ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
ইসলামে ভ্রমণকে শুধু জায়েজই নয়, বরং জ্ঞানার্জন, মনোদৈহিক সুস্থতা এবং আল্লাহর সৃষ্টি পর্যবেক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
কোরআনে আল্লাহ তাআলা মানুষকে পৃথিবীতে ভ্রমণের নির্দেশ দিয়েছেন—‘পৃথিবীতে ভ্রমণ করো এবং দেখো, কীভাবে তিনি সৃষ্টি শুরু করেছেন; অতঃপর পুনরায় সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।’ (সুরা আনকাবুত: ২০)।
এ ছাড়া বলা হয়েছে, ‘পৃথিবীতে ভ্রমণ করো এবং দেখো যারা মিথ্যা প্রমাণ করেছে—তাদের পরিণতি কী হয়েছে; এটি মানুষের জন্য শিক্ষার একটি দৃষ্টান্ত।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৩৭–১৩৮)
ভ্রমণ মানসিক ও দৈহিক প্রশান্তি প্রদান করে এবং আল্লাহর সৃষ্টি ও প্রকৃতির বর্ণনা উপলব্ধিতে সহায়তা করে।
হজরত শেখ সাদি (রহ.) বলেছেন, ‘দুনিয়াতে সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী দুই প্রকারের—এক. চিন্তাশীল ব্যক্তি এবং দুই. দেশ সফরকারী ব্যক্তি।’
রাসুল (সা.)-এর ইসরা ও মিরাজ এবং পূর্ববর্তী নবী-রাসুলদের বিভিন্ন সফরও ভ্রমণের গুরুত্ব প্রদর্শন করে। এমনকি ইসলামি বিধান অনুসারে ভ্রমণে নামাজ সংক্ষেপ করার (কসর) অনুমতি দেওয়া হয়েছে—যা ভ্রমণকে আরও সহজ ও সুশৃঙ্খল করে।
ভ্রমণে করণীয়
ভ্রমণে বর্জনীয়
আমাদের প্রতিটি ভ্রমণ হতে পারে আল্লাহর সৃষ্টি পর্যবেক্ষণ ও ইমান মজবুত করার একটি সুযোগ। কোরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী ভ্রমণ মানসিক ও দৈহিক প্রশান্তি এনে জীবনের পরিপূর্ণতা আনতে পারে।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
ইসলামে ভ্রমণকে শুধু জায়েজই নয়, বরং জ্ঞানার্জন, মনোদৈহিক সুস্থতা এবং আল্লাহর সৃষ্টি পর্যবেক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
কোরআনে আল্লাহ তাআলা মানুষকে পৃথিবীতে ভ্রমণের নির্দেশ দিয়েছেন—‘পৃথিবীতে ভ্রমণ করো এবং দেখো, কীভাবে তিনি সৃষ্টি শুরু করেছেন; অতঃপর পুনরায় সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।’ (সুরা আনকাবুত: ২০)।
এ ছাড়া বলা হয়েছে, ‘পৃথিবীতে ভ্রমণ করো এবং দেখো যারা মিথ্যা প্রমাণ করেছে—তাদের পরিণতি কী হয়েছে; এটি মানুষের জন্য শিক্ষার একটি দৃষ্টান্ত।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৩৭–১৩৮)
ভ্রমণ মানসিক ও দৈহিক প্রশান্তি প্রদান করে এবং আল্লাহর সৃষ্টি ও প্রকৃতির বর্ণনা উপলব্ধিতে সহায়তা করে।
হজরত শেখ সাদি (রহ.) বলেছেন, ‘দুনিয়াতে সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী দুই প্রকারের—এক. চিন্তাশীল ব্যক্তি এবং দুই. দেশ সফরকারী ব্যক্তি।’
রাসুল (সা.)-এর ইসরা ও মিরাজ এবং পূর্ববর্তী নবী-রাসুলদের বিভিন্ন সফরও ভ্রমণের গুরুত্ব প্রদর্শন করে। এমনকি ইসলামি বিধান অনুসারে ভ্রমণে নামাজ সংক্ষেপ করার (কসর) অনুমতি দেওয়া হয়েছে—যা ভ্রমণকে আরও সহজ ও সুশৃঙ্খল করে।
ভ্রমণে করণীয়
ভ্রমণে বর্জনীয়
আমাদের প্রতিটি ভ্রমণ হতে পারে আল্লাহর সৃষ্টি পর্যবেক্ষণ ও ইমান মজবুত করার একটি সুযোগ। কোরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী ভ্রমণ মানসিক ও দৈহিক প্রশান্তি এনে জীবনের পরিপূর্ণতা আনতে পারে।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
ইসলামে ভ্রমণকে শুধু জায়েজই নয়, বরং জ্ঞানার্জন, মনোদৈহিক সুস্থতা এবং আল্লাহর সৃষ্টি পর্যবেক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
কোরআনে আল্লাহ তাআলা মানুষকে পৃথিবীতে ভ্রমণের নির্দেশ দিয়েছেন—‘পৃথিবীতে ভ্রমণ করো এবং দেখো, কীভাবে তিনি সৃষ্টি শুরু করেছেন; অতঃপর পুনরায় সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।’ (সুরা আনকাবুত: ২০)।
