Ajker Patrika

গাজার আল-শিফা হাসপাতালে জ্বালানিসংকটে অস্ত্রোপচার বন্ধ, শিশুর মৃত্যু

আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৩, ০৯: ৪৪
গাজার আল-শিফা হাসপাতালে জ্বালানিসংকটে অস্ত্রোপচার বন্ধ, শিশুর মৃত্যু

জ্বালানির সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে গাজার সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যকেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতালের অস্ত্রোপচার। শনিবার (১১ নভেম্বর) অস্ত্রোপচার বন্ধের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরাকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অস্ত্রোপচার বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ইনকিউবেটরে থাকা এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে আরও ৪৫ শিশু রয়েছে।’ 

গাজাবাসী বলছে, ইসরায়েলি সেনারা সারা রাতই হামাসের বন্দুকধারীদের সঙ্গে ওই হাসপাতালের আশপাশের এলাকায় লড়াই করেছে। 

আল-কিদরা টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেন, ‘পরিস্থিতি কারও ধারণার চেয়েও খারাপ। আমরা আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের ভেতরে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছি। দখলদার বাহিনী এখানকার বেশির ভাগ ভবনের ভেতরেই হামলা করেছে।’ 

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, গত মাসে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলাকারী হামাস গোষ্ঠী শিফা হাসপাতালের নিচে থেকে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এ কারণে এই হাসপাতালগুলো সামরিক লক্ষ্যে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। 

তবে হামাস বেসামরিক নাগরিকদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ অস্বীকার করছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরায়েলের হামলা বেড়ে যাওয়ার কারণে এবং হাসপাতালের কাছেই হামলা চালানোর কারণে রোগী, স্বাস্থ্যকর্মী এবং হাসপাতালে ও হাসপাতালের কাছের ভবনে আশ্রয় নেওয়া হাজার হাজার শরণার্থী ঝুঁকিতে রয়েছে। 

হাসপাতালে কোনো বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ নেই উল্লেখ করে আল-কিদরা বলেন, ‘দখলদার বাহিনী কমপ্লেক্সের ভেতরে হাঁটাচলা করা মানুষের ওপর গুলি করছে। এতে আমরা এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে চলাচল করতে পারছি না। কিছু মানুষ হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের ওপরও গুলি করা হয়।’ 

সহায়তা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস বলছে, তাঁরা আল শিফা হাসপাতালের রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত। 

শনিবার সকালে অনলাইনে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলে, ‘গত কয়েক ঘণ্টায় আল-শিফা হাসপাতালে হামলা নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে। হাসপাতালে আমাদের কর্মীরা বলছেন, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাসপাতালের মধ্যে এক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত