ইসলাম ডেস্ক
সমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকা চাই। পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা ও মজবুত সম্পর্ক তৈরি করতে মহানবী (সা.) ৬টি কর্তব্যের কথা বলেছেন, যা পালন করলে মানুষে-মানুষে সুন্দর ও মানবিক সম্পর্ক তৈরি হয় এবং সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হয়। তা হলো:
এক. অসুস্থের সেবা করা: অসুস্থতা আল্লাহর পরীক্ষা। কেউ অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া, সেবা-শুশ্রূষা করা, সহমর্মী হওয়া, প্রয়োজনে আর্থিক সহযোগিতা করা এবং তার জন্য দোয়া করা একজন মুসলমানের অন্যতম দায়িত্ব।
দুই. জানাজায় হাজির হওয়া: মানুষ মরণশীল। কোনো মুসলমান মারা গেলে তার জানাজা ও কাফন-দাফনে উপস্থিত হওয়া, মাগফেরাতের দোয়া করা, পরিবার-পরিজনকে সান্ত্বনার বাণী শোনানো এবং প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়ানো অন্য মুসলমানের কর্তব্য।
তিন. ডাকলে সাড়া দেওয়া: মানুষ সামাজিক জীব। সমাজের কোনো মানুষই স্বনির্ভর নয়; পরস্পরের সহায়তায় সমাজ এগিয়ে যায়। তাই কেউ বিপদে পড়লে অন্যদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করা চাই।
চার. সালাম দেওয়া: সালাম মুসলমানের অভিবাদন। দুজন মুসলিমের সাক্ষাৎ হলে পরস্পরে সালাম বিনিময় করবে এবং মঙ্গল কামনা করবে। সালামের সঙ্গে মুসাফাহা যোগ করা সুন্নত। দীর্ঘদিন পর সাক্ষাৎ হলে কোলাকুলি করাও সুন্নত। এসব কাজের ফলে ভালোবাসা ও হৃদ্যতা বাড়ে।
পাঁচ. হাঁচির জবাব দেওয়া: হাঁচি অলসতা দূরে। কেউ যখন হাঁচি দেয় তখন তার জন্য ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা সুন্নত। জবাবে পাশের মানুষটি ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলে তার জন্য আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহ চাইবে।
ছয়. কল্যাণ কামনা করা: ইসলাম কল্যাণকামিতার ধর্ম। একজন মুসলমানের দায়িত্ব হলো, সর্বাবস্থায় অপর মুসলমানের কল্যাণ কামনা করা—যার জন্য কল্যাণ কামনা করা হচ্ছে, সে উপস্থিত থাকুক বা না থাকুক।
সূত্র: তিরমিজি: ২৭৩৭, নাসায়ি: ১৯৩৮, আহমাদ: ১০৯৬৬।
সমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকা চাই। পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা ও মজবুত সম্পর্ক তৈরি করতে মহানবী (সা.) ৬টি কর্তব্যের কথা বলেছেন, যা পালন করলে মানুষে-মানুষে সুন্দর ও মানবিক সম্পর্ক তৈরি হয় এবং সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হয়। তা হলো:
এক. অসুস্থের সেবা করা: অসুস্থতা আল্লাহর পরীক্ষা। কেউ অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া, সেবা-শুশ্রূষা করা, সহমর্মী হওয়া, প্রয়োজনে আর্থিক সহযোগিতা করা এবং তার জন্য দোয়া করা একজন মুসলমানের অন্যতম দায়িত্ব।
দুই. জানাজায় হাজির হওয়া: মানুষ মরণশীল। কোনো মুসলমান মারা গেলে তার জানাজা ও কাফন-দাফনে উপস্থিত হওয়া, মাগফেরাতের দোয়া করা, পরিবার-পরিজনকে সান্ত্বনার বাণী শোনানো এবং প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়ানো অন্য মুসলমানের কর্তব্য।
তিন. ডাকলে সাড়া দেওয়া: মানুষ সামাজিক জীব। সমাজের কোনো মানুষই স্বনির্ভর নয়; পরস্পরের সহায়তায় সমাজ এগিয়ে যায়। তাই কেউ বিপদে পড়লে অন্যদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করা চাই।
চার. সালাম দেওয়া: সালাম মুসলমানের অভিবাদন। দুজন মুসলিমের সাক্ষাৎ হলে পরস্পরে সালাম বিনিময় করবে এবং মঙ্গল কামনা করবে। সালামের সঙ্গে মুসাফাহা যোগ করা সুন্নত। দীর্ঘদিন পর সাক্ষাৎ হলে কোলাকুলি করাও সুন্নত। এসব কাজের ফলে ভালোবাসা ও হৃদ্যতা বাড়ে।
পাঁচ. হাঁচির জবাব দেওয়া: হাঁচি অলসতা দূরে। কেউ যখন হাঁচি দেয় তখন তার জন্য ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা সুন্নত। জবাবে পাশের মানুষটি ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলে তার জন্য আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহ চাইবে।
ছয়. কল্যাণ কামনা করা: ইসলাম কল্যাণকামিতার ধর্ম। একজন মুসলমানের দায়িত্ব হলো, সর্বাবস্থায় অপর মুসলমানের কল্যাণ কামনা করা—যার জন্য কল্যাণ কামনা করা হচ্ছে, সে উপস্থিত থাকুক বা না থাকুক।
সূত্র: তিরমিজি: ২৭৩৭, নাসায়ি: ১৯৩৮, আহমাদ: ১০৯৬৬।
কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা এই পঙ্ক্তিগুলো শুধু কাব্যের সৌন্দর্য নয়, এগুলো একটি চেতনার ঘোষণা। কাজী নজরুল ইসলাম এই চার লাইনের মধ্যে তুলে ধরেছেন ইসলামের সর্বজনীনতা, সাম্যের দীক্ষা এবং মানবতাবাদের এক অভিন্ন বার্তা। কিন্তু আমরা যখন এই কবিতার আলোকে বর্তমান বাংলাদেশের দিকে তাকাই, তখন অনেক প্রশ্ন ভিড়...
৮ ঘণ্টা আগেমানুষ হিসেবে আমাদের একটি স্বভাবজাত চাহিদা হলো, আমরা নিজেদের প্রশংসা শুনতে খুব পছন্দ করি। প্রশংসা মিথ্যা হলেও বলতে বারণ করি না, শুনতেই থাকি। বরং আরও বেশি কামনা করি। এর বিপরীতে নিন্দা বা সমালোচনা একদমই সহ্য করতে পারি না। চরম বাস্তব ও সত্য হলেও সমালোচককে থামিয়ে দিই। ক্ষমতা থাকলে নিন্দুককে দমিয়ে দিই...
১১ ঘণ্টা আগেসুখী সংসার গঠনে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হয়। বিশেষ করে স্বামীকে হতে হয় খুব সচেতন, দায়িত্ববান এবং চিন্তাশীল। ঘরে ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে তাকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করা সচেতন পুরুষের পরিচয়। এটি নবী করিম (সা.)-এর সুন্নত। এতে অত্যন্ত সওয়াবও পাওয়া যায়।
১৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বাসভঙ্গের এক নির্মম রূপ বিশ্বাসঘাতকতা বা গাদ্দারি। এটি বিশ্বাসের বন্ধন ছিন্ন করে দেয়। বিশ্বাস মানুষের মনে-প্রাণে আস্থার দেয়াল গড়ে তোলে। আর বিশ্বাসঘাতকতা সেই দেয়ালে আঘাত করে ভেঙে ফেলে সবকিছু।
২০ ঘণ্টা আগে