এ ছাড়া বলা হয়েছে, ‘পৃথিবীতে ভ্রমণ করো এবং দেখো যারা মিথ্যা প্রমাণ করেছে—তাদের পরিণতি কী হয়েছে; এটি মানুষের জন্য শিক্ষার একটি দৃষ্টান্ত।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৩৭–১৩৮)
ভ্রমণ মানসিক ও দৈহিক প্রশান্তি প্রদান করে এবং আল্লাহর সৃষ্টি ও প্রকৃতির বর্ণনা উপলব্ধিতে সহায়তা করে।
হজরত শেখ সাদি (রহ.) বলেছেন, ‘দুনিয়াতে সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী দুই প্রকারের—এক. চিন্তাশীল ব্যক্তি এবং দুই. দেশ সফরকারী ব্যক্তি।’
রাসুল (সা.)-এর ইসরা ও মিরাজ এবং পূর্ববর্তী নবী-রাসুলদের বিভিন্ন সফরও ভ্রমণের গুরুত্ব প্রদর্শন করে। এমনকি ইসলামি বিধান অনুসারে ভ্রমণে নামাজ সংক্ষেপ করার (কসর) অনুমতি দেওয়া হয়েছে—যা ভ্রমণকে আরও সহজ ও সুশৃঙ্খল করে।
ভ্রমণে করণীয়
ভ্রমণে বর্জনীয়
আমাদের প্রতিটি ভ্রমণ হতে পারে আল্লাহর সৃষ্টি পর্যবেক্ষণ ও ইমান মজবুত করার একটি সুযোগ। কোরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী ভ্রমণ মানসিক ও দৈহিক প্রশান্তি এনে জীবনের পরিপূর্ণতা আনতে পারে।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
ইসলামে ভ্রমণকে শুধু জায়েজই নয়, বরং জ্ঞানার্জন, মনোদৈহিক সুস্থতা এবং আল্লাহর সৃষ্টি পর্যবেক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
কোরআনে আল্লাহ তাআলা মানুষকে পৃথিবীতে ভ্রমণের নির্দেশ দিয়েছেন—‘পৃথিবীতে ভ্রমণ করো এবং দেখো, কীভাবে তিনি সৃষ্টি শুরু করেছেন; অতঃপর পুনরায় সৃষ্টি করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।’ (সুরা আনকাবুত: ২০)।
এ ছাড়া বলা হয়েছে, ‘পৃথিবীতে ভ্রমণ করো এবং দেখো যারা মিথ্যা প্রমাণ করেছে—তাদের পরিণতি কী হয়েছে; এটি মানুষের জন্য শিক্ষার একটি দৃষ্টান্ত।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৩৭–১৩৮)
ভ্রমণ মানসিক ও দৈহিক প্রশান্তি প্রদান করে এবং আল্লাহর সৃষ্টি ও প্রকৃতির বর্ণনা উপলব্ধিতে সহায়তা করে।
হজরত শেখ সাদি (রহ.) বলেছেন, ‘দুনিয়াতে সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী দুই প্রকারের—এক. চিন্তাশীল ব্যক্তি এবং দুই. দেশ সফরকারী ব্যক্তি।’
রাসুল (সা.)-এর ইসরা ও মিরাজ এবং পূর্ববর্তী নবী-রাসুলদের বিভিন্ন সফরও ভ্রমণের গুরুত্ব প্রদর্শন করে। এমনকি ইসলামি বিধান অনুসারে ভ্রমণে নামাজ সংক্ষেপ করার (কসর) অনুমতি দেওয়া হয়েছে—যা ভ্রমণকে আরও সহজ ও সুশৃঙ্খল করে।
ভ্রমণে করণীয়
ভ্রমণে বর্জনীয়
আমাদের প্রতিটি ভ্রমণ হতে পারে আল্লাহর সৃষ্টি পর্যবেক্ষণ ও ইমান মজবুত করার একটি সুযোগ। কোরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী ভ্রমণ মানসিক ও দৈহিক প্রশান্তি এনে জীবনের পরিপূর্ণতা আনতে পারে।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
পবিত্র কোরআনে নতুন যে পৃথিবীর সুসংবাদ এসেছে, তার উত্তরাধিকারী এবং অধিবাসী কারা হবে? কালের সেই অধ্যায়ে পৃথিবীর অধিবাসী হবে তারা, যারা এই পৃথিবীতে ইমান আনে এবং আমলে সালেহ করে। অর্থাৎ আল্লাহকে ইলাহ হিসেবে মেনে নেয় এবং তাঁর প্রদত্ত জীবন পদ্ধতির অনুসরণ করে।
৯ ঘণ্টা আগেইসলামে পরিচ্ছন্নতা শুধু বাহ্যিক পরিধি বা স্বাস্থ্যবিধি নয়, বরং এটি ইমানের অপরিহার্য অংশ। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ঘোষণা করেছেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অর্ধেক।’ (সহিহ্ মুসলিম)। এটি প্রমাণ করে যে একজন মুমিনের জীবনে পবিত্রতার গুরুত্ব কতখানি।
১৬ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেমানবজীবনের এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ হলো ব্যবসা-বাণিজ্য। ইসলাম এই অর্থনৈতিক খাতকে শুধু জীবিকার মাধ্যম হিসেবে নয়, বরং ইবাদতের অংশ হিসেবে গণ্য করেছে। তবে এ জন্য প্রয়োজন ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও আল্লাহভীতি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না; তবে পারস্পরিক...
১ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম
একদিন এ পৃথিবী পরিবর্তন হয়ে সূচনা হবে নতুন পৃথিবীর। মহাবিশ্বের ধ্বংসের পর পৃথিবী নতুন রূপ লাভ করবে। শুরু হবে নতুন কালের হিসাব।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যে দিন এ পৃথিবীকে অন্য এক পৃথিবীতে বদলে দেওয়া হবে এবং আকাশমণ্ডলীকেও। সেদিন সকলেই এক পরাক্রমশালী আল্লাহর সামনে উপস্থিত হবে।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪৮)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘সেই দিনকে স্মরণ করো, যখন আকাশমণ্ডলীকে গুটিয়ে নেব, লিখিত দস্তাবেজের মতো। পুনরায় আমি তা সৃষ্টি করব, যেভাবে সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম। এটা আমার প্রতিশ্রুতি, আমি তা অবশ্যই পূরণ করব।’ (সুরা আম্বিয়া: ১০৪)
আয়াত দুটি থেকে জানা গেল, কিয়ামতের ধ্বংসের পর এ পৃথিবীকে আবার নতুন করে সৃষ্টি করা হবে। অতঃপর সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে হাশর, আদালত ও বিচার।
পবিত্র কোরআনে নতুন যে পৃথিবীর সুসংবাদ এসেছে, তার উত্তরাধিকারী এবং অধিবাসী কারা হবে? কালের সেই অধ্যায়ে পৃথিবীর অধিবাসী হবে তারা, যারা এই পৃথিবীতে ইমান আনে এবং আমলে সালেহ করে। অর্থাৎ আল্লাহকে ইলাহ হিসেবে মেনে নেয় এবং তাঁর প্রদত্ত জীবন পদ্ধতির অনুসরণ করে।
কোরআনের ভাষায়, ‘আমি জাবুর কিতাবে উপদেশ বাণীর পর লিখে দিয়েছিলাম—পৃথিবীর উত্তরাধিকারী হবে আমার নেক বান্দাগণ।’ (সুরা আম্বিয়া: ১০৫)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘তারা (জান্নাতে প্রবেশ করে) বলবে, সমস্ত শোকর আল্লাহর, যিনি আমাদের সঙ্গে কৃত ওয়াদা সত্যে পরিণত করেছেন এবং আমাদের এই পৃথিবীর এমন অধিকারী বানিয়েছেন যে আমরা যেখানে ইচ্ছা বসবাস করতে পারি। সুতরাং, সৎকর্মশীলদের পুরস্কার কত-না উত্তম!’ (সুরা জুমার: ৭৪)
তাফসিরবিদদের মতে, এখানে (পৃথিবী) বলে জান্নাত বোঝানো হয়েছে। ইবনে জারির ইবনে আব্বাস থেকে এমনই বর্ণনা করেছেন। মুজাহিদ, ইবনে জুবায়ের, ইকরিমা, সুদ্দি, আবুল আলিয়া থেকেও এই তাফসির বর্ণিত আছে।
নতুন পৃথিবীর অধিবাসী হবেন তাঁরা, যাঁরা আল্লাহর নির্দেশিত সঠিক পথে চলবেন। পবিত্র কোরআনে তাঁদের কতিপয় বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে।
পবিত্র কোরআন এসেছে, ‘তোমার প্রভুর পক্ষ থেকে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে, সেটাকে যে ব্যক্তি সত্য বলে জানে, সে তার মতো নয়, যে এ মহা সত্য সম্পর্কে অন্ধ। উপদেশ বিবেকবান লোকেরাই গ্রহণ করে। যারা আল্লাহকে প্রদত্ত অঙ্গীকার রক্ষা করে এবং চুক্তির বিপরীত কাজ করে না। আল্লাহ যেসব সম্পর্ক অটুট রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন, সেগুলো যারা অক্ষুণ্ন রাখে, যারা তাদের প্রভুকে ভয় করে এবং ভীত থাকে আখিরাতের ভয়াবহ হিসাবের ব্যাপারে। আর তারা তাদের প্রভুর সন্তুষ্টি লাভের লক্ষ্যে ধৈর্য ধারণ করে এবং একাগ্রতার সঙ্গে সালাত আদায় করে, আমার দেওয়া রিজিক থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে দান করে এবং ভালো দ্বারা মন্দকে প্রতিহত করে, তাদের জন্যই রয়েছে শুভ পরিণাম তথা চিরস্থায়ী জান্নাত। সেখানে তারা প্রবেশ করবে।’ (সুরা রাদ: ১৯-২৩)
আয়াতসমূহে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে, ওই পৃথিবীর উত্তরাধিকারীদের বৈশিষ্ট্য হবে নিম্নরূপ:
সার কথা হলো, জান্নাতই হবে সেই পৃথিবী। আর এর ওয়ারিশ (উত্তরাধিকারী) হবেন ইমান এবং আমলে সালেহকারী বান্দাগণ।
বাম দলের মানুষ এই পৃথিবীতে বসবাসের সুযোগ পাবেন না। তাঁরা বঞ্চিত হবে তা থেকে এবং নিক্ষিপ্ত হবে চিরস্থায়ী জাহান্নামে।
লেখক: প্রাবন্ধিক ও মাদ্রাসাশিক্ষক
একদিন এ পৃথিবী পরিবর্তন হয়ে সূচনা হবে নতুন পৃথিবীর। মহাবিশ্বের ধ্বংসের পর পৃথিবী নতুন রূপ লাভ করবে। শুরু হবে নতুন কালের হিসাব।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যে দিন এ পৃথিবীকে অন্য এক পৃথিবীতে বদলে দেওয়া হবে এবং আকাশমণ্ডলীকেও। সেদিন সকলেই এক পরাক্রমশালী আল্লাহর সামনে উপস্থিত হবে।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪৮)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘সেই দিনকে স্মরণ করো, যখন আকাশমণ্ডলীকে গুটিয়ে নেব, লিখিত দস্তাবেজের মতো। পুনরায় আমি তা সৃষ্টি করব, যেভাবে সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম। এটা আমার প্রতিশ্রুতি, আমি তা অবশ্যই পূরণ করব।’ (সুরা আম্বিয়া: ১০৪)
আয়াত দুটি থেকে জানা গেল, কিয়ামতের ধ্বংসের পর এ পৃথিবীকে আবার নতুন করে সৃষ্টি করা হবে। অতঃপর সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে হাশর, আদালত ও বিচার।
পবিত্র কোরআনে নতুন যে পৃথিবীর সুসংবাদ এসেছে, তার উত্তরাধিকারী এবং অধিবাসী কারা হবে? কালের সেই অধ্যায়ে পৃথিবীর অধিবাসী হবে তারা, যারা এই পৃথিবীতে ইমান আনে এবং আমলে সালেহ করে। অর্থাৎ আল্লাহকে ইলাহ হিসেবে মেনে নেয় এবং তাঁর প্রদত্ত জীবন পদ্ধতির অনুসরণ করে।
কোরআনের ভাষায়, ‘আমি জাবুর কিতাবে উপদেশ বাণীর পর লিখে দিয়েছিলাম—পৃথিবীর উত্তরাধিকারী হবে আমার নেক বান্দাগণ।’ (সুরা আম্বিয়া: ১০৫)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘তারা (জান্নাতে প্রবেশ করে) বলবে, সমস্ত শোকর আল্লাহর, যিনি আমাদের সঙ্গে কৃত ওয়াদা সত্যে পরিণত করেছেন এবং আমাদের এই পৃথিবীর এমন অধিকারী বানিয়েছেন যে আমরা যেখানে ইচ্ছা বসবাস করতে পারি। সুতরাং, সৎকর্মশীলদের পুরস্কার কত-না উত্তম!’ (সুরা জুমার: ৭৪)
তাফসিরবিদদের মতে, এখানে (পৃথিবী) বলে জান্নাত বোঝানো হয়েছে। ইবনে জারির ইবনে আব্বাস থেকে এমনই বর্ণনা করেছেন। মুজাহিদ, ইবনে জুবায়ের, ইকরিমা, সুদ্দি, আবুল আলিয়া থেকেও এই তাফসির বর্ণিত আছে।
নতুন পৃথিবীর অধিবাসী হবেন তাঁরা, যাঁরা আল্লাহর নির্দেশিত সঠিক পথে চলবেন। পবিত্র কোরআনে তাঁদের কতিপয় বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে।
পবিত্র কোরআন এসেছে, ‘তোমার প্রভুর পক্ষ থেকে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে, সেটাকে যে ব্যক্তি সত্য বলে জানে, সে তার মতো নয়, যে এ মহা সত্য সম্পর্কে অন্ধ। উপদেশ বিবেকবান লোকেরাই গ্রহণ করে। যারা আল্লাহকে প্রদত্ত অঙ্গীকার রক্ষা করে এবং চুক্তির বিপরীত কাজ করে না। আল্লাহ যেসব সম্পর্ক অটুট রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন, সেগুলো যারা অক্ষুণ্ন রাখে, যারা তাদের প্রভুকে ভয় করে এবং ভীত থাকে আখিরাতের ভয়াবহ হিসাবের ব্যাপারে। আর তারা তাদের প্রভুর সন্তুষ্টি লাভের লক্ষ্যে ধৈর্য ধারণ করে এবং একাগ্রতার সঙ্গে সালাত আদায় করে, আমার দেওয়া রিজিক থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে দান করে এবং ভালো দ্বারা মন্দকে প্রতিহত করে, তাদের জন্যই রয়েছে শুভ পরিণাম তথা চিরস্থায়ী জান্নাত। সেখানে তারা প্রবেশ করবে।’ (সুরা রাদ: ১৯-২৩)
আয়াতসমূহে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে, ওই পৃথিবীর উত্তরাধিকারীদের বৈশিষ্ট্য হবে নিম্নরূপ:
সার কথা হলো, জান্নাতই হবে সেই পৃথিবী। আর এর ওয়ারিশ (উত্তরাধিকারী) হবেন ইমান এবং আমলে সালেহকারী বান্দাগণ।
বাম দলের মানুষ এই পৃথিবীতে বসবাসের সুযোগ পাবেন না। তাঁরা বঞ্চিত হবে তা থেকে এবং নিক্ষিপ্ত হবে চিরস্থায়ী জাহান্নামে।
লেখক: প্রাবন্ধিক ও মাদ্রাসাশিক্ষক
রাসুল (সা.)-এর ইসরা ও মিরাজ এবং পূর্ববর্তী নবী-রাসুলদের বিভিন্ন সফরও ভ্রমণের গুরুত্ব প্রদর্শন করে। এমনকি ইসলামি বিধান অনুসারে ভ্রমণে নামাজ সংক্ষেপ করার (কসর) অনুমতি দেওয়া হয়েছে—যা ভ্রমণকে আরও সহজ ও সুশৃঙ্খল করে।
৭ ঘণ্টা আগেইসলামে পরিচ্ছন্নতা শুধু বাহ্যিক পরিধি বা স্বাস্থ্যবিধি নয়, বরং এটি ইমানের অপরিহার্য অংশ। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ঘোষণা করেছেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অর্ধেক।’ (সহিহ্ মুসলিম)। এটি প্রমাণ করে যে একজন মুমিনের জীবনে পবিত্রতার গুরুত্ব কতখানি।
১৬ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেমানবজীবনের এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ হলো ব্যবসা-বাণিজ্য। ইসলাম এই অর্থনৈতিক খাতকে শুধু জীবিকার মাধ্যম হিসেবে নয়, বরং ইবাদতের অংশ হিসেবে গণ্য করেছে। তবে এ জন্য প্রয়োজন ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও আল্লাহভীতি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না; তবে পারস্পরিক...
১ দিন আগেশাব্বির আহমদ
ইসলামে পরিচ্ছন্নতা শুধু বাহ্যিক পরিধি বা স্বাস্থ্যবিধি নয়, বরং এটি ইমানের অপরিহার্য অংশ। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ঘোষণা করেছেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অর্ধেক।’ (সহিহ্ মুসলিম)। এটি প্রমাণ করে যে একজন মুমিনের জীবনে পবিত্রতার গুরুত্ব কতখানি।
ইসলামে পরিচ্ছন্নতাকে দুই ভাগ করা যায়; একটি হলো ‘তাহারাত’ বা পবিত্রতা, যা মলমূত্রের মতো নাপাক জিনিস থেকে মুক্ত হওয়া; অন্যটি হলো সাধারণ পরিচ্ছন্নতা, যেমন ঘরবাড়ি ঝাড়ু দেওয়া, কাপড় ধোয়া বা গোসল করা। পবিত্রতা এতই গুরুত্বপূর্ণ যে নামাজ শুদ্ধ হওয়ার এটি পূর্বশর্ত। নামাজ যেমন জান্নাতের চাবি, তেমনি পবিত্রতা হলো নামাজের চাবি।
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্রতা অর্জনকারীদের বিশেষভাবে ভালোবাসেন। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন এবং ভালোবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদের।’ (সুরা বাকারা: ২২২)। অন্য আয়াতে আল্লাহ কুবা এলাকার লোকজনের প্রশংসা করে বলেন, ‘সেখানে এমন লোক আছে, যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা তওবা: ১০৮)
ইসলামে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় নখ কাটা, গোঁফ ছোট করা, বগলের নিচের ও গোপনাঙ্গের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করাসহ দশটি বিষয়কে ‘ফিতরাত’ বা সহজাত স্বভাবের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দাঁত ও মুখের যত্নে মিসওয়াককে গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। চুলের পরিচ্ছন্নতা এবং পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধানের গুরুত্বও হাদিসে এসেছে।
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি ঘরবাড়ি ও পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা রক্ষায়ও জোর দেওয়া হয়েছে। হাদিসে ঘর ও উঠোন পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্রতাকে পছন্দ করেন। আল্লাহ পরিচ্ছন্ন, তিনি পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করেন।’ (জামে তিরমিজি)। একই সঙ্গে মানুষকে কষ্ট দেয় এমন কাজ; যেমন মানুষের চলাচলের রাস্তায় বা গাছের ছায়ায় মলমূত্র ত্যাগে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
এভাবে ইসলামে পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার শিক্ষা ব্যক্তি, গৃহ ও পরিবেশকে আচ্ছাদিত করে এক অনন্য জীবনবিধান প্রতিষ্ঠা করেছে; যা সুস্থতা, রুচিবোধ এবং ইমানের পূর্ণতার পরিচায়ক।
ইসলামে পরিচ্ছন্নতা শুধু বাহ্যিক পরিধি বা স্বাস্থ্যবিধি নয়, বরং এটি ইমানের অপরিহার্য অংশ। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ঘোষণা করেছেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অর্ধেক।’ (সহিহ্ মুসলিম)। এটি প্রমাণ করে যে একজন মুমিনের জীবনে পবিত্রতার গুরুত্ব কতখানি।
ইসলামে পরিচ্ছন্নতাকে দুই ভাগ করা যায়; একটি হলো ‘তাহারাত’ বা পবিত্রতা, যা মলমূত্রের মতো নাপাক জিনিস থেকে মুক্ত হওয়া; অন্যটি হলো সাধারণ পরিচ্ছন্নতা, যেমন ঘরবাড়ি ঝাড়ু দেওয়া, কাপড় ধোয়া বা গোসল করা। পবিত্রতা এতই গুরুত্বপূর্ণ যে নামাজ শুদ্ধ হওয়ার এটি পূর্বশর্ত। নামাজ যেমন জান্নাতের চাবি, তেমনি পবিত্রতা হলো নামাজের চাবি।
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্রতা অর্জনকারীদের বিশেষভাবে ভালোবাসেন। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন এবং ভালোবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদের।’ (সুরা বাকারা: ২২২)। অন্য আয়াতে আল্লাহ কুবা এলাকার লোকজনের প্রশংসা করে বলেন, ‘সেখানে এমন লোক আছে, যারা উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করতে ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা তওবা: ১০৮)
ইসলামে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় নখ কাটা, গোঁফ ছোট করা, বগলের নিচের ও গোপনাঙ্গের অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করাসহ দশটি বিষয়কে ‘ফিতরাত’ বা সহজাত স্বভাবের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দাঁত ও মুখের যত্নে মিসওয়াককে গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। চুলের পরিচ্ছন্নতা এবং পরিচ্ছন্ন কাপড় পরিধানের গুরুত্বও হাদিসে এসেছে।
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি ঘরবাড়ি ও পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা রক্ষায়ও জোর দেওয়া হয়েছে। হাদিসে ঘর ও উঠোন পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্রতাকে পছন্দ করেন। আল্লাহ পরিচ্ছন্ন, তিনি পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করেন।’ (জামে তিরমিজি)। একই সঙ্গে মানুষকে কষ্ট দেয় এমন কাজ; যেমন মানুষের চলাচলের রাস্তায় বা গাছের ছায়ায় মলমূত্র ত্যাগে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
এভাবে ইসলামে পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার শিক্ষা ব্যক্তি, গৃহ ও পরিবেশকে আচ্ছাদিত করে এক অনন্য জীবনবিধান প্রতিষ্ঠা করেছে; যা সুস্থতা, রুচিবোধ এবং ইমানের পূর্ণতার পরিচায়ক।
রাসুল (সা.)-এর ইসরা ও মিরাজ এবং পূর্ববর্তী নবী-রাসুলদের বিভিন্ন সফরও ভ্রমণের গুরুত্ব প্রদর্শন করে। এমনকি ইসলামি বিধান অনুসারে ভ্রমণে নামাজ সংক্ষেপ করার (কসর) অনুমতি দেওয়া হয়েছে—যা ভ্রমণকে আরও সহজ ও সুশৃঙ্খল করে।
৭ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনে নতুন যে পৃথিবীর সুসংবাদ এসেছে, তার উত্তরাধিকারী এবং অধিবাসী কারা হবে? কালের সেই অধ্যায়ে পৃথিবীর অধিবাসী হবে তারা, যারা এই পৃথিবীতে ইমান আনে এবং আমলে সালেহ করে। অর্থাৎ আল্লাহকে ইলাহ হিসেবে মেনে নেয় এবং তাঁর প্রদত্ত জীবন পদ্ধতির অনুসরণ করে।
৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেমানবজীবনের এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ হলো ব্যবসা-বাণিজ্য। ইসলাম এই অর্থনৈতিক খাতকে শুধু জীবিকার মাধ্যম হিসেবে নয়, বরং ইবাদতের অংশ হিসেবে গণ্য করেছে। তবে এ জন্য প্রয়োজন ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও আল্লাহভীতি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না; তবে পারস্পরিক...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বাংলা, ২২ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৩৯ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪০ মিনিট | ০৫: ৫৫ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৫ মিনিট | ০৩: ৫৪ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫৫ মিনিট | ০৫: ৩১ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ৩৩ মিনিট | ০৬: ৪৭ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪৮ মিনিট | ০৪: ৩৯ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বাংলা, ২২ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৩৯ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪০ মিনিট | ০৫: ৫৫ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৫ মিনিট | ০৩: ৫৪ মিনিট |
আসর | ০৩: ৫৫ মিনিট | ০৫: ৩১ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ৩৩ মিনিট | ০৬: ৪৭ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪৮ মিনিট | ০৪: ৩৯ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
রাসুল (সা.)-এর ইসরা ও মিরাজ এবং পূর্ববর্তী নবী-রাসুলদের বিভিন্ন সফরও ভ্রমণের গুরুত্ব প্রদর্শন করে। এমনকি ইসলামি বিধান অনুসারে ভ্রমণে নামাজ সংক্ষেপ করার (কসর) অনুমতি দেওয়া হয়েছে—যা ভ্রমণকে আরও সহজ ও সুশৃঙ্খল করে।
৭ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনে নতুন যে পৃথিবীর সুসংবাদ এসেছে, তার উত্তরাধিকারী এবং অধিবাসী কারা হবে? কালের সেই অধ্যায়ে পৃথিবীর অধিবাসী হবে তারা, যারা এই পৃথিবীতে ইমান আনে এবং আমলে সালেহ করে। অর্থাৎ আল্লাহকে ইলাহ হিসেবে মেনে নেয় এবং তাঁর প্রদত্ত জীবন পদ্ধতির অনুসরণ করে।
৯ ঘণ্টা আগেইসলামে পরিচ্ছন্নতা শুধু বাহ্যিক পরিধি বা স্বাস্থ্যবিধি নয়, বরং এটি ইমানের অপরিহার্য অংশ। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ঘোষণা করেছেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অর্ধেক।’ (সহিহ্ মুসলিম)। এটি প্রমাণ করে যে একজন মুমিনের জীবনে পবিত্রতার গুরুত্ব কতখানি।
১৬ ঘণ্টা আগেমানবজীবনের এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ হলো ব্যবসা-বাণিজ্য। ইসলাম এই অর্থনৈতিক খাতকে শুধু জীবিকার মাধ্যম হিসেবে নয়, বরং ইবাদতের অংশ হিসেবে গণ্য করেছে। তবে এ জন্য প্রয়োজন ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও আল্লাহভীতি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না; তবে পারস্পরিক...
১ দিন আগেমুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
মানবজীবনের এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ হলো ব্যবসা-বাণিজ্য। ইসলাম এই অর্থনৈতিক খাতকে শুধু জীবিকার মাধ্যম হিসেবে নয়, বরং ইবাদতের অংশ হিসেবে গণ্য করেছে। তবে এ জন্য প্রয়োজন ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও আল্লাহভীতি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না; তবে পারস্পরিক সম্মতিতে ব্যবসার মাধ্যমে হলে তা বৈধ।’ (সুরা নিসা: ২৯)
এই আয়াত প্রমাণ করে, ব্যবসা হালাল উপার্জনের মাধ্যম হলেও এতে যদি প্রতারণা, জুলুম বা হারাম উপাদান যুক্ত হয়, তবে তা আল্লাহর কাছে গৃহীত হয় না।
ব্যবসায়িক নৈতিকতা ও নৈতিক দায়িত্ব
ব্যবসায় ইসলামের মূল শিক্ষা হলো সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও আল্লাহভীতি। ব্যবসা মানুষের জীবিকার প্রধান মাধ্যম হলেও এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে নৈতিক দায়িত্ব। তাই ইসলাম ব্যবসায় এমন সব আচরণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে, যা মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন করে বা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
প্রতারণা, ধোঁকাবাজি, জালিয়াতি, মুনাফাখোরী, মাপে কম দেওয়া কিংবা নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রি—এসব কার্যকলাপ ইসলামে সম্পূর্ণভাবে হারাম। আল্লাহ কোরআনে বলেন, ‘যারা মাপে কম দেয়, তাদের জন্য ধ্বংস।’ (সুরা মুতাফফিফিন: ১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) সততার গুরুত্ব সম্পর্কে জোর দিয়ে বলেছেন, ‘সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত ব্যবসায়ী নবী, সিদ্দিক ও শহীদদের সঙ্গে থাকবে।’ (জামে তিরমিজি: ১২০৯)
এই হাদিস প্রমাণ করে যে, ব্যবসায় সততা শুধু দুনিয়ার সফলতার নিশ্চয়তা নয়, বরং আখিরাতেও উচ্চ মর্যাদা লাভের মাধ্যম। একজন মুসলিম ব্যবসায়ীর কর্তব্য হলো, তাঁর লেনদেনকে স্বচ্ছ ও ন্যায়নিষ্ঠ করা, যাতে সমাজে আস্থা, শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ব্যবসা-বাণিজ্য শুধু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়, বরং তা আখিরাতের সফলতার মাধ্যমও হতে পারে, যদি ইসলামি নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। প্রতিটি মুসলিমের কর্তব্য হলো ব্যবসায়ে জুলুম, প্রতারণা ও হারাম থেকে দূরে থাকা এবং আল্লাহর বিধান মেনে চলা। ইসলামি নীতিভিত্তিক বাণিজ্য সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতেও ভারসাম্য আনতে সক্ষম। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ব্যবসা-বাণিজ্যে ইসলামি নীতিমালা অনুসরণের তৌফিক দান করুন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
মানবজীবনের এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ হলো ব্যবসা-বাণিজ্য। ইসলাম এই অর্থনৈতিক খাতকে শুধু জীবিকার মাধ্যম হিসেবে নয়, বরং ইবাদতের অংশ হিসেবে গণ্য করেছে। তবে এ জন্য প্রয়োজন ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও আল্লাহভীতি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না; তবে পারস্পরিক সম্মতিতে ব্যবসার মাধ্যমে হলে তা বৈধ।’ (সুরা নিসা: ২৯)
এই আয়াত প্রমাণ করে, ব্যবসা হালাল উপার্জনের মাধ্যম হলেও এতে যদি প্রতারণা, জুলুম বা হারাম উপাদান যুক্ত হয়, তবে তা আল্লাহর কাছে গৃহীত হয় না।
ব্যবসায়িক নৈতিকতা ও নৈতিক দায়িত্ব
ব্যবসায় ইসলামের মূল শিক্ষা হলো সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও আল্লাহভীতি। ব্যবসা মানুষের জীবিকার প্রধান মাধ্যম হলেও এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে নৈতিক দায়িত্ব। তাই ইসলাম ব্যবসায় এমন সব আচরণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে, যা মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন করে বা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
প্রতারণা, ধোঁকাবাজি, জালিয়াতি, মুনাফাখোরী, মাপে কম দেওয়া কিংবা নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রি—এসব কার্যকলাপ ইসলামে সম্পূর্ণভাবে হারাম। আল্লাহ কোরআনে বলেন, ‘যারা মাপে কম দেয়, তাদের জন্য ধ্বংস।’ (সুরা মুতাফফিফিন: ১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) সততার গুরুত্ব সম্পর্কে জোর দিয়ে বলেছেন, ‘সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত ব্যবসায়ী নবী, সিদ্দিক ও শহীদদের সঙ্গে থাকবে।’ (জামে তিরমিজি: ১২০৯)
এই হাদিস প্রমাণ করে যে, ব্যবসায় সততা শুধু দুনিয়ার সফলতার নিশ্চয়তা নয়, বরং আখিরাতেও উচ্চ মর্যাদা লাভের মাধ্যম। একজন মুসলিম ব্যবসায়ীর কর্তব্য হলো, তাঁর লেনদেনকে স্বচ্ছ ও ন্যায়নিষ্ঠ করা, যাতে সমাজে আস্থা, শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ব্যবসা-বাণিজ্য শুধু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়, বরং তা আখিরাতের সফলতার মাধ্যমও হতে পারে, যদি ইসলামি নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। প্রতিটি মুসলিমের কর্তব্য হলো ব্যবসায়ে জুলুম, প্রতারণা ও হারাম থেকে দূরে থাকা এবং আল্লাহর বিধান মেনে চলা। ইসলামি নীতিভিত্তিক বাণিজ্য সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতেও ভারসাম্য আনতে সক্ষম। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ব্যবসা-বাণিজ্যে ইসলামি নীতিমালা অনুসরণের তৌফিক দান করুন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
রাসুল (সা.)-এর ইসরা ও মিরাজ এবং পূর্ববর্তী নবী-রাসুলদের বিভিন্ন সফরও ভ্রমণের গুরুত্ব প্রদর্শন করে। এমনকি ইসলামি বিধান অনুসারে ভ্রমণে নামাজ সংক্ষেপ করার (কসর) অনুমতি দেওয়া হয়েছে—যা ভ্রমণকে আরও সহজ ও সুশৃঙ্খল করে।
৭ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনে নতুন যে পৃথিবীর সুসংবাদ এসেছে, তার উত্তরাধিকারী এবং অধিবাসী কারা হবে? কালের সেই অধ্যায়ে পৃথিবীর অধিবাসী হবে তারা, যারা এই পৃথিবীতে ইমান আনে এবং আমলে সালেহ করে। অর্থাৎ আল্লাহকে ইলাহ হিসেবে মেনে নেয় এবং তাঁর প্রদত্ত জীবন পদ্ধতির অনুসরণ করে।
৯ ঘণ্টা আগেইসলামে পরিচ্ছন্নতা শুধু বাহ্যিক পরিধি বা স্বাস্থ্যবিধি নয়, বরং এটি ইমানের অপরিহার্য অংশ। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ঘোষণা করেছেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অর্ধেক।’ (সহিহ্ মুসলিম)। এটি প্রমাণ করে যে একজন মুমিনের জীবনে পবিত্রতার গুরুত্ব কতখানি।
১৬ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে