মো. জয়নাল আবেদীন খান
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের সম্পর্কে কিছু বলুন?
কায়সার হামিদ: বাংলাদেশ ফাইন্যান্স প্রায় ২২ বছর ধরে কাজ করছে। করোনাকালে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের কর্মী বাহিনী সক্রিয় ছিল। আমরা কর্ম নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করেছি। অভিনব পদ্ধতিতে গ্রাহকের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করেছি। আমরা প্রান্তিক পর্যায়ে আমানতকারীর সংখ্যা বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। করোনার আগে এক মাসে ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাহকের আমানত সংগ্রহ করেছি। এখন তা বেড়ে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০-তে দাঁড়িয়েছে। সেই হিসাবে করোনার আগের তুলনায় আমানতকারী বেড়েছে ৫ থেকে ৬ গুণ। এর পেছনে গ্রাহকের আস্থা অর্জন জাদুর মতো কাজ করেছে।
আজকের পত্রিকা: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিস্তিতে ছাড়ের পরেও খেলাপি ঋণ কমেছে কীভাবে?
কায়সার হামিদ: সম্প্রতি ব্যাংকের কাছে নেওয়া ঋণ ও খেলাপি ঋণ—দুটোই কমেছে। কারণ নানামুখী উদ্যোগের ফলে গ্রাহকের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব কমেছে; আস্থা বেড়েছে। এ ছাড়া ঋণ বিতরণের পরে তার ব্যবহার দেখভাল করেছি। ঋণগ্রহীতার সমস্যাগুলো বুঝতে চেষ্টা করেছি। সেভাবে ঋণের কিস্তি আদায় করেছি। যার ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিস্তি পরিশোধে ছাড়ের পরও গ্রাহক নিজের থেকে অধিকাংশ ঋণ শোধ করেছেন। এমনকি ১২০ থেকে ১২৫ কোটি টাকার সমস্যাগ্রস্ত ঋণ নিষ্পত্তি করেছি। এখন আমাদের বড় অঙ্কের ঋণ ৫টি, যা আগে ছিল ১২টি। আমরা বড় ঋণ বের হয়ে কলাবরেটর মডেলে গত ৬ মাসে প্রায় ২০০ কোটি টাকার ছোট ঋণ দিয়েছে, যা খেলাপি ঋণের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিও কমাবে।
আজকের পত্রিকা: ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণ বিতরণে সীমা কত?
কায়সার হামিদ: ঋণের কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। উদ্যোক্তারা ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিচ্ছেন। একজন মুদিদোকানিও ২-৩ লাখ টাকা ঋণ নিচ্ছেন। বড় ঋণ কমিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করছি। ঋণ বিতরণে মোবাইল ব্যাংকিং ও এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবহার করা হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: প্রত্যন্ত অঞ্চলে কীভাবে ঋণ কার্যক্রম চালাচ্ছেন?
কায়সার হামিদ: আমাদের শাখা কম। কিন্তু বিক্রয়কেন্দ্র ও সার্ভিস সেন্টারের সহায়তা নিচ্ছি। আমরা সিরাজগঞ্জ, পাবনা, খুলনা, কক্সবাজারসহ উপকূলীয় এলাকায় কাজ করছি। সে ক্ষেত্রে সরাসরি কাজ করছি না। আকিজসহ কয়েকটি বড় গ্রুপের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছি। তাদের নেটওয়ার্ক ও তথ্য ব্যবহার করছি।
আজকের পত্রিকা: টেকসই অর্থনীতিতে আপনাদের কী অর্জন আছে?
কায়সার হামিদ: এসডিজি ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নানা উদ্যোগ নিয়েছি। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২১ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘সাসটেইনেবিলিটি রেটিং রিকগনিশন সনদ’সহ অন্যান্য ৪টি সম্মাননা পেয়েছি।
আজকের পত্রিকা: দেশের অর্থনীতিতে কোনো চাপ রয়েছে কি?
কায়সার হামিদ: দেশে বর্তমানে ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তুলনামূলক নেতিবাচক প্রচারণাটা বেশি। বিশেষ করে কয়েকটা প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের টাকা সময়মতো ফেরত দিতে পারেনি—এটা গ্রাহকের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অর্থনীতিতে নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের সম্পর্কে কিছু বলুন?
কায়সার হামিদ: বাংলাদেশ ফাইন্যান্স প্রায় ২২ বছর ধরে কাজ করছে। করোনাকালে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের কর্মী বাহিনী সক্রিয় ছিল। আমরা কর্ম নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করেছি। অভিনব পদ্ধতিতে গ্রাহকের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করেছি। আমরা প্রান্তিক পর্যায়ে আমানতকারীর সংখ্যা বাড়াতে সক্ষম হয়েছি। করোনার আগে এক মাসে ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাহকের আমানত সংগ্রহ করেছি। এখন তা বেড়ে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০-তে দাঁড়িয়েছে। সেই হিসাবে করোনার আগের তুলনায় আমানতকারী বেড়েছে ৫ থেকে ৬ গুণ। এর পেছনে গ্রাহকের আস্থা অর্জন জাদুর মতো কাজ করেছে।
আজকের পত্রিকা: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিস্তিতে ছাড়ের পরেও খেলাপি ঋণ কমেছে কীভাবে?
কায়সার হামিদ: সম্প্রতি ব্যাংকের কাছে নেওয়া ঋণ ও খেলাপি ঋণ—দুটোই কমেছে। কারণ নানামুখী উদ্যোগের ফলে গ্রাহকের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব কমেছে; আস্থা বেড়েছে। এ ছাড়া ঋণ বিতরণের পরে তার ব্যবহার দেখভাল করেছি। ঋণগ্রহীতার সমস্যাগুলো বুঝতে চেষ্টা করেছি। সেভাবে ঋণের কিস্তি আদায় করেছি। যার ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিস্তি পরিশোধে ছাড়ের পরও গ্রাহক নিজের থেকে অধিকাংশ ঋণ শোধ করেছেন। এমনকি ১২০ থেকে ১২৫ কোটি টাকার সমস্যাগ্রস্ত ঋণ নিষ্পত্তি করেছি। এখন আমাদের বড় অঙ্কের ঋণ ৫টি, যা আগে ছিল ১২টি। আমরা বড় ঋণ বের হয়ে কলাবরেটর মডেলে গত ৬ মাসে প্রায় ২০০ কোটি টাকার ছোট ঋণ দিয়েছে, যা খেলাপি ঋণের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিও কমাবে।
আজকের পত্রিকা: ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণ বিতরণে সীমা কত?
কায়সার হামিদ: ঋণের কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। উদ্যোক্তারা ৫ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিচ্ছেন। একজন মুদিদোকানিও ২-৩ লাখ টাকা ঋণ নিচ্ছেন। বড় ঋণ কমিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করছি। ঋণ বিতরণে মোবাইল ব্যাংকিং ও এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবহার করা হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: প্রত্যন্ত অঞ্চলে কীভাবে ঋণ কার্যক্রম চালাচ্ছেন?
কায়সার হামিদ: আমাদের শাখা কম। কিন্তু বিক্রয়কেন্দ্র ও সার্ভিস সেন্টারের সহায়তা নিচ্ছি। আমরা সিরাজগঞ্জ, পাবনা, খুলনা, কক্সবাজারসহ উপকূলীয় এলাকায় কাজ করছি। সে ক্ষেত্রে সরাসরি কাজ করছি না। আকিজসহ কয়েকটি বড় গ্রুপের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছি। তাদের নেটওয়ার্ক ও তথ্য ব্যবহার করছি।
আজকের পত্রিকা: টেকসই অর্থনীতিতে আপনাদের কী অর্জন আছে?
কায়সার হামিদ: এসডিজি ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নানা উদ্যোগ নিয়েছি। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২১ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘সাসটেইনেবিলিটি রেটিং রিকগনিশন সনদ’সহ অন্যান্য ৪টি সম্মাননা পেয়েছি।
আজকের পত্রিকা: দেশের অর্থনীতিতে কোনো চাপ রয়েছে কি?
কায়সার হামিদ: দেশে বর্তমানে ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তুলনামূলক নেতিবাচক প্রচারণাটা বেশি। বিশেষ করে কয়েকটা প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের টাকা সময়মতো ফেরত দিতে পারেনি—এটা গ্রাহকের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অর্থনীতিতে নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন। দীর্ঘ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে বিভাগটির ইমেরিটাস অধ্যাপক। মার্কসবাদী চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ অধ্যাপক চৌধুরী নতুন দিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
১২ ঘণ্টা আগে‘বাংলাদেশের মানুষ যদি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ কিংবা অনুপাতভিত্তিক ভোটব্যবস্থা বুঝত! উল্টো তারা বলবে, আমরা এসব বুঝি না! আমি তোমাকে ভোট দেব, কয় টাকা দেবে? সহজ ভাষায় বললে বিষয়টি তা-ই—তুমি টাকা দাও, আমি ভোট দেব—দেশে ভোটের চর্চা এমনই।’
৭ দিন আগেগত বছর জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংসতায় সহস্রাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) মামলার বিচার প্রক্রিয়াসহ নানা দিক নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী
১২ দিন আগেড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়ন বিষয়ে বেসরকারি উদ্যোগে গঠিত নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক।
২২ দিন আগে