আবরার নাঈম
মানুষের মধ্যে এমন কিছু অভ্যাস আছে, যা জীবনে সফলতার পথের অন্তরায়। তাই নবী (সা.) এমন সব অভ্যাস থেকে সব সময় পানাহ চেয়েছেন। সেই তিনটি বদভ্যাস হলো—
১. অলসতা: অলসতা এমন এক বদস্বভাব, যা মানুষকে তার লক্ষ্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। রুটিনমাফিক জীবন পরিচালনায় অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। তাই মহানবী (সা.) অলসতা থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতেন।
২. ভীরুতা: ভীরুতা বা কাপুরুষতাও একটি মানবীয় ত্রুটি। বিশেষত যুদ্ধক্ষেত্রে। কারণ ভীরুরাই শত্রুর রক্তচক্ষুকে ভয় পেয়ে যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করে পালায়। আর যুদ্ধ থেকে পলায়ন করা ইসলামে কবিরা গুনাহ। তাই মহানবী (সা.) এই কাজ থেকেও পানাহ চাইতেন।
৩. কৃপণতা: ধন-সম্পদের লোভ থেকেই আসে কৃপণতা, যা খুবই নিন্দনীয় এবং আল্লাহর কাছে ঘৃণিত। কৃপণতা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সবার আগে লোভ ত্যাগ করতে হবে। কৃপণতা থেকে মুক্ত ব্যক্তিই সুখী ও সফল। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যারা কার্পণ্য হতে নিজেদের মুক্ত করেছে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা হাশর: ৯)
ইসলামের দৃষ্টিতে তো বটেই, যাপিত জীবনের সাধারণ নিয়মেও অলসতা, ভীরুতা ও কৃপণতা; তিনটি বদভ্যাস, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এ কারণেই নবী (সা.) আল্লাহর কাছে মোনাজাতে এই তিন কাজ থেকে পানাহ চাইতেন। হাদিসে এসেছে, হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) আশ্রয় প্রার্থনা করে বলতেন, হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই অলসতা থেকে, আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই ভীরুতা থেকে, আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই কৃপণতা থেকে।’ (আদাবুল মুফরাদ: ৬১৯)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া ইমাম আবু হানিফা (রহ.), ঢাকা।
মানুষের মধ্যে এমন কিছু অভ্যাস আছে, যা জীবনে সফলতার পথের অন্তরায়। তাই নবী (সা.) এমন সব অভ্যাস থেকে সব সময় পানাহ চেয়েছেন। সেই তিনটি বদভ্যাস হলো—
১. অলসতা: অলসতা এমন এক বদস্বভাব, যা মানুষকে তার লক্ষ্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। রুটিনমাফিক জীবন পরিচালনায় অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। তাই মহানবী (সা.) অলসতা থেকে বাঁচতে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতেন।
২. ভীরুতা: ভীরুতা বা কাপুরুষতাও একটি মানবীয় ত্রুটি। বিশেষত যুদ্ধক্ষেত্রে। কারণ ভীরুরাই শত্রুর রক্তচক্ষুকে ভয় পেয়ে যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ করে পালায়। আর যুদ্ধ থেকে পলায়ন করা ইসলামে কবিরা গুনাহ। তাই মহানবী (সা.) এই কাজ থেকেও পানাহ চাইতেন।
৩. কৃপণতা: ধন-সম্পদের লোভ থেকেই আসে কৃপণতা, যা খুবই নিন্দনীয় এবং আল্লাহর কাছে ঘৃণিত। কৃপণতা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সবার আগে লোভ ত্যাগ করতে হবে। কৃপণতা থেকে মুক্ত ব্যক্তিই সুখী ও সফল। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যারা কার্পণ্য হতে নিজেদের মুক্ত করেছে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা হাশর: ৯)
ইসলামের দৃষ্টিতে তো বটেই, যাপিত জীবনের সাধারণ নিয়মেও অলসতা, ভীরুতা ও কৃপণতা; তিনটি বদভ্যাস, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এ কারণেই নবী (সা.) আল্লাহর কাছে মোনাজাতে এই তিন কাজ থেকে পানাহ চাইতেন। হাদিসে এসেছে, হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) আশ্রয় প্রার্থনা করে বলতেন, হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই অলসতা থেকে, আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই ভীরুতা থেকে, আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই কৃপণতা থেকে।’ (আদাবুল মুফরাদ: ৬১৯)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া ইমাম আবু হানিফা (রহ.), ঢাকা।
হালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম অনন্য। ইসলাম সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করেছে। মালিক-শ্রমিক একজনকে অপরজনের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেকোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
২১ ঘণ্টা আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
১ দিন আগে