Ajker Patrika

শত শত ক্যাফে বন্ধ করছে স্টারবাকস, বড় ছাঁটাইয়ের ঘোষণা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সিএনএন
ছবি: সিএনএন

ব্যবসার সংকট কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে কফি জায়ান্ট স্টারবাকস। কোম্পানিটি ঘোষণা দিয়েছে, তাদের কয়েক শ ক্যাফে বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং সদর দপ্তরে নতুন করে ছাঁটাই করা হবে। এসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সিইও ব্রায়ান নিকোলের নেতৃত্বে। মূলত এই চেইন ক্যাফেকে পুনরুজ্জীবিত করতেই তিনি বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিকোল জানান, চলতি মাসেই তাঁদের শত শত স্টোর বন্ধ হবে। যদিও এই সংখ্যাটি তাঁদের মোট স্টোরের মাত্র ১ শতাংশ। গত জুন মাস শেষে উত্তর আমেরিকায় স্টারবাকসের স্টোর সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ৭৩৪। সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যা নেমে হবে ১৮ হাজার ৩০০। কোম্পানির ধারণা, এই পুনর্গঠনে তাদের প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে।

কর্মীদের উদ্দেশে এক চিঠিতে নিকোল লেখেন, স্টোরগুলোর অবস্থান ও কার্যকারিতা পর্যালোচনা করেছে কোম্পানি। যেসব দোকান প্রত্যাশিত পরিবেশ বা আর্থিক সাফল্যের সম্ভাবনা তৈরি করতে ব্যর্থ, সেগুলোই বন্ধ করা হচ্ছে।

নিকোল স্বীকার করেছেন—এই সিদ্ধান্ত তাঁদের কর্মী ও গ্রাহক উভয়ের ওপরই প্রভাব ফেলবে।

এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, স্টারবাকস সাধারণত কম পারফরম্যান্সের কারণে কিছু স্টোর বন্ধ করে থাকে। তবে নিকোল বলেছেন, এবারের পদক্ষেপ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে তিনি জানান, স্টোরগুলো শুধু বন্ধই হবে না, বরং ১ হাজারটির বেশি দোকান নতুনভাবে সংস্কার করা হবে। নতুন সাজে আসবে আরামদায়ক চেয়ার, বেশি চার্জিং পয়েন্ট ও উষ্ণ রঙের ব্যবহার।

এ ছাড়া নতুন করে ৯০০ করপোরেট কর্মী ছাঁটাই করা হবে। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ১ হাজার কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের উদার ক্ষতিপূরণ ও সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বহু খালি পদও বাতিল করা হবে।

নিকোল লিখেছেন, ‘আমি জানি এই সিদ্ধান্ত আমাদের কর্মী ও তাঁদের পরিবারের ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে। তবে একটি শক্তিশালী, টেকসই ও ভবিষ্যৎমুখী স্টারবাকস গড়ে তুলতে এগুলো প্রয়োজন।’

উল্লেখ্য, প্রায় এক বছর আগে দায়িত্ব নেওয়ার পর নিকোল মেন্যু থেকে ৩০ শতাংশ আইটেম বাদ দেন এবং নতুন কিছু ট্রেন্ডি খাবার ও পানীয় যুক্ত করেন। পাশাপাশি নতুন পেস্ট্রি, কফি কাপের ডিজাইন এবং ‘স্টারবাকস কফি কোম্পানি’ নামে নতুন ব্র্যান্ডিং চালু করেন।

তবে সব পরিবর্তন ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পায়নি। কোম্পানিটির নতুন ইউনিফর্ম নীতির কারণে মামলাও হয়েছে। আবার কিছু জটিল পানীয় কর্মীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। শেয়ারমূল্যও গত এক বছরে প্রায় ১২ শতাংশ কমেছে। তবুও নিকোল আশাবাদী, এসব পদক্ষেপ দীর্ঘ মেয়াদে কোম্পানিকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত