ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরি মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়া হলে সেখানে এখনো মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ এড়ানো যেতে পারে। গতকাল রোববার এ কথা বলেছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা চলছে চার মাসেরও বেশি সময় ধরে। এতে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজারের কাছে পৌঁছেছে। আহত প্রায় ৭০ হাজার। এরই মধ্যে খাবার, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘ কয়েক মাস ধরেই এলাকাটিতে দুর্ভিক্ষের হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে। বিভিন্ন শরণার্থীশিবিরে খাবারের অভাবে ধুঁকছে লাখো মানুষ।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, ‘এটি একটি মানবসৃষ্ট বিপর্যয়। বিশ্ব আর কখনোই দুর্ভিক্ষ হতে না দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জরুরি সহায়তা এবং সুরক্ষা প্রদানের অনুমতি দেওয়ার প্রকৃত রাজনৈতিক ইচ্ছা থাকলে দুর্ভিক্ষ এখনো এড়ানো যেতে পারে।’
২০০৭ সাল থেকে গাজায় শাসনকারী গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে আটকে পড়া সাধারণ গাজাবাসীর জন্য সাহায্য সংস্থাগুলো বরাবরই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। গাজায় বর্তমানে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাকে ‘অভূতপূর্ব’ বলেও বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ।
লাজারিনি বলেন, ইউএনআরডব্লিউএর কর্মীরা হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলায় অংশ নিয়েছিল বলে ইসরায়েলের চাপের কারণে সংস্থাটি শেষবার উত্তর গাজায় খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছিল এক মাসেরও বেশি আগে, ২৩ জানুয়ারি।
গাজার উত্তরাঞ্চলের পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত সংকটজনক’ বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ। হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে অপুষ্টির কারণে অনেক শিশু মারা গেছে। ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে সর্বশেষ নিহতের সংখ্যা ২৯,৬৯২ জন। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
চলতি সপ্তাহেই বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানায়, গাজায় অভূতপূর্ব মাত্রার দুর্দশা দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, অঞ্চলটিতে প্রায় ২২ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। গত শুক্রবার গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গাজায় জাবালিয়া শিবির থেকে সাত কিলোমিটার দূরে এক হাসপাতালে অপুষ্টির কারণে দুই মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ সতর্ক করে বলেছে, উদ্বেগজনক হারে খাবারের সংকট, ক্রমবর্ধমান অপুষ্টি ও রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে গাজায় শিশুমৃত্যু বাড়তে পারে।
১৯ ফেব্রুয়ারিতে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় দুই বছরের কম বয়সী শিশুরা তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান ক্ষুধার যন্ত্রণায় মানুষ পচা ভুট্টা, মানুষের খাওয়ার অনুপযোগী পশুখাদ্য, এমনকি লতাপাতাও খাওয়া শুরু করেছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরি মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়া হলে সেখানে এখনো মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ এড়ানো যেতে পারে। গতকাল রোববার এ কথা বলেছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা চলছে চার মাসেরও বেশি সময় ধরে। এতে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজারের কাছে পৌঁছেছে। আহত প্রায় ৭০ হাজার। এরই মধ্যে খাবার, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘ কয়েক মাস ধরেই এলাকাটিতে দুর্ভিক্ষের হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে। বিভিন্ন শরণার্থীশিবিরে খাবারের অভাবে ধুঁকছে লাখো মানুষ।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, ‘এটি একটি মানবসৃষ্ট বিপর্যয়। বিশ্ব আর কখনোই দুর্ভিক্ষ হতে না দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জরুরি সহায়তা এবং সুরক্ষা প্রদানের অনুমতি দেওয়ার প্রকৃত রাজনৈতিক ইচ্ছা থাকলে দুর্ভিক্ষ এখনো এড়ানো যেতে পারে।’
২০০৭ সাল থেকে গাজায় শাসনকারী গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে আটকে পড়া সাধারণ গাজাবাসীর জন্য সাহায্য সংস্থাগুলো বরাবরই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। গাজায় বর্তমানে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাকে ‘অভূতপূর্ব’ বলেও বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ।
লাজারিনি বলেন, ইউএনআরডব্লিউএর কর্মীরা হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলায় অংশ নিয়েছিল বলে ইসরায়েলের চাপের কারণে সংস্থাটি শেষবার উত্তর গাজায় খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছিল এক মাসেরও বেশি আগে, ২৩ জানুয়ারি।
গাজার উত্তরাঞ্চলের পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত সংকটজনক’ বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ। হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে অপুষ্টির কারণে অনেক শিশু মারা গেছে। ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে সর্বশেষ নিহতের সংখ্যা ২৯,৬৯২ জন। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
চলতি সপ্তাহেই বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানায়, গাজায় অভূতপূর্ব মাত্রার দুর্দশা দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, অঞ্চলটিতে প্রায় ২২ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। গত শুক্রবার গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গাজায় জাবালিয়া শিবির থেকে সাত কিলোমিটার দূরে এক হাসপাতালে অপুষ্টির কারণে দুই মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ সতর্ক করে বলেছে, উদ্বেগজনক হারে খাবারের সংকট, ক্রমবর্ধমান অপুষ্টি ও রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে গাজায় শিশুমৃত্যু বাড়তে পারে।
১৯ ফেব্রুয়ারিতে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় দুই বছরের কম বয়সী শিশুরা তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান ক্ষুধার যন্ত্রণায় মানুষ পচা ভুট্টা, মানুষের খাওয়ার অনুপযোগী পশুখাদ্য, এমনকি লতাপাতাও খাওয়া শুরু করেছে।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুই বৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ছয় দিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলির ঘটনা ঘটছে। সীমান্তে জোরদার করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি। কূটনীতিক বহিষ্কারসহ...
২ ঘণ্টা আগেইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ের জন্য ১৫ হাজার সেনাসদস্য পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও ৪ সহস্রাধিক। সব মিলিয়ে মোট হতাহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএসের এক গোপন...
৩ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের ঘটনায় চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ভারতের বিমান সংস্থাগুলো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই বলছে, এ ঘটনায় দেশটির এয়ারলাইনসগুলোর বাড়তি খরচ মাসে ৩০৭ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগেভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, পাকিস্তান কোনো উত্তেজনা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেবে না, তবে ভারত উসকানি দিলে তার দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
৬ ঘণ্টা আগে