Ajker Patrika

জিম্মিদের মরদেহ উদ্ধারে হিমশিম হামাস, গাজার ‘বাস্তবতা বদলানোর’ হুমকি ইসরায়েলের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ২৩
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত একটি এলাকা। ছবি: আনাদোলু
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত একটি এলাকা। ছবি: আনাদোলু

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভাঙার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। এদিকে হামাস জানিয়েছ—বিশেষ সরঞ্জাম ছাড়া তারা আর কোনো নিহত ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিতে পারবে না। এরপরই এমন হুঁশিয়ারি দেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল বুধবার রাতে হামাস আরও দুই ইসরায়েলির মরদেহ ফেরত দিয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৯ নিহত জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলের হাতে ফিরেছে। ইসরায়েলের দাবি, হামাস যে আরও একটি মরদেহ ফেরত দিয়েছে, তা কোনো ইসরায়েলি জিম্মির নয়।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজা থেকে মিসরের রাফা সীমান্ত পারাপারটি আজ বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে ‘পরবর্তী কোনো সময়ে’ খোলা হবে। জাতিসংঘ ও মানবিক সংস্থাগুলো এ পথকে গাজায় সাহায্য পৌঁছানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা কোগাতের এক মুখপাত্র জানান, রাফা ক্রসিং দিয়ে ভবিষ্যতেও কোনো মানবিক সহায়তা যেতে দেওয়া হবে না, তবে সীমিত ব্যক্তিগত পারাপার চলবে।

ওই মুখপাত্র বলেন, রাফা সীমান্ত দিয়ে কোনো মানবিক সাহায্য পাঠানোর বিষয়ে কখনো কোনো সমঝোতা হয়নি। গাজায় সাহায্য এখনো প্রবেশ করছে অন্য পথ দিয়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনায় গাজায় ‘সম্পূর্ণ মানবিক সহায়তা’ নিশ্চিত করা ও সব জিম্মিকে—জীবিত বা মৃত—ফেরত আনার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত। আঞ্চলিক কূটনীতিকেরা দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রথম দিকের দিনগুলো ‘উত্তেজনাপূর্ণ’ ও ‘সংবেদনশীল’ হবে। জিম্মিদের মরদেহ ফেরত ও সাহায্য প্রবেশের মতো বিষয়গুলোই প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকবে। ট্রাম্পের পরিকল্পনার অনেক জটিল অংশ নিয়ে এখনো বিস্তারিত আলোচনা হয়নি।

ইসরায়েল ২৮ জন নিহত জিম্মির মরদেহ ফেরত পাওয়ার আশা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকেরা জানিয়েছেন, হামাস এখনো বাকি মরদেহগুলো উদ্ধারের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে বিষয়টিতে আস্থা রাখছে না ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, যদি হামাস চুক্তির শর্ত না মানে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে ইসরায়েল আবার যুদ্ধ শুরু করবে এবং হামাসকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করে গাজার বাস্তবতা পরিবর্তন করবে।

অন্যদিকে হামাসের সামরিক শাখা আল-ক্বাসাম ব্রিগেড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা আমাদের হেফাজতে থাকা সব জীবিত ইসরায়েলি বন্দী ও যেসব মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল, সেগুলো ফেরত দিয়েছি। বাকি মরদেহগুলো উদ্ধারে বিশেষ সরঞ্জাম ও ব্যাপক প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’

চুক্তির আওতায় ইসরায়েলকে ৩৬০ জন ফিলিস্তিনির মরদেহও ফেরত দিতে হবে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৯০টি মরদেহ ফেরত দিয়েছে ইসরায়েল। স্থানীয় চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, অনেক মরদেহেই নির্যাতন ও গুলির চিহ্ন রয়েছে।

গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান আহমেদ আল-ফাররা বলেন, প্রায় সব মরদেহেই চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল, হাত বাঁধা ছিল এবং কপালে গুলি করা হয়েছে। প্রায় সবাইকে যেন সরাসরি গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া নিয়ে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে, যা যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে নতুন করে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে হামাস এখন পর্যন্ত ২০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। এর বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১ হাজার ৭০০ জন গাজা থেকে আটক হয়েছিলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই আনা হয়নি।

হামাসের ওপর চাপ বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, হামাস যদি চুক্তির শর্ত না মানে, তাহলে তিনি ইসরায়েলকে পুনরায় গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করার অনুমতি দিতে পারেন। ট্রাম্প সিএনএনকে ফোনে বলেন, ‘ইসরায়েল আমার নির্দেশ পেলে আবার রাস্তায় নামবে। তারা চাইলে এক মুহূর্তেই হামাসকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে।’

কাৎজের হুমকির পর গতকাল বুধবার রাতে এক মার্কিন উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানান, গাজা এখন এমনভাবে ‘ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে’ যে, মরদেহ উদ্ধারে অনেক বাধা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘শুধু চারটি মরদেহ ফেরত আসায় অনেক ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি হয়েছিল। তবু তারা পরদিনই আরও মরদেহ ফেরত দিয়েছে, যত দ্রুত আমরা তাদের গোয়েন্দা তথ্য দিয়েছি। আমরা এখন এমন একটি পরিকল্পনা বিবেচনা করছি, যেখানে মরদেহ উদ্ধারকারীদের পুরস্কৃত করা হবে।’

এদিকে মধ্যস্থতাকারী দেশ তুরস্কের গাজায় মরদেহ উদ্ধারে বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোদির গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া সব মন্ত্রীর পদত্যাগ

ভাইকে ১১১ কোটি টাকার বাংলো তাহলে এ কারণেই দিয়েছেন কোহলি

চট্টগ্রামে অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ২৩ ইউনিট

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা

তৃতীয় দফায় বাড়ল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিছানাভর্তি টাকা, বিলাসবহুল গাড়ি ও সোনাদানা মিলল পুলিশ কর্মকর্তার ঘরে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: এনডিটিভির সৌজন্যে
ছবি: এনডিটিভির সৌজন্যে

ভারতের পাঞ্জাবে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে রোপার রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) হরচরণ সিং ভাল্লার নামের ওই আইপিএস কর্মকর্তাকে আটক করে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে বিপুল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, বিলাসবহুল গাড়ি, দামি ঘড়ি ও বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সিবিআইয়ের বিজ্ঞপ্তির বরাতে জানিয়েছে, ভাল্লার একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মামলা নিষ্পত্তির কথা বলে ঘুষ দাবি করেন। তিনি কৃষ্ণা নামের এক মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে এ টাকা চেয়েছিলেন।

পাঞ্জাবের ফতেহগড় সাহিবের আকাশ বাট্টা নামের এক ব্যবসায়ী পাঁচ দিন আগে সিবিআইয়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি বলেন, ডিআইজি ভাল্লার তাঁকে ব্যবসাসংক্রান্ত একটি ভুয়া মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে ৮ লাখ রুপি দাবি করেছেন। সে সঙ্গে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকাও দাবি করেন ভাল্লার।

সিবিআইয়ের এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, ভাল্লার নির্দেশ দেন ঘুষের টাকা যেন তাঁর সহযোগী কৃষ্ণার মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়। তদন্তকারীরা ফোনের কথোপকথনও রেকর্ড করেন। সেখানে কৃষ্ণাকে বলতে শোনা যায়—‘আগস্টের টাকা আসেনি, সেপ্টেম্বরের টাকাও আসেনি।’

এই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শেষে সিবিআই চণ্ডীগড়ের সেক্টর-২১ এলাকায় একটি ফাঁদ পাতে। সেখানে কৃষ্ণাকে ৮ লাখ রুপি ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে সিবিআই। পরে ফোনকলে ডিআইজি ভাল্লার দুজনকে তাঁর অফিসে আসার নির্দেশ দেন। এর পরপরই সিবিআই দল মোহালিতে গিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারের পর সিবিআই ভাল্লারের রোপার, মোহালি ও চণ্ডীগড়ে অবস্থিত বিভিন্ন বাসভবনে তল্লাশি চালায়। সেখানে তাঁর বিছানায় পাওয়া যায় প্রায় ৫ কোটি রুপি নগদ অর্থ, ১ দশমিক ৫ কেজি স্বর্ণ ও অলংকার, পাঞ্জাবজুড়ে একাধিক স্থাবর সম্পত্তির দলিল, মার্সিডিজ ও অডি গাড়ির চাবি, ২২টি বিলাসবহুল হাতঘড়ি, লকারের চাবি ও ৪০ লিটার আমদানি করা মদ। এ ছাড়া ডাবল ব্যারেল বন্দুক, পিস্তল, রিভলবার, এয়ারগানসহ অস্ত্রভান্ডার।

