আজকের পত্রিকা ডেস্ক
চলমান যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর যুক্তি, ‘রাশিয়া খুবই বড় শক্তি, ইউক্রেন নয়। তাই যুদ্ধ এড়িয়ে টিকে থাকতে হলে চুক্তি ছাড়া ইউক্রেনের কোনো গতি নেই।’ এই মন্তব্য ট্রাম্পের আলাস্কা বৈঠকের পর এসেছে, যার অর্থ যুদ্ধবিরতি বা ভূমি বিনিময়—যেভাবেই এই যুদ্ধের সমাধান হোক না কেন, ইউক্রেনকেই বড় ছাড় দিতে হবে।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের একটি বিশেষ প্রতিবেদনে বলছে, আলাস্কার ওই বৈঠকে ট্রাম্পের কাছে ইউক্রেনের আরও কিছু ভূমি দাবি করেছেন পুতিন। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, বৈঠকের পরপরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ট্রাম্প বলেন, পুতিন একটি প্রস্তাব দিয়েছেন, ‘যদি কিয়েভ পুরো দোনেৎস্ক ছেড়ে দেয়, তাহলে রাশিয়া অধিকাংশ ফ্রন্টলাইন থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে।’
শিল্পসমৃদ্ধ দোনেৎস্ক রাশিয়ার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। তবে জেলেনস্কি তাৎক্ষণিকভাবে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে রাশিয়া, যার মধ্যে দোনেৎস্কের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ অন্তর্ভুক্ত।
আলাস্কার বৈঠকের পর ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে একমত হয়েছেন, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে সরাসরি একটি শান্তিচুক্তি করা উচিত। এর আগে ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা যুদ্ধবিরতিকেই প্রথম শর্ত হিসেবে দাবি করে আসছিল। ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে এই ভয়াবহ যুদ্ধ শেষ করার সর্বোত্তম উপায় হলো সরাসরি একটি শান্তিচুক্তিতে যাওয়া, যা যুদ্ধের অবসান ঘটাবে, নিছক একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি নয়, যা প্রায়শই কার্যকর থাকে না।’
যদিও পুতিনের এই দাবি ও ট্রাম্পের অবস্থানের পরিবর্তন ইউক্রেন এবং তার ইউরোপীয় মিত্রদের জন্য হতাশাজনক, তবু তারা ট্রাম্পের এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে। জেলেনস্কি আগামী সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
এদিকে, ইউরোপের কিছু রাজনীতিবিদ এবং বিশ্লেষক এই বৈঠক নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। জার্মান রাষ্ট্রদূত উলফগ্যাং ইসচিঙ্গার বলেন, ‘পুতিন ট্রাম্পের কাছ থেকে লালগালিচা সংবর্ধনা পেয়েছেন, অথচ ট্রাম্প কিছুই পাননি।’ তিনি এই বৈঠককে ‘পুতিনের জন্য ১-০’ জয় হিসেবে অভিহিত করেছেন।
ইউক্রেনে এই যুদ্ধ ইউরোপের গত ৮০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ। এতে উভয় পক্ষের ১০ লক্ষাধিক মানুষ হতাহত হয়েছে। এই বৈঠকের পর পুতিন তাঁর অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আনেননি। এই বৈঠক তাঁর জন্য একটি কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যুদ্ধের আগে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেওয়া হলেও বৈঠকের পর ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি আপাতত চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি স্থগিত রাখবেন, যা রাশিয়ার জন্যও স্বস্তির খবর। কারণ, ভারতের মতো চীনও রাশিয়ার তেল কেনে।
চলমান যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর যুক্তি, ‘রাশিয়া খুবই বড় শক্তি, ইউক্রেন নয়। তাই যুদ্ধ এড়িয়ে টিকে থাকতে হলে চুক্তি ছাড়া ইউক্রেনের কোনো গতি নেই।’ এই মন্তব্য ট্রাম্পের আলাস্কা বৈঠকের পর এসেছে, যার অর্থ যুদ্ধবিরতি বা ভূমি বিনিময়—যেভাবেই এই যুদ্ধের সমাধান হোক না কেন, ইউক্রেনকেই বড় ছাড় দিতে হবে।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের একটি বিশেষ প্রতিবেদনে বলছে, আলাস্কার ওই বৈঠকে ট্রাম্পের কাছে ইউক্রেনের আরও কিছু ভূমি দাবি করেছেন পুতিন। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, বৈঠকের পরপরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ট্রাম্প বলেন, পুতিন একটি প্রস্তাব দিয়েছেন, ‘যদি কিয়েভ পুরো দোনেৎস্ক ছেড়ে দেয়, তাহলে রাশিয়া অধিকাংশ ফ্রন্টলাইন থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে।’
শিল্পসমৃদ্ধ দোনেৎস্ক রাশিয়ার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। তবে জেলেনস্কি তাৎক্ষণিকভাবে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে রাশিয়া, যার মধ্যে দোনেৎস্কের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ অন্তর্ভুক্ত।
আলাস্কার বৈঠকের পর ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে একমত হয়েছেন, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির পরিবর্তে সরাসরি একটি শান্তিচুক্তি করা উচিত। এর আগে ইউক্রেন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা যুদ্ধবিরতিকেই প্রথম শর্ত হিসেবে দাবি করে আসছিল। ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে এই ভয়াবহ যুদ্ধ শেষ করার সর্বোত্তম উপায় হলো সরাসরি একটি শান্তিচুক্তিতে যাওয়া, যা যুদ্ধের অবসান ঘটাবে, নিছক একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি নয়, যা প্রায়শই কার্যকর থাকে না।’
যদিও পুতিনের এই দাবি ও ট্রাম্পের অবস্থানের পরিবর্তন ইউক্রেন এবং তার ইউরোপীয় মিত্রদের জন্য হতাশাজনক, তবু তারা ট্রাম্পের এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে। জেলেনস্কি আগামী সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
এদিকে, ইউরোপের কিছু রাজনীতিবিদ এবং বিশ্লেষক এই বৈঠক নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। জার্মান রাষ্ট্রদূত উলফগ্যাং ইসচিঙ্গার বলেন, ‘পুতিন ট্রাম্পের কাছ থেকে লালগালিচা সংবর্ধনা পেয়েছেন, অথচ ট্রাম্প কিছুই পাননি।’ তিনি এই বৈঠককে ‘পুতিনের জন্য ১-০’ জয় হিসেবে অভিহিত করেছেন।
ইউক্রেনে এই যুদ্ধ ইউরোপের গত ৮০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ। এতে উভয় পক্ষের ১০ লক্ষাধিক মানুষ হতাহত হয়েছে। এই বৈঠকের পর পুতিন তাঁর অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আনেননি। এই বৈঠক তাঁর জন্য একটি কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যুদ্ধের আগে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেওয়া হলেও বৈঠকের পর ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি আপাতত চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি স্থগিত রাখবেন, যা রাশিয়ার জন্যও স্বস্তির খবর। কারণ, ভারতের মতো চীনও রাশিয়ার তেল কেনে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে চীন কখনোই তাইওয়ানে আক্রমণ করবে না। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। খবর রয়টার্সের।
৪ ঘণ্টা আগেবোল্টন বলেছেন, ‘এই বৈঠকের পর ট্রাম্প কিছুই পাননি। যা পেয়েছেন তা হলো, আরও কিছু বৈঠকের প্রতিশ্রুতি। অন্যদিকে পুতিন ‘সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন, যা আমি সব সময় তাঁর প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করেছি।’
৬ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি হয়তো আশা করেছিলেন, এই বৈঠকে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে একটি চুক্তি হবে। কিন্তু এমন কোনো কিছুই হয়নি। তাই ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার জন্য সোমবার ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন জেলেনস্কি।
৬ ঘণ্টা আগেআলাস্কা বিক্রির পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল রাশিয়ার অর্থনৈতিক সংকট ও ভূরাজনৈতিক দুর্বলতা। ১৮৫৩ থেকে ১৮৫৬ সাল পর্যন্ত চলা ক্রিমিয়ার যুদ্ধে রাশিয়াকে ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং অটোমান সাম্রাজ্যের কাছে অপমানজনকভাবে পরাজিত হতে হয়। এই যুদ্ধে রাশিয়ার প্রায় ১৬০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছিল, যা দেশটির অর্থনীতি...
৭ ঘণ্টা আগে