
যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোতে লটারির মাধ্যমে ভোটারদের ১০ লাখ ডলার করে বিলি করছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। তবে এই কার্যক্রম বেআইনি হতে পারে জানিয়ে তাঁকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ (ডিওজে)।
ট্রাম্প শিবিরের জন্য মাস্কের রাজনৈতিক কার্যক্রম কমিটি ‘আমেরিকা প্যাকের’ কাছে এক চিঠি পাঠিয়ে এই বার্তা দিয়েছে ডিওজে। তবে মার্কিন বিচার বিভাগ কখন প্যাককে চিঠি পাঠিয়েছে—তা স্পষ্ট নয়। ডিওজের তদন্ত কর্মকর্তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা জানিয়েছেন। তবে এটি ডিওজের পাবলিক ইন্টিগ্রিটি বিভাগ পাঠিয়েছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ড নির্বাচনে ইলন মাস্ক কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে টেসলা ও এক্সের মালিক মাস্ক এক পিটিশনে (আরজিতে) সই করলেই আমেরিকান ভোটারদের পুরস্কার দিচ্ছেন। এই পিটিশন তৈরি করেছে মাস্কের প্রচারশিবির আমেরিকা পিএসি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করতেই গড়ে তোলা হয়েছে এ প্রচারশিবির।
বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজসহ মার্কিন আউটলেটগুলো গতকাল বুধবার জানিয়েছে, চিঠিটি মাস্কের দলকে জানিয়েছে, নির্বাচনের আগে এভাবে টাকা বিলানো ফেডারেল নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করতে পারে।
মার্কিন আইন অনুসারে, ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের নিবন্ধন করিয়ে টাকা দেওয়া বেআইনি। তবে মাস্কের চতুর পদক্ষেপ কোনো আইন ভঙ্গ করে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছয়টি অঙ্গরাজ্য—জর্জিয়া, নেভাডা, অ্যারিজোনা, মিশিগান, উইসকনসিন ও নর্থ ক্যারোলাইনায় ‘বাক্স্বাধীনতা ও অস্ত্র বহনের অধিকারের পক্ষে’ করা পিটিশনটিতে সই করার জন্য ভোটারদের উৎসাহ জোগাচ্ছে আমেরিকা পিএসি।
কোনো ভোটার পিটিশনে সই করলে বা তিনি অন্য কোনো ভোটারকে সই করাতে পারলে প্রত্যেকে পাচ্ছেন ৪৭ ডলার। ভোটারপ্রতি তুলনামূলক বেশি অর্থ দেওয়া হচ্ছে পেনসিলভানিয়ায় (১০০ ডলার করে)। নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের ভাগ্য নির্ধারণে চূড়ান্ত ভূমিকা রাখতে পারে এ রাজ্যের ফলাফল।
আমেরিকা পিএসি বলছে, যাঁরা পিটিশনে সই করছেন, তাঁরা মার্কিন সংবিধানের প্রথম ও দ্বিতীয় সংশোধনীর প্রতি নিজেদের সমর্থনের ইঙ্গিত দিচ্ছেন।
এ কার্যক্রমের অধীন ৫ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগপর্যন্ত প্রতিদিন দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর একটিতে পিটিশন স্বাক্ষরকারীদের একজন এক মিলিয়ন ডলার পুরস্কার পাবেন।
লটারি ঘরানায় প্রথম বড় চেকটি হস্তান্তর করা হয় ১৯ অক্টোবর পেনসিলভানিয়ার এক টাউন হলে একটি অনুষ্ঠানে।
গত মঙ্গলবার সাবেক রিপাবলিকান প্রসিকিউটরদের একটি দল ডিওজেকে চিঠি লিখে মাস্কের এই প্রতিযোগিতার তদন্ত করার জন্য কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান। তাঁরা বলেছেন, ‘আধুনিক রাজনৈতিক ইতিহাসে আমরা এমন কিছু আগে দেখিনি। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নির্বাচনের আগে পদক্ষেপ নিতে অনিচ্ছুক, তবে ভোটদান প্রক্রিয়াকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে এমন আইনগত বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
মাস্ক এর আগে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিলেন, ‘আপনি যেকোনো রাজনৈতিক দলের হতে পারেন এবং আপনাকে ভোটও দিতে হবে না।’
এদিকে গত রোববার প্যাক প্রতিযোগিতার নিয়ম পুনর্বিন্যাস করে নতুন কৌশল নিয়েছে। তাঁরা এখন ১০ লাখ ডলারকে পুরস্কারের পরিবর্তে কাজের পারিশ্রমিক বলছে। প্যাক বলেছে, বিজয়ীকে ‘আমেরিকা প্যাকের মুখপাত্র হিসাবে ১০ লাখ ডলার দেওয়া হবে। এটি তার উপার্জন। বিজয়ীরা ট্রাম্পপন্থী বিভিন্ন ভিডিও তৈরি করেছেন।
বেশ কয়েকজন আইনবিশেষজ্ঞ বিবিসিকে বলেছেন, প্রতিযোগিতাটি অবৈধ হতে পারে। জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক পল শিফ বর্মণ বলেন, ‘আমি মনে করি, মাস্কের এ ধরনের প্রস্তাব সম্ভবত অবৈধ।’
নিজ বক্তব্যের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী আইনের বিধি তুলে ধরেন শিফ বর্মণ। বিধিতে বলা হয়েছে, ভোট দেওয়া বা দিতে সম্মত হওয়ার জন্য কোনো ব্যক্তি যদি অর্থ দেন বা এর প্রস্তাব দেন কিংবা অর্থ নেন, তিনি ১০ হাজার ডলার জরিমানা বা পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সম্মুখীন হবেন।
আইনের এই অধ্যাপক আরও বলেন, ‘তাঁর (মাস্ক) প্রস্তাব শুধু নিবন্ধিত ভোটারদের জন্য প্রযোজ্য। তাই আমি মনে করি, বিধি মোতাবেক এ প্রস্তাবে ঝামেলা আছে।’
এ সম্পর্কে ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের (এফইসি) বক্তব্য চাওয়া হয়। কমিশনের সাবেক একজন চেয়ারম্যান বলেন, ‘মাস্কের নেওয়া কৌশলে ফাঁক আছে। কেননা, কাউকে নিবন্ধন করতে বা ভোট দিতে সরাসরি অর্থ দেওয়া হচ্ছে না।’
ব্র্যাড স্মিথ নামের সাবেক এই কর্মকর্তা দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ‘প্রস্তাবের কিছু জায়গায় অস্পষ্টতা রয়েছে; যার ভিত্তিতে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে (বৈধতা–অবৈধতা বিষয়ে) পৌঁছানো সম্ভব নয়। কেননা, কাউকে ভোট দিতে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য তিনি অর্থ দিচ্ছেন না। তিনি একটি পিটিশনে সই করার জন্য অর্থ দিচ্ছেন।’
কিন্তু নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির নির্বাচনী আইনের অধ্যাপক মাইকেল ক্যাং বিবিসিকে বলেন, ওই প্রস্তাব বৈধ না অবৈধ, সেটি নির্ধারণে এটির প্রেক্ষাপট গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝছি, কিছু বিশ্লেষক এটি অবৈধ মনে করছেন না। তবে, আমি মনে করি, এ প্রস্তাবের প্রেক্ষাপট পরিষ্কার। এর লক্ষ্য, লোকজনকে ভোট দিতে এমন এক পন্থার আশ্রয় নেওয়া, যা আইনগতভাবে সমস্যা সংকুল।’
এ বিষয়ে নির্দলীয় প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পেইন লিগ্যাল সেন্টারের আদাভ নোতির মত, ‘মাস্কের ওই উদ্যোগ আইনের লঙ্ঘন। এটি বিচার বিভাগের দেওয়ানি বা ফৌজদারি কার্যবিধির আওতায় পড়ে।’
নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব লর অধ্যাপক জেরেমি পল বিবিসিকে বলেন, ‘মাস্ক আইনি ফাঁকফোকরের সুবিধা নিচ্ছেন।’
এদিকে, পেনসিলভানিয়ার ডেমোক্র্যাট গভর্নর জোশ শ্যাপিরো ইলন মাস্কের তৎপরতাকে ‘গভীর উদ্বেগের’ বলে বর্ণনা করেন এবং এ ব্যাপারে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর তদন্তের দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন থেকেই তাঁর সঙ্গে বিশ্বের শীর্ষ ধনী মাস্কের হৃদ্যতার সম্পর্ক। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডেমোক্র্যাটদের ব্যাপারে ক্রমেই বেশি অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছেন তিনি।
২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে মাস্ক ঘোষণা করেন, তিনি ডেমোক্র্যাটদের বর্জন করছেন। সে সঙ্গে নিজের অনুসারীদের রিপাবলিকান পার্টিকে ভোট দিতে উৎসাহ জোগান।

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোতে লটারির মাধ্যমে ভোটারদের ১০ লাখ ডলার করে বিলি করছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। তবে এই কার্যক্রম বেআইনি হতে পারে জানিয়ে তাঁকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ (ডিওজে)।
ট্রাম্প শিবিরের জন্য মাস্কের রাজনৈতিক কার্যক্রম কমিটি ‘আমেরিকা প্যাকের’ কাছে এক চিঠি পাঠিয়ে এই বার্তা দিয়েছে ডিওজে। তবে মার্কিন বিচার বিভাগ কখন প্যাককে চিঠি পাঠিয়েছে—তা স্পষ্ট নয়। ডিওজের তদন্ত কর্মকর্তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা জানিয়েছেন। তবে এটি ডিওজের পাবলিক ইন্টিগ্রিটি বিভাগ পাঠিয়েছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ড নির্বাচনে ইলন মাস্ক কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে টেসলা ও এক্সের মালিক মাস্ক এক পিটিশনে (আরজিতে) সই করলেই আমেরিকান ভোটারদের পুরস্কার দিচ্ছেন। এই পিটিশন তৈরি করেছে মাস্কের প্রচারশিবির আমেরিকা পিএসি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করতেই গড়ে তোলা হয়েছে এ প্রচারশিবির।
বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজসহ মার্কিন আউটলেটগুলো গতকাল বুধবার জানিয়েছে, চিঠিটি মাস্কের দলকে জানিয়েছে, নির্বাচনের আগে এভাবে টাকা বিলানো ফেডারেল নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করতে পারে।
মার্কিন আইন অনুসারে, ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের নিবন্ধন করিয়ে টাকা দেওয়া বেআইনি। তবে মাস্কের চতুর পদক্ষেপ কোনো আইন ভঙ্গ করে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছয়টি অঙ্গরাজ্য—জর্জিয়া, নেভাডা, অ্যারিজোনা, মিশিগান, উইসকনসিন ও নর্থ ক্যারোলাইনায় ‘বাক্স্বাধীনতা ও অস্ত্র বহনের অধিকারের পক্ষে’ করা পিটিশনটিতে সই করার জন্য ভোটারদের উৎসাহ জোগাচ্ছে আমেরিকা পিএসি।
কোনো ভোটার পিটিশনে সই করলে বা তিনি অন্য কোনো ভোটারকে সই করাতে পারলে প্রত্যেকে পাচ্ছেন ৪৭ ডলার। ভোটারপ্রতি তুলনামূলক বেশি অর্থ দেওয়া হচ্ছে পেনসিলভানিয়ায় (১০০ ডলার করে)। নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের ভাগ্য নির্ধারণে চূড়ান্ত ভূমিকা রাখতে পারে এ রাজ্যের ফলাফল।
আমেরিকা পিএসি বলছে, যাঁরা পিটিশনে সই করছেন, তাঁরা মার্কিন সংবিধানের প্রথম ও দ্বিতীয় সংশোধনীর প্রতি নিজেদের সমর্থনের ইঙ্গিত দিচ্ছেন।
এ কার্যক্রমের অধীন ৫ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগপর্যন্ত প্রতিদিন দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর একটিতে পিটিশন স্বাক্ষরকারীদের একজন এক মিলিয়ন ডলার পুরস্কার পাবেন।
লটারি ঘরানায় প্রথম বড় চেকটি হস্তান্তর করা হয় ১৯ অক্টোবর পেনসিলভানিয়ার এক টাউন হলে একটি অনুষ্ঠানে।
গত মঙ্গলবার সাবেক রিপাবলিকান প্রসিকিউটরদের একটি দল ডিওজেকে চিঠি লিখে মাস্কের এই প্রতিযোগিতার তদন্ত করার জন্য কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান। তাঁরা বলেছেন, ‘আধুনিক রাজনৈতিক ইতিহাসে আমরা এমন কিছু আগে দেখিনি। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নির্বাচনের আগে পদক্ষেপ নিতে অনিচ্ছুক, তবে ভোটদান প্রক্রিয়াকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে এমন আইনগত বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
মাস্ক এর আগে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিলেন, ‘আপনি যেকোনো রাজনৈতিক দলের হতে পারেন এবং আপনাকে ভোটও দিতে হবে না।’
এদিকে গত রোববার প্যাক প্রতিযোগিতার নিয়ম পুনর্বিন্যাস করে নতুন কৌশল নিয়েছে। তাঁরা এখন ১০ লাখ ডলারকে পুরস্কারের পরিবর্তে কাজের পারিশ্রমিক বলছে। প্যাক বলেছে, বিজয়ীকে ‘আমেরিকা প্যাকের মুখপাত্র হিসাবে ১০ লাখ ডলার দেওয়া হবে। এটি তার উপার্জন। বিজয়ীরা ট্রাম্পপন্থী বিভিন্ন ভিডিও তৈরি করেছেন।
বেশ কয়েকজন আইনবিশেষজ্ঞ বিবিসিকে বলেছেন, প্রতিযোগিতাটি অবৈধ হতে পারে। জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক পল শিফ বর্মণ বলেন, ‘আমি মনে করি, মাস্কের এ ধরনের প্রস্তাব সম্ভবত অবৈধ।’
নিজ বক্তব্যের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী আইনের বিধি তুলে ধরেন শিফ বর্মণ। বিধিতে বলা হয়েছে, ভোট দেওয়া বা দিতে সম্মত হওয়ার জন্য কোনো ব্যক্তি যদি অর্থ দেন বা এর প্রস্তাব দেন কিংবা অর্থ নেন, তিনি ১০ হাজার ডলার জরিমানা বা পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সম্মুখীন হবেন।
আইনের এই অধ্যাপক আরও বলেন, ‘তাঁর (মাস্ক) প্রস্তাব শুধু নিবন্ধিত ভোটারদের জন্য প্রযোজ্য। তাই আমি মনে করি, বিধি মোতাবেক এ প্রস্তাবে ঝামেলা আছে।’
এ সম্পর্কে ফেডারেল নির্বাচন কমিশনের (এফইসি) বক্তব্য চাওয়া হয়। কমিশনের সাবেক একজন চেয়ারম্যান বলেন, ‘মাস্কের নেওয়া কৌশলে ফাঁক আছে। কেননা, কাউকে নিবন্ধন করতে বা ভোট দিতে সরাসরি অর্থ দেওয়া হচ্ছে না।’
ব্র্যাড স্মিথ নামের সাবেক এই কর্মকর্তা দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ‘প্রস্তাবের কিছু জায়গায় অস্পষ্টতা রয়েছে; যার ভিত্তিতে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে (বৈধতা–অবৈধতা বিষয়ে) পৌঁছানো সম্ভব নয়। কেননা, কাউকে ভোট দিতে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য তিনি অর্থ দিচ্ছেন না। তিনি একটি পিটিশনে সই করার জন্য অর্থ দিচ্ছেন।’
কিন্তু নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির নির্বাচনী আইনের অধ্যাপক মাইকেল ক্যাং বিবিসিকে বলেন, ওই প্রস্তাব বৈধ না অবৈধ, সেটি নির্ধারণে এটির প্রেক্ষাপট গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝছি, কিছু বিশ্লেষক এটি অবৈধ মনে করছেন না। তবে, আমি মনে করি, এ প্রস্তাবের প্রেক্ষাপট পরিষ্কার। এর লক্ষ্য, লোকজনকে ভোট দিতে এমন এক পন্থার আশ্রয় নেওয়া, যা আইনগতভাবে সমস্যা সংকুল।’
এ বিষয়ে নির্দলীয় প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পেইন লিগ্যাল সেন্টারের আদাভ নোতির মত, ‘মাস্কের ওই উদ্যোগ আইনের লঙ্ঘন। এটি বিচার বিভাগের দেওয়ানি বা ফৌজদারি কার্যবিধির আওতায় পড়ে।’
নর্থ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব লর অধ্যাপক জেরেমি পল বিবিসিকে বলেন, ‘মাস্ক আইনি ফাঁকফোকরের সুবিধা নিচ্ছেন।’
এদিকে, পেনসিলভানিয়ার ডেমোক্র্যাট গভর্নর জোশ শ্যাপিরো ইলন মাস্কের তৎপরতাকে ‘গভীর উদ্বেগের’ বলে বর্ণনা করেন এবং এ ব্যাপারে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর তদন্তের দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন থেকেই তাঁর সঙ্গে বিশ্বের শীর্ষ ধনী মাস্কের হৃদ্যতার সম্পর্ক। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডেমোক্র্যাটদের ব্যাপারে ক্রমেই বেশি অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছেন তিনি।
২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে মাস্ক ঘোষণা করেন, তিনি ডেমোক্র্যাটদের বর্জন করছেন। সে সঙ্গে নিজের অনুসারীদের রিপাবলিকান পার্টিকে ভোট দিতে উৎসাহ জোগান।

সিরীয়-আমেরিকান ইলাস্ট্রেটর ও ডিজাইনার রামা দুয়াজি সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন নিউইয়র্কের নতুন মেয়র জোহরান মামদানির স্ত্রী হিসেবে। তবে নিজস্ব পরিচয়ে তিনি একজন প্রতিভাবান শিল্পী। তিনি তাঁর কাজের ভেতর দিয়ে নারী, আরব পরিচয়, প্রতিরোধ ও সহমর্মিতার বিষয়গুলোকে গভীরভাবে অনুসন্ধান করেন।
৫ মিনিট আগে
থাইল্যান্ডের জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ কোহ ফাঙ্গানে ‘সেক্স যোগা’ বা তান্ত্রিক যোগচর্চা শেখানোর অভিযোগে এক ব্রিটিশ নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মারিয়া শেচেতিনিনা নামে ৪০ বছর বয়সী ওই নারী নিজেকে ‘তান্ত্রিক আধ্যাত্মিকতা ও পবিত্র যৌনতার’ শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস শহরে বেড়ে ওঠা এবং দুবাইয়ে পড়াশোনা করা সিরীয়-মার্কিন রামা দুয়াজি চার বছর আগে নিউইয়র্কে যান। তিনি মামদানির নির্বাচনী প্রচারের লোগো থেকে শুরু করে সামগ্রিক নকশা তৈরি করেন; বিশেষ করে, উজ্জ্বল হলুদ, কমলা ও নীল রঙের ব্র্যান্ডিং, যা পরে তাঁদের তৃণমূল আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী আজ বুধবার তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত ‘এইচ বোমা’ ফেলেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, গত বছরের হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরীয়-আমেরিকান ইলাস্ট্রেটর ও ডিজাইনার রামা দুয়াজি সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন নিউইয়র্কের নতুন মেয়র জোহরান মামদানির স্ত্রী হিসেবে। তবে নিজস্ব পরিচয়ে তিনি একজন প্রতিভাবান শিল্পী। তিনি তাঁর কাজের ভেতর দিয়ে নারী, আরব পরিচয়, প্রতিরোধ ও সহমর্মিতার বিষয়গুলোকে গভীরভাবে অনুসন্ধান করেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, রামার জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে। ৯ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে তিনি দুবাইয়ে চলে যান। সেখানেই বড় হন এবং সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য কাতারের ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের রিচমন্ড ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হয়ে তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেন।
রামা দুয়াজির শিল্পকর্ম মূলত কালো-সাদা রেখাচিত্রে নারীর প্রতিকৃতি, যেখানে দেখা যায় নারীসত্তা, অভিব্যক্তি ও বৈচিত্র্যের প্রতি গভীর মমতা। তাঁর কাজ প্রকাশিত হয়েছে দ্য নিউ ইয়র্কার, ওয়াশিংটন পোস্ট, বিবিসি, অ্যাপল, স্পোটিফাই, ভাইস এবং টেট মডার্ন–এর মতো বিশ্বখ্যাত মাধ্যমগুলোতে। পাশাপাশি ভার্জিনিয়া ও বৈরুতে তাঁর একক প্রদর্শনী হয়েছে।
২০২১ সালে এক ডেটিং অ্যাপে রামা ও জোহরান মামদানির পরিচয় হয়। পরে তাঁদের প্রথম দেখা হয় ব্রুকলিনের একটি ইয়েমেনি কফিশপে। এভাবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে। একপর্যায়ে তাঁরা লোয়ার ম্যানহাটনের আদালতে বিয়ে করেন। দুবাইয়ে তাঁদের বাগদান ও নিকাহ অনুষ্ঠানটি ছিল রূপকথার মতো। সূর্যাস্তের পটভূমিতে ফুল ও সবুজে সাজানো এক রোমান্টিক আবহ তৈরি করা হয়েছিল।
রামা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত জীবনের চেয়ে শিল্পকর্ম ও সামাজিক বিষয়ে বেশি সক্রিয়। বিশেষ করে ফিলিস্তিনের প্রতি তাঁর অবস্থান বহুবার প্রকাশ পেয়েছে। ২০২১ সালে একটি ইলাস্ট্রেশনে তিনজন মানুষকে তিনি একসঙ্গে কনুই মিলিয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখিয়েছিলেন, যার ওপরে আরবিতে লেখা ছিল—‘আমরা ছাড়ব না।’ গাজায় ক্ষুধা ও মানবিক সংকট নিয়েও তিনি সচেতনতা তৈরির কাজ করেছেন।
মাত্র ২৮ বছর বয়সে রামা হবেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের বাসভবন গ্রেসি ম্যানসনে বসবাসকারী প্রথম জেনারেশন–জেড সদস্য। তবে জোহরান মামদানির ভাষায়, ‘রামা শুধু আমার স্ত্রী নন, তিনি একজন অসাধারণ শিল্পী, যিনি নিজের কাজ দিয়ে পরিচিত হওয়ার যোগ্য।’
করোনা মহামারির বেশ কিছু সময় পরিবারের সঙ্গে দুবাইয়ে কাটিয়েছিলেন রামা। পরে নিউইয়র্কে স্থায়ী হন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি নতুন শহরে এসেছিলাম, কাউকে চিনতাম না। তাই ইনস্টাগ্রামে দেখা সৃজনশীল মানুষদের বার্তা পাঠাতে শুরু করি। অবাক করা বিষয় হলো, নিউইয়র্কে মানুষ নতুন সম্পর্ক গড়ায় বেশ খোলা মন। এভাবেই আমি অনেক দারুণ আরব-আমেরিকান শিল্পীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছি।’
রামা দুয়াজি আজ শুধু নিউইয়র্কের মেয়রের স্ত্রী নন, বরং আধুনিক আরব নারীর এক সাহসী ও সৃজনশীল প্রতীক, যিনি শিল্পের মাধ্যমে নিজের শিকড় ও মানবিক দায়বদ্ধতা একসূত্রে বেঁধেছেন।

সিরীয়-আমেরিকান ইলাস্ট্রেটর ও ডিজাইনার রামা দুয়াজি সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন নিউইয়র্কের নতুন মেয়র জোহরান মামদানির স্ত্রী হিসেবে। তবে নিজস্ব পরিচয়ে তিনি একজন প্রতিভাবান শিল্পী। তিনি তাঁর কাজের ভেতর দিয়ে নারী, আরব পরিচয়, প্রতিরোধ ও সহমর্মিতার বিষয়গুলোকে গভীরভাবে অনুসন্ধান করেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, রামার জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে। ৯ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে তিনি দুবাইয়ে চলে যান। সেখানেই বড় হন এবং সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য কাতারের ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের রিচমন্ড ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হয়ে তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেন।
রামা দুয়াজির শিল্পকর্ম মূলত কালো-সাদা রেখাচিত্রে নারীর প্রতিকৃতি, যেখানে দেখা যায় নারীসত্তা, অভিব্যক্তি ও বৈচিত্র্যের প্রতি গভীর মমতা। তাঁর কাজ প্রকাশিত হয়েছে দ্য নিউ ইয়র্কার, ওয়াশিংটন পোস্ট, বিবিসি, অ্যাপল, স্পোটিফাই, ভাইস এবং টেট মডার্ন–এর মতো বিশ্বখ্যাত মাধ্যমগুলোতে। পাশাপাশি ভার্জিনিয়া ও বৈরুতে তাঁর একক প্রদর্শনী হয়েছে।
২০২১ সালে এক ডেটিং অ্যাপে রামা ও জোহরান মামদানির পরিচয় হয়। পরে তাঁদের প্রথম দেখা হয় ব্রুকলিনের একটি ইয়েমেনি কফিশপে। এভাবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে। একপর্যায়ে তাঁরা লোয়ার ম্যানহাটনের আদালতে বিয়ে করেন। দুবাইয়ে তাঁদের বাগদান ও নিকাহ অনুষ্ঠানটি ছিল রূপকথার মতো। সূর্যাস্তের পটভূমিতে ফুল ও সবুজে সাজানো এক রোমান্টিক আবহ তৈরি করা হয়েছিল।
রামা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত জীবনের চেয়ে শিল্পকর্ম ও সামাজিক বিষয়ে বেশি সক্রিয়। বিশেষ করে ফিলিস্তিনের প্রতি তাঁর অবস্থান বহুবার প্রকাশ পেয়েছে। ২০২১ সালে একটি ইলাস্ট্রেশনে তিনজন মানুষকে তিনি একসঙ্গে কনুই মিলিয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখিয়েছিলেন, যার ওপরে আরবিতে লেখা ছিল—‘আমরা ছাড়ব না।’ গাজায় ক্ষুধা ও মানবিক সংকট নিয়েও তিনি সচেতনতা তৈরির কাজ করেছেন।
মাত্র ২৮ বছর বয়সে রামা হবেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের বাসভবন গ্রেসি ম্যানসনে বসবাসকারী প্রথম জেনারেশন–জেড সদস্য। তবে জোহরান মামদানির ভাষায়, ‘রামা শুধু আমার স্ত্রী নন, তিনি একজন অসাধারণ শিল্পী, যিনি নিজের কাজ দিয়ে পরিচিত হওয়ার যোগ্য।’
করোনা মহামারির বেশ কিছু সময় পরিবারের সঙ্গে দুবাইয়ে কাটিয়েছিলেন রামা। পরে নিউইয়র্কে স্থায়ী হন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি নতুন শহরে এসেছিলাম, কাউকে চিনতাম না। তাই ইনস্টাগ্রামে দেখা সৃজনশীল মানুষদের বার্তা পাঠাতে শুরু করি। অবাক করা বিষয় হলো, নিউইয়র্কে মানুষ নতুন সম্পর্ক গড়ায় বেশ খোলা মন। এভাবেই আমি অনেক দারুণ আরব-আমেরিকান শিল্পীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছি।’
রামা দুয়াজি আজ শুধু নিউইয়র্কের মেয়রের স্ত্রী নন, বরং আধুনিক আরব নারীর এক সাহসী ও সৃজনশীল প্রতীক, যিনি শিল্পের মাধ্যমে নিজের শিকড় ও মানবিক দায়বদ্ধতা একসূত্রে বেঁধেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোতে লটারির মাধ্যমে ভোটারদের ১০ লাখ ডলার করে বিলি করছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। তবে এই কার্যক্রম বেআইনি হতে পারে জানিয়ে তাঁকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ (ডিওজে)।
