অনলাইন ডেস্ক
সিরিয়ায় আবারও পূর্ণমাত্রার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। মার্কিন সিনেটের ফরেন রিলেশনস কমিটির এক শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সিরিয়া কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ ও সম্ভাব্য ভাঙনের মুখোমুখি হতে পারে।’
রুবিও জানান, সিরিয়ার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেক সদস্যই এফবিআই-এর নিরাপত্তা যাচাইয়ে উত্তীর্ণ হননি। তারপরও আসাদ বিরোধী অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল। রুবিও বলেন, ‘আমরা যদি যোগাযোগ না রাখতাম, তাহলে ব্যর্থতা নিশ্চিত ছিল।’
তিনি সতর্ক করে বলেন—সিরিয়ার বর্তমান সরকার ভেঙে পড়লে দেশটি পুরোপুরি বিভক্ত হয়ে পড়বে এবং এমন এক পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধের মুখোমুখি হবে যার পরিণতি হবে ভয়াবহ।
বিবিসি জানিয়েছে, শুনানিতে রুবিও সিরিয়ার ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। সম্প্রতি সৌদি আরবের রিয়াদে সিরিয়ার কার্যত প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎও হয়েছিল ট্রাম্পের। তবে ওই সাক্ষাতের আগেই সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। শারা একসময় আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ছিলেন এবং গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদকে সরাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ট্রাম্পের মতে, অন্যান্য দেশগুলো শারার প্রশাসনকে সাহায্য করতে চাইলেও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ভয়ে তা করতে পারছিল না। এ কারণেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার জরুরি হয়ে উঠেছিল।
গত ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে আসাদপন্থী বাহিনীর নানা সহিংসতার কারণে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। গৃহযুদ্ধে ইতিমধ্যেই দেশটির ৬ লাখের বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাওয়া হয়েছিল। শারা এই নিশ্চয়তা দিলেও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা।
গত কয়েক মাসে সিরিয়ায় দুটি ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটে গেছে। গত মার্চে আসাদের আলাওয়াইত সম্প্রদায়ের প্রায় ৯০০ জনকে হত্যা করেছে সরকারি বাহিনী। এ সময় ১৭০ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও নিহত হয়েছে।
অপরদিকে মে মাসের শুরুতে রাজধানী দামেস্কের দুটি উপশহর ও দক্ষিণের সুয়েইদা প্রদেশে দ্রুজ, সুন্নি ইসলামি গোষ্ঠী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
বর্তমানে ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ নামে শারার নেতৃত্বাধীন একটি সুন্নি ইসলামি গোষ্ঠী সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনা করছে। শারার নাম এখনো বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসী তালিকায় থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র গত ডিসেম্বরে তার গ্রেপ্তারের জন্য ১ কোটি ডলার পুরস্কারের ঘোষণাটি বাতিল করেছে।
সৌদি আরবে শারার সঙ্গে সাক্ষাতে ট্রাম্প তাঁকে ‘তরুণ, শক্তিশালী এবং অতীতের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ এক নেতা’ বলে প্রশংসা করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘তার দ্বারা দেশের পুনর্গঠন সম্ভব।’
সিরিয়ায় আবারও পূর্ণমাত্রার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। মার্কিন সিনেটের ফরেন রিলেশনস কমিটির এক শুনানিতে তিনি বলেন, ‘সিরিয়া কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ ও সম্ভাব্য ভাঙনের মুখোমুখি হতে পারে।’
রুবিও জানান, সিরিয়ার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেক সদস্যই এফবিআই-এর নিরাপত্তা যাচাইয়ে উত্তীর্ণ হননি। তারপরও আসাদ বিরোধী অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল। রুবিও বলেন, ‘আমরা যদি যোগাযোগ না রাখতাম, তাহলে ব্যর্থতা নিশ্চিত ছিল।’
তিনি সতর্ক করে বলেন—সিরিয়ার বর্তমান সরকার ভেঙে পড়লে দেশটি পুরোপুরি বিভক্ত হয়ে পড়বে এবং এমন এক পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধের মুখোমুখি হবে যার পরিণতি হবে ভয়াবহ।
বিবিসি জানিয়েছে, শুনানিতে রুবিও সিরিয়ার ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। সম্প্রতি সৌদি আরবের রিয়াদে সিরিয়ার কার্যত প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে সাক্ষাৎও হয়েছিল ট্রাম্পের। তবে ওই সাক্ষাতের আগেই সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। শারা একসময় আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ছিলেন এবং গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদকে সরাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ট্রাম্পের মতে, অন্যান্য দেশগুলো শারার প্রশাসনকে সাহায্য করতে চাইলেও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ভয়ে তা করতে পারছিল না। এ কারণেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার জরুরি হয়ে উঠেছিল।
গত ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে আসাদপন্থী বাহিনীর নানা সহিংসতার কারণে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। গৃহযুদ্ধে ইতিমধ্যেই দেশটির ৬ লাখের বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাওয়া হয়েছিল। শারা এই নিশ্চয়তা দিলেও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা।
গত কয়েক মাসে সিরিয়ায় দুটি ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটে গেছে। গত মার্চে আসাদের আলাওয়াইত সম্প্রদায়ের প্রায় ৯০০ জনকে হত্যা করেছে সরকারি বাহিনী। এ সময় ১৭০ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও নিহত হয়েছে।
অপরদিকে মে মাসের শুরুতে রাজধানী দামেস্কের দুটি উপশহর ও দক্ষিণের সুয়েইদা প্রদেশে দ্রুজ, সুন্নি ইসলামি গোষ্ঠী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
বর্তমানে ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ নামে শারার নেতৃত্বাধীন একটি সুন্নি ইসলামি গোষ্ঠী সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনা করছে। শারার নাম এখনো বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসী তালিকায় থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র গত ডিসেম্বরে তার গ্রেপ্তারের জন্য ১ কোটি ডলার পুরস্কারের ঘোষণাটি বাতিল করেছে।
সৌদি আরবে শারার সঙ্গে সাক্ষাতে ট্রাম্প তাঁকে ‘তরুণ, শক্তিশালী এবং অতীতের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ এক নেতা’ বলে প্রশংসা করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘তার দ্বারা দেশের পুনর্গঠন সম্ভব।’
পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৫ ঘণ্টা আগেবি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দুটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
৫ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৫ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে লোহিতসাগরে মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে
৬ ঘণ্টা আগে