কাউসার লাবীব
জীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা তৈরি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (সা.) দোয়া করতেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল মা-ছামি ওয়াল মাগরামি।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে পাপ ও ঋণ থেকে আশ্রয় চাই।’ একবার এক সাহাবি নবীজি (সা.)-কে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনি ঋণ থেকে এত বেশি পরিত্রাণ চান কেন?’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘মানুষ ঋণগ্রস্ত হলে যখন কথা বলে মিথ্যা বলে এবং ওয়াদা করলে তা খেলাপ করে।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৩৯৭)
আবু উমামা (রা.) একবার নবী করিম (সা.)-কে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, ঋণের বোঝা ও দুশ্চিন্তা আমাকে ঘিরে ধরেছে।’ রাসুল (সা.) সকাল–সন্ধ্যায় তাঁকে এই দোয়া পড়তে বললেন—‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজানি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজজি ওয়াল কাসালি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউজু বিকা মিন দ্বালায়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষের দমন-পীড়ন থেকে।’
আবু উমামা (রা.) বলেন, ‘দোয়াটি পড়ার ফলে চিন্তামুক্ত হই এবং ঋণ আদায়ে সক্ষম হই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৮৯৩)
ঋণ থেকে মুক্তি পেতে আলি (রা.)-কে নবীজি (সা.) একটি দোয়া শিখিয়েছিলেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মাক ফিনি বি হালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’ অর্থ: হে আল্লাহ, হারামের পরিবর্তে তোমার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট করো। আর তোমাকে ছাড়া আমাকে কারও মুখাপেক্ষী করো না। তোমার অনুগ্রহে আমাকে সচ্ছলতা দান করো।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৬৩)
জীবনের প্রয়োজনে আমরা কখনো কখনো ঋণগ্রস্ত হই। ঋণগ্রস্ত হওয়া জীবন নানা সময় কুফল ডেকে আনে। ঋণের চাপ উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা তৈরি করে। নবী করিম (সা.)-এর শেখানো কিছু দোয়ার মাধ্যমে আমরা ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (সা.) দোয়া করতেন, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল মা-ছামি ওয়াল মাগরামি।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে পাপ ও ঋণ থেকে আশ্রয় চাই।’ একবার এক সাহাবি নবীজি (সা.)-কে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনি ঋণ থেকে এত বেশি পরিত্রাণ চান কেন?’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘মানুষ ঋণগ্রস্ত হলে যখন কথা বলে মিথ্যা বলে এবং ওয়াদা করলে তা খেলাপ করে।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৩৯৭)
আবু উমামা (রা.) একবার নবী করিম (সা.)-কে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, ঋণের বোঝা ও দুশ্চিন্তা আমাকে ঘিরে ধরেছে।’ রাসুল (সা.) সকাল–সন্ধ্যায় তাঁকে এই দোয়া পড়তে বললেন—‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজানি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজজি ওয়াল কাসালি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউজু বিকা মিন দ্বালায়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষের দমন-পীড়ন থেকে।’
আবু উমামা (রা.) বলেন, ‘দোয়াটি পড়ার ফলে চিন্তামুক্ত হই এবং ঋণ আদায়ে সক্ষম হই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৮৯৩)
ঋণ থেকে মুক্তি পেতে আলি (রা.)-কে নবীজি (সা.) একটি দোয়া শিখিয়েছিলেন। দোয়াটি হলো—‘আল্লাহুম্মাক ফিনি বি হালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’ অর্থ: হে আল্লাহ, হারামের পরিবর্তে তোমার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট করো। আর তোমাকে ছাড়া আমাকে কারও মুখাপেক্ষী করো না। তোমার অনুগ্রহে আমাকে সচ্ছলতা দান করো।’ (সুনানে তিরমিজি: ৩৫৬৩)
আল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
৯ ঘণ্টা আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
১৭ ঘণ্টা আগেপ্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখার মধ্যে বেশ ফজিলত রয়েছে। হাদিসের ভাষায় এই তিনটি রোজাকে বলায় হয় আইয়ামে বিজের রোজা। এই রোজা প্রতি আরবি মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনেরো তারিখে রাখতে হয়।
১ দিন আগেএকজন মুসলমানের জীবনে ইমান এক অমূল্য সম্পদ। তবে সৎকার ছাড়া ইমানও মূল্যহীন। আসুন, ইমান ও সৎকাজের পুরস্কার সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নিই।
২ দিন আগে