মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
মানুষ মানুষের জন্য। চলতে-ফিরতে মানুষের ভুল হতেই পারে। কিন্তু কেউ ভুল করলে তাকে শোধরানোর সুযোগ না দিয়ে চড়াও হওয়া সঠিক নয়। সামান্য ভুলে গায়ে হাত তোলা অনুচিত। বাসার গৃহপরিচারিকা, নিরাপত্তারক্ষী, ফেরিওয়ালা, টোকাই কিংবা রিকশাচালক—সাধারণত এরাই এই অন্যায়ের শিকার হয় বেশি। এদের মারধর করাকে অনেকে বীরত্ব ভাবে। অথচ এ বড় অন্যায়। ইসলাম সব সৃষ্টির প্রতিই দয়ার্দ্র হওয়ার শিক্ষা দেয়। মানুষ তো সৃষ্টির সেরা জীব, তাঁর মর্যাদাও অনেক।
হজরত জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির প্রতি দয়া করেন না, যে মানুষের প্রতি দয়া করে না।’ (বুখারি ও মুসলিম)
মনের মধ্যে দয়া, মায়া, ভালোবাসা আল্লাহর এক অপার নিয়ামত। সবার মধ্যে সমানভাবে এসব থাকে না। রাসুল (সা.) পরিষ্কারভাবেই বলেছেন, ‘মানুষকে দয়া করলে মিলবে আল্লাহর অনুগ্রহ। পেশা ছোট-বড় যা-ই হোক, সবার প্রতি দয়া দেখালে অসুবিধা কোথায়? পেশা দিয়ে তো মহান আল্লাহ মানুষের বিচার করবেন না। তিনি তো দেখবেন তাকওয়া।
জাহিলি যুগের কিছু মানুষ তাদের শিশুদের আদর করে চুম্বন করত না। এটা শুনে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যদি আল্লাহ তাআলা তোমার অন্তর থেকে স্নেহ-মমতা বের করে দেন, তবে আমি কি তাতে বাধা দিতে সক্ষম হব?’ (বুখারি ও মুসলিম)
দয়া ও অনুগ্রহ যে শুধু মানুষ মানুষের প্রতি দেখাবে তা নয়। জীবজন্তু তথা আল্লাহর প্রতিটি সৃষ্টির প্রতিই দয়া দেখানো উচিত। হাদিসে এসেছে, একজন পাপী ব্যক্তি বিড়ালকে পানি পান করিয়ে ক্ষমা লাভ করে এবং জান্নাতে প্রবেশ করে। অন্যদিকে এক ইবাদতকারী ব্যক্তি বিড়ালকে নির্যাতন করে জাহান্নামে প্রবেশ করে। (বুখারি)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
মানুষ মানুষের জন্য। চলতে-ফিরতে মানুষের ভুল হতেই পারে। কিন্তু কেউ ভুল করলে তাকে শোধরানোর সুযোগ না দিয়ে চড়াও হওয়া সঠিক নয়। সামান্য ভুলে গায়ে হাত তোলা অনুচিত। বাসার গৃহপরিচারিকা, নিরাপত্তারক্ষী, ফেরিওয়ালা, টোকাই কিংবা রিকশাচালক—সাধারণত এরাই এই অন্যায়ের শিকার হয় বেশি। এদের মারধর করাকে অনেকে বীরত্ব ভাবে। অথচ এ বড় অন্যায়। ইসলাম সব সৃষ্টির প্রতিই দয়ার্দ্র হওয়ার শিক্ষা দেয়। মানুষ তো সৃষ্টির সেরা জীব, তাঁর মর্যাদাও অনেক।
হজরত জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির প্রতি দয়া করেন না, যে মানুষের প্রতি দয়া করে না।’ (বুখারি ও মুসলিম)
মনের মধ্যে দয়া, মায়া, ভালোবাসা আল্লাহর এক অপার নিয়ামত। সবার মধ্যে সমানভাবে এসব থাকে না। রাসুল (সা.) পরিষ্কারভাবেই বলেছেন, ‘মানুষকে দয়া করলে মিলবে আল্লাহর অনুগ্রহ। পেশা ছোট-বড় যা-ই হোক, সবার প্রতি দয়া দেখালে অসুবিধা কোথায়? পেশা দিয়ে তো মহান আল্লাহ মানুষের বিচার করবেন না। তিনি তো দেখবেন তাকওয়া।
জাহিলি যুগের কিছু মানুষ তাদের শিশুদের আদর করে চুম্বন করত না। এটা শুনে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যদি আল্লাহ তাআলা তোমার অন্তর থেকে স্নেহ-মমতা বের করে দেন, তবে আমি কি তাতে বাধা দিতে সক্ষম হব?’ (বুখারি ও মুসলিম)
দয়া ও অনুগ্রহ যে শুধু মানুষ মানুষের প্রতি দেখাবে তা নয়। জীবজন্তু তথা আল্লাহর প্রতিটি সৃষ্টির প্রতিই দয়া দেখানো উচিত। হাদিসে এসেছে, একজন পাপী ব্যক্তি বিড়ালকে পানি পান করিয়ে ক্ষমা লাভ করে এবং জান্নাতে প্রবেশ করে। অন্যদিকে এক ইবাদতকারী ব্যক্তি বিড়ালকে নির্যাতন করে জাহান্নামে প্রবেশ করে। (বুখারি)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
১৫ ঘণ্টা আগেআল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
১ দিন আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
২ দিন আগে