কাউসার লাবীব
সন্তানকে ইবাদতে উৎসাহ দেওয়া মা-বাবার মহান দায়িত্ব। ছোটবেলা থেকেই নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে তারা পরবর্তী জীবনে নীতিমান ও ধার্মিক হয়ে বেড়ে ওঠে। খেলার ছলে নামাজের ভঙ্গি শেখানো, দোয়া মুখস্থ করানো, পরিবারের সঙ্গে ইবাদতে অংশ নিতে বলা—এগুলো তাদের মনে ধর্মীয় চেতনা গড়ে তোলে। নিজে আল্লাহ তাআলার বিধিবিধান মেনে চলা এবং সন্তানকে মেনে চলতে নির্দেশ দেওয়া, উৎসাহিত করা সচেতন মুমিনের নিদর্শন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তুমি তোমার পরিবারকে নামাজের আদেশ দাও এবং তুমি এর ওপর অবিচল থাকো।’ (সুরা তহা: ১৩২)
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের সন্তান যখন সাত বছরে পদার্পণ করে, তখন তাকে সালাতের নির্দেশ (প্রশিক্ষণ) দাও। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৫)। যদিও সাত বছর বয়সে শিশুরা নামাজ আদায় করতে বাধ্য নয়। তবে তারা সাত বছর থেকে নামাজে অভ্যস্ত হয়ে গেলে, বড় হওয়ার পর নামাজের বিষয়ে অনাগ্রহী হবে না। ইবাদতের বিষয়ে তাদের সঙ্গে কড়া আচরণ করা ছাড়াই তারা অভ্যাসের কারণে ইবাদতে মনোযোগী হবে। আল্লাহর বিধান মেনে চলবে।
সাহাবায়ে কেরামরা তাঁদের সন্তানদের ছেলেবেলা থেকেই নামাজ ও রোজার অভ্যাস গড়ে তুলতেন। এর জন্য নিজেরা ইবাদত করার সময় তাদের সঙ্গে রাখতেন। হাতে ধরে মসজিদে নিয়ে যেতেন। একসঙ্গে ইফতার করতেন। (সহিহ্ বুখারি: ১৯৬০, সহিহ্ মুসলিম: ১১৩৬)
সন্তানকে ইবাদতে উৎসাহিত করার জন্য তাকে মাঝে মাঝে উপহার দেওয়া যেতে পারে। নামাজ আদায় করলে, কোরআন তিলাওয়াত করলে, দোয়া মুখস্থ করলে সে যদি ছোট্ট বয়সে কিছু উপহার পায়, তাহলে তার আগ্রহ আরও বাড়বে। এর পাশাপাশি সন্তান যেন ধার্মিক হয়, সে জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করতে হবে। কীভাবে দোয়া করতে হবে তা আল্লাহ তাআলা কোরআনে শিখিয়ে দিয়েছেন। দোয়াটি হলো, ‘রাব্বিজ আলনি মুকিমাস সালাতি ওয়া মিন জুররিয়্যাতি, রাব্বানা ওয়া তাকাব্বাল দুআ।’ অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে এবং আমার সন্তানদের নামাজ প্রতিষ্ঠাকারী বানান। হে আমাদের প্রতিপালক, আপনি আমার দোয়া কবুল করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪০)
সন্তানকে ইবাদতে উৎসাহ দেওয়া মা-বাবার মহান দায়িত্ব। ছোটবেলা থেকেই নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে তারা পরবর্তী জীবনে নীতিমান ও ধার্মিক হয়ে বেড়ে ওঠে। খেলার ছলে নামাজের ভঙ্গি শেখানো, দোয়া মুখস্থ করানো, পরিবারের সঙ্গে ইবাদতে অংশ নিতে বলা—এগুলো তাদের মনে ধর্মীয় চেতনা গড়ে তোলে। নিজে আল্লাহ তাআলার বিধিবিধান মেনে চলা এবং সন্তানকে মেনে চলতে নির্দেশ দেওয়া, উৎসাহিত করা সচেতন মুমিনের নিদর্শন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তুমি তোমার পরিবারকে নামাজের আদেশ দাও এবং তুমি এর ওপর অবিচল থাকো।’ (সুরা তহা: ১৩২)
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের সন্তান যখন সাত বছরে পদার্পণ করে, তখন তাকে সালাতের নির্দেশ (প্রশিক্ষণ) দাও। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৫)। যদিও সাত বছর বয়সে শিশুরা নামাজ আদায় করতে বাধ্য নয়। তবে তারা সাত বছর থেকে নামাজে অভ্যস্ত হয়ে গেলে, বড় হওয়ার পর নামাজের বিষয়ে অনাগ্রহী হবে না। ইবাদতের বিষয়ে তাদের সঙ্গে কড়া আচরণ করা ছাড়াই তারা অভ্যাসের কারণে ইবাদতে মনোযোগী হবে। আল্লাহর বিধান মেনে চলবে।
সাহাবায়ে কেরামরা তাঁদের সন্তানদের ছেলেবেলা থেকেই নামাজ ও রোজার অভ্যাস গড়ে তুলতেন। এর জন্য নিজেরা ইবাদত করার সময় তাদের সঙ্গে রাখতেন। হাতে ধরে মসজিদে নিয়ে যেতেন। একসঙ্গে ইফতার করতেন। (সহিহ্ বুখারি: ১৯৬০, সহিহ্ মুসলিম: ১১৩৬)
সন্তানকে ইবাদতে উৎসাহিত করার জন্য তাকে মাঝে মাঝে উপহার দেওয়া যেতে পারে। নামাজ আদায় করলে, কোরআন তিলাওয়াত করলে, দোয়া মুখস্থ করলে সে যদি ছোট্ট বয়সে কিছু উপহার পায়, তাহলে তার আগ্রহ আরও বাড়বে। এর পাশাপাশি সন্তান যেন ধার্মিক হয়, সে জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করতে হবে। কীভাবে দোয়া করতে হবে তা আল্লাহ তাআলা কোরআনে শিখিয়ে দিয়েছেন। দোয়াটি হলো, ‘রাব্বিজ আলনি মুকিমাস সালাতি ওয়া মিন জুররিয়্যাতি, রাব্বানা ওয়া তাকাব্বাল দুআ।’ অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, আমাকে এবং আমার সন্তানদের নামাজ প্রতিষ্ঠাকারী বানান। হে আমাদের প্রতিপালক, আপনি আমার দোয়া কবুল করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪০)
মহান আল্লাহ আমাদের একমাত্র রিজিকদাতা। সমগ্র সৃষ্টিকুলের রিজিকের ব্যবস্থা তিনিই করে থাকেন। তাই রিজিকের সন্ধানে দিশেহারা নয়, বরং আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা জরুরি। কোরআন ও হাদিসের আলোকে ৪টি আমল করলে রিজিক বৃদ্ধি হবে বলে আশা করা যায়।
২০ মিনিট আগেইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৭ ঘণ্টা আগেআত্মীয়তার বন্ধন আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর। পারস্পরিক সম্পর্কের এ বন্ধন না থাকলে হয়তো পৃথিবীর রূপ ভিন্ন থাকত। মা তার সন্তানের প্রতি, ভাই তার ভাইয়ের প্রতি, স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার যে রূপ আমরা দেখতে পাই—তা হয়তো থাকত না। কোরআন ও হাদিসে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেজুলুম আরবি শব্দ। জুলুমের অর্থ ব্যাপক এবং অনেক বিস্তৃত। সাধারণত জুলুম অর্থ নির্যাতন, নিপীড়ন। শরিয়তের পরিভাষায় জুলুম বলা হয়—কোনো উপযুক্ত জিনিসকে উপযুক্ত স্থানে না রেখে অনুপযুক্ত স্থানে রাখা। যে জুলুম করে তাকে জালিম বলা হয়। মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে একজন অন্যজনের ওপর জুলুম করে।
১ দিন আগে