২৪ অক্টোবর ২০২৪
থাইল্যান্ডের জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ কোহ ফাঙ্গানে ‘সেক্স যোগা’ বা তান্ত্রিক যোগচর্চা শেখানোর অভিযোগে এক ব্রিটিশ নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মারিয়া শেচেতিনিনা নামে ৪০ বছর বয়সী ওই নারী নিজেকে ‘তান্ত্রিক আধ্যাত্মিকতা ও পবিত্র যৌনতার’ শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস শহরে বেড়ে ওঠা এবং দুবাইয়ে পড়াশোনা করা সিরীয়-মার্কিন রামা দুয়াজি চার বছর আগে নিউইয়র্কে যান। তিনি মামদানির নির্বাচনী প্রচারের লোগো থেকে শুরু করে সামগ্রিক নকশা তৈরি করেন; বিশেষ করে, উজ্জ্বল হলুদ, কমলা ও নীল রঙের ব্র্যান্ডিং, যা পরে তাঁদের তৃণমূল আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী আজ বুধবার তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত ‘এইচ বোমা’ ফেলেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, গত বছরের হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

থাইল্যান্ডের জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ কোহ ফাঙ্গানে ‘সেক্স ইয়োগা’ বা তান্ত্রিক যোগচর্চা শেখানোর অভিযোগে এক ব্রিটিশ নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মারিয়া শেচেতিনিনা নামে ৪০ বছর বয়সী ওই নারী নিজেকে ‘তান্ত্রিক আধ্যাত্মিকতা ও পবিত্র যৌনতার’ শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি ‘মারিয়া স্কাই লাভ’ নামে সক্রিয় ছিলেন এবং প্রতি সপ্তাহে যোগা ও তান্ত্রিক ম্যাসাজ ক্লাস চালাতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৪ নভেম্বর স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁর পেছনে ক্লাস নিচ্ছিলেন মারিয়া। এমন সময় পর্যটন পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করে।
আটকের সময় মারিয়া পুলিশকে বলেন, ‘আমার আইনজীবী বলেছেন, এটা এখানে বৈধ।’ তবে পুলিশ তাঁর পাসপোর্ট ও ওয়ার্ক পারমিট পরীক্ষা করে দেখতে পায়—তিনি একটি রেসিডেন্সিয়াল প্রোপার্টি কোম্পানির কাস্টমার রিলেশনস ম্যানেজার হিসেবে কাজের অনুমতি পেয়েছেন, যোগা বা ম্যাসাজ শেখানোর অনুমতি নেই তাঁর।
ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি ক্লাসে ৪০০ বাথ (প্রায় ১৫০০ টাকা) ফি নিতেন মারিয়া। পুলিশ তাঁর কাছ থেকে যোগা নোট, বিজ্ঞাপন ফ্লায়ার, টিকিট, ব্যানার এবং কিউআর কোড-সংবলিত প্রচারপত্র জব্দ করেছে।
পর্যটন পুলিশ বিভাগের লেফটেন্যান্ট কর্নেল উইনিত বুনচিত জানান, মারিয়ার ‘অশালীন ও ঝুঁকিপূর্ণ’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টের বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ জানানোর পরই তদন্ত শুরু হয়। তিনি বলেন, ‘বিদেশিদের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত জরুরি ডিক্রির আওতায় তান্ত্রিক যোগা প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করা অনুমোদিত নয়। তাই তাঁকে অবৈধভাবে কাজ করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।’
এর আগে চলতি বছরের মার্চে একই দ্বীপে পোল্যান্ডের ইউটিউবার মিখাল গ্রিগোরুককেও ‘সেক্স যোগা’ ক্লাস চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
কোহ ফাঙ্গান দ্বীপটি দীর্ঘদিন ধরে ‘হিপি স্বর্গ’ হিসেবে পরিচিত—যেখানে আধ্যাত্মিক রিট্রিট, নিরামিষ ক্যাফে ও বিখ্যাত ফুল মুন পার্টির কারণে সারা বিশ্বের পর্যটকেরা ভিড় জমান। তবে পুলিশের আশঙ্কা, অনেক বিদেশি পর্যটক সঠিক ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই সেখানে বিভিন্ন ধরনের মেডিটেশন ও বিকল্প থেরাপির কর্মশালা চালাচ্ছেন।

থাইল্যান্ডের জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ কোহ ফাঙ্গানে ‘সেক্স ইয়োগা’ বা তান্ত্রিক যোগচর্চা শেখানোর অভিযোগে এক ব্রিটিশ নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মারিয়া শেচেতিনিনা নামে ৪০ বছর বয়সী ওই নারী নিজেকে ‘তান্ত্রিক আধ্যাত্মিকতা ও পবিত্র যৌনতার’ শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি ‘মারিয়া স্কাই লাভ’ নামে সক্রিয় ছিলেন এবং প্রতি সপ্তাহে যোগা ও তান্ত্রিক ম্যাসাজ ক্লাস চালাতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৪ নভেম্বর স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁর পেছনে ক্লাস নিচ্ছিলেন মারিয়া। এমন সময় পর্যটন পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করে।
আটকের সময় মারিয়া পুলিশকে বলেন, ‘আমার আইনজীবী বলেছেন, এটা এখানে বৈধ।’ তবে পুলিশ তাঁর পাসপোর্ট ও ওয়ার্ক পারমিট পরীক্ষা করে দেখতে পায়—তিনি একটি রেসিডেন্সিয়াল প্রোপার্টি কোম্পানির কাস্টমার রিলেশনস ম্যানেজার হিসেবে কাজের অনুমতি পেয়েছেন, যোগা বা ম্যাসাজ শেখানোর অনুমতি নেই তাঁর।
ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি ক্লাসে ৪০০ বাথ (প্রায় ১৫০০ টাকা) ফি নিতেন মারিয়া। পুলিশ তাঁর কাছ থেকে যোগা নোট, বিজ্ঞাপন ফ্লায়ার, টিকিট, ব্যানার এবং কিউআর কোড-সংবলিত প্রচারপত্র জব্দ করেছে।
পর্যটন পুলিশ বিভাগের লেফটেন্যান্ট কর্নেল উইনিত বুনচিত জানান, মারিয়ার ‘অশালীন ও ঝুঁকিপূর্ণ’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টের বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ জানানোর পরই তদন্ত শুরু হয়। তিনি বলেন, ‘বিদেশিদের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত জরুরি ডিক্রির আওতায় তান্ত্রিক যোগা প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করা অনুমোদিত নয়। তাই তাঁকে অবৈধভাবে কাজ করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।’
এর আগে চলতি বছরের মার্চে একই দ্বীপে পোল্যান্ডের ইউটিউবার মিখাল গ্রিগোরুককেও ‘সেক্স যোগা’ ক্লাস চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
কোহ ফাঙ্গান দ্বীপটি দীর্ঘদিন ধরে ‘হিপি স্বর্গ’ হিসেবে পরিচিত—যেখানে আধ্যাত্মিক রিট্রিট, নিরামিষ ক্যাফে ও বিখ্যাত ফুল মুন পার্টির কারণে সারা বিশ্বের পর্যটকেরা ভিড় জমান। তবে পুলিশের আশঙ্কা, অনেক বিদেশি পর্যটক সঠিক ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই সেখানে বিভিন্ন ধরনের মেডিটেশন ও বিকল্প থেরাপির কর্মশালা চালাচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোতে লটারির মাধ্যমে ভোটারদের ১০ লাখ ডলার করে বিলি করছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। তবে এই কার্যক্রম বেআইনি হতে পারে জানিয়ে তাঁকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ (ডিওজে)।
২৪ অক্টোবর ২০২৪
সিরীয়-আমেরিকান ইলাস্ট্রেটর ও ডিজাইনার রামা দুয়াজি সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন নিউইয়র্কের নতুন মেয়র জোহরান মামদানির স্ত্রী হিসেবে। তবে নিজস্ব পরিচয়ে তিনি একজন প্রতিভাবান শিল্পী। তিনি তাঁর কাজের ভেতর দিয়ে নারী, আরব পরিচয়, প্রতিরোধ ও সহমর্মিতার বিষয়গুলোকে গভীরভাবে অনুসন্ধান করেন।
৫ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস শহরে বেড়ে ওঠা এবং দুবাইয়ে পড়াশোনা করা সিরীয়-মার্কিন রামা দুয়াজি চার বছর আগে নিউইয়র্কে যান। তিনি মামদানির নির্বাচনী প্রচারের লোগো থেকে শুরু করে সামগ্রিক নকশা তৈরি করেন; বিশেষ করে, উজ্জ্বল হলুদ, কমলা ও নীল রঙের ব্র্যান্ডিং, যা পরে তাঁদের তৃণমূল আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী আজ বুধবার তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত ‘এইচ বোমা’ ফেলেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, গত বছরের হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ে আলোচনায় এসেছেন জোহরান মামদানি। তবে তাঁর এই সাফল্যের নেপথ্যে ছিলেন স্ত্রী রামা দুয়াজি, যিনি নীরবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন পুরো প্রচার অভিযানে।
ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট মামদানির নির্বাচনী প্রচারের স্বতন্ত্র চেহারা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর উপস্থিতি গড়ে তোলার পেছনে ২৮ বছর বয়সী এই শিল্পীর অবদানই সবচেয়ে বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস শহরে বেড়ে ওঠা ও দুবাইয়ে পড়াশোনা করা সিরীয়-মার্কিন রামা দুয়াজি চার বছর আগে নিউইয়র্কে যান। তিনি মামদানির নির্বাচনী প্রচারের লোগো থেকে শুরু করে সামগ্রিক নকশা তৈরি করেন; বিশেষ করে, উজ্জ্বল হলুদ, কমলা ও নীল রঙের ব্র্যান্ডিং, যা পরে তাঁদের তৃণমূল আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠে।
নির্বাচনের আগপর্যন্ত দুয়াজি কোনো বিতর্কসভা বা প্রচার সমাবেশে অংশ নেননি এবং অনলাইনে খুব কমই প্রচারণা-সম্পর্কিত কিছু শেয়ার করেছেন। ব্যতিক্রম ছিল কেবল জুন মাস। সে সময় মামদানির অপ্রত্যাশিত প্রাইমারি জয়ের পর ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছিলেন, ‘এরচেয়ে বেশি গর্বিত হওয়া সম্ভব নয়।’
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের দিন সকালে ভোট দেওয়ার সময় মামদানির সঙ্গে ছিলেন দুয়াজি। পরে দ্য ডেইলি শোতে তাঁকে মেয়র প্রার্থীর পাশে দেখা যায়।
এ ছাড়া কুইন্সের ফরেস্ট হিলস স্টেডিয়ামে ১০ হাজারের বেশি সমর্থকের ভিড়ে দুয়াজিকে দেখা গেছে; যেখানে ডেমোক্র্যাট নেতা আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্তেজ ও সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের সঙ্গে শেষ নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য দেন মামদানি।
মামদানি ও দুয়াজির পরিচয় ২০২১ সালে ডেটিং অ্যাপ হিঞ্জ-এ। সে বছর নিউইয়র্ক রাজ্য পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন মামদানি। তাঁদের প্রথম দেখা হয়েছিল ব্রুকলিনে—ইয়েমেনি ক্যাফে ‘কাহওয়া হাউসে’।
২০২৪ সালের অক্টোবরে মেয়র পদে প্রার্থিতা ঘোষণার ঠিক আগে তাঁরা বাগদান করেন। পরে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে লোয়ার ম্যানহাটনে তাঁদের বিয়ে হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ে আলোচনায় এসেছেন জোহরান মামদানি। তবে তাঁর এই সাফল্যের নেপথ্যে ছিলেন স্ত্রী রামা দুয়াজি, যিনি নীরবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন পুরো প্রচার অভিযানে।
ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট মামদানির নির্বাচনী প্রচারের স্বতন্ত্র চেহারা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর উপস্থিতি গড়ে তোলার পেছনে ২৮ বছর বয়সী এই শিল্পীর অবদানই সবচেয়ে বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস শহরে বেড়ে ওঠা ও দুবাইয়ে পড়াশোনা করা সিরীয়-মার্কিন রামা দুয়াজি চার বছর আগে নিউইয়র্কে যান। তিনি মামদানির নির্বাচনী প্রচারের লোগো থেকে শুরু করে সামগ্রিক নকশা তৈরি করেন; বিশেষ করে, উজ্জ্বল হলুদ, কমলা ও নীল রঙের ব্র্যান্ডিং, যা পরে তাঁদের তৃণমূল আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠে।
নির্বাচনের আগপর্যন্ত দুয়াজি কোনো বিতর্কসভা বা প্রচার সমাবেশে অংশ নেননি এবং অনলাইনে খুব কমই প্রচারণা-সম্পর্কিত কিছু শেয়ার করেছেন। ব্যতিক্রম ছিল কেবল জুন মাস। সে সময় মামদানির অপ্রত্যাশিত প্রাইমারি জয়ের পর ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছিলেন, ‘এরচেয়ে বেশি গর্বিত হওয়া সম্ভব নয়।’
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনের দিন সকালে ভোট দেওয়ার সময় মামদানির সঙ্গে ছিলেন দুয়াজি। পরে দ্য ডেইলি শোতে তাঁকে মেয়র প্রার্থীর পাশে দেখা যায়।
এ ছাড়া কুইন্সের ফরেস্ট হিলস স্টেডিয়ামে ১০ হাজারের বেশি সমর্থকের ভিড়ে দুয়াজিকে দেখা গেছে; যেখানে ডেমোক্র্যাট নেতা আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্তেজ ও সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের সঙ্গে শেষ নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য দেন মামদানি।
মামদানি ও দুয়াজির পরিচয় ২০২১ সালে ডেটিং অ্যাপ হিঞ্জ-এ। সে বছর নিউইয়র্ক রাজ্য পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন মামদানি। তাঁদের প্রথম দেখা হয়েছিল ব্রুকলিনে—ইয়েমেনি ক্যাফে ‘কাহওয়া হাউসে’।
২০২৪ সালের অক্টোবরে মেয়র পদে প্রার্থিতা ঘোষণার ঠিক আগে তাঁরা বাগদান করেন। পরে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে লোয়ার ম্যানহাটনে তাঁদের বিয়ে হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোতে লটারির মাধ্যমে ভোটারদের ১০ লাখ ডলার করে বিলি করছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। তবে এই কার্যক্রম বেআইনি হতে পারে জানিয়ে তাঁকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ (ডিওজে)।
২৪ অক্টোবর ২০২৪
সিরীয়-আমেরিকান ইলাস্ট্রেটর ও ডিজাইনার রামা দুয়াজি সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন নিউইয়র্কের নতুন মেয়র জোহরান মামদানির স্ত্রী হিসেবে। তবে নিজস্ব পরিচয়ে তিনি একজন প্রতিভাবান শিল্পী। তিনি তাঁর কাজের ভেতর দিয়ে নারী, আরব পরিচয়, প্রতিরোধ ও সহমর্মিতার বিষয়গুলোকে গভীরভাবে অনুসন্ধান করেন।
৫ মিনিট আগে
থাইল্যান্ডের জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ কোহ ফাঙ্গানে ‘সেক্স যোগা’ বা তান্ত্রিক যোগচর্চা শেখানোর অভিযোগে এক ব্রিটিশ নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মারিয়া শেচেতিনিনা নামে ৪০ বছর বয়সী ওই নারী নিজেকে ‘তান্ত্রিক আধ্যাত্মিকতা ও পবিত্র যৌনতার’ শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী আজ বুধবার তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত ‘এইচ বোমা’ ফেলেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, গত বছরের হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী আজ বুধবার তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত ‘এইচ বোমা’ ফেলেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, গত বছরের হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে। তাঁর দাবি, হরিয়ানায় মোট ২ কোটি ভোটারের মধ্যে ২৫ লাখ ভোট চুরি হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি আটজন ভোটারের একজন ভুয়া, যা মোট ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ। তবে এখানেই শেষ নয়। রাহুল দেখিয়েছেন, ব্রাজিলীয় এক মডেল হরিয়ানা নির্বাচনে ২২ বার ভোট দিয়েছেন।
রাহুল গান্ধী বলেন, নির্বাচনের পর বহু কংগ্রেস প্রার্থী তাঁকে জানিয়েছেন—কিছু একটা গড়বড় হয়েছে। সব এক্সিট পোল অর্থাৎ বুথফেরত জরিপে কংগ্রেসের জয়ের পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু ফল এল উল্টো। জিতল বিজেপি। তিনি সাংবাদিকদের সামনে বিজেপি নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনির একটি ভিডিও দেখান। সেখানে নির্বাচনের ফল ঘোষণার দুই দিন আগে সাইনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘ব্যবস্থা হয়ে গেছে, বিজেপি জিতছে।’
রাহুল গান্ধীর প্রশ্ন, ‘এই ব্যবস্থা বলতে কী বোঝানো হয়েছিল? তখন সব দলই বলছিল কংগ্রেস বিপুল ব্যবধানে জিতছে, অথচ তিনি নিশ্চিন্ত মুখে বলছেন বিজেপি জয়ী।’ তিনি আরও বলেন, হরিয়ানার ইতিহাসে এই প্রথমবার ডাকযোগে ভোটের ফল বুথের ভোটের বিপরীত এসেছে। তিনি বলেন, ‘আমি ভারতের নির্বাচন কমিশন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্ন করছি, শতভাগ প্রমাণসহ। আমরা নিশ্চিত, কংগ্রেসের বিজয়কে পরাজয়ে পরিণত করতে একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছিল।’
তাঁর দাবি, কংগ্রেস আটটি আসনে খুব সামান্য ব্যবধানে হেরেছে। এর মধ্যে একটি আসনে মাত্র ৩২ ভোটে। সব মিলিয়ে ব্যবধান দাঁড়ায় ২২ হাজার ৭৭৯ ভোট। তিনি বলেন, ‘অর্থাৎ পুরো হরিয়ানা নির্বাচন কংগ্রেস ২২ হাজার ৭৭৯ ভোটে হেরেছে।’
গান্ধী উদাহরণ হিসেবে দেখান, ভোটার তালিকায় এক নারীর ছবি ২২ বার ব্যবহার করা হয়েছে। ওই নারীর ছবিটি আসলে এক ব্রাজিলীয় মডেলের, যা একটি স্টক ফটো ওয়েবসাইট থেকে বিনা মূল্যে ডাউনলোড করা যায়। তিনি বলেন, ওই মডেলের ছবি বিভিন্ন নামে তালিকাভুক্ত। যেমন, ‘সুইটি, সীমা, সরস্বতী’ ইত্যাদি। তিনি বলেন, ‘এই নারী ১০টি ভিন্ন বুথে ভোট দিতে পারেন। মানে, এটা কোনো এলোমেলো ভুল নয়, বরং একটি কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত অপারেশন।’
তিনি আরও জানান, একটি আসনে ১০০টি ভোটার আইডিতে একই নারীর ছবি পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘এই নারী চাইলে ১০০ বার ভোট দিতে পারেন। এর মাধ্যমে ভোটার তালিকায় এমন জায়গা তৈরি করা হয় যাতে বিজেপির লোকজন অন্য রাজ্য থেকে এসে ভোট দিতে পারে।’
আরেক নারীর ছবিও তিনি দেখান, যা ২২৩ বার ব্যবহার হয়েছে দুটি বুথের ভোটার তালিকায়। তাঁর অভিযোগ, ‘এই কারণেই নির্বাচন কমিশন বুথের সিসিটিভি ফুটেজ ধ্বংস করে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের পক্ষে চাইলে এক সেকেন্ডেই ভুয়া ভোটার শনাক্ত করা সম্ভব। তাহলে কেন তারা করে না? কারণ, তারা বিজেপিকে সাহায্য করছে।’ এরপর তিনি একই ছবি কিন্তু ভিন্ন নামসহ ভোটার আইডির আরও কিছু উদাহরণ দেখান। তাঁর দাবি, নির্বাচনের আগে হরিয়ানার ভোটার তালিকা থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার নাম মুছে ফেলা হয়েছিল।

ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী আজ বুধবার তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত ‘এইচ বোমা’ ফেলেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, গত বছরের হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে। তাঁর দাবি, হরিয়ানায় মোট ২ কোটি ভোটারের মধ্যে ২৫ লাখ ভোট চুরি হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি আটজন ভোটারের একজন ভুয়া, যা মোট ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ। তবে এখানেই শেষ নয়। রাহুল দেখিয়েছেন, ব্রাজিলীয় এক মডেল হরিয়ানা নির্বাচনে ২২ বার ভোট দিয়েছেন।
রাহুল গান্ধী বলেন, নির্বাচনের পর বহু কংগ্রেস প্রার্থী তাঁকে জানিয়েছেন—কিছু একটা গড়বড় হয়েছে। সব এক্সিট পোল অর্থাৎ বুথফেরত জরিপে কংগ্রেসের জয়ের পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু ফল এল উল্টো। জিতল বিজেপি। তিনি সাংবাদিকদের সামনে বিজেপি নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনির একটি ভিডিও দেখান। সেখানে নির্বাচনের ফল ঘোষণার দুই দিন আগে সাইনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘ব্যবস্থা হয়ে গেছে, বিজেপি জিতছে।’
রাহুল গান্ধীর প্রশ্ন, ‘এই ব্যবস্থা বলতে কী বোঝানো হয়েছিল? তখন সব দলই বলছিল কংগ্রেস বিপুল ব্যবধানে জিতছে, অথচ তিনি নিশ্চিন্ত মুখে বলছেন বিজেপি জয়ী।’ তিনি আরও বলেন, হরিয়ানার ইতিহাসে এই প্রথমবার ডাকযোগে ভোটের ফল বুথের ভোটের বিপরীত এসেছে। তিনি বলেন, ‘আমি ভারতের নির্বাচন কমিশন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্ন করছি, শতভাগ প্রমাণসহ। আমরা নিশ্চিত, কংগ্রেসের বিজয়কে পরাজয়ে পরিণত করতে একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছিল।’
তাঁর দাবি, কংগ্রেস আটটি আসনে খুব সামান্য ব্যবধানে হেরেছে। এর মধ্যে একটি আসনে মাত্র ৩২ ভোটে। সব মিলিয়ে ব্যবধান দাঁড়ায় ২২ হাজার ৭৭৯ ভোট। তিনি বলেন, ‘অর্থাৎ পুরো হরিয়ানা নির্বাচন কংগ্রেস ২২ হাজার ৭৭৯ ভোটে হেরেছে।’
গান্ধী উদাহরণ হিসেবে দেখান, ভোটার তালিকায় এক নারীর ছবি ২২ বার ব্যবহার করা হয়েছে। ওই নারীর ছবিটি আসলে এক ব্রাজিলীয় মডেলের, যা একটি স্টক ফটো ওয়েবসাইট থেকে বিনা মূল্যে ডাউনলোড করা যায়। তিনি বলেন, ওই মডেলের ছবি বিভিন্ন নামে তালিকাভুক্ত। যেমন, ‘সুইটি, সীমা, সরস্বতী’ ইত্যাদি। তিনি বলেন, ‘এই নারী ১০টি ভিন্ন বুথে ভোট দিতে পারেন। মানে, এটা কোনো এলোমেলো ভুল নয়, বরং একটি কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত অপারেশন।’
তিনি আরও জানান, একটি আসনে ১০০টি ভোটার আইডিতে একই নারীর ছবি পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘এই নারী চাইলে ১০০ বার ভোট দিতে পারেন। এর মাধ্যমে ভোটার তালিকায় এমন জায়গা তৈরি করা হয় যাতে বিজেপির লোকজন অন্য রাজ্য থেকে এসে ভোট দিতে পারে।’
আরেক নারীর ছবিও তিনি দেখান, যা ২২৩ বার ব্যবহার হয়েছে দুটি বুথের ভোটার তালিকায়। তাঁর অভিযোগ, ‘এই কারণেই নির্বাচন কমিশন বুথের সিসিটিভি ফুটেজ ধ্বংস করে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের পক্ষে চাইলে এক সেকেন্ডেই ভুয়া ভোটার শনাক্ত করা সম্ভব। তাহলে কেন তারা করে না? কারণ, তারা বিজেপিকে সাহায্য করছে।’ এরপর তিনি একই ছবি কিন্তু ভিন্ন নামসহ ভোটার আইডির আরও কিছু উদাহরণ দেখান। তাঁর দাবি, নির্বাচনের আগে হরিয়ানার ভোটার তালিকা থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার নাম মুছে ফেলা হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলোতে লটারির মাধ্যমে ভোটারদের ১০ লাখ ডলার করে বিলি করছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। তবে এই কার্যক্রম বেআইনি হতে পারে জানিয়ে তাঁকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ (ডিওজে)।
২৪ অক্টোবর ২০২৪
সিরীয়-আমেরিকান ইলাস্ট্রেটর ও ডিজাইনার রামা দুয়াজি সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন নিউইয়র্কের নতুন মেয়র জোহরান মামদানির স্ত্রী হিসেবে। তবে নিজস্ব পরিচয়ে তিনি একজন প্রতিভাবান শিল্পী। তিনি তাঁর কাজের ভেতর দিয়ে নারী, আরব পরিচয়, প্রতিরোধ ও সহমর্মিতার বিষয়গুলোকে গভীরভাবে অনুসন্ধান করেন।
৫ মিনিট আগে
থাইল্যান্ডের জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ কোহ ফাঙ্গানে ‘সেক্স যোগা’ বা তান্ত্রিক যোগচর্চা শেখানোর অভিযোগে এক ব্রিটিশ নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মারিয়া শেচেতিনিনা নামে ৪০ বছর বয়সী ওই নারী নিজেকে ‘তান্ত্রিক আধ্যাত্মিকতা ও পবিত্র যৌনতার’ শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস শহরে বেড়ে ওঠা এবং দুবাইয়ে পড়াশোনা করা সিরীয়-মার্কিন রামা দুয়াজি চার বছর আগে নিউইয়র্কে যান। তিনি মামদানির নির্বাচনী প্রচারের লোগো থেকে শুরু করে সামগ্রিক নকশা তৈরি করেন; বিশেষ করে, উজ্জ্বল হলুদ, কমলা ও নীল রঙের ব্র্যান্ডিং, যা পরে তাঁদের তৃণমূল আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগে