আমজাদ ইউনুস
ঈসা (আ.) ছিলেন বনি ইসরাইলের সর্বশেষ নবী এবং আসমানি কিতাবধারী রাসুল। পবিত্র কোরআনে হজরত ঈসা (আ.)-এর নাম বিভিন্ন প্রসঙ্গে ২৫ বার উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ফিলিস্তিনের আরব অধ্যুষিত জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরের বায়তুল লাহামে জন্মগ্রহণ করেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে তাঁর মা হজরত মারইয়াম (আ.)-এর গর্ভে পিতা ছাড়াই সৃষ্টি করেছেন, যা আল্লাহর অসীম কুদরতের এক মহিমান্বিত নিদর্শন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই, আল্লাহর কাছে ঈসা (আ.)-এর দৃষ্টান্ত আদম (আ.)-এর দৃষ্টান্তের মত। তিনি তাঁকে মৃত্তিকা থেকে সৃষ্টি করেছিলেন, এরপর বললেন—হও, ফলে সে হয়ে গেল।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৫৯)
আল্লাহ তায়ালা ঈসা (আ.)-কে অনেক মোজেজা বা অলৌকিক ঘটনার নিদর্শন বানান। তাঁর জন্মের সময় আল্লাহ তাআলা তাঁকে ও তাঁর মহীয়সী মাকে জিবরাইল (আ.)-এর মাধ্যমে সাহায্য করেছিলেন।
ঈসা (আ.) জন্মগ্রহণের পর মায়ের কোলে কথা বলেছিলেন। তাঁকে জ্ঞান, প্রজ্ঞা এবং ঐশীগ্রন্থ তাওরাত ও ইঞ্জিল শিক্ষা দিয়েছেন। মহান আল্লাহর নির্দেশে এবং তাঁর বিশেষ অনুগ্রহে তিনি কাদামাটি দিয়ে পাখির প্রতিকৃতি তৈরি করে ফুঁ দিলে তা জীবন্ত পাখি হয়ে যেত। তিনি আল্লাহর অনুগ্রহে জন্মান্ধ ও কুষ্ঠরোগীকে নিরাময় করে দিতেন। মৃতকে জীবিত করতে পারতেন।
একবার রাসুল (সা.) সাহাবিদের নবি ঈসা (আ.)-এর একটি ঘটনা বলেছিলেন। এই ঘটনায় আল্লাহর প্রতি ঈসা (আ.)-এর গভীর বিশ্বাস, তাঁর শপথের গুরুত্ব এবং মানবিক সততা সম্পর্কে গভীর ধারণা দেন। পাশাপাশি ন্যায়বিচার, ধৈর্য, বিশ্বাস ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কতার শিক্ষা দেয়। নিচে হাদিসের আলোকে ঘটনাটি তুলে ধরা হলো।
আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘ঈসা (আ.) এক লোককে চুরি করতে দেখলেন। তখন তিনি বললেন, ‘তুমি কি চুরি করেছ?’ সে বলল, ‘কখনোই না। সেই সত্তার কসম, যিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই।’ তখন ঈসা (আ.) বললেন, ‘আমি আল্লাহর ওপর ইমান এনেছি আর আমি আমার দুচোখকে অবিশ্বাস করলাম।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৪৪৪)
হাদিস থেকে শিক্ষা
আল্লাহর শপথের গুরুত্ব: এ ঘটনা থেকে আল্লাহর নামে শপথ করার গুরুত্ব ফুটে ওঠে। আল্লাহর নামে শপথের সত্যতা এবং এর প্রতি শ্রদ্ধা একজন ইমানদারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আল্লাহর প্রতি গভীর বিশ্বাস: আল্লাহর প্রতি অবিচল বিশ্বাস থাকতে হবে। ঈসা (আ.) চোখের দেখা মিথ্যা মনে করেছিলেন, কিন্তু আল্লাহর প্রতি শপথকে তিনি সত্য বলেছিলেন, কারণ তিনি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসকে সবকিছুর ওপরে স্থান দিয়েছেন।
মিথ্যার প্রতি সতর্কতা: হাদিসটি আমাদের মিথ্যা শপথের বিপক্ষে সতর্ক করে। একজন মুমিন কখনোই মিথ্যা শপথে লিপ্ত হন না এবং আল্লাহর নামে শপথ করার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকেন।
সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূলনীতি: কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। চোখের সামনে যা দেখা যায়, সব সময় তা সত্য নাও হতে পারে। তাই বাস্তবতা যাচাই করা জরুরি।
ন্যায়বিচার ও সতর্কতা: ঈসা (আ.) সতর্ক ছিলেন এবং তাড়াহুড়া করে কাউকে অপরাধী সাব্যস্ত করেননি। এতে বোঝা যায়, কোনো ঘটনা দেখামাত্রই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত নয়। সত্য উদ্ঘাটন না করে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা ইসলামে নিষিদ্ধ।
আদর্শ নেতার বৈশিষ্ট্য: ঈসা (আ.)-এর ন্যায়পরায়ণতা ও ধৈর্যশীলতা একজন আদর্শ নেতার বৈশিষ্ট্য বহন করে। একজন ভালো নেতা কোনো ঘটনা দেখামাত্রই তাৎক্ষণিক রায় দেন না; বরং প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেন।
ঈসা (আ.) ছিলেন বনি ইসরাইলের সর্বশেষ নবী এবং আসমানি কিতাবধারী রাসুল। পবিত্র কোরআনে হজরত ঈসা (আ.)-এর নাম বিভিন্ন প্রসঙ্গে ২৫ বার উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ফিলিস্তিনের আরব অধ্যুষিত জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরের বায়তুল লাহামে জন্মগ্রহণ করেন। আল্লাহ তাআলা তাঁকে তাঁর মা হজরত মারইয়াম (আ.)-এর গর্ভে পিতা ছাড়াই সৃষ্টি করেছেন, যা আল্লাহর অসীম কুদরতের এক মহিমান্বিত নিদর্শন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই, আল্লাহর কাছে ঈসা (আ.)-এর দৃষ্টান্ত আদম (আ.)-এর দৃষ্টান্তের মত। তিনি তাঁকে মৃত্তিকা থেকে সৃষ্টি করেছিলেন, এরপর বললেন—হও, ফলে সে হয়ে গেল।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ৫৯)
আল্লাহ তায়ালা ঈসা (আ.)-কে অনেক মোজেজা বা অলৌকিক ঘটনার নিদর্শন বানান। তাঁর জন্মের সময় আল্লাহ তাআলা তাঁকে ও তাঁর মহীয়সী মাকে জিবরাইল (আ.)-এর মাধ্যমে সাহায্য করেছিলেন।
ঈসা (আ.) জন্মগ্রহণের পর মায়ের কোলে কথা বলেছিলেন। তাঁকে জ্ঞান, প্রজ্ঞা এবং ঐশীগ্রন্থ তাওরাত ও ইঞ্জিল শিক্ষা দিয়েছেন। মহান আল্লাহর নির্দেশে এবং তাঁর বিশেষ অনুগ্রহে তিনি কাদামাটি দিয়ে পাখির প্রতিকৃতি তৈরি করে ফুঁ দিলে তা জীবন্ত পাখি হয়ে যেত। তিনি আল্লাহর অনুগ্রহে জন্মান্ধ ও কুষ্ঠরোগীকে নিরাময় করে দিতেন। মৃতকে জীবিত করতে পারতেন।
একবার রাসুল (সা.) সাহাবিদের নবি ঈসা (আ.)-এর একটি ঘটনা বলেছিলেন। এই ঘটনায় আল্লাহর প্রতি ঈসা (আ.)-এর গভীর বিশ্বাস, তাঁর শপথের গুরুত্ব এবং মানবিক সততা সম্পর্কে গভীর ধারণা দেন। পাশাপাশি ন্যায়বিচার, ধৈর্য, বিশ্বাস ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কতার শিক্ষা দেয়। নিচে হাদিসের আলোকে ঘটনাটি তুলে ধরা হলো।
আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, ‘ঈসা (আ.) এক লোককে চুরি করতে দেখলেন। তখন তিনি বললেন, ‘তুমি কি চুরি করেছ?’ সে বলল, ‘কখনোই না। সেই সত্তার কসম, যিনি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই।’ তখন ঈসা (আ.) বললেন, ‘আমি আল্লাহর ওপর ইমান এনেছি আর আমি আমার দুচোখকে অবিশ্বাস করলাম।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৪৪৪)
হাদিস থেকে শিক্ষা
আল্লাহর শপথের গুরুত্ব: এ ঘটনা থেকে আল্লাহর নামে শপথ করার গুরুত্ব ফুটে ওঠে। আল্লাহর নামে শপথের সত্যতা এবং এর প্রতি শ্রদ্ধা একজন ইমানদারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আল্লাহর প্রতি গভীর বিশ্বাস: আল্লাহর প্রতি অবিচল বিশ্বাস থাকতে হবে। ঈসা (আ.) চোখের দেখা মিথ্যা মনে করেছিলেন, কিন্তু আল্লাহর প্রতি শপথকে তিনি সত্য বলেছিলেন, কারণ তিনি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসকে সবকিছুর ওপরে স্থান দিয়েছেন।
মিথ্যার প্রতি সতর্কতা: হাদিসটি আমাদের মিথ্যা শপথের বিপক্ষে সতর্ক করে। একজন মুমিন কখনোই মিথ্যা শপথে লিপ্ত হন না এবং আল্লাহর নামে শপথ করার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকেন।
সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূলনীতি: কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। চোখের সামনে যা দেখা যায়, সব সময় তা সত্য নাও হতে পারে। তাই বাস্তবতা যাচাই করা জরুরি।
ন্যায়বিচার ও সতর্কতা: ঈসা (আ.) সতর্ক ছিলেন এবং তাড়াহুড়া করে কাউকে অপরাধী সাব্যস্ত করেননি। এতে বোঝা যায়, কোনো ঘটনা দেখামাত্রই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত নয়। সত্য উদ্ঘাটন না করে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা ইসলামে নিষিদ্ধ।
আদর্শ নেতার বৈশিষ্ট্য: ঈসা (আ.)-এর ন্যায়পরায়ণতা ও ধৈর্যশীলতা একজন আদর্শ নেতার বৈশিষ্ট্য বহন করে। একজন ভালো নেতা কোনো ঘটনা দেখামাত্রই তাৎক্ষণিক রায় দেন না; বরং প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেন।
কোরআন তিলাওয়াত মোমিনের হৃদয়ের প্রশান্তি ও আত্মার খোরাক। এর প্রতিটি আয়াতে রয়েছে অসীম জ্ঞান, দিকনির্দেশনা ও রহমতের বাণী। কোরআন তিলাওয়াতের মুগ্ধতা অন্তর বিগলিত করে, মনে প্রশান্তি আনে, আত্মা আলোকিত করে। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত মোমিন জীবনে সার্থকতা এনে দিতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগেমানুষের প্রতি সম্মান একটি মৌলিক মানবিক গুণ, যা সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ভিত্তি গড়ে তোলে। প্রত্যেক মানুষ তার মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, এবং একে অপরকে সম্মান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্ম, বর্ণ, জাতি কিংবা পেশা ভেদে কাউকে ছোট করা মানবতার পরিপন্থী। সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক...
২ দিন আগেসপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমাবার। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ এই দিন অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ—এর অন্যতম কারণ জুমার নামাজ। জুমার নামাজ আদায় করলেই কেবল এই দিনের বরকত, ফজিলত লাভের আশা করা যায়।
২ দিন আগেএক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২ দিন আগে