নাজমুল ইসলাম
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নান্দনিক শহীদ মিনারটির নকশা করেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মাহবুব হাসান ত্বোহা। সম্ভবত এ ঘটনা বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রথম। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কিছুর নকশা করিয়ে নেওয়া হয় প্রতিষ্ঠিত কোনো শিল্পী বা স্থপতির কাছে। এটিই সাধারণ রেওয়াজ। কিন্তু পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল একজন শিক্ষার্থীকে।
শুরুর গল্প
২০১৮ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শহীদ মিনার নির্মিত হবে। একটি প্রতিষ্ঠান থেকে নকশা নেওয়া হয়। সে সময়কার উপাচার্যের ওই নকশা পছন্দ না হওয়ায় প্রস্তাবিত শহীদ মিনারের নকশার দায়িত্ব দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগকে। ওই সময়ের স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারম্যান অদিতি বিশ্বাসের ভাবনা ছিল শিক্ষার্থীদের দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনার নকশাটি করানো। তাই তিনি বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি প্রজেক্ট প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ত্বোহা।
নকশা নিয়ে ভাবনা
প্রতিযোগিতার জন্য প্রজেক্ট জমা দেওয়ার সময় ছিল দুই মাস। দীর্ঘ সময় পেলেও ত্বোহার মাথায় কোনো ধারণা আসছিল না। অনেকটা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তারপর হঠাৎ ভাবনা এল। যেহেতু শহীদ মিনার নিয়ে কাজ, তাই ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস জানা দরকার। তিনি ভাষা আন্দোলনের ওপর ছয়টি বই কেনেন। তারপর ইতিহাস বোঝার চেষ্টা করেন। শহীদ মিনারের নকশার ধারণা তৈরির চেষ্টা করেন।
ত্বোহার ভাবনায়, শহীদ মিনারের সামনের হেলানো কালো দেয়ালটি হলো উর্দুকে বাঙালিদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া পাকিস্তানি অপশক্তির প্রতীক। অন্যদিকে পেছনের সাদা দেয়ালটি ভাষা আন্দোলনে অনুপ্রেরণাদানকারী শুভশক্তির প্রতীক। মাঝের লম্বা পিলারটি হেলানো অপশক্তির কালো দেয়ালকে কিছুটা ভেঙে বা ভেদ করে অসীমের দিকে উঠে গেছে। কোনো কিছুর মধ্য দিয়ে কিছু চলে গেলে সেটা মৃত্যু বোঝায়; অর্থাৎ আন্দোলনকারীরা মৃত্যুর মধ্য দিয়ে জয়লাভ করেছেন।
প্রজেক্ট বাছাইপর্ব
দুই মাস পর বিভিন্ন ব্যাচের ২৮টি প্রজেক্ট জমা পড়ে। এরপর বাছাই করে চারটি প্রজেক্ট আলাদা করা হয়। এই চারটির মধ্যে ত্বোহারটিও ছিল। সেই চারজনের মধ্য থেকে একজনকে বাছাই করা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। বাছাইপর্বে জুরিবোর্ডে সে সময়কার উপাচার্যসহ বুয়েট, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন। বিচারকেরা চারজনকেই তাঁদের নকশার আরও উন্নতি করতে বলেন। সময় দেওয়া হয় আরও এক মাস। অবশেষে মাহবুব হাসান ত্বোহার নকশাটি জয়ী হয়। ধারণা তৈরি থেকে নির্মাণকাজ শুরুর এক মাস আগপর্যন্ত প্রকল্পটিতে সময় লেগেছিল প্রায়
দুই বছর।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নান্দনিক শহীদ মিনারটির নকশা করেছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মাহবুব হাসান ত্বোহা। সম্ভবত এ ঘটনা বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রথম। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কিছুর নকশা করিয়ে নেওয়া হয় প্রতিষ্ঠিত কোনো শিল্পী বা স্থপতির কাছে। এটিই সাধারণ রেওয়াজ। কিন্তু পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল একজন শিক্ষার্থীকে।
শুরুর গল্প
২০১৮ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শহীদ মিনার নির্মিত হবে। একটি প্রতিষ্ঠান থেকে নকশা নেওয়া হয়। সে সময়কার উপাচার্যের ওই নকশা পছন্দ না হওয়ায় প্রস্তাবিত শহীদ মিনারের নকশার দায়িত্ব দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগকে। ওই সময়ের স্থাপত্য বিভাগের চেয়ারম্যান অদিতি বিশ্বাসের ভাবনা ছিল শিক্ষার্থীদের দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনার নকশাটি করানো। তাই তিনি বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি প্রজেক্ট প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ত্বোহা।
নকশা নিয়ে ভাবনা
প্রতিযোগিতার জন্য প্রজেক্ট জমা দেওয়ার সময় ছিল দুই মাস। দীর্ঘ সময় পেলেও ত্বোহার মাথায় কোনো ধারণা আসছিল না। অনেকটা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তারপর হঠাৎ ভাবনা এল। যেহেতু শহীদ মিনার নিয়ে কাজ, তাই ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস জানা দরকার। তিনি ভাষা আন্দোলনের ওপর ছয়টি বই কেনেন। তারপর ইতিহাস বোঝার চেষ্টা করেন। শহীদ মিনারের নকশার ধারণা তৈরির চেষ্টা করেন।
ত্বোহার ভাবনায়, শহীদ মিনারের সামনের হেলানো কালো দেয়ালটি হলো উর্দুকে বাঙালিদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া পাকিস্তানি অপশক্তির প্রতীক। অন্যদিকে পেছনের সাদা দেয়ালটি ভাষা আন্দোলনে অনুপ্রেরণাদানকারী শুভশক্তির প্রতীক। মাঝের লম্বা পিলারটি হেলানো অপশক্তির কালো দেয়ালকে কিছুটা ভেঙে বা ভেদ করে অসীমের দিকে উঠে গেছে। কোনো কিছুর মধ্য দিয়ে কিছু চলে গেলে সেটা মৃত্যু বোঝায়; অর্থাৎ আন্দোলনকারীরা মৃত্যুর মধ্য দিয়ে জয়লাভ করেছেন।
প্রজেক্ট বাছাইপর্ব
দুই মাস পর বিভিন্ন ব্যাচের ২৮টি প্রজেক্ট জমা পড়ে। এরপর বাছাই করে চারটি প্রজেক্ট আলাদা করা হয়। এই চারটির মধ্যে ত্বোহারটিও ছিল। সেই চারজনের মধ্য থেকে একজনকে বাছাই করা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। বাছাইপর্বে জুরিবোর্ডে সে সময়কার উপাচার্যসহ বুয়েট, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন। বিচারকেরা চারজনকেই তাঁদের নকশার আরও উন্নতি করতে বলেন। সময় দেওয়া হয় আরও এক মাস। অবশেষে মাহবুব হাসান ত্বোহার নকশাটি জয়ী হয়। ধারণা তৈরি থেকে নির্মাণকাজ শুরুর এক মাস আগপর্যন্ত প্রকল্পটিতে সময় লেগেছিল প্রায়
দুই বছর।
মিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৫-এর আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটেছে এ বছরের খেতাবপ্রাপ্ত বিজয়ী জেসিয়া ইসলামকে মুকুট পরানোর মধ্য দিয়ে। আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসে আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্পের কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ ঘণ্টা আগেবন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে কোনো বুফে রেস্টুরেন্টে ঢুকলেন। চোখের সামনে লম্বা টেবিলে সাজানো খাবার, নানান রঙের সালাদ, গরম ধোঁয়া ওঠা মাংস, মিষ্টি, ফল। খাবারের ঘ্রাণ যেন আপনাকে কাছে টানছে। কিন্তু দেখা যায়, অনেকে অল্প কিছু খেয়েই পেট ভরিয়ে ফেলেন। এত আশা করে বুফে খেতে যাওয়া যেন জলে গেল। এমনটা হতেই পারে, যদি
৮ ঘণ্টা আগেকোনো কোনো দেশে জনগণ তাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি প্রবল আস্থা প্রকাশ করে। আবার কিছু দেশে সরকারের প্রতি ব্যাপক সংশয় ও অবিশ্বাস বিরাজ করে। সরকারের প্রতি জনগণের বিশ্বাস দেশভেদে ব্যাপকভাবে ভিন্ন বলে জানিয়েছে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট।
১০ ঘণ্টা আগেপ্রতিবারই পরিকল্পনা করেন, কিন্তু কর্মক্ষেত্র আর বাড়িতে সমানতালে ব্যস্ত থাকায় পূজায় মিষ্টিমুখের জন্য ভরসা করতে হয় মিষ্টির দোকান আর অনলাইন-ভিত্তিক খাবারের পেজগুলোর ওপর। এবার আটঘাট বেঁধেই পরিকল্পনা করেছেন, অল্প করে হলেও ঘরেই তৈরি হবে দশমীর খাবার। আর শেষপাতে থাকবে মিষ্টিমুখের আয়োজন।
১২ ঘণ্টা আগে