আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (ডিএনআই) কর্মীসংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন সংস্থাটির পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড। অফিস পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
গ্যাবার্ড বলেন, গত দুই দশকে সংস্থাটি ‘প্রয়োজনের চেয়ে বড় এবং অকার্যকর’ হয়ে উঠেছে। এর বার্ষিক বাজেটও ৭০০ মিলিয়ন ডলার কমানো হবে বলে জানান তিনি।
এসব গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে ডিএনআইর বিভিন্ন টিমকে একত্রিত করা হবে বলে জানান গ্যাবার্ড। তিনি মনে করেন, এভাবে সংস্থাটিতে নিরপেক্ষ, পক্ষপাতহীন এবং সময়োপযোগী গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহের দায়িত্ব পালনে সক্ষম করা সম্ভব হবে।
এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগেই গ্যাবার্ড জানিয়েছিলেন, ট্রাম্প প্রশাসন বর্তমান ও সাবেক ৩৭ জন মার্কিন কর্মকর্তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র (সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স) বাতিল করবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক নথিতে দেখা যায়, অবিলম্বে ওই কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করতে গ্যাবার্ড বেশ কয়েকটি জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, এই পদক্ষেপ প্রেসিডেন্টের নির্দেশে নেওয়া হয়েছে।
ওই কর্মকর্তারা গোয়েন্দা তথ্যকে রাজনৈতিক স্বার্থ বা ব্যক্তিগত লাভের জন্য ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ করেন গ্যাবার্ড। তবে এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি গ্যাবার্ড।
এই কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও বারাক ওবামা প্রশাসনের অধীনে কাজ করা বেশ কয়েকজন জাতীয় নিরাপত্তা সহকারী।
নিরাপত্তা ছাড়পত্রের মাধ্যমে সংবেদনশীল সরকারি তথ্যের অ্যাক্সেস পাওয়া যায়। কিছু সাবেক কর্মকর্তা তাঁদের উত্তরসূরিদের পরামর্শ দিতে এ ছাড়পত্র বজায় রাখেন। আবার প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ খাতের কিছু বেসরকারি চাকরিতেও নিয়োগের শর্ত হিসেবে এই ছাড়পত্র থাকা আবশ্যক।
তবে ওই ৩৭ জনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র এখনো সক্রিয় কি না, তা স্পষ্ট নয়।
গ্যাবার্ড বলেন, ট্রাম্প এই নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কারণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ‘গোয়েন্দা তথ্যকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার ও বিকৃত করে জনগণের আস্থা নষ্ট করেছেন, অনুমতি ছাড়া গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে গোয়েন্দা কার্যক্রমের মানদণ্ড গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করেছেন।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ লেখা এক পোস্টে গ্যাবার্ড জানান, ‘নিরাপত্তা ছাড়পত্র পাওয়া কোনো অধিকার নয়, বরং একটি বিশেষ সুবিধা। গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের যারা সংবিধানের প্রতি নেওয়া শপথ ভঙ্গ করে নিজেদের স্বার্থকে আমেরিকার জনগণের স্বার্থের ঊর্ধ্বে স্থান দেন, তারা সেই পবিত্র আস্থা ভেঙেছেন, যা রক্ষার অঙ্গীকার করেছিলেন।’
তবে ওই পোস্টে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়নি।
আর এটি প্রথমবার নয় যে ট্রাম্প প্রশাসন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছে। এর আগেও জো বাইডেন, তাঁর ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং চার বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল দাঙ্গা তদন্তে জড়িত সাবেক কয়েকজন আইনপ্রণেতার ক্ষেত্রে প্রশাসন একই পদক্ষেপ নিয়েছিল।
সম্প্রতি ওবামা আমলের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্যাবার্ডকে সক্রিয় অবস্থান নেন। এই কর্মকর্তারা ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পেছনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন। ট্রাম্প ও গ্যাবার্ড গোয়েন্দাদের এই মূল্যায়নকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী ষড়যন্ত্র’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তাঁরা বলেন, প্রেসিডেন্টের নির্বাচনী সাফল্যকে খর্ব করার উদ্দেশ্যে এই দাবি করা হয়েছিল।
এদিকে ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্প প্রশাসনের এসব পদক্ষেপকে রাজনৈতিক মনোযোগ অন্যদিকে সরানোর কৌশল হিসেবে অভিহিত করছেন। গত মাসে এক বিবৃতিতে ওবামার এক মুখপাত্র বলেন, ‘এ ধরনের অদ্ভুত অভিযোগ মনোযোগ সরানোর দুর্বল চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (ডিএনআই) কর্মীসংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন সংস্থাটির পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড। অফিস পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
গ্যাবার্ড বলেন, গত দুই দশকে সংস্থাটি ‘প্রয়োজনের চেয়ে বড় এবং অকার্যকর’ হয়ে উঠেছে। এর বার্ষিক বাজেটও ৭০০ মিলিয়ন ডলার কমানো হবে বলে জানান তিনি।
এসব গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে ডিএনআইর বিভিন্ন টিমকে একত্রিত করা হবে বলে জানান গ্যাবার্ড। তিনি মনে করেন, এভাবে সংস্থাটিতে নিরপেক্ষ, পক্ষপাতহীন এবং সময়োপযোগী গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহের দায়িত্ব পালনে সক্ষম করা সম্ভব হবে।
এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগেই গ্যাবার্ড জানিয়েছিলেন, ট্রাম্প প্রশাসন বর্তমান ও সাবেক ৩৭ জন মার্কিন কর্মকর্তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র (সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স) বাতিল করবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক নথিতে দেখা যায়, অবিলম্বে ওই কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করতে গ্যাবার্ড বেশ কয়েকটি জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, এই পদক্ষেপ প্রেসিডেন্টের নির্দেশে নেওয়া হয়েছে।
ওই কর্মকর্তারা গোয়েন্দা তথ্যকে রাজনৈতিক স্বার্থ বা ব্যক্তিগত লাভের জন্য ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ করেন গ্যাবার্ড। তবে এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি গ্যাবার্ড।
এই কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও বারাক ওবামা প্রশাসনের অধীনে কাজ করা বেশ কয়েকজন জাতীয় নিরাপত্তা সহকারী।
নিরাপত্তা ছাড়পত্রের মাধ্যমে সংবেদনশীল সরকারি তথ্যের অ্যাক্সেস পাওয়া যায়। কিছু সাবেক কর্মকর্তা তাঁদের উত্তরসূরিদের পরামর্শ দিতে এ ছাড়পত্র বজায় রাখেন। আবার প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ খাতের কিছু বেসরকারি চাকরিতেও নিয়োগের শর্ত হিসেবে এই ছাড়পত্র থাকা আবশ্যক।
তবে ওই ৩৭ জনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র এখনো সক্রিয় কি না, তা স্পষ্ট নয়।
গ্যাবার্ড বলেন, ট্রাম্প এই নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কারণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ‘গোয়েন্দা তথ্যকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার ও বিকৃত করে জনগণের আস্থা নষ্ট করেছেন, অনুমতি ছাড়া গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে গোয়েন্দা কার্যক্রমের মানদণ্ড গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করেছেন।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ লেখা এক পোস্টে গ্যাবার্ড জানান, ‘নিরাপত্তা ছাড়পত্র পাওয়া কোনো অধিকার নয়, বরং একটি বিশেষ সুবিধা। গোয়েন্দা সম্প্রদায়ের যারা সংবিধানের প্রতি নেওয়া শপথ ভঙ্গ করে নিজেদের স্বার্থকে আমেরিকার জনগণের স্বার্থের ঊর্ধ্বে স্থান দেন, তারা সেই পবিত্র আস্থা ভেঙেছেন, যা রক্ষার অঙ্গীকার করেছিলেন।’
তবে ওই পোস্টে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়নি।
আর এটি প্রথমবার নয় যে ট্রাম্প প্রশাসন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছে। এর আগেও জো বাইডেন, তাঁর ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং চার বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল দাঙ্গা তদন্তে জড়িত সাবেক কয়েকজন আইনপ্রণেতার ক্ষেত্রে প্রশাসন একই পদক্ষেপ নিয়েছিল।
সম্প্রতি ওবামা আমলের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্যাবার্ডকে সক্রিয় অবস্থান নেন। এই কর্মকর্তারা ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পেছনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন। ট্রাম্প ও গ্যাবার্ড গোয়েন্দাদের এই মূল্যায়নকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী ষড়যন্ত্র’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তাঁরা বলেন, প্রেসিডেন্টের নির্বাচনী সাফল্যকে খর্ব করার উদ্দেশ্যে এই দাবি করা হয়েছিল।
এদিকে ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্প প্রশাসনের এসব পদক্ষেপকে রাজনৈতিক মনোযোগ অন্যদিকে সরানোর কৌশল হিসেবে অভিহিত করছেন। গত মাসে এক বিবৃতিতে ওবামার এক মুখপাত্র বলেন, ‘এ ধরনের অদ্ভুত অভিযোগ মনোযোগ সরানোর দুর্বল চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।’
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, মাইক্রোসফটের এজেডইউআরই সফটওয়্যার ব্যবহার করে ফিলিস্তিনিদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘ইউনিট ৮২০০’ মাইক্রোসফটের এজেডইউআরই সিস্টেমে ফিলিস্তিনিদের ফোনকলের রেকর্ড সংরক্ষণ করছে
৪২ মিনিট আগেআবারও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এর বিচারক ও প্রসিকিউটরদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ পদক্ষেপ’ নেওয়ার অভিযোগে আইসিসির চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
২ ঘণ্টা আগেগাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় নগরী গাজা সিটিতে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযানের প্রথম ধাপ শুরু করেছে ইসরায়েল। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল বুধবার ইসরায়েলি অভিযানে অন্তত ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডের সাবেক বিচারক ও ‘কট ইন প্রভিডেন্স’ অনুষ্ঠান খ্যাত ফ্র্যাঙ্ক ক্যাপ্রিও মারা গেছেন। দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই শেষে ৮৮ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে