গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হওয়া পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যেসব অনিয়ম সম্পর্কে খবর পাওয়া গেছে, সেসবের সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন এবং ইমরান খান সমর্থিত প্রার্থীদের মধ্যেই হয়েছে মূল লড়াই। দুজনেই আলাদাভাবে নিজেদের জয় দাবি করেছেন। ২৬৫ আসনের মধ্যে ২৫০টির ফলাফলে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ৯৯ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এর মধ্যে ৮৮টি আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থীরা। নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন পেয়েছে ৬৯টি আসন।
এবারের নির্বাচনের আগে ইমরান খান ও তাঁর দলের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। অন্যদিকে, সেনাবাহিনী সমর্থন জুগিয়েছে নওয়াজ শরিফকে।
জাতীয় পরিষদে ২৬৫টি আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য কোনো রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন ১৩৩টি আসন। তবে এখনো পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশ করতে পারেনি পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। ভুয়া বর্জন, কাল্পনিক ব্যালট, ব্লাসফেমিসহ বিভিন্ন ভুল তথ্যে ভরা ছিল এই নির্বাচন। এর সঙ্গে ভোটের ফল ঘোষণায় দেরি হওয়ায় নির্বাচনটি ঘিরে ধরেছে বিতর্ক।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ উভয়ই পাকিস্তানে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছে। তারা বলেছে, কর্মীদের গ্রেপ্তারসহ যে অনিয়ম, হস্তক্ষেপ ও জালিয়াতির অভিযোগগুলো এসেছে তার পূর্ণ তদন্ত হওয়া উচিত।
ইইউ এক বিবৃতিতে বলেছে, নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) ছিল না। সেই সঙ্গে, সমাবেশ ও নির্বাচনী প্রচারণার স্বাধীনতা ও বাক্স্বাধীনতার ঘাটতি দেখা গেছে। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধের কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে ইইউ।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাক্স্বাধীনতা ও সমাবেশের স্বাধীনতার ওপর অযৌক্তিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। একই সঙ্গে সহিংসতা ও গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাও দেখা গেছে।
ডেমোক্রেটিক মার্কিন প্রতিনিধি রো খান্না ও ইলহান ওমরের মতো যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন আইনপ্রণেতাও পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রো খান্না বলেছেন, সেনারা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ এবং ফলাফলে কারচুপি করেছে।
এসব অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে বিজয়ী হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছে অনুরোধ করেছেন রো খান্না ও ইলহান ওমর।
ওয়াশিংটনভিত্তিক নীতিবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, কারচুপির অভিযোগের বিশালতার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর বিবৃতি তুলনামূলক কোমল।
ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বলেছে, তারা পাকিস্তানের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করবে। তবে তারা এখনো কোনো প্রার্থী বা দলকে অভিনন্দন জানায়নি। এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, পাকিস্তানের নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তির অভাব নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হওয়া পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যেসব অনিয়ম সম্পর্কে খবর পাওয়া গেছে, সেসবের সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন এবং ইমরান খান সমর্থিত প্রার্থীদের মধ্যেই হয়েছে মূল লড়াই। দুজনেই আলাদাভাবে নিজেদের জয় দাবি করেছেন। ২৬৫ আসনের মধ্যে ২৫০টির ফলাফলে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ৯৯ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এর মধ্যে ৮৮টি আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থীরা। নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন পেয়েছে ৬৯টি আসন।
এবারের নির্বাচনের আগে ইমরান খান ও তাঁর দলের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। অন্যদিকে, সেনাবাহিনী সমর্থন জুগিয়েছে নওয়াজ শরিফকে।
জাতীয় পরিষদে ২৬৫টি আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য কোনো রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন ১৩৩টি আসন। তবে এখনো পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশ করতে পারেনি পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। ভুয়া বর্জন, কাল্পনিক ব্যালট, ব্লাসফেমিসহ বিভিন্ন ভুল তথ্যে ভরা ছিল এই নির্বাচন। এর সঙ্গে ভোটের ফল ঘোষণায় দেরি হওয়ায় নির্বাচনটি ঘিরে ধরেছে বিতর্ক।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ উভয়ই পাকিস্তানে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছে। তারা বলেছে, কর্মীদের গ্রেপ্তারসহ যে অনিয়ম, হস্তক্ষেপ ও জালিয়াতির অভিযোগগুলো এসেছে তার পূর্ণ তদন্ত হওয়া উচিত।
ইইউ এক বিবৃতিতে বলেছে, নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) ছিল না। সেই সঙ্গে, সমাবেশ ও নির্বাচনী প্রচারণার স্বাধীনতা ও বাক্স্বাধীনতার ঘাটতি দেখা গেছে। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধের কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে ইইউ।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাক্স্বাধীনতা ও সমাবেশের স্বাধীনতার ওপর অযৌক্তিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। একই সঙ্গে সহিংসতা ও গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাও দেখা গেছে।
ডেমোক্রেটিক মার্কিন প্রতিনিধি রো খান্না ও ইলহান ওমরের মতো যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন আইনপ্রণেতাও পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রো খান্না বলেছেন, সেনারা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ এবং ফলাফলে কারচুপি করেছে।
এসব অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে বিজয়ী হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছে অনুরোধ করেছেন রো খান্না ও ইলহান ওমর।
ওয়াশিংটনভিত্তিক নীতিবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, কারচুপির অভিযোগের বিশালতার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর বিবৃতি তুলনামূলক কোমল।
ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বলেছে, তারা পাকিস্তানের পরবর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করবে। তবে তারা এখনো কোনো প্রার্থী বা দলকে অভিনন্দন জানায়নি। এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, পাকিস্তানের নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তির অভাব নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
ভারতের মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে ১১ শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে কাশির সিরাপের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। এই অবস্থায় ওই কাশির সিরাপ ‘কোল্ডরিফ’-এর বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে তামিলনাড়ু সরকার। পাশাপাশি বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৪২ মিনিট আগেসিঙ্গাপুরে অবকাশ যাপনের সময় দুই যৌনকর্মীর মালপত্র ছিনিয়ে নেওয়া ও হামলার অভিযোগে দুই ভারতীয় যুবক কঠোর সাজার মুখে পড়েছেন। গতকাল শুক্রবার দেশটির আদালত তাঁদের প্রত্যেককে পাঁচ বছর এক মাসের কারাদণ্ড এবং ১২টি বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেএই প্রশাসন ইসরায়েল, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। ইসরায়েলি সরকারের সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির দৈনিক হারেৎজ বলছে, পরিকল্পনাটি হোয়াইট হাউসেরও সমর্থন পেয়েছে। খসড়া অনুসারে, জিআইটিএ দায়িত্বে থাকবে একটি আন্তর্জাতিক বোর্ড। এই বোর্ডের হাতে থাকবে ‘অন্তর্বর্তী সময়ে গাজা শাসনের সর্বোচ্চ...
১ ঘণ্টা আগেভারত মহাসাগরে অবস্থিত আফ্রিকার দেশ মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রাজোয়েলিনা তাঁর পদত্যাগের দাবিতে দেশজুড়ে চলা জেন–জেড আন্দোলনের ডাক উপেক্ষা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না। তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করছে।
২ ঘণ্টা আগে