আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতের পাঞ্জাবে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে রোপার রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) হরচরণ সিং ভাল্লার নামের ওই আইপিএস কর্মকর্তাকে আটক করে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে বিপুল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, বিলাসবহুল গাড়ি, দামি ঘড়ি ও বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সিবিআইয়ের বিজ্ঞপ্তির বরাতে জানিয়েছে, ভাল্লার একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মামলা নিষ্পত্তির কথা বলে ঘুষ দাবি করেন। তিনি কৃষ্ণা নামের এক মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে এ টাকা চেয়েছিলেন।
পাঞ্জাবের ফতেহগড় সাহিবের আকাশ বাট্টা নামের এক ব্যবসায়ী পাঁচ দিন আগে সিবিআইয়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি বলেন, ডিআইজি ভাল্লার তাঁকে ব্যবসাসংক্রান্ত একটি ভুয়া মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে ৮ লাখ রুপি দাবি করেছেন। সে সঙ্গে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকাও দাবি করেন ভাল্লার।
সিবিআইয়ের এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, ভাল্লার নির্দেশ দেন ঘুষের টাকা যেন তাঁর সহযোগী কৃষ্ণার মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়। তদন্তকারীরা ফোনের কথোপকথনও রেকর্ড করেন। সেখানে কৃষ্ণাকে বলতে শোনা যায়—‘আগস্টের টাকা আসেনি, সেপ্টেম্বরের টাকাও আসেনি।’
এই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শেষে সিবিআই চণ্ডীগড়ের সেক্টর-২১ এলাকায় একটি ফাঁদ পাতে। সেখানে কৃষ্ণাকে ৮ লাখ রুপি ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে সিবিআই। পরে ফোনকলে ডিআইজি ভাল্লার দুজনকে তাঁর অফিসে আসার নির্দেশ দেন। এর পরপরই সিবিআই দল মোহালিতে গিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর সিবিআই ভাল্লারের রোপার, মোহালি ও চণ্ডীগড়ে অবস্থিত বিভিন্ন বাসভবনে তল্লাশি চালায়। সেখানে তাঁর বিছানায় পাওয়া যায় প্রায় ৫ কোটি রুপি নগদ অর্থ, ১ দশমিক ৫ কেজি স্বর্ণ ও অলংকার, পাঞ্জাবজুড়ে একাধিক স্থাবর সম্পত্তির দলিল, মার্সিডিজ ও অডি গাড়ির চাবি, ২২টি বিলাসবহুল হাতঘড়ি, লকারের চাবি ও ৪০ লিটার আমদানি করা মদ। এ ছাড়া ডাবল ব্যারেল বন্দুক, পিস্তল, রিভলবার, এয়ারগানসহ অস্ত্রভান্ডার।
অন্যদিকে কৃষ্ণার বাড়ি থেকে অতিরিক্ত ২১ লাখ রুপি উদ্ধার করা হয়েছে।
সিবিআই জানিয়েছে, দুজনকেই আগামীকাল শুক্রবার আদালতে তোলা হবে। তদন্তকারীরা এখন সম্পদের পূর্ণ উৎস ও সম্ভাব্য মানি লন্ডারিংয়ের যোগসূত্র খুঁজে দেখছেন।
২০০৯ ব্যাচের এই আইপিএস কর্মকর্তা এর আগে পাটিয়ালা রেঞ্জের ডিআইজি, ভিজিল্যান্স ব্যুরোর জয়েন্ট ডিরেক্টর এবং মোহালি, সাঙ্গরুর, খান্না, হোশিয়ারপুর, ফতেহগড় সাহিব ও গুরদাসপুরে এসএসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০২১ সালে হরচরণ সিং ভাল্লার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন একটি বিশেষ তদন্তকারী দলের (এসআইটি)। দলটি শিরোমণি আকালি দলের (এসএডি) নেতা বিক্রম সিং মজিঠিয়ার বিরুদ্ধে হাইপ্রোফাইল মাদক পাচার মামলা তদন্ত করেছিল। তিনি রাজ্য সরকারের ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ নামে একটি অভিযানেরও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ছিলেন।
২০২৪ সালের নভেম্বরে হরচরণ সিং ভাল্লার রোপার রেঞ্জের ডিআইজি পদে যোগ দেন। তিনি মোহালি, রূপনগর ও ফতেহগড় সাহিব জেলার দায়িত্বে ছিলেন। ভাল্লার পাঞ্জাবের সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিজিপি) এম এস ভাল্লারের ছেলে।
ভারতের পাঞ্জাবে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে রোপার রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) হরচরণ সিং ভাল্লার নামের ওই আইপিএস কর্মকর্তাকে আটক করে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে বিপুল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, বিলাসবহুল গাড়ি, দামি ঘড়ি ও বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সিবিআইয়ের বিজ্ঞপ্তির বরাতে জানিয়েছে, ভাল্লার একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মামলা নিষ্পত্তির কথা বলে ঘুষ দাবি করেন। তিনি কৃষ্ণা নামের এক মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে এ টাকা চেয়েছিলেন।
পাঞ্জাবের ফতেহগড় সাহিবের আকাশ বাট্টা নামের এক ব্যবসায়ী পাঁচ দিন আগে সিবিআইয়ের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি বলেন, ডিআইজি ভাল্লার তাঁকে ব্যবসাসংক্রান্ত একটি ভুয়া মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে ৮ লাখ রুপি দাবি করেছেন। সে সঙ্গে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকাও দাবি করেন ভাল্লার।
সিবিআইয়ের এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, ভাল্লার নির্দেশ দেন ঘুষের টাকা যেন তাঁর সহযোগী কৃষ্ণার মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়। তদন্তকারীরা ফোনের কথোপকথনও রেকর্ড করেন। সেখানে কৃষ্ণাকে বলতে শোনা যায়—‘আগস্টের টাকা আসেনি, সেপ্টেম্বরের টাকাও আসেনি।’
এই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত শেষে সিবিআই চণ্ডীগড়ের সেক্টর-২১ এলাকায় একটি ফাঁদ পাতে। সেখানে কৃষ্ণাকে ৮ লাখ রুপি ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে সিবিআই। পরে ফোনকলে ডিআইজি ভাল্লার দুজনকে তাঁর অফিসে আসার নির্দেশ দেন। এর পরপরই সিবিআই দল মোহালিতে গিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর সিবিআই ভাল্লারের রোপার, মোহালি ও চণ্ডীগড়ে অবস্থিত বিভিন্ন বাসভবনে তল্লাশি চালায়। সেখানে তাঁর বিছানায় পাওয়া যায় প্রায় ৫ কোটি রুপি নগদ অর্থ, ১ দশমিক ৫ কেজি স্বর্ণ ও অলংকার, পাঞ্জাবজুড়ে একাধিক স্থাবর সম্পত্তির দলিল, মার্সিডিজ ও অডি গাড়ির চাবি, ২২টি বিলাসবহুল হাতঘড়ি, লকারের চাবি ও ৪০ লিটার আমদানি করা মদ। এ ছাড়া ডাবল ব্যারেল বন্দুক, পিস্তল, রিভলবার, এয়ারগানসহ অস্ত্রভান্ডার।
অন্যদিকে কৃষ্ণার বাড়ি থেকে অতিরিক্ত ২১ লাখ রুপি উদ্ধার করা হয়েছে।
সিবিআই জানিয়েছে, দুজনকেই আগামীকাল শুক্রবার আদালতে তোলা হবে। তদন্তকারীরা এখন সম্পদের পূর্ণ উৎস ও সম্ভাব্য মানি লন্ডারিংয়ের যোগসূত্র খুঁজে দেখছেন।
২০০৯ ব্যাচের এই আইপিএস কর্মকর্তা এর আগে পাটিয়ালা রেঞ্জের ডিআইজি, ভিজিল্যান্স ব্যুরোর জয়েন্ট ডিরেক্টর এবং মোহালি, সাঙ্গরুর, খান্না, হোশিয়ারপুর, ফতেহগড় সাহিব ও গুরদাসপুরে এসএসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০২১ সালে হরচরণ সিং ভাল্লার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন একটি বিশেষ তদন্তকারী দলের (এসআইটি)। দলটি শিরোমণি আকালি দলের (এসএডি) নেতা বিক্রম সিং মজিঠিয়ার বিরুদ্ধে হাইপ্রোফাইল মাদক পাচার মামলা তদন্ত করেছিল। তিনি রাজ্য সরকারের ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ নামে একটি অভিযানেরও গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ছিলেন।
২০২৪ সালের নভেম্বরে হরচরণ সিং ভাল্লার রোপার রেঞ্জের ডিআইজি পদে যোগ দেন। তিনি মোহালি, রূপনগর ও ফতেহগড় সাহিব জেলার দায়িত্বে ছিলেন। ভাল্লার পাঞ্জাবের সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিজিপি) এম এস ভাল্লারের ছেলে।
ভারতের কেরালায় বুধবার (১৫ অক্টোবর) মারা যান কেনিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গা। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) তাঁর মরদেহ একনজর দেখার জন্য কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অপেক্ষা করছিলেন বিপুলসংখ্যক সমর্থক। তাঁদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালালে অন্তত ৪ জন নিহত হন বলে জানিয়েছে স্থানীয়
৫ ঘণ্টা আগেদুই বছর আগে সাজানো-গোছানো এক শহর ছিল গাজা। এ শহরে ছিল বসবাসের উপযোগী ঘরবাড়ি, বাচ্চাদের জন্য স্কুল, চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল। কিন্তু ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে আধুনিক ইতিহাসের নজিরবিহীন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।
৬ ঘণ্টা আগেআমেরিকান ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’-এর বিরুদ্ধে ব্রিটেনে প্রায় ৩ হাজার ভুক্তভোগী মামলা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, কোম্পানিটি জানত তাদের ট্যালকম পাউডার ক্ষতিকর ‘অ্যাসবাস্টাস’ মিশ্রিত ছিল, যা মারাত্মক ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগে৫০ শতাংশ মার্কিন শুল্ক আরোপের পর যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পণ্য রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারই ভারতীয় পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার। কিন্তু দেখা গেছে, গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্য রপ্তানি প্রায় ২০ শতাংশ কমে গেছে। আর গত চার মাসে এই পতনের হার ছিল প্রায় ৪০ শতাংশ।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতের কেরালায় বুধবার (১৫ অক্টোবর) মারা যান কেনিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গা। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) তাঁর মরদেহ একনজর দেখার জন্য কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অপেক্ষা করছিলেন বিপুলসংখ্যক সমর্থক। তাঁদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালালে অন্তত ৪ জন নিহত হন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
বহু দশক ধরে কেনিয়ার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা বিরোধীদলীয় নেতা রাইলা ওডিঙ্গা বুধবার ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮০ বছর বয়সে মারা যান। তিনি একসময় রাজনৈতিক বন্দী ছিলেন এবং পাঁচবার রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হয়েও জয়ী হতে পারেননি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হাজারো সমর্থক ওডিঙ্গার মরদেহ দেখার জন্য রাজধানীর প্রধান স্টেডিয়ামে জড়ো হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশাল জনতা একপর্যায়ে স্টেডিয়ামের একটি গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে সেনারা ফাঁকা গুলি চালায়।
এক পুলিশ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, স্টেডিয়ামে অন্তত দুজন গুলিতে নিহত হন। পরে স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল কেটিএন নিউজ ও সিটিজেন টিভি জানায়, মৃতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
গুলিবর্ষণের পর পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে হাজারো শোকাহতকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর স্টেডিয়ামটি প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়।
এর আগে সকালে ওডিঙ্গার হাজারো শোকাহত সমর্থক নাইরোবির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢুকে পড়েন। এই ঘটনায় বিমানবন্দরের কার্যক্রম দুই ঘণ্টার জন্য স্থগিত রাখতে হয়। কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো ও অন্যান্য কর্মকর্তারা সামরিক সম্মাননার মাধ্যমে ওডিঙ্গার মরদেহ গ্রহণ করেন।
শোকের জোয়ারে রাজধানীর সংলগ্ন সড়ক ও সংসদ ভবনের সামনেও ভিড় জমে। সরকার মূলত সংসদ চত্বরে ওডিঙ্গার মরদেহ প্রদর্শনের পরিকল্পনা করেছিল।
রাইলা ওডিঙ্গা মূলত বিরোধী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত হলেও ২০০৮ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট রুটোর সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতাও করেন।
ওডিঙ্গার জনপ্রিয়তা বিশেষভাবে প্রবল ছিল পশ্চিম কেনিয়ার লুও সম্প্রদায়ের মধ্যে। এই সম্প্রদায়ের অনেকে বিশ্বাস করেন, নির্বাচনে বারবার জালিয়াতির কারণেই ওডিঙ্গা প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি।
ওডিঙ্গা সম্পর্কে নাইরোবির স্টেডিয়ামে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফেলিক্স আম্বানি উনেক বলেন, ‘তিনি নিরলসভাবে বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য লড়েছেন। আমরা আজ যে স্বাধীনতা ভোগ করছি, তা তাঁর সংগ্রামেরই ফল।’
ভারতের কেরালায় বুধবার (১৫ অক্টোবর) মারা যান কেনিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গা। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) তাঁর মরদেহ একনজর দেখার জন্য কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অপেক্ষা করছিলেন বিপুলসংখ্যক সমর্থক। তাঁদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালালে অন্তত ৪ জন নিহত হন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
বহু দশক ধরে কেনিয়ার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা বিরোধীদলীয় নেতা রাইলা ওডিঙ্গা বুধবার ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮০ বছর বয়সে মারা যান। তিনি একসময় রাজনৈতিক বন্দী ছিলেন এবং পাঁচবার রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হয়েও জয়ী হতে পারেননি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হাজারো সমর্থক ওডিঙ্গার মরদেহ দেখার জন্য রাজধানীর প্রধান স্টেডিয়ামে জড়ো হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশাল জনতা একপর্যায়ে স্টেডিয়ামের একটি গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে সেনারা ফাঁকা গুলি চালায়।
এক পুলিশ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, স্টেডিয়ামে অন্তত দুজন গুলিতে নিহত হন। পরে স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল কেটিএন নিউজ ও সিটিজেন টিভি জানায়, মৃতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
গুলিবর্ষণের পর পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে হাজারো শোকাহতকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর স্টেডিয়ামটি প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়।
এর আগে সকালে ওডিঙ্গার হাজারো শোকাহত সমর্থক নাইরোবির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢুকে পড়েন। এই ঘটনায় বিমানবন্দরের কার্যক্রম দুই ঘণ্টার জন্য স্থগিত রাখতে হয়। কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো ও অন্যান্য কর্মকর্তারা সামরিক সম্মাননার মাধ্যমে ওডিঙ্গার মরদেহ গ্রহণ করেন।
শোকের জোয়ারে রাজধানীর সংলগ্ন সড়ক ও সংসদ ভবনের সামনেও ভিড় জমে। সরকার মূলত সংসদ চত্বরে ওডিঙ্গার মরদেহ প্রদর্শনের পরিকল্পনা করেছিল।
রাইলা ওডিঙ্গা মূলত বিরোধী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত হলেও ২০০৮ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট রুটোর সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতাও করেন।
ওডিঙ্গার জনপ্রিয়তা বিশেষভাবে প্রবল ছিল পশ্চিম কেনিয়ার লুও সম্প্রদায়ের মধ্যে। এই সম্প্রদায়ের অনেকে বিশ্বাস করেন, নির্বাচনে বারবার জালিয়াতির কারণেই ওডিঙ্গা প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি।
ওডিঙ্গা সম্পর্কে নাইরোবির স্টেডিয়ামে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ফেলিক্স আম্বানি উনেক বলেন, ‘তিনি নিরলসভাবে বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য লড়েছেন। আমরা আজ যে স্বাধীনতা ভোগ করছি, তা তাঁর সংগ্রামেরই ফল।’
ভারতের পাঞ্জাবে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন একজন সিনিয়র আইপিএস কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে রোপার রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) হরচরণ সিং ভাল্লারকে আটক করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে বিপুল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, বিলাসবহুল গাড়ি, দামি
৫ ঘণ্টা আগেদুই বছর আগে সাজানো-গোছানো এক শহর ছিল গাজা। এ শহরে ছিল বসবাসের উপযোগী ঘরবাড়ি, বাচ্চাদের জন্য স্কুল, চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল। কিন্তু ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে আধুনিক ইতিহাসের নজিরবিহীন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।
৬ ঘণ্টা আগেআমেরিকান ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’-এর বিরুদ্ধে ব্রিটেনে প্রায় ৩ হাজার ভুক্তভোগী মামলা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, কোম্পানিটি জানত তাদের ট্যালকম পাউডার ক্ষতিকর ‘অ্যাসবাস্টাস’ মিশ্রিত ছিল, যা মারাত্মক ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগে৫০ শতাংশ মার্কিন শুল্ক আরোপের পর যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পণ্য রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারই ভারতীয় পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার। কিন্তু দেখা গেছে, গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্য রপ্তানি প্রায় ২০ শতাংশ কমে গেছে। আর গত চার মাসে এই পতনের হার ছিল প্রায় ৪০ শতাংশ।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
দুই বছর আগে সাজানো-গোছানো এক শহর ছিল গাজা। এ শহরে ছিল বসবাসের উপযোগী ঘরবাড়ি, বাচ্চাদের জন্য স্কুল, চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল। কিন্তু ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে আধুনিক ইতিহাসের নজিরবিহীন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।
লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে জানিয়েছে, ২০২৫ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত পুরো গাজা উপত্যকায় এখন ৬৫ থেকে ৭০ মিলিয়ন টন ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে। এগুলো মূলত হাজার হাজার বাড়ি, সরকারি ভবন, হাসপাতাল ও অবকাঠামো ধ্বংসের ফল। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ভয়াবহ ধ্বংসাবশেষ গাজাকে পরিণত করেছে এক বিশাল পরিবেশগত ও স্থাপত্যিক বিপর্যয় এলাকায়, যা মানবিক সহায়তা পৌঁছানো ও উদ্ধারকাজ কঠিন করে তুলেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধ্বংসাবশেষ সরানোর উদ্যোগ ভয়াবহ বাধার মুখে পড়েছে, কারণ ইসরায়েল এখনো ভারী যন্ত্রপাতি ও নির্মাণ সরঞ্জাম গাজায় ঢুকতে দিচ্ছে না। সব সীমান্তও বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা মরদেহ উদ্ধারেও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল।
সম্প্রতি প্রশাসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আইনগত ও নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। অবিলম্বে সীমান্ত উন্মুক্ত করে গাজাজুড়ে ধ্বংসাবশেষ অপসারণে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
প্রাথমিক জরিপে দেখা গেছে, গাজাজুড়ে প্রায় ২০ হাজার অবিস্ফোরিত বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যেগুলো ইসরায়েলি বাহিনী ফেলে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অস্ত্রগুলো যেকোনো সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে, তাই সেগুলো অপসারণের আগে বিশেষ নিরাপত্তা ও কারিগরি প্রস্তুতি দরকার।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনতে এখন প্রয়োজন একটি পূর্ণাঙ্গ ধ্বংসাবশেষ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, যাতে ধ্বংসস্থলের মানচিত্র তৈরি, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য অপসারণ, পুনর্ব্যবহার ও অস্থায়ী সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকে। এটি ছাড়া পুনর্গঠন বা পুনর্বাসন কার্যত অসম্ভব।
গত সপ্তাহে খান ইউনিস পৌরসভা জানায়, শহরটির ৮৫ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়েছে। প্রায় ৪ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ রাস্তাঘাট ও পাড়ামহল্লা থেকে সরাতে হবে।
পৌর মেয়র সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শহরের ৩০০ কিলোমিটারজুড়ে থাকা পানি সরবরাহের লাইন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার ৭৫ শতাংশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। এতে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উভয়সংকটই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
এ ছাড়া শহরে ৩ লাখ ৫০ হাজার টনেরও বেশি কঠিন বর্জ্য জমে আছে, যা সীমিত সম্পদ ও বিপজ্জনক কর্মপরিবেশের কারণে সরানো সম্ভব হচ্ছে না।
মেয়র জানান, বর্তমানে মাত্র নয়টি পৌর টিম কাজ করছে। তারা শুধু রাস্তা পরিষ্কার ও জরুরি পথ খুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু জ্বালানি সংকটের কারণে তাদের কার্যক্রম যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
মেয়র বলেন, ‘আমাদের এখন জরুরি ভিত্তিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি, ভারী মেশিন ও নতুন জেনারেটর দরকার। কারণ, পুরোনোগুলো হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে।’
গত শনিবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজা সিটি পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্যাটেলাইট চিত্রেও দেখা যাচ্ছে, শহরজুড়ে ব্যাপক ধ্বংসাবশেষ, যা মানবিক সংকট আরও গভীর করেছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতির পরেও গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে। আজ সকালে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২২ জনের লাশ ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, তিনজন হাসপাতালে মারা গেছে আর চারজনকে সরাসরি ইসরায়েলি বাহিনী হত্যা করেছে।
ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধার করতে এখনো চরম বিপর্যয়ের মুখে কাজ করছে সিভিল ডিফেন্স ও অ্যাম্বুলেন্স টিমগুলো।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ৯৬৭ জন এবং আহত ১ লাখ ৭০ হাজার ১৭৯ জন।
দুই বছর আগে সাজানো-গোছানো এক শহর ছিল গাজা। এ শহরে ছিল বসবাসের উপযোগী ঘরবাড়ি, বাচ্চাদের জন্য স্কুল, চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল। কিন্তু ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে আধুনিক ইতিহাসের নজিরবিহীন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।
লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-মায়েদিন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে জানিয়েছে, ২০২৫ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত পুরো গাজা উপত্যকায় এখন ৬৫ থেকে ৭০ মিলিয়ন টন ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে। এগুলো মূলত হাজার হাজার বাড়ি, সরকারি ভবন, হাসপাতাল ও অবকাঠামো ধ্বংসের ফল। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ভয়াবহ ধ্বংসাবশেষ গাজাকে পরিণত করেছে এক বিশাল পরিবেশগত ও স্থাপত্যিক বিপর্যয় এলাকায়, যা মানবিক সহায়তা পৌঁছানো ও উদ্ধারকাজ কঠিন করে তুলেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধ্বংসাবশেষ সরানোর উদ্যোগ ভয়াবহ বাধার মুখে পড়েছে, কারণ ইসরায়েল এখনো ভারী যন্ত্রপাতি ও নির্মাণ সরঞ্জাম গাজায় ঢুকতে দিচ্ছে না। সব সীমান্তও বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা মরদেহ উদ্ধারেও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল।
সম্প্রতি প্রশাসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আইনগত ও নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। অবিলম্বে সীমান্ত উন্মুক্ত করে গাজাজুড়ে ধ্বংসাবশেষ অপসারণে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
প্রাথমিক জরিপে দেখা গেছে, গাজাজুড়ে প্রায় ২০ হাজার অবিস্ফোরিত বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যেগুলো ইসরায়েলি বাহিনী ফেলে গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অস্ত্রগুলো যেকোনো সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে, তাই সেগুলো অপসারণের আগে বিশেষ নিরাপত্তা ও কারিগরি প্রস্তুতি দরকার।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনতে এখন প্রয়োজন একটি পূর্ণাঙ্গ ধ্বংসাবশেষ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা, যাতে ধ্বংসস্থলের মানচিত্র তৈরি, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য অপসারণ, পুনর্ব্যবহার ও অস্থায়ী সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকে। এটি ছাড়া পুনর্গঠন বা পুনর্বাসন কার্যত অসম্ভব।
গত সপ্তাহে খান ইউনিস পৌরসভা জানায়, শহরটির ৮৫ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়েছে। প্রায় ৪ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ রাস্তাঘাট ও পাড়ামহল্লা থেকে সরাতে হবে।
পৌর মেয়র সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শহরের ৩০০ কিলোমিটারজুড়ে থাকা পানি সরবরাহের লাইন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার ৭৫ শতাংশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। এতে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উভয়সংকটই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
এ ছাড়া শহরে ৩ লাখ ৫০ হাজার টনেরও বেশি কঠিন বর্জ্য জমে আছে, যা সীমিত সম্পদ ও বিপজ্জনক কর্মপরিবেশের কারণে সরানো সম্ভব হচ্ছে না।
মেয়র জানান, বর্তমানে মাত্র নয়টি পৌর টিম কাজ করছে। তারা শুধু রাস্তা পরিষ্কার ও জরুরি পথ খুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু জ্বালানি সংকটের কারণে তাদের কার্যক্রম যেকোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
মেয়র বলেন, ‘আমাদের এখন জরুরি ভিত্তিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি, ভারী মেশিন ও নতুন জেনারেটর দরকার। কারণ, পুরোনোগুলো হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে।’
গত শনিবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজা সিটি পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্যাটেলাইট চিত্রেও দেখা যাচ্ছে, শহরজুড়ে ব্যাপক ধ্বংসাবশেষ, যা মানবিক সংকট আরও গভীর করেছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতির পরেও গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে। আজ সকালে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২২ জনের লাশ ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, তিনজন হাসপাতালে মারা গেছে আর চারজনকে সরাসরি ইসরায়েলি বাহিনী হত্যা করেছে।
ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধার করতে এখনো চরম বিপর্যয়ের মুখে কাজ করছে সিভিল ডিফেন্স ও অ্যাম্বুলেন্স টিমগুলো।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ৯৬৭ জন এবং আহত ১ লাখ ৭০ হাজার ১৭৯ জন।
ভারতের পাঞ্জাবে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন একজন সিনিয়র আইপিএস কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে রোপার রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) হরচরণ সিং ভাল্লারকে আটক করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে বিপুল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, বিলাসবহুল গাড়ি, দামি
৫ ঘণ্টা আগেভারতের কেরালায় বুধবার (১৫ অক্টোবর) মারা যান কেনিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গা। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) তাঁর মরদেহ একনজর দেখার জন্য কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অপেক্ষা করছিলেন বিপুলসংখ্যক সমর্থক। তাঁদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালালে অন্তত ৪ জন নিহত হন বলে জানিয়েছে স্থানীয়
৫ ঘণ্টা আগেআমেরিকান ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’-এর বিরুদ্ধে ব্রিটেনে প্রায় ৩ হাজার ভুক্তভোগী মামলা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, কোম্পানিটি জানত তাদের ট্যালকম পাউডার ক্ষতিকর ‘অ্যাসবাস্টাস’ মিশ্রিত ছিল, যা মারাত্মক ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগে৫০ শতাংশ মার্কিন শুল্ক আরোপের পর যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পণ্য রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারই ভারতীয় পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার। কিন্তু দেখা গেছে, গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্য রপ্তানি প্রায় ২০ শতাংশ কমে গেছে। আর গত চার মাসে এই পতনের হার ছিল প্রায় ৪০ শতাংশ।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
আমেরিকান ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’-এর বিরুদ্ধে ব্রিটেনে প্রায় ৩ হাজার ভুক্তভোগী মামলা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, কোম্পানিটি জানত তাদের ট্যালকম পাউডার ক্ষতিকর ‘অ্যাসবাস্টাস’ মিশ্রিত ছিল, যা মারাত্মক ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।
মামলার অন্যতম আবেদনকারী প্যাট্রিসিয়া অ্যাঞ্জেল দাবি করেছেন, ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ এর পাউডার ব্যবহার করার ফলে প্রাণ হারিয়েছেন তাঁর স্বামী এডওয়ার্ড অ্যাঞ্জেল। ২০০৬ সালে ৬৪ বছর বয়সে ‘মেসোথেলিওমা’ নামক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এডওয়ার্ড। এই ক্যানসার সাধারণত অ্যাসবেস্টাসের সংস্পর্শে এলে হয়।
প্যাট্রিসিয়া জানান, তাঁর স্বামী পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন এবং জানতেন অ্যাসবাস্টাস কতটা ক্ষতিকর। তবে তিনি কখনো সরাসরি এই পদার্থের সংস্পর্শে যাননি। প্যাট্রিসিয়া বলেন, ‘সে (স্বামী) প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে গোসল করত এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করত। মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তে তার শরীরে অ্যাসবাস্টাস ফাইবারের উপস্থিতি ধরা পড়ে।’
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, ব্রিটিশ হাই কোর্টে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, কোম্পানিটি ইচ্ছাকৃতভাবে অ্যাসবাস্টাস-দূষিত পাউডার বিক্রি করেছে এবং ঝুঁকির বিষয়টি গোপন রেখেছে। মামলাটি পরিচালনা করছে আইন সংস্থা ‘কেপি ল’। সংস্থাটি দাবি করেছে, জনসন অ্যান্ড জনসন দীর্ঘদিন ধরে সত্য আড়াল করেছে শুধু ব্র্যান্ডের সুনাম ও লাভ রক্ষার জন্য।
মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী মাইকেল রলিনসন কেসি জানিয়েছেন, বিশ্বে এমন কোনো বাণিজ্যিক ট্যালকম খনি প্রায় নেই যা অ্যাসবাস্টাস-মুক্ত এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের সব খনিই দূষিত ছিল। কোম্পানির নিজস্ব গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ থেকেও তারা এই বিষয়ে অবগত ছিল বলে দাবি করা হয়। তারপরও কোম্পানিটি তথ্য গোপন করেছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর প্রভাব খাটিয়েছে এবং এমন গবেষণার তহবিল দিয়েছে যা তাদের পাউডারের ঝুঁকি কমিয়ে দেখিয়েছে।
জ্যানেট ফুশিলো নামে ৭৫ বছর বয়সী অন্য এক আবেদনকারী জানান, তিনি ১৯৬০-এর দশক থেকে এই পাউডার ব্যবহার করেছেন এবং সাত বছর আগে তার ডিম্বাশয় ক্যানসার ধরা পড়ে। তিনি বলেন, ‘আমি ভাবতাম এটি একেবারেই বিশুদ্ধ ও নিরাপদ।’
২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যে জনসন অ্যান্ড জনসন তাদের বেবি পাউডারে ট্যালকের পরিবর্তে কর্ন স্টার্চ ব্যবহার শুরু করে। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি জানায়, অ্যাসবেস্টাসযুক্ত ট্যালক ক্যানসার সৃষ্টি করে—এটি সাধারণভাবে স্বীকৃত। কিন্তু অ্যাসবাস্টাস-মুক্ত ট্যালক কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, সে বিষয়ে গবেষণার ফল মিশ্র।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রেও জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে ৫০ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। পরবর্তীতে এই কোম্পানি ১০ বিলিয়ন ডলারের এক গ্লোবাল সমঝোতা প্রস্তাব দিয়েছিল, যা আদালত বাতিল করেছেন। কোম্পানিটি এখন আবার আদালতের মাধ্যমে লড়াই চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে।
এদিকে ব্রিটেনে এই মামলাটি দেশটিতে সবচেয়ে বড় গ্রুপ অ্যাকশন মামলা হয়ে উঠতে পারে। প্যাট্রিসিয়া অ্যাঞ্জেল বলেন, ‘এডওয়ার্ড (স্বামী) এই পাউডার ব্যবহার করত কারণ আমাদের বলা হয়েছিল এটি একেবারে বিশুদ্ধ। এখন আমরা শুধু ক্ষতিপূরণ নয়, সত্য জানতে চাই।’
আমেরিকান ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’-এর বিরুদ্ধে ব্রিটেনে প্রায় ৩ হাজার ভুক্তভোগী মামলা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, কোম্পানিটি জানত তাদের ট্যালকম পাউডার ক্ষতিকর ‘অ্যাসবাস্টাস’ মিশ্রিত ছিল, যা মারাত্মক ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।
মামলার অন্যতম আবেদনকারী প্যাট্রিসিয়া অ্যাঞ্জেল দাবি করেছেন, ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ এর পাউডার ব্যবহার করার ফলে প্রাণ হারিয়েছেন তাঁর স্বামী এডওয়ার্ড অ্যাঞ্জেল। ২০০৬ সালে ৬৪ বছর বয়সে ‘মেসোথেলিওমা’ নামক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এডওয়ার্ড। এই ক্যানসার সাধারণত অ্যাসবেস্টাসের সংস্পর্শে এলে হয়।
প্যাট্রিসিয়া জানান, তাঁর স্বামী পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন এবং জানতেন অ্যাসবাস্টাস কতটা ক্ষতিকর। তবে তিনি কখনো সরাসরি এই পদার্থের সংস্পর্শে যাননি। প্যাট্রিসিয়া বলেন, ‘সে (স্বামী) প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে গোসল করত এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করত। মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তে তার শরীরে অ্যাসবাস্টাস ফাইবারের উপস্থিতি ধরা পড়ে।’
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানিয়েছে, ব্রিটিশ হাই কোর্টে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, কোম্পানিটি ইচ্ছাকৃতভাবে অ্যাসবাস্টাস-দূষিত পাউডার বিক্রি করেছে এবং ঝুঁকির বিষয়টি গোপন রেখেছে। মামলাটি পরিচালনা করছে আইন সংস্থা ‘কেপি ল’। সংস্থাটি দাবি করেছে, জনসন অ্যান্ড জনসন দীর্ঘদিন ধরে সত্য আড়াল করেছে শুধু ব্র্যান্ডের সুনাম ও লাভ রক্ষার জন্য।
মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী মাইকেল রলিনসন কেসি জানিয়েছেন, বিশ্বে এমন কোনো বাণিজ্যিক ট্যালকম খনি প্রায় নেই যা অ্যাসবাস্টাস-মুক্ত এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের সব খনিই দূষিত ছিল। কোম্পানির নিজস্ব গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ থেকেও তারা এই বিষয়ে অবগত ছিল বলে দাবি করা হয়। তারপরও কোম্পানিটি তথ্য গোপন করেছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর প্রভাব খাটিয়েছে এবং এমন গবেষণার তহবিল দিয়েছে যা তাদের পাউডারের ঝুঁকি কমিয়ে দেখিয়েছে।
জ্যানেট ফুশিলো নামে ৭৫ বছর বয়সী অন্য এক আবেদনকারী জানান, তিনি ১৯৬০-এর দশক থেকে এই পাউডার ব্যবহার করেছেন এবং সাত বছর আগে তার ডিম্বাশয় ক্যানসার ধরা পড়ে। তিনি বলেন, ‘আমি ভাবতাম এটি একেবারেই বিশুদ্ধ ও নিরাপদ।’
২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যে জনসন অ্যান্ড জনসন তাদের বেবি পাউডারে ট্যালকের পরিবর্তে কর্ন স্টার্চ ব্যবহার শুরু করে। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি জানায়, অ্যাসবেস্টাসযুক্ত ট্যালক ক্যানসার সৃষ্টি করে—এটি সাধারণভাবে স্বীকৃত। কিন্তু অ্যাসবাস্টাস-মুক্ত ট্যালক কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, সে বিষয়ে গবেষণার ফল মিশ্র।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রেও জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে ৫০ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। পরবর্তীতে এই কোম্পানি ১০ বিলিয়ন ডলারের এক গ্লোবাল সমঝোতা প্রস্তাব দিয়েছিল, যা আদালত বাতিল করেছেন। কোম্পানিটি এখন আবার আদালতের মাধ্যমে লড়াই চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে।
এদিকে ব্রিটেনে এই মামলাটি দেশটিতে সবচেয়ে বড় গ্রুপ অ্যাকশন মামলা হয়ে উঠতে পারে। প্যাট্রিসিয়া অ্যাঞ্জেল বলেন, ‘এডওয়ার্ড (স্বামী) এই পাউডার ব্যবহার করত কারণ আমাদের বলা হয়েছিল এটি একেবারে বিশুদ্ধ। এখন আমরা শুধু ক্ষতিপূরণ নয়, সত্য জানতে চাই।’
ভারতের পাঞ্জাবে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন একজন সিনিয়র আইপিএস কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে রোপার রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) হরচরণ সিং ভাল্লারকে আটক করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে বিপুল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, বিলাসবহুল গাড়ি, দামি
৫ ঘণ্টা আগেভারতের কেরালায় বুধবার (১৫ অক্টোবর) মারা যান কেনিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গা। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) তাঁর মরদেহ একনজর দেখার জন্য কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অপেক্ষা করছিলেন বিপুলসংখ্যক সমর্থক। তাঁদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালালে অন্তত ৪ জন নিহত হন বলে জানিয়েছে স্থানীয়
৫ ঘণ্টা আগেদুই বছর আগে সাজানো-গোছানো এক শহর ছিল গাজা। এ শহরে ছিল বসবাসের উপযোগী ঘরবাড়ি, বাচ্চাদের জন্য স্কুল, চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল। কিন্তু ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে আধুনিক ইতিহাসের নজিরবিহীন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।
৬ ঘণ্টা আগে৫০ শতাংশ মার্কিন শুল্ক আরোপের পর যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পণ্য রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারই ভারতীয় পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার। কিন্তু দেখা গেছে, গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্য রপ্তানি প্রায় ২০ শতাংশ কমে গেছে। আর গত চার মাসে এই পতনের হার ছিল প্রায় ৪০ শতাংশ।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
৫০ শতাংশ মার্কিন শুল্ক আরোপের পর যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পণ্য রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারই ভারতীয় পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার। কিন্তু দেখা গেছে, গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্য রপ্তানি প্রায় ২০ শতাংশ কমে গেছে। আর গত চার মাসে এই পতনের হার ছিল প্রায় ৪০ শতাংশ।
গত ২৭ আগস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যে কার্যকর হওয়া মার্কিন এই উচ্চ শুল্কের মধ্যে ২৫ শতাংশই শাস্তিমূলক। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ না করার অভিযোগেই ভারতের ওপর শাস্তিমূলক এই শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (জিটিআরআই) সহপ্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেছেন, ‘শুল্ক বাড়ানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাজারে পরিণত হয়েছে।’
জিটিআরআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের শ্রমনির্ভর খাত যেমন বস্ত্র, রত্ন ও গয়না, প্রকৌশল পণ্য এবং রাসায়নিক—এসব খাতই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ছিল ৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার; যা সেপ্টেম্বর নাগাদ কমে ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। টানা চার মাস ধরে রপ্তানিতে এই পতন ঘটছে।
এই ধাক্কার ফলে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে সেপ্টেম্বরে ৩২ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছে; যা গত ১৩ মাসে সর্বোচ্চ। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীনের সঙ্গে বর্ধিত বাণিজ্য আংশিকভাবে এ ঘাটতির ভার কমিয়েছে।
এরই মধ্যে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে; যা আগামী মাসে সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ভারতের একটি প্রতিনিধিদল এই লক্ষ্যে বর্তমানে ওয়াশিংটনে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে স্থানীয় সময় বুধবার (১৫ অক্টোবর) ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধে সম্মত হয়েছেন। যদিও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা অস্বীকার করে জানিয়েছে, এ বিষয়ে মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে কোনো ফোনালাপের ঘটনা ঘটেনি।
তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা এখনো চলছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।
এ ছাড়া কৃষি ও দুগ্ধ খাতে প্রবেশাধিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে মতভেদ এখনো রয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে ভারতের কৃষি খাতে প্রবেশাধিকার চাইলেও, ভারত খাদ্যনিরাপত্তা ও ক্ষুদ্র কৃষকের স্বার্থের কথা বলে তা প্রতিহত করছে।
২০২৪ সালে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৯০ বিলিয়ন ডলার; যা ট্রাম্প ও মোদি যৌথভাবে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক শুল্ক বৃদ্ধি সেই লক্ষ্যকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
৫০ শতাংশ মার্কিন শুল্ক আরোপের পর যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পণ্য রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারই ভারতীয় পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার। কিন্তু দেখা গেছে, গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্য রপ্তানি প্রায় ২০ শতাংশ কমে গেছে। আর গত চার মাসে এই পতনের হার ছিল প্রায় ৪০ শতাংশ।
গত ২৭ আগস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যে কার্যকর হওয়া মার্কিন এই উচ্চ শুল্কের মধ্যে ২৫ শতাংশই শাস্তিমূলক। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ না করার অভিযোগেই ভারতের ওপর শাস্তিমূলক এই শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (জিটিআরআই) সহপ্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব বলেছেন, ‘শুল্ক বাড়ানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাজারে পরিণত হয়েছে।’
জিটিআরআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের শ্রমনির্ভর খাত যেমন বস্ত্র, রত্ন ও গয়না, প্রকৌশল পণ্য এবং রাসায়নিক—এসব খাতই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি ছিল ৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার; যা সেপ্টেম্বর নাগাদ কমে ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। টানা চার মাস ধরে রপ্তানিতে এই পতন ঘটছে।
এই ধাক্কার ফলে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে সেপ্টেম্বরে ৩২ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছে; যা গত ১৩ মাসে সর্বোচ্চ। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীনের সঙ্গে বর্ধিত বাণিজ্য আংশিকভাবে এ ঘাটতির ভার কমিয়েছে।
এরই মধ্যে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে; যা আগামী মাসে সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ভারতের একটি প্রতিনিধিদল এই লক্ষ্যে বর্তমানে ওয়াশিংটনে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে স্থানীয় সময় বুধবার (১৫ অক্টোবর) ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধে সম্মত হয়েছেন। যদিও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা অস্বীকার করে জানিয়েছে, এ বিষয়ে মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে কোনো ফোনালাপের ঘটনা ঘটেনি।
তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা এখনো চলছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।
এ ছাড়া কৃষি ও দুগ্ধ খাতে প্রবেশাধিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে মতভেদ এখনো রয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে ভারতের কৃষি খাতে প্রবেশাধিকার চাইলেও, ভারত খাদ্যনিরাপত্তা ও ক্ষুদ্র কৃষকের স্বার্থের কথা বলে তা প্রতিহত করছে।
২০২৪ সালে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৯০ বিলিয়ন ডলার; যা ট্রাম্প ও মোদি যৌথভাবে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক শুল্ক বৃদ্ধি সেই লক্ষ্যকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
ভারতের পাঞ্জাবে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন একজন সিনিয়র আইপিএস কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে রোপার রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) হরচরণ সিং ভাল্লারকে আটক করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)। এ সময় তাঁর কাছ থেকে বিপুল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, বিলাসবহুল গাড়ি, দামি
৫ ঘণ্টা আগেভারতের কেরালায় বুধবার (১৫ অক্টোবর) মারা যান কেনিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গা। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) তাঁর মরদেহ একনজর দেখার জন্য কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অপেক্ষা করছিলেন বিপুলসংখ্যক সমর্থক। তাঁদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালালে অন্তত ৪ জন নিহত হন বলে জানিয়েছে স্থানীয়
৫ ঘণ্টা আগেদুই বছর আগে সাজানো-গোছানো এক শহর ছিল গাজা। এ শহরে ছিল বসবাসের উপযোগী ঘরবাড়ি, বাচ্চাদের জন্য স্কুল, চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল। কিন্তু ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে আধুনিক ইতিহাসের নজিরবিহীন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।
৬ ঘণ্টা আগেআমেরিকান ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’-এর বিরুদ্ধে ব্রিটেনে প্রায় ৩ হাজার ভুক্তভোগী মামলা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, কোম্পানিটি জানত তাদের ট্যালকম পাউডার ক্ষতিকর ‘অ্যাসবাস্টাস’ মিশ্রিত ছিল, যা মারাত্মক ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগে