ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
ত্বকের যত্নে মানুষ কী না করে? শতভাগ বিশুদ্ধ অক্সিজেন ট্রিটমেন্ট থেকে শুরু করে হারবাল উপকরণে এর যত্ন নেওয়া, খানা খাদ্যে বিধিনিষেধ সবই আছে এর মধ্যে। ত্বকের এত যত্ন কেন? কারণ ত্বক শরীরের বাইরের দৃশ্যমান সবচেয়ে বড় অংশ। এটি যত সতেজ থাকবে, যত নীরোগ থাকবে নিজেকে ততই সুন্দর দেখাবে। কিন্তু জানেন কি, যত্নই হতে পারে ত্বকের ক্ষতির কারণ! শরীরের এই অংশ ভালো রাখতে বারবার মুখে পানির ঝাপটা দেওয়া, সপ্তাহে বেশ কয়েকটি স্ক্র্যাব করা ইত্যাদির ফলেও কিন্তু ত্বক তার স্বাভাবিক লাবণ্য হারাতে পারে। জেনে নিন কোন কোন অভ্যাসের কারণে ত্বকের সমস্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বারবার মুখ ধোয়া
মুখের ত্বকের যত্নে মুখ ধোয়ার কোনো বিকল্প নেই। প্রাকৃতিক ভাবে মুখের ত্বক সুস্থ রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে অতিরিক্ত মুখ ধোয়া বিপদ ডেকে আনতে পারে। মনে রাখতে হবে যে, বারবার মুখ ধুতে থাকলে ত্বকের তেল গ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ত্বক ধীরে ধীরে অতিমাত্রায় শুষ্ক হয়ে ওঠে। ইচ্ছে হলেই মুখ ধোয়ার চিন্তা বাদ দিন। দিনে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন বার মুখ ধোয়া যেতে পারে। এর বেশি না ধোয়াই ভালো।
অতিরিক্ত ঘষে মুখ মোছা
মুখ ধোয়ার পর মুখ মুছতে হবে। তবে সেটাও যদি জবরদস্তির পর্যায়ে যায় তাহলে ক্ষতি–ই হবে ত্বকের। এতে ত্বকের উপরিভাগের পাতলা স্তর, তেল গ্রন্থি এবং কোষ নষ্ট হতে পারে। পাশাপাশি ত্বকে শুষ্ক স্ক্র্যাচ পড়ে অনেক সময়, যা পরবর্তীতে বলিরেখায় রূপান্তরিত হয়। অনেকে আবার গরমে বেশ ঘামেন বলে রুমাল ব্যবহার করেন। বারবার রুমাল দিয়ে মুখ মোছার কারণেও ত্বকের অনেক অংশ খসখসে হয়ে যায় এবং তাতে র্যাশ দেখা দেয়।
যেকোনো ফেইসওয়াশ ব্যবহার
মুখের ত্বকের যত্নে ফেইসওয়াশের ব্যবহার ব্যাপক। প্রায় সব বয়সের মানুষ এটি ব্যবহার করে। বিষয়টা এমন যে মুখ একটু ঘামলে বা তেলতেলে হলেই অনেকে ফেইসওয়াশ নিয়ে বসে যান মুখ পরিষ্কার করতে। বাস্তবতা বলছে, এটা ঠিক নয়। ফেইসওয়াশ আপনার মুখের ত্বকের উপযোগী কি না, তা আগে জেনে নিন। ভুল ফেইসওয়াশ ব্যবহার করলে ত্বকের সমস্যা কমার বদলে বাড়তে পারে। তৈলাক্ত ত্বকে ব্যবহারের ফেইসওয়াশ শুষ্ক ত্বকে ব্যবহারের উপযোগী নয়। আবার ত্বক বেশি স্পর্শকাতর হলে সেটি বুঝেশুনে কেনা উচিত।
মুখ ধোয়ার সময় ত্বকের সব অংশে যেন ফেইসওয়াশ পৌঁছায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা জরুরি। আবার এটি দিয়ে মুখ পরিষ্কারের পর পানির ঝাপটায় ত্বক থেকে ভালোভাবে ফেনা সরিয়ে ফেলতে হবে। নয়তো এখান থেকেও ত্বকে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অতিরিক্ত স্ক্র্যাব
ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করতে স্ক্রাবিংয়ের জুড়ি নেই। কিন্তু সপ্তাহে কদিন স্ক্র্যাব করতে হয়? এ হিসাব অনেকেই জানেন না। মৃত কোষ দূর করে ত্বক সতেজ ও তরতাজা করতে যদি সপ্তাহে দুই দিনের বেশি স্ক্র্যাব ব্যবহার করেন তাহলে বিপদ ডেকে আনবেন। উপকরণ ঘরোয়া বা কেনা যাই হোক না কেন, সপ্তাহে দুই দিনের বেশি স্ক্র্যাব করবেন না। তাতে ত্বকের শুষ্ক ভাব, জ্বালাপোড়া, ব্রণ ও র্যাশের সমস্যা বাড়বে। রোমকূপ বড় হয়ে যাবে এবং ত্বকের স্বাভাবিক পেলব ভাব আর থাকবে না।
ফেসপ্যাকে ফেইস ডাউন
হারবাল ফেসপ্যাক ব্যবহারে মুখের ত্বক সজীব থাকবে। কথাটা মিথ্যা নয়। তবে শতভাগ সঠিকও নয়। তাই যেকোনো ফেসপ্যাক ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে দেখে নিন তাতে আপনার অ্যালার্জি আছে কি না। নইলে ত্বক তো সজীব থাকবেই না, বরং ডাউন হয়ে যাবে। কারণটা বলি। ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে খুবই ভালো। কিন্তু কারও যদি অ্যালোভেরা জেলে অ্যালার্জি থাকে তাহলে সেটা ব্যবহার করা যাবে না। তাতে ত্বকে চুলকানি, লালচে ভাব ও র্যাশ দেখা দিতে পারে। অনেকের আবার মধুতে অ্যালার্জি রয়েছে কিংবা লেবুর রস ব্যবহারে অনেকের ত্বকে র্যাশ দেখা দেয়। ফলে কোন উপকরণটি আপনার ত্বক সাদরে গ্রহণ করছে বা করছে না সেদিকেও লক্ষ্য রাখা জরুরি।
সূত্র: আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ডার্মাটোলজি, স্কিনক্র্যাফট ও অন্যান্য
ত্বকের যত্নে মানুষ কী না করে? শতভাগ বিশুদ্ধ অক্সিজেন ট্রিটমেন্ট থেকে শুরু করে হারবাল উপকরণে এর যত্ন নেওয়া, খানা খাদ্যে বিধিনিষেধ সবই আছে এর মধ্যে। ত্বকের এত যত্ন কেন? কারণ ত্বক শরীরের বাইরের দৃশ্যমান সবচেয়ে বড় অংশ। এটি যত সতেজ থাকবে, যত নীরোগ থাকবে নিজেকে ততই সুন্দর দেখাবে। কিন্তু জানেন কি, যত্নই হতে পারে ত্বকের ক্ষতির কারণ! শরীরের এই অংশ ভালো রাখতে বারবার মুখে পানির ঝাপটা দেওয়া, সপ্তাহে বেশ কয়েকটি স্ক্র্যাব করা ইত্যাদির ফলেও কিন্তু ত্বক তার স্বাভাবিক লাবণ্য হারাতে পারে। জেনে নিন কোন কোন অভ্যাসের কারণে ত্বকের সমস্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বারবার মুখ ধোয়া
মুখের ত্বকের যত্নে মুখ ধোয়ার কোনো বিকল্প নেই। প্রাকৃতিক ভাবে মুখের ত্বক সুস্থ রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে অতিরিক্ত মুখ ধোয়া বিপদ ডেকে আনতে পারে। মনে রাখতে হবে যে, বারবার মুখ ধুতে থাকলে ত্বকের তেল গ্রন্থি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ত্বক ধীরে ধীরে অতিমাত্রায় শুষ্ক হয়ে ওঠে। ইচ্ছে হলেই মুখ ধোয়ার চিন্তা বাদ দিন। দিনে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন বার মুখ ধোয়া যেতে পারে। এর বেশি না ধোয়াই ভালো।
অতিরিক্ত ঘষে মুখ মোছা
মুখ ধোয়ার পর মুখ মুছতে হবে। তবে সেটাও যদি জবরদস্তির পর্যায়ে যায় তাহলে ক্ষতি–ই হবে ত্বকের। এতে ত্বকের উপরিভাগের পাতলা স্তর, তেল গ্রন্থি এবং কোষ নষ্ট হতে পারে। পাশাপাশি ত্বকে শুষ্ক স্ক্র্যাচ পড়ে অনেক সময়, যা পরবর্তীতে বলিরেখায় রূপান্তরিত হয়। অনেকে আবার গরমে বেশ ঘামেন বলে রুমাল ব্যবহার করেন। বারবার রুমাল দিয়ে মুখ মোছার কারণেও ত্বকের অনেক অংশ খসখসে হয়ে যায় এবং তাতে র্যাশ দেখা দেয়।
যেকোনো ফেইসওয়াশ ব্যবহার
মুখের ত্বকের যত্নে ফেইসওয়াশের ব্যবহার ব্যাপক। প্রায় সব বয়সের মানুষ এটি ব্যবহার করে। বিষয়টা এমন যে মুখ একটু ঘামলে বা তেলতেলে হলেই অনেকে ফেইসওয়াশ নিয়ে বসে যান মুখ পরিষ্কার করতে। বাস্তবতা বলছে, এটা ঠিক নয়। ফেইসওয়াশ আপনার মুখের ত্বকের উপযোগী কি না, তা আগে জেনে নিন। ভুল ফেইসওয়াশ ব্যবহার করলে ত্বকের সমস্যা কমার বদলে বাড়তে পারে। তৈলাক্ত ত্বকে ব্যবহারের ফেইসওয়াশ শুষ্ক ত্বকে ব্যবহারের উপযোগী নয়। আবার ত্বক বেশি স্পর্শকাতর হলে সেটি বুঝেশুনে কেনা উচিত।
মুখ ধোয়ার সময় ত্বকের সব অংশে যেন ফেইসওয়াশ পৌঁছায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা জরুরি। আবার এটি দিয়ে মুখ পরিষ্কারের পর পানির ঝাপটায় ত্বক থেকে ভালোভাবে ফেনা সরিয়ে ফেলতে হবে। নয়তো এখান থেকেও ত্বকে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অতিরিক্ত স্ক্র্যাব
ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করতে স্ক্রাবিংয়ের জুড়ি নেই। কিন্তু সপ্তাহে কদিন স্ক্র্যাব করতে হয়? এ হিসাব অনেকেই জানেন না। মৃত কোষ দূর করে ত্বক সতেজ ও তরতাজা করতে যদি সপ্তাহে দুই দিনের বেশি স্ক্র্যাব ব্যবহার করেন তাহলে বিপদ ডেকে আনবেন। উপকরণ ঘরোয়া বা কেনা যাই হোক না কেন, সপ্তাহে দুই দিনের বেশি স্ক্র্যাব করবেন না। তাতে ত্বকের শুষ্ক ভাব, জ্বালাপোড়া, ব্রণ ও র্যাশের সমস্যা বাড়বে। রোমকূপ বড় হয়ে যাবে এবং ত্বকের স্বাভাবিক পেলব ভাব আর থাকবে না।
ফেসপ্যাকে ফেইস ডাউন
হারবাল ফেসপ্যাক ব্যবহারে মুখের ত্বক সজীব থাকবে। কথাটা মিথ্যা নয়। তবে শতভাগ সঠিকও নয়। তাই যেকোনো ফেসপ্যাক ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করে দেখে নিন তাতে আপনার অ্যালার্জি আছে কি না। নইলে ত্বক তো সজীব থাকবেই না, বরং ডাউন হয়ে যাবে। কারণটা বলি। ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে খুবই ভালো। কিন্তু কারও যদি অ্যালোভেরা জেলে অ্যালার্জি থাকে তাহলে সেটা ব্যবহার করা যাবে না। তাতে ত্বকে চুলকানি, লালচে ভাব ও র্যাশ দেখা দিতে পারে। অনেকের আবার মধুতে অ্যালার্জি রয়েছে কিংবা লেবুর রস ব্যবহারে অনেকের ত্বকে র্যাশ দেখা দেয়। ফলে কোন উপকরণটি আপনার ত্বক সাদরে গ্রহণ করছে বা করছে না সেদিকেও লক্ষ্য রাখা জরুরি।
সূত্র: আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ডার্মাটোলজি, স্কিনক্র্যাফট ও অন্যান্য
ত্বকের বিশেষ যত্নে হোক বা না হোক, কমবেশি সবাই রোজ ত্বকে দুই বেলা ব্যবহার করেন, এমন একটি প্রসাধনী হচ্ছে ফেসওয়াশ। সাধারণত এটি খুব ভেবেচিন্তে বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না মেনে পছন্দ হলেই কিনে ফেলি। কিন্তু কাজ হয় কি না, সেদিকে অনেক সময় খেয়ালও করি না। কিন্তু নালিশ করেই যাই, অমুক ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ...
৭ ঘণ্টা আগেকফি পান করতে গিয়ে জামাকাপড়ে পড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কখনোবা অসাবধানতাবশত কার্পেট বা মেঝেতেও পড়ে যায়। কফির দাগ তুলতে বেগ পেতে হয়। সঠিক নিয়ম জানা থাকলে কঠিন দাগ নিমেষে দূর করা সম্ভব।
৮ ঘণ্টা আগেএই রোদ, এই বৃষ্টি। এই আবহাওয়ায় সব বয়সী মানুষ নানা ধরনের ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অতিরিক্ত গরমে, বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুদের ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়, পাশাপাশি এই সময় ওদের মেজাজও খিটমিটে হয়ে থাকে। তাই স্কুলগামী শিশুদের খাবার, জীবনযাপন এবং তাদের খিটমিটে মেজাজ ঠিক রাখার জন্য অভিভাবকদের...
৯ ঘণ্টা আগেরাজা হেনরি ২-এর মনে হয়েছিল, পাই ও পেস্ট্রি খেলে তাঁর সৈন্যরা সব অলস হয়ে যাবে। সে তো আর হতে দেওয়া যায় না। তাই তিনি এ দুটি খাবার বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন। সেটাই হয়ে গেল আইন। ১২ শতকের এই আইনের নাম ‘পাই অ্যান্ড পেস্ট্রি অ্যাক্ট’। এই আইনে বলা হয়েছিল, রোববার ছাড়া অন্য দিন পাই বা পেস্ট্রি বিক্রি
৯ ঘণ্টা আগে