আস্ত রান্না করা সম্ভব নয়। কারণ, মুরগির আকার বড় হলে ফ্রায়ারের বায়ু ভেতরে ভালো করে ঘুরতে পারে না। তাই মুরগি আকারে বড় হলে তা কেটে টুকরো করে তারপর রান্না করুন।
কাঁচা চাল, শস্যজাতীয় খাবার কিংবা পাস্তা
এয়ার ফ্রায়ারে দিলে কাঁচা চাল ঠিকমতো ফোটে না। তবে রান্না করা চাল দিয়ে তৈরি খাবার এখানে বানানো সম্ভব। তেমনই কাঁচা শস্যজাতীয় কিছুই এয়ার ফ্রায়ারে রান্না হয় না। পাস্তার ক্ষেত্রেও নিময় একই। পাস্তা দিয়ে কিছু তৈরি করতে হলে তা আগে থেকে সেদ্ধ করে নিতে হবে।
পপকর্ন ভুলেও না
এয়ার ফ্রায়ারে পপকর্ন বানানোর সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বিপজ্জনক। কারণ, যন্ত্রের ভেতরে থাকা হিটিং এলিমেন্টে পপকর্ন আটকে গেলে সেখান থেকে আগুন লেগে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
সূত্র: লাভ ফুডজ, এক্সপার্ট রিভিউজ
প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। আমরা অনেকেই মোবাইল ফোন বাড়িতে ফেলে এলে মনে করি, শরীরের একটা অংশ নেই! আমাদের আশপাশে তাকালেই দেখা যায়, সবাই তাদের স্ক্রিনে মুখ গুঁজে বসে আছে। বাসে কিংবা যেকোনো বাহনেও সবাই একই রকম কাজ করেই যায়। মুখ তুলে বাইরে কেউ দেখেই না আজকাল! পরিবার কিংবা বন্ধুদের আড্ডাতেও
২ ঘণ্টা আগেহয়তো আপনি খেয়াল করেননি। কিন্তু আপনার সঙ্গে দিনের পর দিন এসব ঘটে গেছে বলে আপনি সম্পর্কের শেষ চান। আবার আপনি ভেবেও পাচ্ছেন না, সব দোষ কেন আপনার ঘাড়েই আসছে! সম্পর্ক শেষ করার আগে একবার সচেতনভাবে খেয়াল করুন আপনার সঙ্গীটি নার্সিসিস্ট কি না।
৪ ঘণ্টা আগে‘সাতলা’ নামের মাঝেই লুকিয়ে আছে এক অন্যরকম আদিমতা। আধুনিকতার আড়ালে আজ অনেক বুনো সৌন্দর্যই বিলীন। তবে নয়াকান্দী গ্রামটা এখনো তার ব্যতিক্রম। হ্যাঁ বলছি, বরিশাল জেলার উজিরপুরের নয়াকান্দী গ্রামের সাতলা বিলের কথা।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের যে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা, তার জন্মরহস্য ওই দ্য ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তথা নাসার গবেষণার সূত্রেই। কিংবা ধরুন বেবি ফর্মুলা বা তারবিহীন হেডফোন কিংবা ম্যাট্রেস! নাসার কোনো না কোনো গবেষণা থেকেই এগুলোর জন্ম হয়েছে। আর সেগুলোর সুবিধা ভোগ করছি আমরা।
৯ ঘণ্টা আগে