
লেবাননের সেনাপ্রধান জোসেফ খলিল আউন দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার লেবাননের পার্লামেন্টের সদস্যরা তাঁকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেন। তাঁর নির্বাচন দেশটিতে প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা ক্ষমতার শূন্যতার অবসান ঘটিয়েছে। তিনি লেবাননের ১৪তম প্রেসিডেন্ট। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ বিকেলে দ্বিতীয় দফার ভোটে তিনি ১২৮ আসনের পার্লামেন্টে ৯৯ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি এমন একসময়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন যার কয়েক দিন আগেই ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর মধ্যে ১৪ মাস ধরে চলা সংঘর্ষ শেষে একটি নাজুক অস্ত্রবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। দেশটি পুনর্গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করছে।
পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়া পর জেনারেল আউন বলেন, ‘আজ থেকে লেবাননের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় শুরু হলো।’ এর আগে, লেবাননের পার্লামেন্ট ১২ বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালায়। জেনারেল আউন তাঁর পূর্বসূরি মিশেল আউনের স্থলাভিষিক্ত হলেন। সাবেক জেনারেল ও প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের মেয়াদ ২০২২ সালের অক্টোবরে শেষ হয়।
ভূমধ্যসাগরীয় এই দেশটি ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে প্রেসিডেন্ট শূন্য ছিল। হিজবুল্লাহ এবং তার বিরোধীদের মধ্যে উত্তেজনার কারণে আগের এক ডজন ভোট ব্যর্থ হয়। আউনের সামনে এখন অস্ত্রবিরতি পর্যবেক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের দাবি পূরণে সংস্কার পরিচালনার জন্য একজন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার মতো কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকট লাঘব করতে পারে।
আউনকে যুক্তরাষ্ট্র এবং আঞ্চলিক শক্তি সৌদি আরবের পছন্দের প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। লেবাননে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিসা জনসন আজ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের অধিবেশনে যোগ দিতে লেবাননের পার্লামেন্টে গিয়েছিলেন। তিনি মন্তব্য করেন, তিনি আউনের নির্বাচনে ‘খুবই খুশি’।
সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আউনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে সৌদি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে। বৈরুতে ইরানের দূতাবাসও আউনের নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে তারা জানিয়েছে, তারা একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যাশা করছে এবং আশা করছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা হবে যা দুই দেশের যৌথ স্বার্থে সহায়ক হবে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রিস্টোফ লেমোইন এই ফলাফলকে লেবাননের জন্য একটি নতুন অধ্যায় বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আউনের নির্বাচনের পর একটি শক্তিশালী সরকার গঠিত হওয়া উচিত। যা লেবাননের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে সক্ষম।’
লেবাননে জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়কারী জিনিন হেনিস-প্লাসচার্ট এই নির্বাচনের বিষয়টি ‘লেবাননের রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শূন্যতা দূরীকরণে একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রথম পদক্ষেপ’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘একজন প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করতে হবে এবং অবিলম্বে একটি সরকার গঠন করতে হবে।’
জোসেফ আউন লেবাননের পঞ্চম সেনাপ্রধান, যিনি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। তাঁর আগে আরও তিন সেনাপ্রধান টানা দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনও সেনাপ্রধান ছিলেন। তবে এই দুই আউনের মধ্যে কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই।

লেবাননের সেনাপ্রধান জোসেফ খলিল আউন দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার লেবাননের পার্লামেন্টের সদস্যরা তাঁকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেন। তাঁর নির্বাচন দেশটিতে প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা ক্ষমতার শূন্যতার অবসান ঘটিয়েছে। তিনি লেবাননের ১৪তম প্রেসিডেন্ট। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ বিকেলে দ্বিতীয় দফার ভোটে তিনি ১২৮ আসনের পার্লামেন্টে ৯৯ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি এমন একসময়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন যার কয়েক দিন আগেই ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর মধ্যে ১৪ মাস ধরে চলা সংঘর্ষ শেষে একটি নাজুক অস্ত্রবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। দেশটি পুনর্গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করছে।
পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়া পর জেনারেল আউন বলেন, ‘আজ থেকে লেবাননের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় শুরু হলো।’ এর আগে, লেবাননের পার্লামেন্ট ১২ বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালায়। জেনারেল আউন তাঁর পূর্বসূরি মিশেল আউনের স্থলাভিষিক্ত হলেন। সাবেক জেনারেল ও প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের মেয়াদ ২০২২ সালের অক্টোবরে শেষ হয়।
ভূমধ্যসাগরীয় এই দেশটি ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে প্রেসিডেন্ট শূন্য ছিল। হিজবুল্লাহ এবং তার বিরোধীদের মধ্যে উত্তেজনার কারণে আগের এক ডজন ভোট ব্যর্থ হয়। আউনের সামনে এখন অস্ত্রবিরতি পর্যবেক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের দাবি পূরণে সংস্কার পরিচালনার জন্য একজন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার মতো কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকট লাঘব করতে পারে।
আউনকে যুক্তরাষ্ট্র এবং আঞ্চলিক শক্তি সৌদি আরবের পছন্দের প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। লেবাননে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিসা জনসন আজ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের অধিবেশনে যোগ দিতে লেবাননের পার্লামেন্টে গিয়েছিলেন। তিনি মন্তব্য করেন, তিনি আউনের নির্বাচনে ‘খুবই খুশি’।
সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আউনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে সৌদি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে। বৈরুতে ইরানের দূতাবাসও আউনের নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা পোস্টে তারা জানিয়েছে, তারা একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যাশা করছে এবং আশা করছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা হবে যা দুই দেশের যৌথ স্বার্থে সহায়ক হবে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রিস্টোফ লেমোইন এই ফলাফলকে লেবাননের জন্য একটি নতুন অধ্যায় বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আউনের নির্বাচনের পর একটি শক্তিশালী সরকার গঠিত হওয়া উচিত। যা লেবাননের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে সক্ষম।’
লেবাননে জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়কারী জিনিন হেনিস-প্লাসচার্ট এই নির্বাচনের বিষয়টি ‘লেবাননের রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শূন্যতা দূরীকরণে একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রথম পদক্ষেপ’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘একজন প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করতে হবে এবং অবিলম্বে একটি সরকার গঠন করতে হবে।’
জোসেফ আউন লেবাননের পঞ্চম সেনাপ্রধান, যিনি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। তাঁর আগে আরও তিন সেনাপ্রধান টানা দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনও সেনাপ্রধান ছিলেন। তবে এই দুই আউনের মধ্যে কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই।

ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী আজ বুধবার তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত ‘এইচ বোমা’ ফেলেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, গত বছরের হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে
ব্রিটেনে ভ্যাপ বা ই-সিগারেট সেবনের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস) জানিয়েছে, দেশটিতে প্রথমবারের মতো ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে সিগারেটসেবীর চেয়ে ই-সিগারেট বা ভ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি।
৩ ঘণ্টা আগে
পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া এসআইআর কার্যক্রম নিয়ে বিজেপি এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্যাপক আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো প্রকৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না। যদি যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে টেনে নামাবেন তিন
৩ ঘণ্টা আগে
জোহরান মামদানি—৩৪ বছর বয়সী এই যুবক নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতেই চমক দেখিয়েছেন। ওই সময় কেবল মার্কিন রাজনীতিতেই নয়, দক্ষিণ এশীয় মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়লেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী আজ বুধবার তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত ‘এইচ বোমা’ ফেলেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, গত বছরের হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে। তাঁর দাবি, হরিয়ানায় মোট ২ কোটি ভোটারের মধ্যে ২৫ লাখ ভোট চুরি হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি আটজন ভোটারের একজন ভুয়া, যা মোট ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ। তবে এখানেই শেষ নয়। রাহুল দেখিয়েছেন, ব্রাজিলীয় এক মডেল হরিয়ানা নির্বাচনে ২২ বার ভোট দিয়েছেন।
রাহুল গান্ধী বলেন, নির্বাচনের পর বহু কংগ্রেস প্রার্থী তাঁকে জানিয়েছেন—কিছু একটা গড়বড় হয়েছে। সব এক্সিট পোল অর্থাৎ বুথফেরত জরিপে কংগ্রেসের জয়ের পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু ফল এল উল্টো। জিতল বিজেপি। তিনি সাংবাদিকদের সামনে বিজেপি নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনির একটি ভিডিও দেখান। সেখানে নির্বাচনের ফল ঘোষণার দুই দিন আগে সাইনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘ব্যবস্থা হয়ে গেছে, বিজেপি জিতছে।’
রাহুল গান্ধীর প্রশ্ন, ‘এই ব্যবস্থা বলতে কী বোঝানো হয়েছিল? তখন সব দলই বলছিল কংগ্রেস বিপুল ব্যবধানে জিতছে, অথচ তিনি নিশ্চিন্ত মুখে বলছেন বিজেপি জয়ী।’ তিনি আরও বলেন, হরিয়ানার ইতিহাসে এই প্রথমবার ডাকযোগে ভোটের ফল বুথের ভোটের বিপরীত এসেছে। তিনি বলেন, ‘আমি ভারতের নির্বাচন কমিশন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্ন করছি, শতভাগ প্রমাণসহ। আমরা নিশ্চিত, কংগ্রেসের বিজয়কে পরাজয়ে পরিণত করতে একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছিল।’
তাঁর দাবি, কংগ্রেস আটটি আসনে খুব সামান্য ব্যবধানে হেরেছে। এর মধ্যে একটি আসনে মাত্র ৩২ ভোটে। সব মিলিয়ে ব্যবধান দাঁড়ায় ২২ হাজার ৭৭৯ ভোট। তিনি বলেন, ‘অর্থাৎ পুরো হরিয়ানা নির্বাচন কংগ্রেস ২২ হাজার ৭৭৯ ভোটে হেরেছে।’
গান্ধী উদাহরণ হিসেবে দেখান, ভোটার তালিকায় এক নারীর ছবি ২২ বার ব্যবহার করা হয়েছে। ওই নারীর ছবিটি আসলে এক ব্রাজিলীয় মডেলের, যা একটি স্টক ফটো ওয়েবসাইট থেকে বিনা মূল্যে ডাউনলোড করা যায়। তিনি বলেন, ওই মডেলের ছবি বিভিন্ন নামে তালিকাভুক্ত। যেমন, ‘সুইটি, সীমা, সরস্বতী’ ইত্যাদি। তিনি বলেন, ‘এই নারী ১০টি ভিন্ন বুথে ভোট দিতে পারেন। মানে, এটা কোনো এলোমেলো ভুল নয়, বরং একটি কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত অপারেশন।’
তিনি আরও জানান, একটি আসনে ১০০টি ভোটার আইডিতে একই নারীর ছবি পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘এই নারী চাইলে ১০০ বার ভোট দিতে পারেন। এর মাধ্যমে ভোটার তালিকায় এমন জায়গা তৈরি করা হয় যাতে বিজেপির লোকজন অন্য রাজ্য থেকে এসে ভোট দিতে পারে।’
আরেক নারীর ছবিও তিনি দেখান, যা ২২৩ বার ব্যবহার হয়েছে দুটি বুথের ভোটার তালিকায়। তাঁর অভিযোগ, ‘এই কারণেই নির্বাচন কমিশন বুথের সিসিটিভি ফুটেজ ধ্বংস করে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের পক্ষে চাইলে এক সেকেন্ডেই ভুয়া ভোটার শনাক্ত করা সম্ভব। তাহলে কেন তারা করে না? কারণ, তারা বিজেপিকে সাহায্য করছে।’ এরপর তিনি একই ছবি কিন্তু ভিন্ন নামসহ ভোটার আইডির আরও কিছু উদাহরণ দেখান। তাঁর দাবি, নির্বাচনের আগে হরিয়ানার ভোটার তালিকা থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার নাম মুছে ফেলা হয়েছিল।

ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী আজ বুধবার তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত ‘এইচ বোমা’ ফেলেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, গত বছরের হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে। তাঁর দাবি, হরিয়ানায় মোট ২ কোটি ভোটারের মধ্যে ২৫ লাখ ভোট চুরি হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি আটজন ভোটারের একজন ভুয়া, যা মোট ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ। তবে এখানেই শেষ নয়। রাহুল দেখিয়েছেন, ব্রাজিলীয় এক মডেল হরিয়ানা নির্বাচনে ২২ বার ভোট দিয়েছেন।
রাহুল গান্ধী বলেন, নির্বাচনের পর বহু কংগ্রেস প্রার্থী তাঁকে জানিয়েছেন—কিছু একটা গড়বড় হয়েছে। সব এক্সিট পোল অর্থাৎ বুথফেরত জরিপে কংগ্রেসের জয়ের পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু ফল এল উল্টো। জিতল বিজেপি। তিনি সাংবাদিকদের সামনে বিজেপি নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনির একটি ভিডিও দেখান। সেখানে নির্বাচনের ফল ঘোষণার দুই দিন আগে সাইনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘ব্যবস্থা হয়ে গেছে, বিজেপি জিতছে।’
রাহুল গান্ধীর প্রশ্ন, ‘এই ব্যবস্থা বলতে কী বোঝানো হয়েছিল? তখন সব দলই বলছিল কংগ্রেস বিপুল ব্যবধানে জিতছে, অথচ তিনি নিশ্চিন্ত মুখে বলছেন বিজেপি জয়ী।’ তিনি আরও বলেন, হরিয়ানার ইতিহাসে এই প্রথমবার ডাকযোগে ভোটের ফল বুথের ভোটের বিপরীত এসেছে। তিনি বলেন, ‘আমি ভারতের নির্বাচন কমিশন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্ন করছি, শতভাগ প্রমাণসহ। আমরা নিশ্চিত, কংগ্রেসের বিজয়কে পরাজয়ে পরিণত করতে একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছিল।’
তাঁর দাবি, কংগ্রেস আটটি আসনে খুব সামান্য ব্যবধানে হেরেছে। এর মধ্যে একটি আসনে মাত্র ৩২ ভোটে। সব মিলিয়ে ব্যবধান দাঁড়ায় ২২ হাজার ৭৭৯ ভোট। তিনি বলেন, ‘অর্থাৎ পুরো হরিয়ানা নির্বাচন কংগ্রেস ২২ হাজার ৭৭৯ ভোটে হেরেছে।’
গান্ধী উদাহরণ হিসেবে দেখান, ভোটার তালিকায় এক নারীর ছবি ২২ বার ব্যবহার করা হয়েছে। ওই নারীর ছবিটি আসলে এক ব্রাজিলীয় মডেলের, যা একটি স্টক ফটো ওয়েবসাইট থেকে বিনা মূল্যে ডাউনলোড করা যায়। তিনি বলেন, ওই মডেলের ছবি বিভিন্ন নামে তালিকাভুক্ত। যেমন, ‘সুইটি, সীমা, সরস্বতী’ ইত্যাদি। তিনি বলেন, ‘এই নারী ১০টি ভিন্ন বুথে ভোট দিতে পারেন। মানে, এটা কোনো এলোমেলো ভুল নয়, বরং একটি কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত অপারেশন।’
তিনি আরও জানান, একটি আসনে ১০০টি ভোটার আইডিতে একই নারীর ছবি পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘এই নারী চাইলে ১০০ বার ভোট দিতে পারেন। এর মাধ্যমে ভোটার তালিকায় এমন জায়গা তৈরি করা হয় যাতে বিজেপির লোকজন অন্য রাজ্য থেকে এসে ভোট দিতে পারে।’
আরেক নারীর ছবিও তিনি দেখান, যা ২২৩ বার ব্যবহার হয়েছে দুটি বুথের ভোটার তালিকায়। তাঁর অভিযোগ, ‘এই কারণেই নির্বাচন কমিশন বুথের সিসিটিভি ফুটেজ ধ্বংস করে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের পক্ষে চাইলে এক সেকেন্ডেই ভুয়া ভোটার শনাক্ত করা সম্ভব। তাহলে কেন তারা করে না? কারণ, তারা বিজেপিকে সাহায্য করছে।’ এরপর তিনি একই ছবি কিন্তু ভিন্ন নামসহ ভোটার আইডির আরও কিছু উদাহরণ দেখান। তাঁর দাবি, নির্বাচনের আগে হরিয়ানার ভোটার তালিকা থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার নাম মুছে ফেলা হয়েছিল।

লেবাননের সেনাপ্রধান জোসেফ খলিল আউন দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার লেবাননের পার্লামেন্টের সদস্যরা তাঁকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেন। তাঁর নির্বাচন দেশটিতে প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা ক্ষমতার শূন্যতার অবসান ঘটিয়েছে। তিনি লেবাননের ১৪তম
০৯ জানুয়ারি ২০২৫
ব্রিটেনে ভ্যাপ বা ই-সিগারেট সেবনের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস) জানিয়েছে, দেশটিতে প্রথমবারের মতো ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে সিগারেটসেবীর চেয়ে ই-সিগারেট বা ভ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি।
৩ ঘণ্টা আগে
পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া এসআইআর কার্যক্রম নিয়ে বিজেপি এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্যাপক আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো প্রকৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না। যদি যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে টেনে নামাবেন তিন
৩ ঘণ্টা আগে
জোহরান মামদানি—৩৪ বছর বয়সী এই যুবক নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতেই চমক দেখিয়েছেন। ওই সময় কেবল মার্কিন রাজনীতিতেই নয়, দক্ষিণ এশীয় মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়লেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রিটেনে ভ্যাপ বা ই-সিগারেট সেবনের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস) জানিয়েছে, দেশটিতে প্রথমবারের মতো ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে সিগারেটসেবীর চেয়ে ই-সিগারেট বা ভ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি।
২০২৪ সালের জরিপ অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ৫.৪ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দৈনিক বা মাঝেমধ্যে ভ্যাপ ব্যবহার করেন, যেখানে সিগারেট সেবনকারীর সংখ্যা ৪.৯ মিলিয়ন।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ২৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে দৈনিক ভ্যাপ ব্যবহার সবচেয়ে বেশি এবং নারীদের মধ্যে এর ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে।
গত এক দশকে তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায় ধূমপানের হার ক্রমাগত কমছে। অন্যদিকে ভ্যাপিং তুলনামূলক কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে তরুণদের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
ইংল্যান্ডের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা এনএইচএস জানিয়েছে, সিগারেট বা ধূমপানের তুলনায় ভ্যাপিং বা ই-সিগারেট খুব সামান্য ঝুঁকি বহন করে। কারণ, সিগারেট পুড়লে হাজারো রাসায়নিক নির্গত হয়, যার বেশির ভাগই বিষাক্ত ও ক্যানসার সৃষ্টিকারী।
তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ভ্যাপিং সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। শিশু ও অধূমপায়ীদের এটি কখনোই ব্যবহার করা উচিত নয়। সিগারেট ছেড়ে ভ্যাপিংয়ে গেলে ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়; তবে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি।
ধূমপানবিরোধী সংস্থা অ্যাকশন অন স্মোকিং অ্যান্ড হেলথ (এএসএইচ) জানিয়েছে, ধূমপানের হার কমা জনস্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক খবর। তবে যাঁরা এখনো ধূমপান করছেন, তাঁরা একটি আসক্তির চক্রে বন্দী, যা শেষ পর্যন্ত তাঁদের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে।
সংস্থাটি বলছে, যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর ধূমপানের কারণে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যেসব অঞ্চলে ধূমপানের হার এখনো বেশি, সেখানে বিনিয়োগ ও সহায়তা বাড়াতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে এএসএইচ।
ওএনএসের অপিনিয়নস অ্যান্ড লাইফস্টাইল সার্ভে অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে বর্তমানে ১৬ বছর ও তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন বা মাঝেমধ্যে ই-সিগারেট ব্যবহার করে, যা ধূমপানকারীর ৯ দশমিক ১ শতাংশ সংখ্যার চেয়ে সামান্য বেশি।
১৯৭০-এর দশকে জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক ধূমপায়ী ছিল। সে সময় ৩০ শতাংশ মানুষ ধূমপান ত্যাগ করেছিল। কিন্তু সেই সময় থেকে অনেক পরিবর্তন এসেছে। ২০০৬-২০০৭ সালে বদ্ধ জনসমাগমের স্থান এবং কর্মক্ষেত্রে ধূমপানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ২০১৫ সালে শিশুদের সঙ্গে গাড়িতে ধূমপানের ওপর নিষেধাজ্ঞা চালু করা হয়। এরপর ২০১৭ সালে সাধারণ সিগারেট প্যাকেজিং চালু করা হয়। এতে ধূমপায়ীর সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
ওএনএস বলছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমেছে। ২০২৪ সালে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ ধূমপান ছেড়েছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ৭০ দশমিক ৩ শতাংশ।
এ ছাড়া বর্তমানে সংসদে প্রক্রিয়াধীন টোব্যাকো অ্যান্ড ভ্যাপস বিল অনুযায়ী ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি বা তারপর জন্ম নেওয়া কেউ যুক্তরাজ্যে তামাক কেনার অনুমতি পাবে না।
দোকানগুলোতে ভ্যাপের প্যাকেজিং এবং প্রদর্শনের নিয়মে কড়াকড়ি আনা হচ্ছে, যাতে এগুলো শিশুদের কাছে আকর্ষণীয় না দেখায়।
এ ছাড়া পরিবেশ রক্ষা এবং শিশু ও তরুণদের ভ্যাপিং কমাতে ২০২৪ সালের জুন মাস থেকে যুক্তরাজ্যে একবার ব্যবহার করা যায়, এমন বা ডিসপোজেবল ভ্যাপ বিক্রি বা সরবরাহ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৮ বছরের কম বয়সীদের নিকোটিন পাউচ এবং অন্যান্য নিকোটিন পণ্য বিক্রি করা নিষিদ্ধ হবে।
ওএনএসের জরিপ অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে ১৬ বছর এবং তার বেশি বয়সীদের মধ্যে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন ভ্যাপ বা ই-সিগারেট ব্যবহার করছে, যা ২০২৩ সালের ৫ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। আরও ৩ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ মাঝেমধ্যে ব্যবহার করে।
এর মানে বর্তমানে ৫.৪ মিলিয়ন মানুষ ভ্যাপ ব্যবহার করছে, যা ২০২৩ সালের ৫.১ মিলিয়নের তুলনায় বেশি।
ধূমপানের বিরুদ্ধে লড়াই করা সংস্থা এএসএইচের প্রধান নির্বাহী হ্যাজেল চিসম্যান বলেন, এখন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যে কখনোই ধূমপান করেননি, এমন ব্যক্তিরা এখন ভ্যাপিং শুরু করতে পারে।

ব্রিটেনে ভ্যাপ বা ই-সিগারেট সেবনের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস) জানিয়েছে, দেশটিতে প্রথমবারের মতো ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে সিগারেটসেবীর চেয়ে ই-সিগারেট বা ভ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি।
২০২৪ সালের জরিপ অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ৫.৪ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দৈনিক বা মাঝেমধ্যে ভ্যাপ ব্যবহার করেন, যেখানে সিগারেট সেবনকারীর সংখ্যা ৪.৯ মিলিয়ন।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ২৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে দৈনিক ভ্যাপ ব্যবহার সবচেয়ে বেশি এবং নারীদের মধ্যে এর ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে।
গত এক দশকে তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায় ধূমপানের হার ক্রমাগত কমছে। অন্যদিকে ভ্যাপিং তুলনামূলক কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে তরুণদের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
ইংল্যান্ডের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা এনএইচএস জানিয়েছে, সিগারেট বা ধূমপানের তুলনায় ভ্যাপিং বা ই-সিগারেট খুব সামান্য ঝুঁকি বহন করে। কারণ, সিগারেট পুড়লে হাজারো রাসায়নিক নির্গত হয়, যার বেশির ভাগই বিষাক্ত ও ক্যানসার সৃষ্টিকারী।
তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ভ্যাপিং সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। শিশু ও অধূমপায়ীদের এটি কখনোই ব্যবহার করা উচিত নয়। সিগারেট ছেড়ে ভ্যাপিংয়ে গেলে ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়; তবে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি।
ধূমপানবিরোধী সংস্থা অ্যাকশন অন স্মোকিং অ্যান্ড হেলথ (এএসএইচ) জানিয়েছে, ধূমপানের হার কমা জনস্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক খবর। তবে যাঁরা এখনো ধূমপান করছেন, তাঁরা একটি আসক্তির চক্রে বন্দী, যা শেষ পর্যন্ত তাঁদের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে।
সংস্থাটি বলছে, যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর ধূমপানের কারণে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। যেসব অঞ্চলে ধূমপানের হার এখনো বেশি, সেখানে বিনিয়োগ ও সহায়তা বাড়াতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে এএসএইচ।
ওএনএসের অপিনিয়নস অ্যান্ড লাইফস্টাইল সার্ভে অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে বর্তমানে ১৬ বছর ও তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন বা মাঝেমধ্যে ই-সিগারেট ব্যবহার করে, যা ধূমপানকারীর ৯ দশমিক ১ শতাংশ সংখ্যার চেয়ে সামান্য বেশি।
১৯৭০-এর দশকে জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক ধূমপায়ী ছিল। সে সময় ৩০ শতাংশ মানুষ ধূমপান ত্যাগ করেছিল। কিন্তু সেই সময় থেকে অনেক পরিবর্তন এসেছে। ২০০৬-২০০৭ সালে বদ্ধ জনসমাগমের স্থান এবং কর্মক্ষেত্রে ধূমপানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ২০১৫ সালে শিশুদের সঙ্গে গাড়িতে ধূমপানের ওপর নিষেধাজ্ঞা চালু করা হয়। এরপর ২০১৭ সালে সাধারণ সিগারেট প্যাকেজিং চালু করা হয়। এতে ধূমপায়ীর সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
ওএনএস বলছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমেছে। ২০২৪ সালে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ ধূমপান ছেড়েছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ৭০ দশমিক ৩ শতাংশ।
এ ছাড়া বর্তমানে সংসদে প্রক্রিয়াধীন টোব্যাকো অ্যান্ড ভ্যাপস বিল অনুযায়ী ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি বা তারপর জন্ম নেওয়া কেউ যুক্তরাজ্যে তামাক কেনার অনুমতি পাবে না।
দোকানগুলোতে ভ্যাপের প্যাকেজিং এবং প্রদর্শনের নিয়মে কড়াকড়ি আনা হচ্ছে, যাতে এগুলো শিশুদের কাছে আকর্ষণীয় না দেখায়।
এ ছাড়া পরিবেশ রক্ষা এবং শিশু ও তরুণদের ভ্যাপিং কমাতে ২০২৪ সালের জুন মাস থেকে যুক্তরাজ্যে একবার ব্যবহার করা যায়, এমন বা ডিসপোজেবল ভ্যাপ বিক্রি বা সরবরাহ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৮ বছরের কম বয়সীদের নিকোটিন পাউচ এবং অন্যান্য নিকোটিন পণ্য বিক্রি করা নিষিদ্ধ হবে।
ওএনএসের জরিপ অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে ১৬ বছর এবং তার বেশি বয়সীদের মধ্যে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন ভ্যাপ বা ই-সিগারেট ব্যবহার করছে, যা ২০২৩ সালের ৫ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। আরও ৩ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ মাঝেমধ্যে ব্যবহার করে।
এর মানে বর্তমানে ৫.৪ মিলিয়ন মানুষ ভ্যাপ ব্যবহার করছে, যা ২০২৩ সালের ৫.১ মিলিয়নের তুলনায় বেশি।
ধূমপানের বিরুদ্ধে লড়াই করা সংস্থা এএসএইচের প্রধান নির্বাহী হ্যাজেল চিসম্যান বলেন, এখন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যে কখনোই ধূমপান করেননি, এমন ব্যক্তিরা এখন ভ্যাপিং শুরু করতে পারে।

লেবাননের সেনাপ্রধান জোসেফ খলিল আউন দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার লেবাননের পার্লামেন্টের সদস্যরা তাঁকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেন। তাঁর নির্বাচন দেশটিতে প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা ক্ষমতার শূন্যতার অবসান ঘটিয়েছে। তিনি লেবাননের ১৪তম
০৯ জানুয়ারি ২০২৫
ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী আজ বুধবার তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত ‘এইচ বোমা’ ফেলেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, গত বছরের হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে
পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া এসআইআর কার্যক্রম নিয়ে বিজেপি এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্যাপক আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো প্রকৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না। যদি যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে টেনে নামাবেন তিন
৩ ঘণ্টা আগে
জোহরান মামদানি—৩৪ বছর বয়সী এই যুবক নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতেই চমক দেখিয়েছেন। ওই সময় কেবল মার্কিন রাজনীতিতেই নয়, দক্ষিণ এশীয় মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়লেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া এসআইআর কার্যক্রম নিয়ে বিজেপি এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্যাপক আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো প্রকৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না। যদি যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে টেনে নামাবেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করে বলেছেন—যদি রাজ্যের তালিকা থেকে একটিও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকার পতন অনিবার্য হবে। তিনি রাজ্যের নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘যদি কাগজপত্র না থাকে, আমাদের শিবিরে আসুন। আমরা যেকোনো মূল্যে সাহায্য করব। প্রয়োজনে থালাবাটি বিক্রি করে হলেও সাহায্য করব।’
পশ্চিমবঙ্গে গতকাল মঙ্গলবারই এসআইআর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৮০ হাজারের বেশি মাঠকর্মী ঘরে ঘরে গিয়ে জরিপ শুরু করেছেন। এদিন কলকাতায় ৪ কিলোমিটার পদযাত্রার মাধ্যমে এসআইআর-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানা মমতা ও তাঁর ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পদযাত্রা শুরু হয় ড. বিআর আম্বেদকরের ভাস্কর্যের সামনে থেকে এবং শেষ হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মভূমি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে।
পদযাত্রার পর জনসমক্ষে মমতা বলেন, এসআইআর হলো ‘নীরব, অদৃশ্য কেলেঙ্কারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ভয় পাবেন না। সবই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হচ্ছে। প্রয়োজনে আইনি সহায়তা নিন। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের বলছি, ভয় পাবেন না, দিদি আছেন। যেকোনো উপায়ে রক্ষা করব। যদি জোরপূর্বক বিতাড়ন করা হয়, সবাই মিলে তা মোকাবিলা করতে হবে। সংখ্যালঘুদেরও কোনো ভয় নেই।’
এসআইআর প্রক্রিয়ার ‘হঠাৎ বাস্তবায়ন’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০১ সালের পর। ২০০২-২০০৩ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি। ২০০৪ সালে নির্বাচনের আগে এসআইআর চলেছিল দেড় থেকে দুই বছর ধরে। আজ এত তাড়াহুড়া কেন? একটিও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ গেলে, আমি বিজেপি সরকার উল্টে দেব।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম না নিয়ে তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি এত বড় জাতীয়তাবাদীই হবেন, তাহলে বলুন—চার নির্বাচনী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল, আসাম এবং তিনটি বিরোধী দল শাসিত রাজ্যে এসআইআর চালু করলেন, কিন্তু আসামে কেন নয়? ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঘোষণা করবেন। তিন মাসে কি ১০ কোটি মানুষকে এই ফরম পূরণ করানো সম্ভব? কেন নির্বাচন পরে করা যায়নি? আসামে কেন নয়? কারণ আপনি হেরে যেতেন। আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, মিথ্যা ভোট দিয়ে সব সময় জিততে পারবেন না।’
মোদির দল বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়া ‘অবৈধ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি’দের তালিকা থেকে সরিয়ে দেবে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা কোথা থেকে আসবে? নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ থেকে। সেখানেও কি এসআইআর হলো? বাংলাদেশিরা ত্রিপুরা ও আসাম থেকেও আসে। আসামে ১৯ লাখ নাম বাদ পড়েছিল, যার মধ্যে ১২ লাখ হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মের মানুষ। ক্ষমতায় থাকার কারণে বিজেপি যা ইচ্ছে তাই করছে।’
অমিত শাহের দ্বিচারী নীতির সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘তিনি পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির সমালোচনা করেন, অথচ নিজের ছেলেকে আইসিসির সর্বোচ্চ পদে নিয়োগ দিয়েছেন।’ নির্বাচন কমিশনের ওপর আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘কারও পিতামাতার নাম তালিকায় নেই, তাহলে কি আবার প্রমাণ দিতে হবে যে তারা এই রাজ্যে জন্মেছেন? কমিশন তালিকায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। ভুলের দায়িত্ব কে নেবে? নির্বাচনের পর করাই ভালো হতো না কি? জন্ম ও স্বাধীনতার এত বছর পরও কি নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে?’

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া এসআইআর কার্যক্রম নিয়ে বিজেপি এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্যাপক আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো প্রকৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না। যদি যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে টেনে নামাবেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করে বলেছেন—যদি রাজ্যের তালিকা থেকে একটিও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকার পতন অনিবার্য হবে। তিনি রাজ্যের নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘যদি কাগজপত্র না থাকে, আমাদের শিবিরে আসুন। আমরা যেকোনো মূল্যে সাহায্য করব। প্রয়োজনে থালাবাটি বিক্রি করে হলেও সাহায্য করব।’
পশ্চিমবঙ্গে গতকাল মঙ্গলবারই এসআইআর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৮০ হাজারের বেশি মাঠকর্মী ঘরে ঘরে গিয়ে জরিপ শুরু করেছেন। এদিন কলকাতায় ৪ কিলোমিটার পদযাত্রার মাধ্যমে এসআইআর-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানা মমতা ও তাঁর ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পদযাত্রা শুরু হয় ড. বিআর আম্বেদকরের ভাস্কর্যের সামনে থেকে এবং শেষ হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মভূমি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে।
পদযাত্রার পর জনসমক্ষে মমতা বলেন, এসআইআর হলো ‘নীরব, অদৃশ্য কেলেঙ্কারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ভয় পাবেন না। সবই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হচ্ছে। প্রয়োজনে আইনি সহায়তা নিন। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের বলছি, ভয় পাবেন না, দিদি আছেন। যেকোনো উপায়ে রক্ষা করব। যদি জোরপূর্বক বিতাড়ন করা হয়, সবাই মিলে তা মোকাবিলা করতে হবে। সংখ্যালঘুদেরও কোনো ভয় নেই।’
এসআইআর প্রক্রিয়ার ‘হঠাৎ বাস্তবায়ন’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০১ সালের পর। ২০০২-২০০৩ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি। ২০০৪ সালে নির্বাচনের আগে এসআইআর চলেছিল দেড় থেকে দুই বছর ধরে। আজ এত তাড়াহুড়া কেন? একটিও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ গেলে, আমি বিজেপি সরকার উল্টে দেব।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম না নিয়ে তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি এত বড় জাতীয়তাবাদীই হবেন, তাহলে বলুন—চার নির্বাচনী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল, আসাম এবং তিনটি বিরোধী দল শাসিত রাজ্যে এসআইআর চালু করলেন, কিন্তু আসামে কেন নয়? ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঘোষণা করবেন। তিন মাসে কি ১০ কোটি মানুষকে এই ফরম পূরণ করানো সম্ভব? কেন নির্বাচন পরে করা যায়নি? আসামে কেন নয়? কারণ আপনি হেরে যেতেন। আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, মিথ্যা ভোট দিয়ে সব সময় জিততে পারবেন না।’
মোদির দল বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়া ‘অবৈধ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি’দের তালিকা থেকে সরিয়ে দেবে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা কোথা থেকে আসবে? নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ থেকে। সেখানেও কি এসআইআর হলো? বাংলাদেশিরা ত্রিপুরা ও আসাম থেকেও আসে। আসামে ১৯ লাখ নাম বাদ পড়েছিল, যার মধ্যে ১২ লাখ হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মের মানুষ। ক্ষমতায় থাকার কারণে বিজেপি যা ইচ্ছে তাই করছে।’
অমিত শাহের দ্বিচারী নীতির সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘তিনি পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির সমালোচনা করেন, অথচ নিজের ছেলেকে আইসিসির সর্বোচ্চ পদে নিয়োগ দিয়েছেন।’ নির্বাচন কমিশনের ওপর আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘কারও পিতামাতার নাম তালিকায় নেই, তাহলে কি আবার প্রমাণ দিতে হবে যে তারা এই রাজ্যে জন্মেছেন? কমিশন তালিকায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। ভুলের দায়িত্ব কে নেবে? নির্বাচনের পর করাই ভালো হতো না কি? জন্ম ও স্বাধীনতার এত বছর পরও কি নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে?’

লেবাননের সেনাপ্রধান জোসেফ খলিল আউন দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার লেবাননের পার্লামেন্টের সদস্যরা তাঁকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেন। তাঁর নির্বাচন দেশটিতে প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা ক্ষমতার শূন্যতার অবসান ঘটিয়েছে। তিনি লেবাননের ১৪তম
০৯ জানুয়ারি ২০২৫
ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী আজ বুধবার তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত ‘এইচ বোমা’ ফেলেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, গত বছরের হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে
ব্রিটেনে ভ্যাপ বা ই-সিগারেট সেবনের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস) জানিয়েছে, দেশটিতে প্রথমবারের মতো ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে সিগারেটসেবীর চেয়ে ই-সিগারেট বা ভ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি।
৩ ঘণ্টা আগে
জোহরান মামদানি—৩৪ বছর বয়সী এই যুবক নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতেই চমক দেখিয়েছেন। ওই সময় কেবল মার্কিন রাজনীতিতেই নয়, দক্ষিণ এশীয় মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়লেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জোহরান মামদানি—৩৪ বছর বয়সী এই যুবক নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতেই চমক দেখিয়েছেন। ওই সময় কেবল মার্কিন রাজনীতিতেই নয়, দক্ষিণ এশীয় মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়লেন।
গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক আদর্শের এই নেতা হেভিওয়েট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকে পরাজিত করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তবে ভোটের ময়দানে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার একটি দিক বিশেষভাবে নজর কেড়েছে—আর তা হলো তাঁর ‘বাংলা প্রীতি’।
জোহরান মামদানি তাঁর ক্যাম্পেইনের শুরুতে বিভিন্ন ভাষার ব্যবহার করেছিলেন, যার মধ্যে বাংলা ছিল অন্যতম। নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা লিটল বাংলাদেশ কেনসিংটনে তিনি স্থানীয় কাউন্সিল মেম্বার শাহানা আরিফের সঙ্গে একটি বিশেষ প্রচার ভিডিও বানান।
এই ভিডিওটিতে একটি বিশেষ দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। মামদানি বাঙালির ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির প্লেট সামনে নিয়ে ভাঙা ভাঙা বাংলায় ‘র্যাংকড চয়েস ভোটিং’ পদ্ধতি সাধারণ ভোটারদের কাছে ব্যাখ্যা করছিলেন। ভিডিওর শেষে নিজের বাংলা দক্ষতা নিয়ে তাঁর কৌতূহলী প্রশ্ন, ‘আমার বাংলা ভালোই, না?’ শাহানা আরিফের দ্বিধান্বিত উত্তর ছিল, ‘খারাপ না!’ এই কথোপকথন ভোটারদের মধ্যে এক বন্ধুত্বপূর্ণ উষ্ণতা তৈরি করেছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই নেতা হিন্দি ও উর্দুর পাশাপাশি যে বাংলাতেও মোটামুটি সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন, তাতে জ্যাকসন হাইটসসহ বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকার অনেকে মুগ্ধ হয়েছেন। প্রচারে বেরিয়ে তাঁকে বাঙালি ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে বাংলায় ছোটখাটো আলাপ করতেও দেখা গেছে।
প্রাইমারিতে চমক জাগানো জয়ের পর দেওয়া ‘অ্যাকসেপ্টেন্স স্পিচ’-এও মামদানি বাঙালি সমাজের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেননি। এই সাফল্যের পেছনে ‘বাংলাদেশি আন্টি’দের ভূমিকার কথা তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। প্রাইমারিতে জেতার পর তিনি বেশ কয়েকবার বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় গেছেন। হিলসাইড অ্যাভিনিউ মুখরিত হয়েছিল ‘আমার মেয়র, তোমার মেয়র, মামদানি, মামদানি, জোহরান মামদানি!’ স্লোগানে।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, ভোটের প্রয়োজনেই কি মামদানির এই বাংলা-প্রীতি, নাকি এর পেছনে অন্য কারণ আছে?
সংক্ষেপে উত্তর হলো, জোহরানের বাংলা যোগের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা তাঁর মা মীরা নায়ারের। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রপরিচালক।
মীরা নায়ারের জন্ম ভারতের ওডিশা রাজ্যের বাঙালি অধ্যুষিত শহর রাউরকেল্লাতে। তিনি বেড়ে উঠেছেন ওই রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বরে, যেখানে জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বাঙালি। তাঁর শৈশবে অনেক বাঙালি বন্ধু ছিল এবং তাঁর গানের শিক্ষকও ছিলেন একজন বাঙালি। এই প্রত্যক্ষ সংযোগের কারণেই মীরা নায়ার নিজে বাংলা বোঝেন এবং কিছুটা বলতেও পারেন।
মীরা নায়ারের বিখ্যাত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে একটি ‘নেমসেক’। এটি বাঙালি পরিবারের আমেরিকান লেখিকা, পুলিৎজার-জয়ী ঝুম্পা লাহিড়ির একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করেন। সিনেমাটির মূল বিষয়বস্তু ছিল আমেরিকায় পাড়ি দেওয়া প্রথম প্রজন্মের অভিবাসী বাঙালি দম্পতি অশোক ও অসীমা গাঙ্গুলির জীবনসংগ্রাম।
মজার বিষয় হলো, জোহরান মামদানিই তাঁর মাকে ‘নেমসেক’ ছবিটি বানাতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। ২০০৭ সালে, যখন মীরা নায়ার ‘নেমসেক’ নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন, ঠিক তখনই তিনি বিখ্যাত হ্যারি পটার ফ্র্যাঞ্চাইজির পঞ্চম পর্ব পরিচালনার একটি লোভনীয় প্রস্তাব পান। দ্বিধান্বিত মা তখন কিশোর ছেলে জোহরানের কাছে পরামর্শ চান।
তখন জোহরানের বয়স মাত্র চৌদ্দ, এবং তিনি নিজেও হ্যারি পটার সিরিজের পাঁড় ভক্ত। তবুও তিনি মাকে বলেছিলেন, ‘আরও অনেক ভালো ভালো পরিচালক আছেন যারা হ্যারি পটার বানাতে পারবেন—কিন্তু নেমসেক একজনই বানাতে পারবে, আর সেটা তুমি!’ ছেলের এই অনুপ্রেরণাতেই মীরা নায়ার শেষ পর্যন্ত বাঙালি অভিবাসী সংস্কৃতি নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেন। বাঙালি দর্শকের হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে এই সিনেমা।
জোহরান মামদানির মতো দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত বাবা-মায়ের সন্তানেরা আমেরিকায় দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসী হিসেবে বেড়ে ওঠেন। আত্মপরিচয়ের সংকটে ভোগা এই প্রজন্মকে অনেকেই ‘আমেরিকা বর্ন কনফিউজড দিশি’ বা ‘এবিসিডি’ প্রজন্ম বলে বর্ণনা করেন। ‘নেমসেক’-এর মুখ্য চরিত্র গোগল গাঙ্গুলীও এমন এক তরুণ।
নির্বাচনী সমাবেশে জোহরান মামদানিও সেদিকই ভোটারদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই শহরে যাদের কখনো সন্ত্রাসী বলা হয়েছে, কিংবা কর্মস্থলে নিজের নাম বিকৃত হতে শুনেছেন—তাঁদের হাত তুলতে বলছি। আমরা যারা নিজেদের পরিচয়ের কারণে হেয়বোধ করেছি, এই নির্বাচনের লড়াই আমাদের সবার জন্য।’
তবে জোহরান মামদানি তাঁর সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক জীবনে প্রমাণ করেছেন, পরিচয়ে ‘এবিসিডি’ হলেও তাঁর জীবনদর্শন বা রাজনৈতিক ভাবনায় কোনো বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। তাঁর টিম ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দি, উর্দু ও বাংলাতে ক্যাম্পেইন ভিডিও তৈরি করেছে। এর মধ্যে কোনো কোনোটিতে ব্যবহৃত হয়েছে বলিউডের পুরোনো ব্লকবাস্টার ‘দিওয়ার’ ছবির থিম। এই ‘দিওয়ার’-এর বিখ্যাত সংলাপ ‘মেরে পাস মা হ্যায়’-এর আদলে মামদানিও যেন নীরবে বারবার বার্তা দিয়েছেন—তাঁর সঙ্গে তাঁর মা।

জোহরান মামদানি—৩৪ বছর বয়সী এই যুবক নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতেই চমক দেখিয়েছেন। ওই সময় কেবল মার্কিন রাজনীতিতেই নয়, দক্ষিণ এশীয় মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়লেন।
গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক আদর্শের এই নেতা হেভিওয়েট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকে পরাজিত করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তবে ভোটের ময়দানে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার একটি দিক বিশেষভাবে নজর কেড়েছে—আর তা হলো তাঁর ‘বাংলা প্রীতি’।
জোহরান মামদানি তাঁর ক্যাম্পেইনের শুরুতে বিভিন্ন ভাষার ব্যবহার করেছিলেন, যার মধ্যে বাংলা ছিল অন্যতম। নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা লিটল বাংলাদেশ কেনসিংটনে তিনি স্থানীয় কাউন্সিল মেম্বার শাহানা আরিফের সঙ্গে একটি বিশেষ প্রচার ভিডিও বানান।
এই ভিডিওটিতে একটি বিশেষ দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। মামদানি বাঙালির ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির প্লেট সামনে নিয়ে ভাঙা ভাঙা বাংলায় ‘র্যাংকড চয়েস ভোটিং’ পদ্ধতি সাধারণ ভোটারদের কাছে ব্যাখ্যা করছিলেন। ভিডিওর শেষে নিজের বাংলা দক্ষতা নিয়ে তাঁর কৌতূহলী প্রশ্ন, ‘আমার বাংলা ভালোই, না?’ শাহানা আরিফের দ্বিধান্বিত উত্তর ছিল, ‘খারাপ না!’ এই কথোপকথন ভোটারদের মধ্যে এক বন্ধুত্বপূর্ণ উষ্ণতা তৈরি করেছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই নেতা হিন্দি ও উর্দুর পাশাপাশি যে বাংলাতেও মোটামুটি সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন, তাতে জ্যাকসন হাইটসসহ বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকার অনেকে মুগ্ধ হয়েছেন। প্রচারে বেরিয়ে তাঁকে বাঙালি ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে বাংলায় ছোটখাটো আলাপ করতেও দেখা গেছে।
প্রাইমারিতে চমক জাগানো জয়ের পর দেওয়া ‘অ্যাকসেপ্টেন্স স্পিচ’-এও মামদানি বাঙালি সমাজের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেননি। এই সাফল্যের পেছনে ‘বাংলাদেশি আন্টি’দের ভূমিকার কথা তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। প্রাইমারিতে জেতার পর তিনি বেশ কয়েকবার বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় গেছেন। হিলসাইড অ্যাভিনিউ মুখরিত হয়েছিল ‘আমার মেয়র, তোমার মেয়র, মামদানি, মামদানি, জোহরান মামদানি!’ স্লোগানে।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, ভোটের প্রয়োজনেই কি মামদানির এই বাংলা-প্রীতি, নাকি এর পেছনে অন্য কারণ আছে?
সংক্ষেপে উত্তর হলো, জোহরানের বাংলা যোগের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা তাঁর মা মীরা নায়ারের। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রপরিচালক।
মীরা নায়ারের জন্ম ভারতের ওডিশা রাজ্যের বাঙালি অধ্যুষিত শহর রাউরকেল্লাতে। তিনি বেড়ে উঠেছেন ওই রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বরে, যেখানে জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বাঙালি। তাঁর শৈশবে অনেক বাঙালি বন্ধু ছিল এবং তাঁর গানের শিক্ষকও ছিলেন একজন বাঙালি। এই প্রত্যক্ষ সংযোগের কারণেই মীরা নায়ার নিজে বাংলা বোঝেন এবং কিছুটা বলতেও পারেন।
মীরা নায়ারের বিখ্যাত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে একটি ‘নেমসেক’। এটি বাঙালি পরিবারের আমেরিকান লেখিকা, পুলিৎজার-জয়ী ঝুম্পা লাহিড়ির একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করেন। সিনেমাটির মূল বিষয়বস্তু ছিল আমেরিকায় পাড়ি দেওয়া প্রথম প্রজন্মের অভিবাসী বাঙালি দম্পতি অশোক ও অসীমা গাঙ্গুলির জীবনসংগ্রাম।
মজার বিষয় হলো, জোহরান মামদানিই তাঁর মাকে ‘নেমসেক’ ছবিটি বানাতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। ২০০৭ সালে, যখন মীরা নায়ার ‘নেমসেক’ নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন, ঠিক তখনই তিনি বিখ্যাত হ্যারি পটার ফ্র্যাঞ্চাইজির পঞ্চম পর্ব পরিচালনার একটি লোভনীয় প্রস্তাব পান। দ্বিধান্বিত মা তখন কিশোর ছেলে জোহরানের কাছে পরামর্শ চান।
তখন জোহরানের বয়স মাত্র চৌদ্দ, এবং তিনি নিজেও হ্যারি পটার সিরিজের পাঁড় ভক্ত। তবুও তিনি মাকে বলেছিলেন, ‘আরও অনেক ভালো ভালো পরিচালক আছেন যারা হ্যারি পটার বানাতে পারবেন—কিন্তু নেমসেক একজনই বানাতে পারবে, আর সেটা তুমি!’ ছেলের এই অনুপ্রেরণাতেই মীরা নায়ার শেষ পর্যন্ত বাঙালি অভিবাসী সংস্কৃতি নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেন। বাঙালি দর্শকের হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে এই সিনেমা।
জোহরান মামদানির মতো দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত বাবা-মায়ের সন্তানেরা আমেরিকায় দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসী হিসেবে বেড়ে ওঠেন। আত্মপরিচয়ের সংকটে ভোগা এই প্রজন্মকে অনেকেই ‘আমেরিকা বর্ন কনফিউজড দিশি’ বা ‘এবিসিডি’ প্রজন্ম বলে বর্ণনা করেন। ‘নেমসেক’-এর মুখ্য চরিত্র গোগল গাঙ্গুলীও এমন এক তরুণ।
নির্বাচনী সমাবেশে জোহরান মামদানিও সেদিকই ভোটারদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই শহরে যাদের কখনো সন্ত্রাসী বলা হয়েছে, কিংবা কর্মস্থলে নিজের নাম বিকৃত হতে শুনেছেন—তাঁদের হাত তুলতে বলছি। আমরা যারা নিজেদের পরিচয়ের কারণে হেয়বোধ করেছি, এই নির্বাচনের লড়াই আমাদের সবার জন্য।’
তবে জোহরান মামদানি তাঁর সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক জীবনে প্রমাণ করেছেন, পরিচয়ে ‘এবিসিডি’ হলেও তাঁর জীবনদর্শন বা রাজনৈতিক ভাবনায় কোনো বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। তাঁর টিম ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দি, উর্দু ও বাংলাতে ক্যাম্পেইন ভিডিও তৈরি করেছে। এর মধ্যে কোনো কোনোটিতে ব্যবহৃত হয়েছে বলিউডের পুরোনো ব্লকবাস্টার ‘দিওয়ার’ ছবির থিম। এই ‘দিওয়ার’-এর বিখ্যাত সংলাপ ‘মেরে পাস মা হ্যায়’-এর আদলে মামদানিও যেন নীরবে বারবার বার্তা দিয়েছেন—তাঁর সঙ্গে তাঁর মা।

লেবাননের সেনাপ্রধান জোসেফ খলিল আউন দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার লেবাননের পার্লামেন্টের সদস্যরা তাঁকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেন। তাঁর নির্বাচন দেশটিতে প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা ক্ষমতার শূন্যতার অবসান ঘটিয়েছে। তিনি লেবাননের ১৪তম
০৯ জানুয়ারি ২০২৫
ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী আজ বুধবার তাঁর বহুল প্রতীক্ষিত ‘এইচ বোমা’ ফেলেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, গত বছরের হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে।
৩৫ মিনিট আগে
ব্রিটেনে ভ্যাপ বা ই-সিগারেট সেবনের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস) জানিয়েছে, দেশটিতে প্রথমবারের মতো ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে সিগারেটসেবীর চেয়ে ই-সিগারেট বা ভ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি।
৩ ঘণ্টা আগে
পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া এসআইআর কার্যক্রম নিয়ে বিজেপি এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্যাপক আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো প্রকৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না। যদি যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে টেনে নামাবেন তিন
৩ ঘণ্টা আগে