Ajker Patrika

যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতি পেলে ফিলিস্তিনের কী লাভ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪১
যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতি পেলে ফিলিস্তিনের কী লাভ

যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার আজ রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে সে ঘোষণা দিতে চলেছেন। এ সিদ্ধান্তকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রনীতিতে একটি বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্য প্রথম জি-৭ দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। এমন পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে স্টারমারের ডেপুটি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন—একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে দাঁড়ানোর এটাই সঠিক সময়। তবে এ স্বীকৃতি রাতারাতি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সরকারি সূত্রের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে গাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্টারমার গাজার অনাহার ও সহিংসতাকে ‘অসহনীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন। এ ছাড়া পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি সম্প্রসারণ এবং সেখানকার সহিংসতা একটি কার্যকর দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করছে বলে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা মনে করছেন।

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার এ পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি এ পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা’র শামিল বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর মতে, এটি হামাসের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলাকে বৈধতা দেবে। তবে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা যুক্তি দিয়েছেন, দীর্ঘমেয়াদি শান্তিচুক্তির আশা টিকিয়ে রাখার জন্য এটি তাঁদের নৈতিক দায়িত্ব।

যুক্তরাজ্যের এ ঘোষণার পর ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, পর্তুগাল, লুক্সেমবার্গসহ আরও কয়েকটি পশ্চিমা দেশ একই পথে হাঁটবে বলে আশা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ফ্রান্স ও কানাডা চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে ঘোষণা দেবে।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের প্রায় তিন-চতুর্থাংশই ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

যুক্তরাজ্যের এ ঘোষণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ব্রিটেন সফরের পর এল। ট্রাম্প তখন বলেছিলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে স্টারমারের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি বিরল মতবিরোধের ক্ষেত্র।

এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। স্টারমার ও আব্বাস একমত হয়েছেন যে, ভবিষ্যতে যেকোনো ফিলিস্তিনি শাসনব্যবস্থায় হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফুটবলাররা পানি না গিলে কুলি করেন কেন

দেড় দশকে পুলিশের যে ক্ষতি হয়েছে, ৫০ বছরেও পুনরুদ্ধার কঠিন: সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা

রিজার্ভ চুরি: ফিলিপাইনের ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

চট্টগ্রামে সিকদার বাড়িতে অভিযান, সাবেক ভূমিমন্ত্রীর বিদেশে সম্পদ অর্জনের ২৩ বস্তা আলামত জব্দ

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে জেগেছে বাংলাদেশের ফাইনালের স্বপ্ন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত