ফিচার ডেস্ক
দাঁতের ব্যথা হঠাৎ বা ধীরে ধীরে হতে পারে। কখনো শুধু একটি দাঁতে, আবার কখনো একাধিক দাঁতে ব্যথা অনুভূত হয়। দাঁতের ব্যথা কখনো ছোট সমস্যার লক্ষণ, আবার কখনো বড় চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করতে পারে। তাই ব্যথা অনুভব করলে ডেন্টিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি। নিচে দাঁতের ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ ১২টি কারণ সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করা হলো।
ক্যাভিটি বা গহ্বর
দাঁতের বাইরের শক্ত অংশ, এনামেল ক্ষয় হলে গহ্বর তৈরি হয়। ছোট গহ্বর সহজে ভরাট করা যায়, কিন্তু বড় হলে দাঁতের নার্ভের কাছাকাছি পৌঁছে তীব্র ব্যথা হতে পারে। এমন ব্যথা রাতে ঘুম ভেঙে দিতে পারে এবং শুয়ে থাকলে আরও বাড়তে পারে। ক্যাভিটি এড়াতে দিনে দুইবার ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজা, নিয়মিত ফ্লস করা এবং ডেন্টিস্টের সঙ্গে নিয়মিত চেকআপ করা জরুরি।
ফিলিং পড়ে যাওয়া
যদি পুরোনো ভরাট ক্ষয় হয় বা চিবানোর সময় ভেঙে যায়, ফিলিং পড়ে যেতে পারে। অনেক সময় রোগী প্রথমে অনুভবও করতে পারেন না। খাবার চিবানোর সময় চাপ পড়ে ব্যথা অনুভূত হয়, এবং সেই অংশ ঠান্ডা বা গরম খাবারে সংবেদনশীল হয়ে ওঠে।
অ্যাবসেস
অ্যাবসেস হলো দাঁত বা মাড়ির মধ্যে পুঁজ জমে সংক্রমণ তৈরি হওয়া। এটি সাধারণত ক্যাভিটি, ফাটল বা খাবারের কণার আটকে থাকার কারণে ঘটে। অ্যাবসেস মারাত্মক মাড়ির সংক্রমণ তৈরি করতে পারে, তাই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।
দাঁতের ফাটল
দাঁতের একটি অংশ ভেঙে গেলে চিবানোর সময় ব্যথা হয়। ছোট ফাটল থাকলেও চাপ লাগলে ব্যথা অনুভূত হয়। প্রয়োজনে দাঁতের ওপর কভার, ক্রাউন বা ইমপ্লান্ট ব্যবহার করা হয়। ফাটল এড়াতে শক্ত খাবার যেমন বরফ বা কলম চিবানো এড়ানো উচিত।
দাঁতের আঘাত
চোয়ালে আঘাত বা ধাক্কা পড়লে দাঁতের ভেতরের নার্ভ, রক্তনালি ও টিস্যুতে স্ফীতি হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে দাঁতের ব্যথা ছাড়াও চোয়ালে চাপ বা অস্বস্তি অনুভূত হয়।
আক্কেলদাঁত বের হওয়া
১৭–২৫ বছরের মধ্যে আক্কেলদাঁত উঠতে শুরু করলে ব্যথা, চাপ বা মাড়ির স্ফীতি দেখা দিতে পারে। অনেক সময় ডেন্টিস্ট এই দাঁত অপসারণের পরামর্শ দেন।
চোয়ালের জয়েন্টের সমস্যা
চোয়ালের জয়েন্টের সমস্যা দাঁতের ব্যথার মতো অনুভূত হতে পারে। মুখ খোলার সময় ক্লিক বা পপ শব্দ শুনলে এটি টিএমজে সমস্যা নির্দেশ করতে পারে।
সাইনাস সংক্রমণ
সাইনাস ফুলে গেলে বিশেষ করে ওপরের দাঁতের পেছনের দিকে ব্যথা হতে পারে। সাধারণভাবে এটি একাধিক দাঁতে প্রভাব ফেলে এবং কেবল একটি দাঁতে সীমাবদ্ধ থাকে না।
মাড়ি সরে যাওয়া
যদি মাড়ি সরে যায়, দাঁত সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। গরম বা ঠান্ডা খাবারে হঠাৎ ব্যথা অনুভূত হয়। অতিরিক্ত শক্তভাবে দাঁত মাজা, ধূমপান, প্ল্যাক এবং পিরিয়ডন্টাল রোগ মাড়ি সরে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
মাড়ির সংক্রমণ
মাড়ির সংক্রমণ দাঁতের ব্যথার মতো অনুভূত হতে পারে। অস্বাস্থ্যকর দাঁত পরিচর্যা, কিছু রোগ বা ধূমপান মাড়ির সংক্রমণ বাড়ায়। এটি পিরিয়ডন্টাইটিসে রূপ নিতে পারে, যা অ্যাবসেসের মতো সংক্রমণ তৈরি করে। নিয়মিত দাঁত মাজা, ফ্লস করা এবং ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়া এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
দাঁত চেপে ধরা
স্ট্রেস বা অভ্যাসের কারণে দাঁত চেপে ধরলে ব্যথা, কানের ব্যথা, মাথাব্যথা বা চোয়ালের শক্ত ভাব অনুভূত হতে পারে। এমন অবস্থায় স্ট্রেস কমানোর পদ্ধতি যেমন যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন কাজে আসে।
অর্থডন্টিক কাজ
দাঁতের অবস্থান ঠিক করার জন্য ব্রেস বা তার ব্যবহার করা হলে সাময়িকভাবে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এটি সাধারণত নিয়ন্ত্রণকৃত চাপের ফলে হয়। ব্যথা কমানোর জন্য ডেন্টিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ ব্যবহার করা যায়।
দাঁতের ব্যথা কখনো সাময়িক, কখনো বড় সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে। ক্যাভিটি, অ্যাবসেস, ফাটল, দাঁতের আঘাত, দাঁত চেপে ধরা, মাড়ির সংক্রমণ বা সাইনাস সংক্রমণ যেকোনো কারণে ব্যথা হতে পারে। ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত ডেন্টিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। নিয়মিত দাঁত মাজা, ফ্লস করা, এবং চেকআপ অনেক সমস্যাকে প্রতিরোধ করে।
সূত্র: হেলথ
দাঁতের ব্যথা হঠাৎ বা ধীরে ধীরে হতে পারে। কখনো শুধু একটি দাঁতে, আবার কখনো একাধিক দাঁতে ব্যথা অনুভূত হয়। দাঁতের ব্যথা কখনো ছোট সমস্যার লক্ষণ, আবার কখনো বড় চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করতে পারে। তাই ব্যথা অনুভব করলে ডেন্টিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি। নিচে দাঁতের ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ ১২টি কারণ সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করা হলো।
ক্যাভিটি বা গহ্বর
দাঁতের বাইরের শক্ত অংশ, এনামেল ক্ষয় হলে গহ্বর তৈরি হয়। ছোট গহ্বর সহজে ভরাট করা যায়, কিন্তু বড় হলে দাঁতের নার্ভের কাছাকাছি পৌঁছে তীব্র ব্যথা হতে পারে। এমন ব্যথা রাতে ঘুম ভেঙে দিতে পারে এবং শুয়ে থাকলে আরও বাড়তে পারে। ক্যাভিটি এড়াতে দিনে দুইবার ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজা, নিয়মিত ফ্লস করা এবং ডেন্টিস্টের সঙ্গে নিয়মিত চেকআপ করা জরুরি।
ফিলিং পড়ে যাওয়া
যদি পুরোনো ভরাট ক্ষয় হয় বা চিবানোর সময় ভেঙে যায়, ফিলিং পড়ে যেতে পারে। অনেক সময় রোগী প্রথমে অনুভবও করতে পারেন না। খাবার চিবানোর সময় চাপ পড়ে ব্যথা অনুভূত হয়, এবং সেই অংশ ঠান্ডা বা গরম খাবারে সংবেদনশীল হয়ে ওঠে।
অ্যাবসেস
অ্যাবসেস হলো দাঁত বা মাড়ির মধ্যে পুঁজ জমে সংক্রমণ তৈরি হওয়া। এটি সাধারণত ক্যাভিটি, ফাটল বা খাবারের কণার আটকে থাকার কারণে ঘটে। অ্যাবসেস মারাত্মক মাড়ির সংক্রমণ তৈরি করতে পারে, তাই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।
দাঁতের ফাটল
দাঁতের একটি অংশ ভেঙে গেলে চিবানোর সময় ব্যথা হয়। ছোট ফাটল থাকলেও চাপ লাগলে ব্যথা অনুভূত হয়। প্রয়োজনে দাঁতের ওপর কভার, ক্রাউন বা ইমপ্লান্ট ব্যবহার করা হয়। ফাটল এড়াতে শক্ত খাবার যেমন বরফ বা কলম চিবানো এড়ানো উচিত।
দাঁতের আঘাত
চোয়ালে আঘাত বা ধাক্কা পড়লে দাঁতের ভেতরের নার্ভ, রক্তনালি ও টিস্যুতে স্ফীতি হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে দাঁতের ব্যথা ছাড়াও চোয়ালে চাপ বা অস্বস্তি অনুভূত হয়।
আক্কেলদাঁত বের হওয়া
১৭–২৫ বছরের মধ্যে আক্কেলদাঁত উঠতে শুরু করলে ব্যথা, চাপ বা মাড়ির স্ফীতি দেখা দিতে পারে। অনেক সময় ডেন্টিস্ট এই দাঁত অপসারণের পরামর্শ দেন।
চোয়ালের জয়েন্টের সমস্যা
চোয়ালের জয়েন্টের সমস্যা দাঁতের ব্যথার মতো অনুভূত হতে পারে। মুখ খোলার সময় ক্লিক বা পপ শব্দ শুনলে এটি টিএমজে সমস্যা নির্দেশ করতে পারে।
সাইনাস সংক্রমণ
সাইনাস ফুলে গেলে বিশেষ করে ওপরের দাঁতের পেছনের দিকে ব্যথা হতে পারে। সাধারণভাবে এটি একাধিক দাঁতে প্রভাব ফেলে এবং কেবল একটি দাঁতে সীমাবদ্ধ থাকে না।
মাড়ি সরে যাওয়া
যদি মাড়ি সরে যায়, দাঁত সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। গরম বা ঠান্ডা খাবারে হঠাৎ ব্যথা অনুভূত হয়। অতিরিক্ত শক্তভাবে দাঁত মাজা, ধূমপান, প্ল্যাক এবং পিরিয়ডন্টাল রোগ মাড়ি সরে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
মাড়ির সংক্রমণ
মাড়ির সংক্রমণ দাঁতের ব্যথার মতো অনুভূত হতে পারে। অস্বাস্থ্যকর দাঁত পরিচর্যা, কিছু রোগ বা ধূমপান মাড়ির সংক্রমণ বাড়ায়। এটি পিরিয়ডন্টাইটিসে রূপ নিতে পারে, যা অ্যাবসেসের মতো সংক্রমণ তৈরি করে। নিয়মিত দাঁত মাজা, ফ্লস করা এবং ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়া এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
দাঁত চেপে ধরা
স্ট্রেস বা অভ্যাসের কারণে দাঁত চেপে ধরলে ব্যথা, কানের ব্যথা, মাথাব্যথা বা চোয়ালের শক্ত ভাব অনুভূত হতে পারে। এমন অবস্থায় স্ট্রেস কমানোর পদ্ধতি যেমন যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন কাজে আসে।
অর্থডন্টিক কাজ
দাঁতের অবস্থান ঠিক করার জন্য ব্রেস বা তার ব্যবহার করা হলে সাময়িকভাবে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এটি সাধারণত নিয়ন্ত্রণকৃত চাপের ফলে হয়। ব্যথা কমানোর জন্য ডেন্টিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ ব্যবহার করা যায়।
দাঁতের ব্যথা কখনো সাময়িক, কখনো বড় সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে। ক্যাভিটি, অ্যাবসেস, ফাটল, দাঁতের আঘাত, দাঁত চেপে ধরা, মাড়ির সংক্রমণ বা সাইনাস সংক্রমণ যেকোনো কারণে ব্যথা হতে পারে। ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত ডেন্টিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। নিয়মিত দাঁত মাজা, ফ্লস করা, এবং চেকআপ অনেক সমস্যাকে প্রতিরোধ করে।
সূত্র: হেলথ
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) অবশেষে তাদের নতুন ডিজিটাল সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে চালু হবে এই ‘এন্ট্রি–এক্সিট সিস্টেম’, যা হাতে পাসপোর্টে সিল দেওয়ার পরিবর্তে স্বয়ংক্রিয় নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করবে।
৪০ মিনিট আগেঅফিস শেষে বাড়ি গিয়ে জানলেন, রাতে অতিথি আসবে। দু’রকমের মাংস আর কয়েক পদের ভাজা তৈরি করা সম্ভব না। শুধু পোলাও আর একটা মাংসের আইটেম তৈরি করার সময়টুকুই হাতে রয়েছে; সেক্ষেত্রে পোলাওয়ের স্বাদটা যদি আরেকটু বাড়িয়ে দেওয়া যায় তাহলেই রাতের খাবারটা জমে যাবে। সাধারণ পোলাওয়ের পরিবর্তে তৈরি করতে পারেন...
৫ ঘণ্টা আগেচীনের বেইজিং শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ‘নিষিদ্ধ শহর’ বা ফরবিডেন সিটি চীনের ইতিহাস ও স্থাপত্যের এক অমূল্য সম্পদ। ১৬৪৪ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত মিং ও কিং রাজবংশের সম্রাটদের আবাসস্থল হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
১ দিন আগেভ্রমণ সব বয়সের মানুষের জন্য আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীর প্রয়োজনের ধরনও বদলায়। তাই বয়স্ক বা সিনিয়র নাগরিকদের জন্য ভ্রমণের আগে কিছু বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, আরাম, খাওয়াদাওয়া—সবদিকেই বিশেষ মনোযোগ দেওয়া দরকার।
১ দিন আগে