ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
কোনো কোনো দেশে জনগণ তাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি প্রবল আস্থা প্রকাশ করে। আবার কিছু দেশে সরকারের প্রতি ব্যাপক সংশয় ও অবিশ্বাস বিরাজ করে। সরকারের প্রতি জনগণের বিশ্বাস দেশভেদে ব্যাপকভাবে ভিন্ন বলে জানিয়েছে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট। তাদের তালিকা অনুযায়ী দেখা যায়, অঞ্চলভেদে এই আস্থার দৃষ্টান্তমূলক একটা পার্থক্য রয়েছে। কিছু দেশে জনগণ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি উচ্চমাত্রায় আস্থা প্রকাশ করেছে, আবার কিছু দেশে রয়েছে ব্যাপক সংশয় ও অবিশ্বাস। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, স্বচ্ছতা ও সরকারি সেবার মান—এই ধরনের বিষয়ের ওপর জনগণের আস্থা অনেকটাই নির্ভর করে।
অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট যে তালিকা তৈরি করেছে, তাতে রয়েছে ৩০টি দেশ। এগুলোর মধ্যে আছে ইউরোপের ২২টি, এশিয়ার ৩টি, উত্তর আমেরিকার ৩টি ও ওশেনিয়া মহাদেশের ২টি দেশ। এখানে দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার কোনো দেশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এশিয়ার তিনটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ নেই। নেই ভারত, পাকিস্তান কিংবা ভুটানের নাম। তালিকায় সরকারের ওপর জনগণের আস্থা রাখা দেশের তালিকায় প্রথম স্থানে আছে সুইজারল্যান্ড। দেশটির ৮২ দশমিক ৪১ শতাংশ মানুষ তাদের সরকারকে বিশ্বাস বা ভরসা করে। আর ৩০ নম্বরে আছে চেকিয়া বা চেক প্রজাতন্ত্র। সেখানে ৩৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ মানুষ তাদের সরকারের ওপর বিশ্বাস বা ভরসা রাখে। এই জরিপে ‘সরকারে আস্থা’ বলতে বোঝানো হয়েছে জরিপে অংশগ্রহণকারীরা তাদের দেশের জাতীয় সরকারের প্রতি কতটা আস্থা রাখেন, সেটা। এই ডেটাগুলো মূলত ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময় সংগৃহীত।
এশিয়ার চিত্রটা যেমন
এশিয়ার দেশগুলোতে সরকারের ওপর জনসাধারণের বিশ্বাস ও আস্থার জায়গাটা এক রকম নয়। উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলোতে আস্থার কারণও আলাদা। যেমন সিঙ্গাপুর ও জাপানের মতো দেশের জনগণ উচ্চমানের সেবা ও স্বচ্ছতার কারণে সরকারের ওপর আস্থা রাখে বেশি। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও গণতান্ত্রিক সীমাবদ্ধতা থাকলে সেখানে জন-আস্থা কমে যায়। জাপানের ৪২ দশমিক ২২ শতাংশ নাগরিক তাদের সরকারের ওপর আস্থা প্রকাশ করেছে। তালিকায় ২৫তম অবস্থানে থাকা জাপানে মজবুত প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও দেশটির জনগণ মনে করে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন। তাদের সামাজিক পরিবর্তনগুলো ধীরগতিতে হয় বলে ধারণা তাদের।
ভারসাম্যপূর্ণ নেতৃত্ব, অংশগ্রহণমূলক নীতি ও কার্যকর সেবাব্যবস্থা যেকোনো সরকারের প্রতি জনগণের বিশ্বাস বাড়াতে মূল ভূমিকা রাখে।
২২তম স্থানে থাকা ইসরায়েলের ৪৫ দশমিক ৫২ মানুষ তার দেশের সরকারের ওপর আস্থা প্রকাশ করে। তাদের দেশের জটিল রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং বিচার বিভাগীয় সংস্কার নিয়ে অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা এই আস্থাকে প্রভাবিত করেছে। ১৮তম স্থানে আছে তুরস্ক। দেশটির ৪৭ দশমিক ২৯ শতাংশ মানুষ সরকারের ওপর আস্থা প্রকাশ করেছে। দেশটিতে গভীর রাজনৈতিক বিভাজন রয়েছে। শাসক দলের সমর্থকদের মধ্যে আস্থা থাকলেও বাক্স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের অবনতি উদ্বেগজনক।
বেশি দেশ ইউরোপে
তালিকায় ইউরোপের দেশের সংখ্যা ২২। সর্বোচ্চ আস্থাশীল সরকার বলা যেতে পারে সুইজারল্যান্ডের। কারণ, দেশটির ৮২ দশমিক ৪১ শতাংশ মানুষ নিজেদের সরকারকে বিশ্বাস বা ভরসা করেন। গণতন্ত্র, নিয়মিত রেফারেন্ডাম ও দক্ষ সেবাব্যবস্থা সুইস নাগরিকদের আস্থা বাড়িয়েছে সরকারের ওপর।
তালিকায় থাকা প্রথম আটটি দেশ ইউরোপের। যদিও সুইডেন, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড ও ডেনমার্ক মূলত স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ হিসেবে পরিচিত। সুইজারল্যান্ডের পরেই তালিকায় আছে লুক্সেমবার্গ, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, ডেনমার্ক, জার্মানি ও সুইডেন। কম জনসংখ্যার দেশ হলেও লুক্সেমবার্গের ৮০ দশমিক ৮১ শতাংশ মানুষ তাদের সরকারের ওপর আস্থা রাখে। রাষ্ট্রের কল্যাণকামী ব্যবস্থা এবং শক্তিশালী প্রশাসন জনগণকে সরকারের খুব কাছে এনে দিয়েছে। এর পরেই তালিকায় থাকা সুইডেনের জনগণের সরকারের প্রতি আস্থা একটু বেশিই নেমে গেছে। দেশটির ৫৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ মানুষ সরকারের প্রতি আস্থাশীল। সুশাসন, সমতা ও সমাজের সঙ্গে রাষ্ট্রের খোলামেলা সংলাপ এই আস্থার ভিত্তি। তবে অভিবাসন ও অপরাধ নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক কিছুটা চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।
স্থিতিশীল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, আইনশৃঙ্খলা ও শক্তিশালী অর্থনীতির কারণে ৫৯ দশমিক ৬০ শতাংশ নাগরিক জার্মানির সরকারের ওপর আস্থাশীল। তবে পূর্ব-পশ্চিম বিভাজনে কিছু আস্থার পার্থক্য রয়েছে। উচ্চ নাগরিক সম্পৃক্ততা ও স্বচ্ছ অবস্থান ডেনমার্কের সরকারের ওপর আস্থার মূল ভিত্তি। উন্নত জীবনমান, কল্যাণ রাষ্ট্র, লৈঙ্গিক সমতা ও পরিবেশনীতি নরওয়ের জনগণের আস্থা নিশ্চিত করেছে। অর্থনৈতিক উন্নতি ও সরকারি সেবার মানোন্নয়ন আয়ারল্যান্ডের মানুষের আস্থা বাড়িয়েছে সরকারের ওপর। এভাবেই তালিকায় স্থান পেয়েছে ইউরোপের ২২টি দেশ।
উত্তর আমেরিকার ৩টি দেশ
কানাডা, মেক্সিকো আর কোস্টারিকা এই তালিকায় স্থান পেয়েছে। তালিকায় নবম অবস্থানে আছে মেক্সিকো। দেশটির ৫৮ দশমিক ২৩ শতাংশ মানুষ তাদের সরকারের ওপর আস্থাশীল। পুরোনো দুর্নীতির ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী উদ্যোগ ও সরকারি বিনিয়োগ জনগণের; বিশেষত তরুণদের আস্থা বাড়িয়েছে। এরপরেই আছে কোস্টারিকা, যেখানে ৫৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ মানুষ সরকারের ওপর আস্থাশীল। গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ও পরিবেশবাদী নেতৃত্ব আস্থাকে শক্তিশালী করেছে। ১৬তম অবস্থানে আছে কানাডা। দেশটির ৫১ দশমিক ০৫ শতাংশ নাগরিক তাদের সরকারের ওপর আস্থাশীল। দেশটির সরকারি সেবা ও বহু সাংস্কৃতিক নীতি জনগণের মধ্যে ইতিবাচক ভাবনার জন্ম দিলেও জীবনযাত্রার ব্যয় ও স্বাস্থ্যসেবার সীমাবদ্ধতা আস্থায় কিছুটা চির ধরিয়েছে।
ওশেনিয়ার দুই দেশ
এই মহাদেশ থেকে তালিকায় জায়গা পাওয়া দুটি দেশ হলো অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। ১৩তম অবস্থানে থাকা নিউজিল্যান্ডের ৫২ দশমিক ১১ শতাংশ মানুষ নিজেদের দেশের সরকারের প্রতি আস্থাশীল। প্রতিক্রিয়াশীল সরকার, উন্মুক্ত নীতিমালা এবং নাগরিক অধিকার রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা জনগণের আস্থাকে সুদৃঢ় করেছে। ১৪তম অবস্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির ৫১ দশমিক ৯০ শতাংশ মানুষ সরকারের ওপর আস্থাশীল। মজবুত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়ালেও জলবায়ু নীতি ও সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির কারণে সরকারের কড়া সমালোচনাও রয়েছে।
তথ্যসূত্র
কোনো কোনো দেশে জনগণ তাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি প্রবল আস্থা প্রকাশ করে। আবার কিছু দেশে সরকারের প্রতি ব্যাপক সংশয় ও অবিশ্বাস বিরাজ করে। সরকারের প্রতি জনগণের বিশ্বাস দেশভেদে ব্যাপকভাবে ভিন্ন বলে জানিয়েছে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট। তাদের তালিকা অনুযায়ী দেখা যায়, অঞ্চলভেদে এই আস্থার দৃষ্টান্তমূলক একটা পার্থক্য রয়েছে। কিছু দেশে জনগণ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি উচ্চমাত্রায় আস্থা প্রকাশ করেছে, আবার কিছু দেশে রয়েছে ব্যাপক সংশয় ও অবিশ্বাস। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, স্বচ্ছতা ও সরকারি সেবার মান—এই ধরনের বিষয়ের ওপর জনগণের আস্থা অনেকটাই নির্ভর করে।
অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট যে তালিকা তৈরি করেছে, তাতে রয়েছে ৩০টি দেশ। এগুলোর মধ্যে আছে ইউরোপের ২২টি, এশিয়ার ৩টি, উত্তর আমেরিকার ৩টি ও ওশেনিয়া মহাদেশের ২টি দেশ। এখানে দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার কোনো দেশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এশিয়ার তিনটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ নেই। নেই ভারত, পাকিস্তান কিংবা ভুটানের নাম। তালিকায় সরকারের ওপর জনগণের আস্থা রাখা দেশের তালিকায় প্রথম স্থানে আছে সুইজারল্যান্ড। দেশটির ৮২ দশমিক ৪১ শতাংশ মানুষ তাদের সরকারকে বিশ্বাস বা ভরসা করে। আর ৩০ নম্বরে আছে চেকিয়া বা চেক প্রজাতন্ত্র। সেখানে ৩৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ মানুষ তাদের সরকারের ওপর বিশ্বাস বা ভরসা রাখে। এই জরিপে ‘সরকারে আস্থা’ বলতে বোঝানো হয়েছে জরিপে অংশগ্রহণকারীরা তাদের দেশের জাতীয় সরকারের প্রতি কতটা আস্থা রাখেন, সেটা। এই ডেটাগুলো মূলত ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময় সংগৃহীত।
এশিয়ার চিত্রটা যেমন
এশিয়ার দেশগুলোতে সরকারের ওপর জনসাধারণের বিশ্বাস ও আস্থার জায়গাটা এক রকম নয়। উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলোতে আস্থার কারণও আলাদা। যেমন সিঙ্গাপুর ও জাপানের মতো দেশের জনগণ উচ্চমানের সেবা ও স্বচ্ছতার কারণে সরকারের ওপর আস্থা রাখে বেশি। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও গণতান্ত্রিক সীমাবদ্ধতা থাকলে সেখানে জন-আস্থা কমে যায়। জাপানের ৪২ দশমিক ২২ শতাংশ নাগরিক তাদের সরকারের ওপর আস্থা প্রকাশ করেছে। তালিকায় ২৫তম অবস্থানে থাকা জাপানে মজবুত প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও দেশটির জনগণ মনে করে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন। তাদের সামাজিক পরিবর্তনগুলো ধীরগতিতে হয় বলে ধারণা তাদের।
ভারসাম্যপূর্ণ নেতৃত্ব, অংশগ্রহণমূলক নীতি ও কার্যকর সেবাব্যবস্থা যেকোনো সরকারের প্রতি জনগণের বিশ্বাস বাড়াতে মূল ভূমিকা রাখে।
২২তম স্থানে থাকা ইসরায়েলের ৪৫ দশমিক ৫২ মানুষ তার দেশের সরকারের ওপর আস্থা প্রকাশ করে। তাদের দেশের জটিল রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং বিচার বিভাগীয় সংস্কার নিয়ে অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা এই আস্থাকে প্রভাবিত করেছে। ১৮তম স্থানে আছে তুরস্ক। দেশটির ৪৭ দশমিক ২৯ শতাংশ মানুষ সরকারের ওপর আস্থা প্রকাশ করেছে। দেশটিতে গভীর রাজনৈতিক বিভাজন রয়েছে। শাসক দলের সমর্থকদের মধ্যে আস্থা থাকলেও বাক্স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের অবনতি উদ্বেগজনক।
বেশি দেশ ইউরোপে
তালিকায় ইউরোপের দেশের সংখ্যা ২২। সর্বোচ্চ আস্থাশীল সরকার বলা যেতে পারে সুইজারল্যান্ডের। কারণ, দেশটির ৮২ দশমিক ৪১ শতাংশ মানুষ নিজেদের সরকারকে বিশ্বাস বা ভরসা করেন। গণতন্ত্র, নিয়মিত রেফারেন্ডাম ও দক্ষ সেবাব্যবস্থা সুইস নাগরিকদের আস্থা বাড়িয়েছে সরকারের ওপর।
তালিকায় থাকা প্রথম আটটি দেশ ইউরোপের। যদিও সুইডেন, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড ও ডেনমার্ক মূলত স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ হিসেবে পরিচিত। সুইজারল্যান্ডের পরেই তালিকায় আছে লুক্সেমবার্গ, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, ডেনমার্ক, জার্মানি ও সুইডেন। কম জনসংখ্যার দেশ হলেও লুক্সেমবার্গের ৮০ দশমিক ৮১ শতাংশ মানুষ তাদের সরকারের ওপর আস্থা রাখে। রাষ্ট্রের কল্যাণকামী ব্যবস্থা এবং শক্তিশালী প্রশাসন জনগণকে সরকারের খুব কাছে এনে দিয়েছে। এর পরেই তালিকায় থাকা সুইডেনের জনগণের সরকারের প্রতি আস্থা একটু বেশিই নেমে গেছে। দেশটির ৫৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ মানুষ সরকারের প্রতি আস্থাশীল। সুশাসন, সমতা ও সমাজের সঙ্গে রাষ্ট্রের খোলামেলা সংলাপ এই আস্থার ভিত্তি। তবে অভিবাসন ও অপরাধ নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক কিছুটা চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।
স্থিতিশীল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, আইনশৃঙ্খলা ও শক্তিশালী অর্থনীতির কারণে ৫৯ দশমিক ৬০ শতাংশ নাগরিক জার্মানির সরকারের ওপর আস্থাশীল। তবে পূর্ব-পশ্চিম বিভাজনে কিছু আস্থার পার্থক্য রয়েছে। উচ্চ নাগরিক সম্পৃক্ততা ও স্বচ্ছ অবস্থান ডেনমার্কের সরকারের ওপর আস্থার মূল ভিত্তি। উন্নত জীবনমান, কল্যাণ রাষ্ট্র, লৈঙ্গিক সমতা ও পরিবেশনীতি নরওয়ের জনগণের আস্থা নিশ্চিত করেছে। অর্থনৈতিক উন্নতি ও সরকারি সেবার মানোন্নয়ন আয়ারল্যান্ডের মানুষের আস্থা বাড়িয়েছে সরকারের ওপর। এভাবেই তালিকায় স্থান পেয়েছে ইউরোপের ২২টি দেশ।
উত্তর আমেরিকার ৩টি দেশ
কানাডা, মেক্সিকো আর কোস্টারিকা এই তালিকায় স্থান পেয়েছে। তালিকায় নবম অবস্থানে আছে মেক্সিকো। দেশটির ৫৮ দশমিক ২৩ শতাংশ মানুষ তাদের সরকারের ওপর আস্থাশীল। পুরোনো দুর্নীতির ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী উদ্যোগ ও সরকারি বিনিয়োগ জনগণের; বিশেষত তরুণদের আস্থা বাড়িয়েছে। এরপরেই আছে কোস্টারিকা, যেখানে ৫৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ মানুষ সরকারের ওপর আস্থাশীল। গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ও পরিবেশবাদী নেতৃত্ব আস্থাকে শক্তিশালী করেছে। ১৬তম অবস্থানে আছে কানাডা। দেশটির ৫১ দশমিক ০৫ শতাংশ নাগরিক তাদের সরকারের ওপর আস্থাশীল। দেশটির সরকারি সেবা ও বহু সাংস্কৃতিক নীতি জনগণের মধ্যে ইতিবাচক ভাবনার জন্ম দিলেও জীবনযাত্রার ব্যয় ও স্বাস্থ্যসেবার সীমাবদ্ধতা আস্থায় কিছুটা চির ধরিয়েছে।
ওশেনিয়ার দুই দেশ
এই মহাদেশ থেকে তালিকায় জায়গা পাওয়া দুটি দেশ হলো অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। ১৩তম অবস্থানে থাকা নিউজিল্যান্ডের ৫২ দশমিক ১১ শতাংশ মানুষ নিজেদের দেশের সরকারের প্রতি আস্থাশীল। প্রতিক্রিয়াশীল সরকার, উন্মুক্ত নীতিমালা এবং নাগরিক অধিকার রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা জনগণের আস্থাকে সুদৃঢ় করেছে। ১৪তম অবস্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির ৫১ দশমিক ৯০ শতাংশ মানুষ সরকারের ওপর আস্থাশীল। মজবুত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়ালেও জলবায়ু নীতি ও সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির কারণে সরকারের কড়া সমালোচনাও রয়েছে।
তথ্যসূত্র
বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে কোনো বুফে রেস্টুরেন্টে ঢুকলেন। চোখের সামনে লম্বা টেবিলে সাজানো খাবার, নানান রঙের সালাদ, গরম ধোঁয়া ওঠা মাংস, মিষ্টি, ফল। খাবারের ঘ্রাণ যেন আপনাকে কাছে টানছে। কিন্তু দেখা যায়, অনেকে অল্প কিছু খেয়েই পেট ভরিয়ে ফেলেন। এত আশা করে বুফে খেতে যাওয়া যেন জলে গেল। এমনটা হতেই পারে, যদি
৩৫ মিনিট আগেপ্রতিবারই পরিকল্পনা করেন, কিন্তু কর্মক্ষেত্র আর বাড়িতে সমানতালে ব্যস্ত থাকায় পূজায় মিষ্টিমুখের জন্য ভরসা করতে হয় মিষ্টির দোকান আর অনলাইন-ভিত্তিক খাবারের পেজগুলোর ওপর। এবার আটঘাট বেঁধেই পরিকল্পনা করেছেন, অল্প করে হলেও ঘরেই তৈরি হবে দশমীর খাবার। আর শেষপাতে থাকবে মিষ্টিমুখের আয়োজন।
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী পর্যটন খাত ঘিরে চলছে নতুন প্রতিযোগিতা। করোনার ক্ষতির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উৎস বাড়াতে অনেক দেশ চলতি বছর তাদের ভিসা নীতি সহজ করেছে। কেউ নিজেদের ভিসামুক্ত তালিকায় যুক্ত করেছে নতুন নতুন দেশ, কেউ আবার ভিসা ফি মওকুফ করেছে।
৮ ঘণ্টা আগেধীরে ধীরে শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে শরৎ। কাশফুলের যৌবনেও পড়ছে ভাটা। তারপরেও শরৎ মানেই নীল আকাশের বুকে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘের নিচে খানিক ধূসর কাশফুলের জন্য মন উড়ু উড়ু করবেই। সেই উড়ু উড়ু ভাব কাটাতে এক পড়ন্ত দুপুরে মোটরসাইকেলে সওয়ার হয়ে ছুটে চললাম ধামরাই উপজেলার কাইজ্জার চর—ঢাকার একেবারে পাশে।
৯ ঘণ্টা আগে