Ajker Patrika

ইরান ইস্যুতে ট্রাম্পের সঙ্গে মতভেদ, গণমাধ্যমকে দুষলেন তুলসি গ্যাবার্ড

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২১ জুন ২০২৫, ১০: ৪২
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তুলসি গ্যাবার্ড। ফাইল ছবি
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তুলসি গ্যাবার্ড। ফাইল ছবি

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের প্রচেষ্টা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স (ডিএনআই) তুলসি গ্যাবার্ড অভিযোগ করেছেন, সংবাদমাধ্যমগুলো তাঁর বক্তব্যকে ‘বিকৃত’ করে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে। যেখানে ট্রাম্প প্রকাশ্যে বলেছিলেন, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বিষয়ে গ্যাবার্ডের মূল্যায়ন ‘ভুল’।

গ্যাবার্ড এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘অসৎ মিডিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে আমার বক্তব্যকে প্রসঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে এবং বিভেদ সৃষ্টির উপায় হিসাবে ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে।’

তাঁর এই পোস্টে ক্যাপিটল হিলে এ বিষয়ে তাঁর পূর্ববর্তী সাক্ষ্যের একটি ভিডিও হাইলাইট করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকার কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে ইরান কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাসের মধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে এটি হতে দেওয়া যায় না, আমি এতে একমত।’

গত মার্চে ক্যাপিটল হিলে গ্যাবার্ড সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না এবং সর্বোচ্চ নেতা খামেনি ২০০৩ সালে স্থগিত করা পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির অনুমোদন দেননি—এই দাবি মার্কিন গোয়েন্দারা এখনো মূল্যায়ন করছে।

এর আগে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখেছে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন ও সরবরাহ করতে পারার সক্ষমতা অর্জন থেকে তিন বছর দূরে রয়েছে। এই মূল্যায়নের সঙ্গে পরিচিত চারজন ব্যক্তি এ তথ্য জানিয়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ), গত সপ্তাহে জানিয়েছে, ইরান যথেষ্ট পরিমাণে ইউরেনিয়াম মজুত করেছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির মাত্রার সামান্য দূরে। এই মজুত দিয়ে সম্ভাব্য ৯টি পারমাণবিক বোমা তৈরি করা যেতে পারে। এটিকে তারা ‘গুরুতর উদ্বেগের বিষয়’ বলে উল্লেখ করেছে। ইরান অনেক তথ্য গোপন করছে বলেও অভিযোগ করে আইএইএ।

ইরানের জন্য চ্যালেঞ্জ কেবল একটি সাধারণ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান যদি সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে তারা কয়েক মাসের মধ্যেই পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারে। ইরানের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো, একটি কার্যকর ডেলিভারি সিস্টেম তৈরি করা। এর জন্য আরও অনেক বেশি সময় লাগতে পারে।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে গ্যাবার্ডের প্রকাশ্য মতপার্থক্য মার্কিন প্রশাসনে ইরানের বিষয়ে মতানৈক্যকে সামনে নিয়ে এসেছে। যদিও গ্যাবার্ড দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে এ ঘটনা ইরান সংক্রান্ত মার্কিন নীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত