আপনার জিজ্ঞাসা
ইসলাম ডেস্ক
আসসালামু আলাইকুম। আমাদের সমাজে একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে অজু করার সময় বা অজু করার পর যদি কোনোভাবে হাঁটুর ওপর কাপড় উঠে যায়, তাহলে অজু ভেঙে যায়। ধারণাটি কি সঠিক? ইসলামে এ বিষয়ে কী বলা হয়েছে?
হোসেন আলী, ঠাকুরগাঁও
ওয়ালাইকুম আসসালাম। আপনার প্রশ্নটি খুবই প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের সমাজে এ বিষয়ে একটি ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। এ ধারণার কোনো ভিত্তি নেই। ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে, হাঁটুর ওপর কাপড় উঠলে অজু ভাঙে না। এটি একটি অমূলক ধারণা।
ধারণাটি অমূলক কেন
অজু শুদ্ধ হওয়ার জন্য সতর (শরীরের যে অংশ ঢাকা ফরজ) ঢাকা কোনো শর্ত নয়। অজু করার সময় বা অজু করার পর হাঁটুর ওপর কাপড় উঠে গেলেও অজু নষ্ট হবে না। কারণ এটি অজু ভঙ্গের কারণগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়। একইভাবে, নারীদের ক্ষেত্রেও অজু করার পর মাথার কাপড় পড়ে গেলে অজু ভাঙবে না। তবে মনে রাখতে হবে, অপ্রয়োজনে সতর খোলা রাখা অনুচিত এবং এটি দৃষ্টির সামনে থাকলে গুনাহ হবে।
অজু ভঙ্গের কারণ
ইসলামি শরিয়তে অজু ভাঙার সুনির্দিষ্ট সাতটি কারণ রয়েছে। এগুলোর কোনো একটি ঘটলে অজু ভেঙে যায় এবং নতুন করে অজু করতে হয়। কারণগুলো হলো:
১. পায়খানা বা প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে কিছু বের হলে।
২. নামাজে উচ্চ স্বরে হাসলে।
৩. মুখ ভরে বমি করলে।
৪. থুতুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হলে।
৫. চিত হয়ে বা কাত হয়ে হেলান দিয়ে ঘুমালে।
৬. কিছু সময়ের জন্য বেহুঁশ বা উন্মাদ হলে।
৭. শরীরের যেকোনো জায়গা থেকে রক্ত, পুঁজ বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়লে।
এ কারণগুলোর মধ্যে হাঁটুর ওপর কাপড় উঠে যাওয়ার বিষয়টি নেই। তাই এ বিষয়ে কোনো ধরনের দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।
অজু ও সতরের গুরুত্ব
অজু ভঙ্গের কারণ না হলেও, সতর বা শরীর ঢেকে রাখার বিষয়টি ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নামাজের জন্য পুরুষের সতর হলো নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত এবং দুই কাঁধ ঢাকা। আর নারীদের জন্য পুরো শরীর (মুখ ও দুই হাতের কবজি ছাড়া) ঢেকে রাখা ফরজ। তাই নামাজের সময় অবশ্যই এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। তবে বিনা ওজরে পুরুষের মাথা, পেট-পিঠ, হাতের কনুই খোলা রেখে নামাজ আদায় করলে তা আদায় হবে; তবে মাকরুহ হবে। (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ১ / ১০৬)
অজু ভঙ্গের সঙ্গে সতরের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও, উভয়টিই মুসলিম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অজু যেমন একজন মুমিনকে পবিত্র রাখে এবং গুনাহ থেকে মুক্ত করে, তেমনি সতর মুসলিমের মর্যাদা ও শালীনতার প্রতীক।
উত্তর দিয়েছেন
মুফতি শাব্বির আহমদ
ইসলামবিষয়ক গবেষক
আসসালামু আলাইকুম। আমাদের সমাজে একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে অজু করার সময় বা অজু করার পর যদি কোনোভাবে হাঁটুর ওপর কাপড় উঠে যায়, তাহলে অজু ভেঙে যায়। ধারণাটি কি সঠিক? ইসলামে এ বিষয়ে কী বলা হয়েছে?
হোসেন আলী, ঠাকুরগাঁও
ওয়ালাইকুম আসসালাম। আপনার প্রশ্নটি খুবই প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের সমাজে এ বিষয়ে একটি ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। এ ধারণার কোনো ভিত্তি নেই। ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে, হাঁটুর ওপর কাপড় উঠলে অজু ভাঙে না। এটি একটি অমূলক ধারণা।
ধারণাটি অমূলক কেন
অজু শুদ্ধ হওয়ার জন্য সতর (শরীরের যে অংশ ঢাকা ফরজ) ঢাকা কোনো শর্ত নয়। অজু করার সময় বা অজু করার পর হাঁটুর ওপর কাপড় উঠে গেলেও অজু নষ্ট হবে না। কারণ এটি অজু ভঙ্গের কারণগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়। একইভাবে, নারীদের ক্ষেত্রেও অজু করার পর মাথার কাপড় পড়ে গেলে অজু ভাঙবে না। তবে মনে রাখতে হবে, অপ্রয়োজনে সতর খোলা রাখা অনুচিত এবং এটি দৃষ্টির সামনে থাকলে গুনাহ হবে।
অজু ভঙ্গের কারণ
ইসলামি শরিয়তে অজু ভাঙার সুনির্দিষ্ট সাতটি কারণ রয়েছে। এগুলোর কোনো একটি ঘটলে অজু ভেঙে যায় এবং নতুন করে অজু করতে হয়। কারণগুলো হলো:
১. পায়খানা বা প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে কিছু বের হলে।
২. নামাজে উচ্চ স্বরে হাসলে।
৩. মুখ ভরে বমি করলে।
৪. থুতুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হলে।
৫. চিত হয়ে বা কাত হয়ে হেলান দিয়ে ঘুমালে।
৬. কিছু সময়ের জন্য বেহুঁশ বা উন্মাদ হলে।
৭. শরীরের যেকোনো জায়গা থেকে রক্ত, পুঁজ বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়লে।
এ কারণগুলোর মধ্যে হাঁটুর ওপর কাপড় উঠে যাওয়ার বিষয়টি নেই। তাই এ বিষয়ে কোনো ধরনের দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই।
অজু ও সতরের গুরুত্ব
অজু ভঙ্গের কারণ না হলেও, সতর বা শরীর ঢেকে রাখার বিষয়টি ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নামাজের জন্য পুরুষের সতর হলো নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত এবং দুই কাঁধ ঢাকা। আর নারীদের জন্য পুরো শরীর (মুখ ও দুই হাতের কবজি ছাড়া) ঢেকে রাখা ফরজ। তাই নামাজের সময় অবশ্যই এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। তবে বিনা ওজরে পুরুষের মাথা, পেট-পিঠ, হাতের কনুই খোলা রেখে নামাজ আদায় করলে তা আদায় হবে; তবে মাকরুহ হবে। (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ১ / ১০৬)
অজু ভঙ্গের সঙ্গে সতরের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও, উভয়টিই মুসলিম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অজু যেমন একজন মুমিনকে পবিত্র রাখে এবং গুনাহ থেকে মুক্ত করে, তেমনি সতর মুসলিমের মর্যাদা ও শালীনতার প্রতীক।
উত্তর দিয়েছেন
মুফতি শাব্বির আহমদ
ইসলামবিষয়ক গবেষক
মানুষের মুখের ভাষা তার অন্তরের প্রতিচ্ছবি। একজন মুমিনের মুখের ভাষা শুধু তার ব্যক্তিগত আচরণ নয়; বরং তার ইমান, চরিত্র এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের পরিচায়ক। ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের প্রতিটি দিককে শুদ্ধ ও সুন্দর করার শিক্ষা দেয়। মুখের ভাষা তার অন্যতম।
৫ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের শহরগুলোর নামকরণের পেছনে রয়েছে ইতিহাস, ভূগোল, এবং আধ্যাত্মিকতার গভীর সম্পর্ক। মক্কা ও মদিনা থেকে শুরু করে জেদ্দা এবং নিওম পর্যন্ত, এই শহরগুলোর নাম তাদের উৎপত্তি ও তাৎপর্যকে নির্দেশ করে।
১১ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগেইসলামের দৃষ্টিতে পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। ইসলাম শুধু ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দেয় না, বরং সামাজিক, পরিবেশগত ও আধ্যাত্মিক পরিচ্ছন্নতাকেও সমান গুরুত্ব দেয়।
১৭ ঘণ্টা আগে