ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউস সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার যুদ্ধবিরোধী ‘রেড লাইন’ শীর্ষক এ কর্মসূচিতে অংশ নেয় কয়েক হাজার মানুষ। তাদের অনেকের হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা।
বিক্ষোভকারীদের হাতে থাকা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘যুদ্ধ থামাও, গণহত্যা বন্ধ করো’, ‘ইসরায়েলে মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধ করো’ ইত্যাদি। এ সময় গাজায় গণহত্যা সত্ত্বেও ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নমনীয় আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা। জো বাইডেন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে খুনি হিসেবে আখ্যায়িত করে বিক্ষোভকারীরা। ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত ফিলিস্তিনিদের নাম লেখা দীর্ঘ ব্যানার বহন করে অনেকে। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে এদিন পুরো হোয়াইট হাউস এলাকার নিরাপত্তা জোরদারের পদক্ষেপ নেয় কর্তৃপক্ষ।
গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরে ‘রেড লাইন’ বা চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করেনি ইসরায়েল। হোয়াইট হাউসের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা। ভার্জিনিয়া থেকে আসা জায়েদ মাহদাবি (২৫) বলেন, ‘বাইডেনের কোনো কথাই আর আমি বিশ্বাস করি না। রেড লাইনের বিষয়টি তাঁর ভণ্ডামি ও কাপুরুষতা।’
এনবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় সবার পরনে ছিল লাল রঙের পোশাক। তাঁরা বলছিলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের রেড লাইন মিথ্যা এবং শিশুদের ওপর বোমা হামলা চালানো কখনো আত্মরক্ষা হতে পারে না। এই গণহত্যা লুকানোর সুযোগ নেই, বাইডেন এটি লুকাতে পারবেন না।
রব স্টিফেন্স নামের এক বিক্ষোভকারী তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সিকে জানান, তিনি হলোকাস্টের ভয়াবহতা থেকে বেঁচে যাওয়া এক নারীর সন্তান। ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের হয়ে প্রচারে অংশ নেওয়া স্টিফেন্স ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের দাবি জানান। তিনি বলেন, ইসরায়েলের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র যা করছে, তা ভুল। ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা চালানো হচ্ছে, তা বন্ধ করতে হবে।
মারিয়া লোপেজ-সিলভেরো নামের আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, তিনি চান যুক্তরাষ্ট্র যেন ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে। কেননা, এসব অস্ত্র ব্যবহার করে ফিলিস্তিনে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে।
এদিকে শনিবার হোয়াইট হাউস এলাকায় বিক্ষোভের দিনই গাজা উপত্যকাজুড়ে নতুন করে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। একযোগে স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে চালানো এসব হামলায় নিহত হয়েছে দুই শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে সবচেয়ে জোরালো হামলা চালানো হয়েছে দেইর এল-বালাহ ও নুসেইরাত এলাকায়। এ ছাড়া রাফাহ শহর ও গাজার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকার বিভিন্ন স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গতকাল রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অঞ্চলটিতে ২৮৩ জনকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। একই সময়ে আহত হয়েছে ৮১৪ জন। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৩৭ হাজার ৮৪ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে অন্তত ৮৪ হাজার ৪৯৪ জন।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউস সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার যুদ্ধবিরোধী ‘রেড লাইন’ শীর্ষক এ কর্মসূচিতে অংশ নেয় কয়েক হাজার মানুষ। তাদের অনেকের হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা।
বিক্ষোভকারীদের হাতে থাকা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘যুদ্ধ থামাও, গণহত্যা বন্ধ করো’, ‘ইসরায়েলে মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধ করো’ ইত্যাদি। এ সময় গাজায় গণহত্যা সত্ত্বেও ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নমনীয় আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা। জো বাইডেন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে খুনি হিসেবে আখ্যায়িত করে বিক্ষোভকারীরা। ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত ফিলিস্তিনিদের নাম লেখা দীর্ঘ ব্যানার বহন করে অনেকে। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে এদিন পুরো হোয়াইট হাউস এলাকার নিরাপত্তা জোরদারের পদক্ষেপ নেয় কর্তৃপক্ষ।
গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরে ‘রেড লাইন’ বা চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করেনি ইসরায়েল। হোয়াইট হাউসের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা। ভার্জিনিয়া থেকে আসা জায়েদ মাহদাবি (২৫) বলেন, ‘বাইডেনের কোনো কথাই আর আমি বিশ্বাস করি না। রেড লাইনের বিষয়টি তাঁর ভণ্ডামি ও কাপুরুষতা।’
এনবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় সবার পরনে ছিল লাল রঙের পোশাক। তাঁরা বলছিলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের রেড লাইন মিথ্যা এবং শিশুদের ওপর বোমা হামলা চালানো কখনো আত্মরক্ষা হতে পারে না। এই গণহত্যা লুকানোর সুযোগ নেই, বাইডেন এটি লুকাতে পারবেন না।
রব স্টিফেন্স নামের এক বিক্ষোভকারী তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সিকে জানান, তিনি হলোকাস্টের ভয়াবহতা থেকে বেঁচে যাওয়া এক নারীর সন্তান। ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের হয়ে প্রচারে অংশ নেওয়া স্টিফেন্স ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের দাবি জানান। তিনি বলেন, ইসরায়েলের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র যা করছে, তা ভুল। ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা চালানো হচ্ছে, তা বন্ধ করতে হবে।
মারিয়া লোপেজ-সিলভেরো নামের আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, তিনি চান যুক্তরাষ্ট্র যেন ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে। কেননা, এসব অস্ত্র ব্যবহার করে ফিলিস্তিনে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে।
এদিকে শনিবার হোয়াইট হাউস এলাকায় বিক্ষোভের দিনই গাজা উপত্যকাজুড়ে নতুন করে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। একযোগে স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে চালানো এসব হামলায় নিহত হয়েছে দুই শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে সবচেয়ে জোরালো হামলা চালানো হয়েছে দেইর এল-বালাহ ও নুসেইরাত এলাকায়। এ ছাড়া রাফাহ শহর ও গাজার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকার বিভিন্ন স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গতকাল রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অঞ্চলটিতে ২৮৩ জনকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। একই সময়ে আহত হয়েছে ৮১৪ জন। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৩৭ হাজার ৮৪ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে অন্তত ৮৪ হাজার ৪৯৪ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি আলোচনায় সফল হলে তিনি ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেবেন। তবে শর্ত হলো, এই সমঝোতা যেন রাশিয়া তথা পুতিনের কাছে আত্মসমর্পণের সমান না হয়।
৮ মিনিট আগেআলাস্কায় আজ শুক্রবারের বহুল আলোচিত শীর্ষ বৈঠকের আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমরা আমেরিকার ওপর ভরসা করছি।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি ট্রাম্পের মন্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়ে জানান, আজকের বৈঠক নিঃসন্দেহে উচ্চঝুঁকির এবং এটি ন্যায়সংগত শান্তির পথে একটি
১ ঘণ্টা আগেসিঙ্গাপুরভিত্তিক ধনকুবের ও হোটেল ব্যবসায়ী ওং বেন সেংকে উপহার কেলেঙ্কারির মামলায় ২৩ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার (২৮ লাখ ৪২ হাজার টাকা) জরিমানা করা হয়েছে। গত বছর তিনি সারা দেশকে নাড়া দেওয়া ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেএয়ার ফোর্স ওয়ানে ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, তিনি ইউক্রেনের হয়ে মধ্যস্থতা করতে যাচ্ছেন না, বরং তাঁর লক্ষ্য হলো পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আনা। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে ইউক্রেনের জন্য সমঝোতা করতে আসিনি।’
১ ঘণ্টা আগে