বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ জার্মানি। দেশটির একটি ব্যাংকে কাজ করছেন ইকবাল হোসেন তুহিন। জার্মানিতে বাংলাদেশিদের ক্যারিয়ার ও সম্ভাবনা জানতে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাদিম মজিদ।
নাদিম মজিদ
জার্মানিতে বাংলাদেশিরা কীভাবে কাজের সুযোগ পেতে পারেন?
বিভিন্নভাবে বাংলাদেশিরা কাজের সুবিধা পেতে পারেন। এটা সাধারণত তিনভাবে হয়ে থাকে—প্রথমত, হাই স্কিল্ড হলে সরাসরি জব নিয়ে আসা যাবে। দ্বিতীয়ত, জার্মানিতে পড়াশোনা শেষ করে এখানে জব শুরু করতে পারেন। তৃতীয়ত, এখানে আউসবিল্ডুং বা প্রফেশনাল ডিপ্লোমা করে কাজের সুযোগ পেতে পারেন।
কখন প্রস্তুতি শুরু করতে হয়? কী কী অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার পাওয়া যায়?
প্রস্তুতি নির্ভর করে উদ্দেশ্যের ওপর বা কোন ধরনের ভিসার আবেদন করবেন, তার ওপর। কেউ যদি পড়াশোনা বা গবেষণার জন্য আসতে চান, তাহলে সে ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে। এর জন্য IELTS/TOEFL, GMAT/GRE, স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে সামাজিক কাজ, গবেষণার অভিজ্ঞতা, পাবলিকেশন্স ইত্যাদি বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে।
কেউ যদি সরাসরি জব নিয়ে আসতে চান, সে ক্ষেত্রে তাঁর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা, ভালো পোর্টফোলিও, সেক্টর রিলেটেড সার্টিফিকেশন, ভাষার দক্ষতা ইত্যাদি থাকা উচিত। পেশাগত অভিজ্ঞতার পাশাপাশি কারও যদি খুব ভালো জার্মান ভাষা জানা থাকে বা জার্মান কোম্পানির সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা থাকে; তবে সরাসরি জব নিয়ে জার্মানিতে আসার সুযোগ থাকে।
যাঁরা জার্মানিতে আউসবিল্ডুং বা প্রফেশনাল ডিপ্লোমা কোর্সে আসতে চান, তাঁদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জার্মান ভাষায় দক্ষতা। তা ছাড়া সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তাঁরা সুবিধা পেয়ে থাকেন।
চাকরির পোস্টগুলো কোথায় পাওয়া যায়?
জার্মানিতে জবের অফারগুলো সাধারণত কোম্পানির ওয়েবসাইট ও থার্ড পার্টি জব সাইটে দেওয়া থাকে। জার্মানির জনপ্রিয় জব সাইট হলো: StepStone, Monster, Indeed. এ ছাড়াও LinkedIn ও Xing প্রফেশনাল সোশ্যাল নেটওয়ার্কে চাকরির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়।
জার্মানিতে অপরচুনিটি কার্ড নামে নতুন ভিসা চালু করা হয়েছে। এ ভিসায় কী কী সুবিধা রয়েছে এবং কীভাবে আবেদন করতে হয়?
জি, আপনি ঠিক বলেছেন। অপরচুনিটি কার্ড জার্মানিতে যাওয়ার জন্য একটি পয়েন্টভিত্তিক নতুন ভিসা স্কিম। এ স্কিমের আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশ থেকে দক্ষ জনশক্তিকে জার্মানিতে আসার সুযোগ দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে ঢাকার জার্মান দূতাবাস এবং www.make-it-in-germany.com ওয়েবসাইটে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
অপরচুনিটি কার্ডের উল্লেখযোগ্য সুবিধা হলো, জব কন্ট্রাক্ট বা চাকরির চুক্তিপত্র ছাড়া আবেদনের সুযোগ রয়েছে। দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ ভিসা থাকাকালে খণ্ডকালীন কাজের অনুমতি পাওয়া যায়। স্থায়ী জব খুঁজে নেওয়ার জন্য এক বছরের সুযোগ দেওয়া হয়। স্থায়ী জব পেলে জার্মানিতে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
অপরচুনিটি ভিসার কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে, যেমন প্রতি মাসে ১ হাজার ৯১ ইউরো সমপরিমাণ আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ দেখাতে হবে। এ সক্ষমতা ব্লকড অ্যাকাউন্ট বা স্পনসরের মাধ্যমে দেখাতে হয়। স্বীকৃত ভোকেশনাল বা একাডেমিক ডিগ্রি থাকতে হয়। এ-১ লেভেলের জার্মান বা বি-২ লেভেলের ইংরেজি ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে। স্কোরিং সিস্টেমে কমপক্ষে ৬ পয়েন্ট পেতে হবে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো, এ ভিসার মেয়াদ থাকে এক বছর। জার্মানিতে স্থায়ীভাবে ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা থাকলে, এ সময়ের মধ্যে স্থায়ী চাকরি নিতে হবে।
জার্মান ভাষা কঠিন হিসেবে পরিচিত। সহজে এ ভাষা শেখার জন্য কী উপায় অবলম্বন করা উচিত?
জার্মান ভাষা কঠিন হলেও অপরিচিত নয়। কারণ, জার্মান ভাষা লিখতে রোমান বর্ণমালা ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়াও জার্মান ভাষার অনেক শব্দ ইংরেজির সঙ্গে মিল রয়েছে। বড় কথা, প্রয়োজন ও চেষ্টা থাকলে কিছুই অসম্ভব নয়। ঢাকার Goethe-Institut থেকে জার্মান ভাষা শেখা যায়। এ ছাড়াও অনেকে অনলাইনে জার্মান ভাষা শেখেন।
জার্মানির কোন কোন শহরে বাংলাদেশি বেশি?
বর্তমানে জার্মানিতে বাংলাদেশি কমিউনিটি রয়েছে। তবে বড় শহরগুলো যেমন বার্লিন, ফ্রাঙ্কফুর্ট, মিউনিখ, ডর্টমুন্ড, এসেন ও হ্যামবুর্গে বেশ সক্রিয় বাংলাদেশি কমিউনিটি রয়েছে। এ ছাড়া ফেসবুকে BESSiG-Bangladeshi Expat & Student Society in Germany নামের অনলাইন কমিউনিটি রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন প্রশ্ন ও সহযোগিতা পাওয়া যায়।
জার্মানিতে বাংলাদেশিরা কীভাবে কাজের সুযোগ পেতে পারেন?
বিভিন্নভাবে বাংলাদেশিরা কাজের সুবিধা পেতে পারেন। এটা সাধারণত তিনভাবে হয়ে থাকে—প্রথমত, হাই স্কিল্ড হলে সরাসরি জব নিয়ে আসা যাবে। দ্বিতীয়ত, জার্মানিতে পড়াশোনা শেষ করে এখানে জব শুরু করতে পারেন। তৃতীয়ত, এখানে আউসবিল্ডুং বা প্রফেশনাল ডিপ্লোমা করে কাজের সুযোগ পেতে পারেন।
কখন প্রস্তুতি শুরু করতে হয়? কী কী অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার পাওয়া যায়?
প্রস্তুতি নির্ভর করে উদ্দেশ্যের ওপর বা কোন ধরনের ভিসার আবেদন করবেন, তার ওপর। কেউ যদি পড়াশোনা বা গবেষণার জন্য আসতে চান, তাহলে সে ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে। এর জন্য IELTS/TOEFL, GMAT/GRE, স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে সামাজিক কাজ, গবেষণার অভিজ্ঞতা, পাবলিকেশন্স ইত্যাদি বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে।
কেউ যদি সরাসরি জব নিয়ে আসতে চান, সে ক্ষেত্রে তাঁর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা, ভালো পোর্টফোলিও, সেক্টর রিলেটেড সার্টিফিকেশন, ভাষার দক্ষতা ইত্যাদি থাকা উচিত। পেশাগত অভিজ্ঞতার পাশাপাশি কারও যদি খুব ভালো জার্মান ভাষা জানা থাকে বা জার্মান কোম্পানির সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা থাকে; তবে সরাসরি জব নিয়ে জার্মানিতে আসার সুযোগ থাকে।
যাঁরা জার্মানিতে আউসবিল্ডুং বা প্রফেশনাল ডিপ্লোমা কোর্সে আসতে চান, তাঁদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জার্মান ভাষায় দক্ষতা। তা ছাড়া সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তাঁরা সুবিধা পেয়ে থাকেন।
চাকরির পোস্টগুলো কোথায় পাওয়া যায়?
জার্মানিতে জবের অফারগুলো সাধারণত কোম্পানির ওয়েবসাইট ও থার্ড পার্টি জব সাইটে দেওয়া থাকে। জার্মানির জনপ্রিয় জব সাইট হলো: StepStone, Monster, Indeed. এ ছাড়াও LinkedIn ও Xing প্রফেশনাল সোশ্যাল নেটওয়ার্কে চাকরির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়।
জার্মানিতে অপরচুনিটি কার্ড নামে নতুন ভিসা চালু করা হয়েছে। এ ভিসায় কী কী সুবিধা রয়েছে এবং কীভাবে আবেদন করতে হয়?
জি, আপনি ঠিক বলেছেন। অপরচুনিটি কার্ড জার্মানিতে যাওয়ার জন্য একটি পয়েন্টভিত্তিক নতুন ভিসা স্কিম। এ স্কিমের আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশ থেকে দক্ষ জনশক্তিকে জার্মানিতে আসার সুযোগ দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে ঢাকার জার্মান দূতাবাস এবং www.make-it-in-germany.com ওয়েবসাইটে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
অপরচুনিটি কার্ডের উল্লেখযোগ্য সুবিধা হলো, জব কন্ট্রাক্ট বা চাকরির চুক্তিপত্র ছাড়া আবেদনের সুযোগ রয়েছে। দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ ভিসা থাকাকালে খণ্ডকালীন কাজের অনুমতি পাওয়া যায়। স্থায়ী জব খুঁজে নেওয়ার জন্য এক বছরের সুযোগ দেওয়া হয়। স্থায়ী জব পেলে জার্মানিতে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
অপরচুনিটি ভিসার কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে, যেমন প্রতি মাসে ১ হাজার ৯১ ইউরো সমপরিমাণ আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ দেখাতে হবে। এ সক্ষমতা ব্লকড অ্যাকাউন্ট বা স্পনসরের মাধ্যমে দেখাতে হয়। স্বীকৃত ভোকেশনাল বা একাডেমিক ডিগ্রি থাকতে হয়। এ-১ লেভেলের জার্মান বা বি-২ লেভেলের ইংরেজি ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে। স্কোরিং সিস্টেমে কমপক্ষে ৬ পয়েন্ট পেতে হবে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো, এ ভিসার মেয়াদ থাকে এক বছর। জার্মানিতে স্থায়ীভাবে ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা থাকলে, এ সময়ের মধ্যে স্থায়ী চাকরি নিতে হবে।
জার্মান ভাষা কঠিন হিসেবে পরিচিত। সহজে এ ভাষা শেখার জন্য কী উপায় অবলম্বন করা উচিত?
জার্মান ভাষা কঠিন হলেও অপরিচিত নয়। কারণ, জার্মান ভাষা লিখতে রোমান বর্ণমালা ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়াও জার্মান ভাষার অনেক শব্দ ইংরেজির সঙ্গে মিল রয়েছে। বড় কথা, প্রয়োজন ও চেষ্টা থাকলে কিছুই অসম্ভব নয়। ঢাকার Goethe-Institut থেকে জার্মান ভাষা শেখা যায়। এ ছাড়াও অনেকে অনলাইনে জার্মান ভাষা শেখেন।
জার্মানির কোন কোন শহরে বাংলাদেশি বেশি?
বর্তমানে জার্মানিতে বাংলাদেশি কমিউনিটি রয়েছে। তবে বড় শহরগুলো যেমন বার্লিন, ফ্রাঙ্কফুর্ট, মিউনিখ, ডর্টমুন্ড, এসেন ও হ্যামবুর্গে বেশ সক্রিয় বাংলাদেশি কমিউনিটি রয়েছে। এ ছাড়া ফেসবুকে BESSiG-Bangladeshi Expat & Student Society in Germany নামের অনলাইন কমিউনিটি রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন প্রশ্ন ও সহযোগিতা পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বেসামরিক পদে কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে তিন ধরনের শূন্য পদে মোট সাতজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ৩টি শূন্য পদে মোট ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী নারী ও পুরুষ উভয় প্রার্থীরা ডাকযোগে আবেদন করতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বিপিএটিসির ৪ ধরনের শূন্য পদে মোট ৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১৯ জুন এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ২৬ জুন থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টেন্ট পদে একাধিক লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। সম্প্রতি এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
৬ ঘণ্টা আগে