অন্যদিকে কৃষ্ণার বাড়ি থেকে অতিরিক্ত ২১ লাখ রুপি উদ্ধার করা হয়েছে।

সিবিআই জানিয়েছে, দুজনকেই আগামীকাল শুক্রবার আদালতে তোলা হবে। তদন্তকারীরা এখন সম্পদের পূর্ণ উৎস ও সম্ভাব্য মানি লন্ডারিংয়ের যোগসূত্র খুঁজে দেখছেন।

২০০৯ ব্যাচের এই আইপিএস কর্মকর্তা এর আগে পাটিয়ালা রেঞ্জের ডিআইজি, ভিজিল্যান্স ব্যুরোর জয়েন্ট ডিরেক্টর এবং মোহালি, সাঙ্গরুর, খান্না, হোশিয়ারপুর, ফতেহগড় সাহিব ও গুরদাসপুরে এসএসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০২১ সালে হরচরণ সিং ভাল্লার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন একটি বিশেষ তদন্তকারী দলের (এসআইটি)। দলটি শিরোমণি আকালি দলের (এসএডি) নেতা বিক্রম সিং মজিঠিয়ার বিরুদ্ধে হাইপ্রোফাইল মাদক পাচার মামলা তদন্ত করেছিল। তিনি রাজ্য সরকারের ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ নামে একটি অভিযানেরও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ছিলেন।

২০২৪ সালের নভেম্বরে হরচরণ সিং ভাল্লার রোপার রেঞ্জের ডিআইজি পদে যোগ দেন। তিনি মোহালি, রূপনগর ও ফতেহগড় সাহিব জেলার দায়িত্বে ছিলেন। ভাল্লার পাঞ্জাবের সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিজিপি) এম এস ভাল্লারের ছেলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোদির গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া সব মন্ত্রীর পদত্যাগ

ভাইকে ১১১ কোটি টাকার বাংলো তাহলে এ কারণেই দিয়েছেন কোহলি

চট্টগ্রামে অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ২৩ ইউনিট

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা

তৃতীয় দফায় বাড়ল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতে মারা যাওয়া ওডিঙ্গার মরদেহ দেখতে গিয়ে কেনিয়ায় নিহত ৪

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
কেনিয়ার নাইরোবিতে সমর্থক বেষ্টিত অবস্থায় ওডিঙ্গার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স
কেনিয়ার নাইরোবিতে সমর্থক বেষ্টিত অবস্থায় ওডিঙ্গার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স

ভারতের কেরালায় বুধবার (১৫ অক্টোবর) মারা যান কেনিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গা। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) তাঁর মরদেহ একনজর দেখার জন্য কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অপেক্ষা করছিলেন বিপুলসংখ্যক সমর্থক। তাঁদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালালে অন্তত ৪ জন নিহত হন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

বহু দশক ধরে কেনিয়ার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা বিরোধীদলীয় নেতা রাইলা ওডিঙ্গা বুধবার ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮০ বছর বয়সে মারা যান। তিনি একসময় রাজনৈতিক বন্দী ছিলেন এবং পাঁচবার রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হয়েও জয়ী হতে পারেননি।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হাজারো সমর্থক ওডিঙ্গার মরদেহ দেখার জন্য রাজধানীর প্রধান স্টেডিয়ামে জড়ো হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশাল জনতা একপর্যায়ে স্টেডিয়ামের একটি গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে সেনারা ফাঁকা গুলি চালায়।

এক পুলিশ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, স্টেডিয়ামে অন্তত দুজন গুলিতে নিহত হন। পরে স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল কেটিএন নিউজ ও সিটিজেন টিভি জানায়, মৃতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।

গুলিবর্ষণের পর পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে হাজারো শোকাহতকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর স্টেডিয়ামটি প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়।

এর আগে সকালে ওডিঙ্গার হাজারো শোকাহত সমর্থক নাইরোবির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢুকে পড়েন। এই ঘটনায় বিমানবন্দরের কার্যক্রম দুই ঘণ্টার জন্য স্থগিত রাখতে হয়। কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো ও অন্যান্য কর্মকর্তারা সামরিক সম্মাননার মাধ্যমে ওডিঙ্গার মরদেহ গ্রহণ করেন।

শোকের জোয়ারে রাজধানীর সংলগ্ন সড়ক ও সংসদ ভবনের সামনেও ভিড় জমে। সরকার মূলত সংসদ চত্বরে ওডিঙ্গার মরদেহ প্রদর্শনের পরিকল্পনা করেছিল।

রাইলা ওডিঙ্গা মূলত বিরোধী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত হলেও ২০০৮ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট রুটোর সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতাও করেন।

ওডিঙ্গার জনপ্রিয়তা বিশেষভাবে প্রবল ছিল পশ্চিম কেনিয়ার লুও সম্প্রদায়ের মধ্যে। এই সম্প্রদায়ের অনেকে বিশ্বাস করেন, নির্বাচনে বারবার জালিয়াতির কারণেই ওডিঙ্গা প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি।

ওডিঙ্গা সম্পর্কে নাইরোবির স্টেডিয়ামে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফেলিক্স আম্বানি উনেক বলেন, ‘তিনি নিরলসভাবে বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য লড়েছেন। আমরা আজ যে স্বাধীনতা ভোগ করছি, তা তাঁর সংগ্রামেরই ফল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোদির গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া সব মন্ত্রীর পদত্যাগ

ভাইকে ১১১ কোটি টাকার বাংলো তাহলে এ কারণেই দিয়েছেন কোহলি

চট্টগ্রামে অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ২৩ ইউনিট

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা

তৃতীয় দফায় বাড়ল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ কোটি টন ধ্বংসস্তূপ ও ২০ হাজার অবিস্ফোরিত বোমার নিচে এখন গাজা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ২৩: ৪৯
গাজার আল-জয়তুন এলাকার বর্তমান অবস্থা। ছবি: এপির সৌজন্যে
গাজার আল-জয়তুন এলাকার বর্তমান অবস্থা। ছবি: এপির সৌজন্যে

দুই বছর আগে সাজানো-গোছানো এক শহর ছিল গাজা। এ শহরে ছিল বসবাসের উপযোগী ঘরবাড়ি, বাচ্চাদের জন্য স্কুল, চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল। কিন্তু ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে আধুনিক ইতিহাসের নজিরবিহীন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।

লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে জানিয়েছে, ২০২৫ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত পুরো গাজা উপত্যকায় এখন ৬৫ থেকে ৭০ মিলিয়ন টন ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে। এগুলো মূলত হাজার হাজার বাড়ি, সরকারি ভবন, হাসপাতাল ও অবকাঠামো ধ্বংসের ফল। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ভয়াবহ ধ্বংসাবশেষ গাজাকে পরিণত করেছে এক বিশাল পরিবেশগত ও স্থাপত্যিক বিপর্যয় এলাকায়, যা মানবিক সহায়তা পৌঁছানো ও উদ্ধারকাজ কঠিন করে তুলেছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধ্বংসাবশেষ সরানোর উদ্যোগ ভয়াবহ বাধার মুখে পড়েছে, কারণ ইসরায়েল এখনো ভারী যন্ত্রপাতি ও নির্মাণ সরঞ্জাম গাজায় ঢুকতে দিচ্ছে না। সব সীমান্তও বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা মরদেহ উদ্ধারেও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল।

সম্প্রতি প্রশাসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আইনগত ও নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। অবিলম্বে সীমান্ত উন্মুক্ত করে গাজাজুড়ে ধ্বংসাবশেষ অপসারণে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।

প্রাথমিক জরিপে দেখা গেছে, গাজাজুড়ে প্রায় ২০ হাজার অবিস্ফোরিত বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যেগুলো ইসরায়েলি বাহিনী ফেলে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অস্ত্রগুলো যেকোনো সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে, তাই সেগুলো অপসারণের আগে বিশেষ নিরাপত্তা ও কারিগরি প্রস্তুতি দরকার।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনতে এখন প্রয়োজন একটি পূর্ণাঙ্গ ধ্বংসাবশেষ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, যাতে ধ্বংসস্থলের মানচিত্র তৈরি, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য অপসারণ, পুনর্ব্যবহার ও অস্থায়ী সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকে। এটি ছাড়া পুনর্গঠন বা পুনর্বাসন কার্যত অসম্ভব।

গত সপ্তাহে খান ইউনিস পৌরসভা জানায়, শহরটির ৮৫ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়েছে। প্রায় ৪ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ রাস্তাঘাট ও পাড়ামহল্লা থেকে সরাতে হবে।

পৌর মেয়র সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শহরের ৩০০ কিলোমিটারজুড়ে থাকা পানি সরবরাহের লাইন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার ৭৫ শতাংশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। এতে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উভয়সংকটই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

এ ছাড়া শহরে ৩ লাখ ৫০ হাজার টনেরও বেশি কঠিন বর্জ্য জমে আছে, যা সীমিত সম্পদ ও বিপজ্জনক কর্মপরিবেশের কারণে সরানো সম্ভব হচ্ছে না।

মেয়র জানান, বর্তমানে মাত্র নয়টি পৌর টিম কাজ করছে। তারা শুধু রাস্তা পরিষ্কার ও জরুরি পথ খুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু জ্বালানি সংকটের কারণে তাদের কার্যক্রম যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

মেয়র বলেন, ‘আমাদের এখন জরুরি ভিত্তিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি, ভারী মেশিন ও নতুন জেনারেটর দরকার। কারণ, পুরোনোগুলো হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে।’

গত শনিবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজা সিটি পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্যাটেলাইট চিত্রেও দেখা যাচ্ছে, শহরজুড়ে ব্যাপক ধ্বংসাবশেষ, যা মানবিক সংকট আরও গভীর করেছে।

এদিকে যুদ্ধবিরতির পরেও গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে। আজ সকালে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২২ জনের লাশ ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, তিনজন হাসপাতালে মারা গেছে আর চারজনকে সরাসরি ইসরায়েলি বাহিনী হত্যা করেছে।

ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধার করতে এখনো চরম বিপর্যয়ের মুখে কাজ করছে সিভিল ডিফেন্স ও অ্যাম্বুলেন্স টিমগুলো।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ৯৬৭ জন এবং আহত ১ লাখ ৭০ হাজার ১৭৯ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোদির গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া সব মন্ত্রীর পদত্যাগ

ভাইকে ১১১ কোটি টাকার বাংলো তাহলে এ কারণেই দিয়েছেন কোহলি

চট্টগ্রামে অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ২৩ ইউনিট

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা

তৃতীয় দফায় বাড়ল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারে ক্যানসারের অভিযোগ, ব্রিটেনে তিন হাজার মানুষের মামলা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকান ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’-এর বিরুদ্ধে ব্রিটেনে প্রায় ৩ হাজার ভুক্তভোগী মামলা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, কোম্পানিটি জানত তাদের ট্যালকম পাউডার ক্ষতিকর ‘অ্যাসবাস্টাস’ মিশ্রিত ছিল, যা মারাত্মক ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।

মামলার অন্যতম আবেদনকারী প্যাট্রিসিয়া অ্যাঞ্জেল দাবি করেছেন, ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ এর পাউডার ব্যবহার করার ফলে প্রাণ হারিয়েছেন তাঁর স্বামী এডওয়ার্ড অ্যাঞ্জেল। ২০০৬ সালে ৬৪ বছর বয়সে ‘মেসোথেলিওমা’ নামক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এডওয়ার্ড। এই ক্যানসার সাধারণত অ্যাসবেস্টাসের সংস্পর্শে এলে হয়।

প্যাট্রিসিয়া জানান, তাঁর স্বামী পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন এবং জানতেন অ্যাসবাস্টাস কতটা ক্ষতিকর। তবে তিনি কখনো সরাসরি এই পদার্থের সংস্পর্শে যাননি। প্যাট্রিসিয়া বলেন, ‘সে (স্বামী) প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে গোসল করত এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করত। মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তে তার শরীরে অ্যাসবাস্টাস ফাইবারের উপস্থিতি ধরা পড়ে।’

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, ব্রিটিশ হাই কোর্টে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, কোম্পানিটি ইচ্ছাকৃতভাবে অ্যাসবাস্টাস-দূষিত পাউডার বিক্রি করেছে এবং ঝুঁকির বিষয়টি গোপন রেখেছে। মামলাটি পরিচালনা করছে আইন সংস্থা ‘কেপি ল’। সংস্থাটি দাবি করেছে, জনসন অ্যান্ড জনসন দীর্ঘদিন ধরে সত্য আড়াল করেছে শুধু ব্র্যান্ডের সুনাম ও লাভ রক্ষার জন্য।

মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী মাইকেল রলিনসন কেসি জানিয়েছেন, বিশ্বে এমন কোনো বাণিজ্যিক ট্যালকম খনি প্রায় নেই যা অ্যাসবাস্টাস-মুক্ত এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের সব খনিই দূষিত ছিল। কোম্পানির নিজস্ব গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ থেকেও তারা এই বিষয়ে অবগত ছিল বলে দাবি করা হয়। তারপরও কোম্পানিটি তথ্য গোপন করেছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর প্রভাব খাটিয়েছে এবং এমন গবেষণার তহবিল দিয়েছে যা তাদের পাউডারের ঝুঁকি কমিয়ে দেখিয়েছে।

জ্যানেট ফুশিলো নামে ৭৫ বছর বয়সী অন্য এক আবেদনকারী জানান, তিনি ১৯৬০-এর দশক থেকে এই পাউডার ব্যবহার করেছেন এবং সাত বছর আগে তার ডিম্বাশয় ক্যানসার ধরা পড়ে। তিনি বলেন, ‘আমি ভাবতাম এটি একেবারেই বিশুদ্ধ ও নিরাপদ।’

২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যে জনসন অ্যান্ড জনসন তাদের বেবি পাউডারে ট্যালকের পরিবর্তে কর্ন স্টার্চ ব্যবহার শুরু করে। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি জানায়, অ্যাসবেস্টাসযুক্ত ট্যালক ক্যানসার সৃষ্টি করে—এটি সাধারণভাবে স্বীকৃত। কিন্তু অ্যাসবাস্টাস-মুক্ত ট্যালক কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, সে বিষয়ে গবেষণার ফল মিশ্র।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রেও জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে ৫০ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। পরবর্তীতে এই কোম্পানি ১০ বিলিয়ন ডলারের এক গ্লোবাল সমঝোতা প্রস্তাব দিয়েছিল, যা আদালত বাতিল করেছেন। কোম্পানিটি এখন আবার আদালতের মাধ্যমে লড়াই চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে।

এদিকে ব্রিটেনে এই মামলাটি দেশটিতে সবচেয়ে বড় গ্রুপ অ্যাকশন মামলা হয়ে উঠতে পারে। প্যাট্রিসিয়া অ্যাঞ্জেল বলেন, ‘এডওয়ার্ড (স্বামী) এই পাউডার ব্যবহার করত কারণ আমাদের বলা হয়েছিল এটি একেবারে বিশুদ্ধ। এখন আমরা শুধু ক্ষতিপূরণ নয়, সত্য জানতে চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোদির গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া সব মন্ত্রীর পদত্যাগ

ভাইকে ১১১ কোটি টাকার বাংলো তাহলে এ কারণেই দিয়েছেন কোহলি

চট্টগ্রামে অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ২৩ ইউনিট

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা

তৃতীয় দফায় বাড়ল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত