মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করো।’ (সুরা বাকারা: ১৫৩) এ আয়াত থেকে বোঝা যায়, নামাজ আল্লাহর সাহায্য লাভের অন্যতম মাধ্যম। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ অজু করে সুন্দরভাবে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, সে আল্লাহর কাছে যা চাইবে তা তিনি দান করবেন দ্রুত অথবা দেরিতে।’ (মুসনাদে আহমদ)
আরেক হাদিসে তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তির ধর্মীয় অথবা পার্থিব প্রয়োজন আছে, সে প্রথমে ভালোভাবে অজু করবে, তারপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, তারপর আল্লাহর হামদ-সানা ও রাসুল (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠ করবে, এরপর বলবে—আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি অতি সহিষ্ণু ও দয়ালু। সকল দোষত্রুটি থেকে তিনি পবিত্র। সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি সমগ্র মহাবিশ্বের প্রতিপালক। হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আপনার রহমত, ক্ষমা ও মাগফিরাত আবশ্যককারী সকল বিষয়ের অসিলায় সকল ভালো কাজে সাফল্য লাভের এবং সব ধরনের পাপ থেকে নিরাপত্তা লাভের জন্য প্রার্থনা করছি। হে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু, আমার সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিন। আমার সকল সমস্যা সমাধান করে দিন। আমার এমন সব প্রয়োজন পূরণ করে দিন, যার প্রতি আপনার সন্তুষ্টি রয়েছে।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
এখানে যে বিশেষ নামাজের কথা বলা হয়েছে, তাকে ইসলামের পরিভাষায় সালাতুল হাজত বা প্রয়োজনের নামাজ বলা হয়। শেষোক্ত হাদিসে যেভাবে বলা হয়েছে, এটাই এ নামাজ আদায়ের সুন্নাহসম্মত পদ্ধতি। অর্থাৎ, ভালোভাবে অজু করে সাধারণ নিয়মে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে। এরপর হাদিসের নির্দেশনা অনুসারে আল্লাহর হামদ-সানা ও দরুদ পাঠ করে হাদিসে শিখিয়ে দেওয়া বিশেষ বাক্যে আল্লাহর কাছে দোয়া করবে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করো।’ (সুরা বাকারা: ১৫৩) এ আয়াত থেকে বোঝা যায়, নামাজ আল্লাহর সাহায্য লাভের অন্যতম মাধ্যম। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ অজু করে সুন্দরভাবে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, সে আল্লাহর কাছে যা চাইবে তা তিনি দান করবেন দ্রুত অথবা দেরিতে।’ (মুসনাদে আহমদ)
আরেক হাদিসে তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তির ধর্মীয় অথবা পার্থিব প্রয়োজন আছে, সে প্রথমে ভালোভাবে অজু করবে, তারপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, তারপর আল্লাহর হামদ-সানা ও রাসুল (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠ করবে, এরপর বলবে—আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি অতি সহিষ্ণু ও দয়ালু। সকল দোষত্রুটি থেকে তিনি পবিত্র। সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি সমগ্র মহাবিশ্বের প্রতিপালক। হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আপনার রহমত, ক্ষমা ও মাগফিরাত আবশ্যককারী সকল বিষয়ের অসিলায় সকল ভালো কাজে সাফল্য লাভের এবং সব ধরনের পাপ থেকে নিরাপত্তা লাভের জন্য প্রার্থনা করছি। হে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু, আমার সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিন। আমার সকল সমস্যা সমাধান করে দিন। আমার এমন সব প্রয়োজন পূরণ করে দিন, যার প্রতি আপনার সন্তুষ্টি রয়েছে।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
এখানে যে বিশেষ নামাজের কথা বলা হয়েছে, তাকে ইসলামের পরিভাষায় সালাতুল হাজত বা প্রয়োজনের নামাজ বলা হয়। শেষোক্ত হাদিসে যেভাবে বলা হয়েছে, এটাই এ নামাজ আদায়ের সুন্নাহসম্মত পদ্ধতি। অর্থাৎ, ভালোভাবে অজু করে সাধারণ নিয়মে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে। এরপর হাদিসের নির্দেশনা অনুসারে আল্লাহর হামদ-সানা ও দরুদ পাঠ করে হাদিসে শিখিয়ে দেওয়া বিশেষ বাক্যে আল্লাহর কাছে দোয়া করবে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ক্ষমতা বা রাজত্ব পেলে মানুষ আল্লাহ ভোলা হয়ে যায়। হয়ে ওঠে বেপরোয়া ও অহংকারী। দুর্বলের ওপর অবাধে চালায় অত্যাচার ও নিপীড়ন। আসলে ক্ষমতাসীনদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা একটা বড় পরীক্ষা। ক্ষমতা পেয়ে বান্দা কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখতে চান আল্লাহ তাআলা। তবে সবাই তো এক না।
১১ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলার অফুরন্ত নেয়ামতের অবারিত ঠিকানা জান্নাত। জান্নাতকে পার্থিব নেয়ামত দ্বারা আল্লাহ তাআলা সাজিয়েছেন—যা কোনো চোখ চোখ দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো ব্যক্তির অন্তর তা কল্পনাও করতে পারেনি।
১৩ ঘণ্টা আগেমহান আল্লাহ আমাদের একমাত্র রিজিকদাতা। সমগ্র সৃষ্টিকুলের রিজিকের ব্যবস্থা তিনিই করে থাকেন। তাই রিজিকের সন্ধানে দিশেহারা নয়, বরং আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা জরুরি। কোরআন ও হাদিসের আলোকে ৪টি আমল করলে রিজিক বৃদ্ধি হবে বলে আশা করা যায়।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
২১ ঘণ্টা আগে