Ajker Patrika

যে কারণে ইউক্রেনে সেনা পাঠাবেন না বাইডেন

আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২২: ৪৬
যে কারণে ইউক্রেনে সেনা পাঠাবেন না বাইডেন

ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট মোকাবিলায় প্রচুর কূটনৈতিক রসদ ব্যয় করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি শুরু থেকেই বলে আসছিলেন যে রাশিয়া অবশ্যই ইউক্রেনে হামলা চালাবে। শেষ পর্যন্ত তাঁর সতর্কবার্তাই ফলল। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঠিকই আক্রমণ করে বসলেন ইউক্রেনে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, যুক্তরাষ্ট্র কি ইউক্রেনে তার সেনাবাহিনী পাঠাবে?

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ করতে ইচ্ছুক নয়। এমনি মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধারের জন্য ইউক্রেনে সেনাবাহিনীও পাঠাবেন না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। 

কিন্তু কেন ইউক্রেনে সেনা পাঠাবেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট? 

প্রথমত, ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিবেশী রাষ্ট্র নয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তবর্তী কোনো দেশ নয়। এমনকি সেখানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিও নেই। ইউক্রেনে তেলের কোনো মজুত নেই। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাণিজ্য অংশীদারও নয়। 

এটা ঠিক যে, ১৯৯০-এর দশকে বলকানে জাতিগত সংঘাত মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপকে সমর্থন করেছিলেন জো বাইডেন। তিনি ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন হামলার পক্ষেও ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি মার্কিন সামরিক শক্তি ব্যবহারে বেশ সতর্ক হয়ে উঠেছেন। 

জো বাইডেনের শীর্ষ কূটনীতিক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যে পররাষ্ট্রনীতি তৈরি করেছেন, তাতে সামরিক হস্তক্ষেপের চেয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করা, বৈশ্বিক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। 

সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, ৭২ শতাংশ মার্কিন জনগণ মনে করেন, ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত থামাতে ছোট করে হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রাখা উচিত। 

তবে যুক্তরাষ্ট্র আপাতত রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোরতম নিষেধাজ্ঞার বাইরে আর কোনো পদক্ষেপ নেবে না বলেই মনে হচ্ছে। রিপাবলিকান সিনেটর টেড ক্রুজের মতো প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরও চান না বাইডেন ইউক্রেনে সৈন্য পাঠাক কিংবা পুতিনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করুক। আরেক রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও বলেছেন, বিশ্বের দুই বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তির মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে তা কারও জন্যই ভালো হবে না। 

এ মাসের শুরুর দিকে জো বাইডেন সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে বলেছিলেন, ‘ব্যাপারটা এমন নয় যে আমরা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনকে মোকাবিলা করছি। রাশিয়া একটি বৃহত্তম সেনাবাহিনীর দেশ। আমরা বিশ্বের অন্যতম বড় একটি সেনাবাহিনীকে মোকাবিলা করছি। এটা এক কঠিন পরিস্থিতি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত