
যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির পর এবার ফিলিস্তিন অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী সহিংস ইসরায়েলিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। ইইউর শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেলকে উদ্ধৃত করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।
গতকাল সোমবার ইইউর পররাষ্ট্রবিষয়ক নীতির প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেল বলেছেন, পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী চরমপন্থীদের সহিংসতায় ইইউ উদ্বিগ্ন এবং জেরুজালেমে আরও ১৭০০টি আবাসন ইউনিট অনুমোদন করায় ইসরায়েলি সরকারের সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
পশ্চিম তীরে আরও আবাসন তৈরির অনুমোদনকে ব্রাসেলস আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ইইউর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর জোসেপ বোরেল গণমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘কথা থেকে কাজে যাওয়ার সময় এসেছে। পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতার বিষয়ে আমরা যেসব ব্যবস্থা নিতে পারি তা শুরু করার সময় এসেছে।’
বোরেলের এই প্রস্তাব ও উদ্যোগ সম্পর্কে ইইউয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সবাই সম্পূর্ণ উৎসাহী নন। এরপরও তিনি ফিলিস্তিনিদের ওপর আক্রমণে জড়িত প্রধান প্রধান বসতি স্থাপনকারীদের একটি তালিকা তৈরি করতে ইইউ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করবেন। এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব জমা দেননি জোসেপ বোরেল। তবে মানবাধিকার হরণ করায় বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যাপারে তিনি পরামর্শ দেবেন।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানাননি বোরেল। তবে ইইউ কর্মকর্তারা বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ইইউভুক্ত দেশগুলোয় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। তবে এই ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নকে চ্যালেঞ্জিং বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র এবং হাঙ্গেরির মতো ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশগুলোর কয়েকজন কূটনীতিক।
এর আগে গত সপ্তাহে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্র অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংস হামলায় জড়িত বসতি স্থাপনকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। অন্যদিকে ফ্রান্সও গত মাসে বলেছে যে, তারাও এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে। আর বেলজিয়াম বলেছে, তাদের দেশে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীদের নিষিদ্ধ করা হবে।
৭ অক্টোবর থেকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছাড়িয়েছে ১৮ হাজার ২০০। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ১৮ হাজার ২০৫ জন, যার অর্ধেকেরই বেশি শিশু ও নারী। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে অর্ধলক্ষ।

যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির পর এবার ফিলিস্তিন অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী সহিংস ইসরায়েলিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। ইইউর শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেলকে উদ্ধৃত করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।
গতকাল সোমবার ইইউর পররাষ্ট্রবিষয়ক নীতির প্রধান কর্মকর্তা জোসেপ বোরেল বলেছেন, পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী চরমপন্থীদের সহিংসতায় ইইউ উদ্বিগ্ন এবং জেরুজালেমে আরও ১৭০০টি আবাসন ইউনিট অনুমোদন করায় ইসরায়েলি সরকারের সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
পশ্চিম তীরে আরও আবাসন তৈরির অনুমোদনকে ব্রাসেলস আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ইইউর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর জোসেপ বোরেল গণমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘কথা থেকে কাজে যাওয়ার সময় এসেছে। পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতার বিষয়ে আমরা যেসব ব্যবস্থা নিতে পারি তা শুরু করার সময় এসেছে।’
বোরেলের এই প্রস্তাব ও উদ্যোগ সম্পর্কে ইইউয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সবাই সম্পূর্ণ উৎসাহী নন। এরপরও তিনি ফিলিস্তিনিদের ওপর আক্রমণে জড়িত প্রধান প্রধান বসতি স্থাপনকারীদের একটি তালিকা তৈরি করতে ইইউ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করবেন। এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব জমা দেননি জোসেপ বোরেল। তবে মানবাধিকার হরণ করায় বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যাপারে তিনি পরামর্শ দেবেন।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানাননি বোরেল। তবে ইইউ কর্মকর্তারা বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ইইউভুক্ত দেশগুলোয় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। তবে এই ধরনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নকে চ্যালেঞ্জিং বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র এবং হাঙ্গেরির মতো ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশগুলোর কয়েকজন কূটনীতিক।
এর আগে গত সপ্তাহে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র যুক্তরাষ্ট্র অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংস হামলায় জড়িত বসতি স্থাপনকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। অন্যদিকে ফ্রান্সও গত মাসে বলেছে যে, তারাও এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে। আর বেলজিয়াম বলেছে, তাদের দেশে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীদের নিষিদ্ধ করা হবে।
৭ অক্টোবর থেকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছাড়িয়েছে ১৮ হাজার ২০০। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে ১৮ হাজার ২০৫ জন, যার অর্ধেকেরই বেশি শিশু ও নারী। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে অর্ধলক্ষ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক জিহাদ মাশামউন এ যুদ্ধকে ‘পাল্টাপাল্টি দখল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে বলেন, এটা কোনো একতরফা অভিযান নয়, বরং একধরনের দেওয়া–নেওয়া পরিস্থিতি। কয়েক মাস ধরে উভয় পক্ষই পালাক্রমে কিছু জায়গা দখল করছে, আবার হারাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
সরকারি অচলাবস্থা টানা ৩৬ দিন পার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে দীর্ঘ। এর আগে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে—২০১৮ সালের শেষ দিকে শুরু হয়ে ২০১৯ সালের শুরুর দিক পর্যন্ত টানা ৩৪ দিন শাটডাউন স্থায়ী ছিল।
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সেনারা আশা করছে, তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক শহর সম্পূর্ণ দখল করতে পারবে। শহরটি দখলে অভিযান চালানো ইউনিটের কমান্ডার এমন তথ্য দিয়েছেন। তবে কিয়েভ এখনো জায়গায় পরিস্থিতির গুরুত্ব স্বীকার করছে না। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি বুধবার ঘোষণা করেছেন, তিনি তাঁর প্রশাসন গঠনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নতুন প্রশাসন গঠনে যে ট্রানজিশন টিম গঠন করা হয়েছে, তাতে পাঁচজনই নারী। আগামী ১ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার দিন থেকেই কাজ শুরু করার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, তাঁর নেতৃত্বে গড়ে উঠবে এক দক্ষ ও সহানুভূত
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তৃতীয় বছরে পা দেওয়া সুদানের যুদ্ধ এখন বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটগুলোর একটি। দেশটির সেনাবাহিনী (এসএএফ) ও আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে চলমান এ সংঘাতে ইতিমধ্যে ২০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও ১ কোটি ৫০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘ ও স্থানীয় সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, দেশটি কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে—একাংশ সেনাদের দখলে, অপরাংশ আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জিহাদ মাশামউন এ যুদ্ধকে ‘পাল্টাপাল্টি দখল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে বলেন, এটা কোনো একতরফা অভিযান নয়, বরং একধরনের দেওয়া–নেওয়া পরিস্থিতি। কয়েক মাস ধরে উভয় পক্ষই পালাক্রমে কিছু জায়গা দখল করছে, আবার হারাচ্ছে।
উদাহরণ হিসেবে তিনি পশ্চিম এল-ওবেইদের উম সুমেইমা শহরের কথা উল্লেখ করেন, যা প্রথমে সেনাদের দখলে ছিল, পরে আরএসএফ দখল নেয় এবং গত সেপ্টেম্বরে আবার সরকার তা পুনর্দখল করে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সুদানস পোস্ট জানায়, বর্তমানে সুদানের পূর্ব, উত্তর ও মধ্যাঞ্চল সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এর মধ্যে খার্তুম, আল-জাজিরা, হোয়াইট নাইল, কাসালা, গেদারেফ, রিভার নাইল, রেড সি ও সেন্নার প্রদেশ অন্তর্ভুক্ত। মাশামউনের হিসাবে, সেনাবাহিনী দেশটির প্রায় ৬০ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে আর আরএসএফ ও তাদের মিত্রদের দখলে ৪০ শতাংশ।
মাশামউন জানান, উত্তর ও পূর্ব সুদান পুরোপুরি সেনাদের হাতে এবং মধ্যাঞ্চল সম্পূর্ণ মুক্ত—সেখানে আরএসএফের কোনো উপস্থিতি নেই। দক্ষিণাঞ্চল, বিশেষ করে, ব্লু নাইল ও হোয়াইট নাইল এলাকার ৯৫ শতাংশ সেনা নিয়ন্ত্রণে।
এ ছাড়া দারফুরে এল-ফাশেরের উত্তরাংশ এখনো সেনাবাহিনীর অনুগত গোষ্ঠীগুলোর হাতে, যারা ২০২৩ সালে নিরপেক্ষতা ত্যাগ করে যুদ্ধে যোগ দেয়।
মাশামউন বলেন, খার্তুম ও এর সংলগ্ন শহর বাহরি ও উমদুরমান গত মে থেকে পুরোপুরি আরএসএফমুক্ত এবং সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা (সশস্ত্র সংঘাতের অবস্থান ও ঘটনার তথ্য) এসি-এলইডির (ACLED) পূর্ব আফ্রিকা বিশ্লেষক জালালে গেতাচেউ বিরু বলেন, রাজধানী খার্তুমে এখন তুলনামূলক স্থিতিশীলতা এসেছে, তবে পরিস্থিতি এখনো নাজুক। সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে স্থানীয় বিমানবন্দরগুলো পুনরায় চালু করার পদক্ষেপ নিচ্ছে।
জালালে গেতাচেউ আরও জানান, ২০২৫ সালের জুন থেকে সুদান–লিবিয়া–মিসরের সীমান্ত আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে। ত্রিভুজ আকৃতির এই অঞ্চলগুলো বাণিজ্য ও প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তপথ।
গত ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী উত্তর কোর্দোফানের রাজধানী এল-ওবেইদ আবার দখল করেছে। তবে এল-ফাশের আরএসএফের হাতে যাওয়ার পর পশ্চিম দিক থেকে সেনাদের ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা।
দারফুর অঞ্চলে আরএসএফ এখন পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে চারটির নিয়ন্ত্রণে। মাশামউন বলেন, আরএসএফের শক্ত ঘাঁটি পূর্ব দারফুর থেকে শুরু হয়ে পশ্চিমে চাদ সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত, যার মধ্যে দক্ষিণ ও উত্তর দারফুরের বড় শহরগুলোও রয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো আরএসএফের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও লুটপাটের অভিযোগ এনেছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্য অনুযায়ী, ওই অঞ্চলের ৬২ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে।
মাশামউন বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে আমরা এখন যে দৃশ্য দেখছি, তা হলো বেসামরিক জনগণের ওপর ইচ্ছাকৃত হামলা। আরএসএফ মনে করে, এই জনগোষ্ঠী সেনাদের সমর্থন করে, তাই তাদের সম্মিলিতভাবে শাস্তি দিচ্ছে। তাদের মধ্যে কোনো শৃঙ্খলা নেই। তারা শুধু হত্যা, লুটপাট ও ধ্বংস করতে জানে।’
মাশামউন আরও বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে আরএসএফ বিদেশি ভাড়াটে যোদ্ধা ও আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। শহরটি পতনের আগে তারা দুই শতাধিক হামলা চালায়। এখন যা ঘটছে, তা সম্পূর্ণ দায়মুক্তির ফল।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, কোর্দোফান অঞ্চল এখন সুদানের পরবর্তী বড় যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। উত্তর ও পশ্চিম কোর্দোফান উভয় পক্ষের মধ্যে বিভক্ত আর কৌশলগত কারণে এই অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নেওয়া উভয়েরই লক্ষ্য।
বিশ্লেষক জালালে গেতাচেউ বলেন, কোর্দোফান এখন আঞ্চলিক দখলযুদ্ধের নতুন ফ্রন্টলাইন।
মাশামউন জানান, সেনারা বর্তমানে বৃহত্তর কোর্দোফান পুনর্দখলের ওপর মনোযোগ দিচ্ছে, এরপর পশ্চিমে দারফুরের দিকে অগ্রসর হবে। সেনাবাহিনীর লক্ষ্য আরএসএফের সরবরাহ লাইন কেটে দেওয়া এবং চাদ সীমান্ত করিডর বন্ধ করা। উত্তর সুদানের মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে চাদ সীমান্ত থেকে নতুন সেনা মোতায়েনেরও পরিকল্পনা রয়েছে।
আরএসএফ কোর্দোফান থেকে খার্তুম ও পোর্ট সুদানের দিকে ড্রোন ও আর্টিলারি হামলা চালাচ্ছে বলেও জানান মাশামউন। তিনি বলেন, বারা ও নুহুদ শহর পুনর্দখল করলে এই হামলা বন্ধ করা সম্ভব হবে।
এর আগে অক্টোবরে আরএসএফ দাবি করে, তারা উত্তর কোর্দোফানের বারা শহর দখল করেছে, ফলে ৪ হাজার ৫০০-এর বেশি বাসিন্দা পালিয়ে গেছে এবং সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর পাওয়া গেছে। শহরটি এল-ওবেইদের কাছেই, যা সেনাদের শক্ত ঘাঁটি হলেও ধীরে ধীরে আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে।
উভয় পক্ষ এখন দখল করা এলাকা শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। এদিকে জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, সুদানের অর্ধেক জনগণ (২ কোটি ২৫ লাখের বেশি) প্রয়োজনীয় খাবারের অভাবে ভুগছে। দারফুর, কোর্দোফান ও খার্তুমজুড়ে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।
মাশামউন বলেন, দেশটি এক ভয়াবহ অচলাবস্থায় আটকে গেছে। আরএসএফের কোনো সুস্পষ্ট কৌশল বা নিয়ন্ত্রণকাঠামো নেই। এখন তাদের মূল কার্যক্রম হচ্ছে, বেসামরিক বাড়িঘর লুট ও মানুষ হত্যা করা।

তৃতীয় বছরে পা দেওয়া সুদানের যুদ্ধ এখন বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটগুলোর একটি। দেশটির সেনাবাহিনী (এসএএফ) ও আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে চলমান এ সংঘাতে ইতিমধ্যে ২০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও ১ কোটি ৫০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘ ও স্থানীয় সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, দেশটি কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে—একাংশ সেনাদের দখলে, অপরাংশ আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জিহাদ মাশামউন এ যুদ্ধকে ‘পাল্টাপাল্টি দখল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে বলেন, এটা কোনো একতরফা অভিযান নয়, বরং একধরনের দেওয়া–নেওয়া পরিস্থিতি। কয়েক মাস ধরে উভয় পক্ষই পালাক্রমে কিছু জায়গা দখল করছে, আবার হারাচ্ছে।
উদাহরণ হিসেবে তিনি পশ্চিম এল-ওবেইদের উম সুমেইমা শহরের কথা উল্লেখ করেন, যা প্রথমে সেনাদের দখলে ছিল, পরে আরএসএফ দখল নেয় এবং গত সেপ্টেম্বরে আবার সরকার তা পুনর্দখল করে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সুদানস পোস্ট জানায়, বর্তমানে সুদানের পূর্ব, উত্তর ও মধ্যাঞ্চল সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এর মধ্যে খার্তুম, আল-জাজিরা, হোয়াইট নাইল, কাসালা, গেদারেফ, রিভার নাইল, রেড সি ও সেন্নার প্রদেশ অন্তর্ভুক্ত। মাশামউনের হিসাবে, সেনাবাহিনী দেশটির প্রায় ৬০ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে আর আরএসএফ ও তাদের মিত্রদের দখলে ৪০ শতাংশ।
মাশামউন জানান, উত্তর ও পূর্ব সুদান পুরোপুরি সেনাদের হাতে এবং মধ্যাঞ্চল সম্পূর্ণ মুক্ত—সেখানে আরএসএফের কোনো উপস্থিতি নেই। দক্ষিণাঞ্চল, বিশেষ করে, ব্লু নাইল ও হোয়াইট নাইল এলাকার ৯৫ শতাংশ সেনা নিয়ন্ত্রণে।
এ ছাড়া দারফুরে এল-ফাশেরের উত্তরাংশ এখনো সেনাবাহিনীর অনুগত গোষ্ঠীগুলোর হাতে, যারা ২০২৩ সালে নিরপেক্ষতা ত্যাগ করে যুদ্ধে যোগ দেয়।
মাশামউন বলেন, খার্তুম ও এর সংলগ্ন শহর বাহরি ও উমদুরমান গত মে থেকে পুরোপুরি আরএসএফমুক্ত এবং সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা (সশস্ত্র সংঘাতের অবস্থান ও ঘটনার তথ্য) এসি-এলইডির (ACLED) পূর্ব আফ্রিকা বিশ্লেষক জালালে গেতাচেউ বিরু বলেন, রাজধানী খার্তুমে এখন তুলনামূলক স্থিতিশীলতা এসেছে, তবে পরিস্থিতি এখনো নাজুক। সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে স্থানীয় বিমানবন্দরগুলো পুনরায় চালু করার পদক্ষেপ নিচ্ছে।
জালালে গেতাচেউ আরও জানান, ২০২৫ সালের জুন থেকে সুদান–লিবিয়া–মিসরের সীমান্ত আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে। ত্রিভুজ আকৃতির এই অঞ্চলগুলো বাণিজ্য ও প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তপথ।
গত ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী উত্তর কোর্দোফানের রাজধানী এল-ওবেইদ আবার দখল করেছে। তবে এল-ফাশের আরএসএফের হাতে যাওয়ার পর পশ্চিম দিক থেকে সেনাদের ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা।
দারফুর অঞ্চলে আরএসএফ এখন পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে চারটির নিয়ন্ত্রণে। মাশামউন বলেন, আরএসএফের শক্ত ঘাঁটি পূর্ব দারফুর থেকে শুরু হয়ে পশ্চিমে চাদ সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত, যার মধ্যে দক্ষিণ ও উত্তর দারফুরের বড় শহরগুলোও রয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো আরএসএফের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও লুটপাটের অভিযোগ এনেছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্য অনুযায়ী, ওই অঞ্চলের ৬২ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়েছে।
মাশামউন বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে আমরা এখন যে দৃশ্য দেখছি, তা হলো বেসামরিক জনগণের ওপর ইচ্ছাকৃত হামলা। আরএসএফ মনে করে, এই জনগোষ্ঠী সেনাদের সমর্থন করে, তাই তাদের সম্মিলিতভাবে শাস্তি দিচ্ছে। তাদের মধ্যে কোনো শৃঙ্খলা নেই। তারা শুধু হত্যা, লুটপাট ও ধ্বংস করতে জানে।’
মাশামউন আরও বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে আরএসএফ বিদেশি ভাড়াটে যোদ্ধা ও আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। শহরটি পতনের আগে তারা দুই শতাধিক হামলা চালায়। এখন যা ঘটছে, তা সম্পূর্ণ দায়মুক্তির ফল।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, কোর্দোফান অঞ্চল এখন সুদানের পরবর্তী বড় যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। উত্তর ও পশ্চিম কোর্দোফান উভয় পক্ষের মধ্যে বিভক্ত আর কৌশলগত কারণে এই অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নেওয়া উভয়েরই লক্ষ্য।
বিশ্লেষক জালালে গেতাচেউ বলেন, কোর্দোফান এখন আঞ্চলিক দখলযুদ্ধের নতুন ফ্রন্টলাইন।
মাশামউন জানান, সেনারা বর্তমানে বৃহত্তর কোর্দোফান পুনর্দখলের ওপর মনোযোগ দিচ্ছে, এরপর পশ্চিমে দারফুরের দিকে অগ্রসর হবে। সেনাবাহিনীর লক্ষ্য আরএসএফের সরবরাহ লাইন কেটে দেওয়া এবং চাদ সীমান্ত করিডর বন্ধ করা। উত্তর সুদানের মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে চাদ সীমান্ত থেকে নতুন সেনা মোতায়েনেরও পরিকল্পনা রয়েছে।
আরএসএফ কোর্দোফান থেকে খার্তুম ও পোর্ট সুদানের দিকে ড্রোন ও আর্টিলারি হামলা চালাচ্ছে বলেও জানান মাশামউন। তিনি বলেন, বারা ও নুহুদ শহর পুনর্দখল করলে এই হামলা বন্ধ করা সম্ভব হবে।
এর আগে অক্টোবরে আরএসএফ দাবি করে, তারা উত্তর কোর্দোফানের বারা শহর দখল করেছে, ফলে ৪ হাজার ৫০০-এর বেশি বাসিন্দা পালিয়ে গেছে এবং সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর পাওয়া গেছে। শহরটি এল-ওবেইদের কাছেই, যা সেনাদের শক্ত ঘাঁটি হলেও ধীরে ধীরে আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে।
উভয় পক্ষ এখন দখল করা এলাকা শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। এদিকে জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, সুদানের অর্ধেক জনগণ (২ কোটি ২৫ লাখের বেশি) প্রয়োজনীয় খাবারের অভাবে ভুগছে। দারফুর, কোর্দোফান ও খার্তুমজুড়ে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।
মাশামউন বলেন, দেশটি এক ভয়াবহ অচলাবস্থায় আটকে গেছে। আরএসএফের কোনো সুস্পষ্ট কৌশল বা নিয়ন্ত্রণকাঠামো নেই। এখন তাদের মূল কার্যক্রম হচ্ছে, বেসামরিক বাড়িঘর লুট ও মানুষ হত্যা করা।

যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির পর এবার ফিলিস্তিন অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী সহিংস ইসরায়েলিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। ইইউর শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেলকে উদ্ধৃত করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।
১২ ডিসেম্বর ২০২৩
সরকারি অচলাবস্থা টানা ৩৬ দিন পার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে দীর্ঘ। এর আগে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে—২০১৮ সালের শেষ দিকে শুরু হয়ে ২০১৯ সালের শুরুর দিক পর্যন্ত টানা ৩৪ দিন শাটডাউন স্থায়ী ছিল।
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সেনারা আশা করছে, তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক শহর সম্পূর্ণ দখল করতে পারবে। শহরটি দখলে অভিযান চালানো ইউনিটের কমান্ডার এমন তথ্য দিয়েছেন। তবে কিয়েভ এখনো জায়গায় পরিস্থিতির গুরুত্ব স্বীকার করছে না। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি বুধবার ঘোষণা করেছেন, তিনি তাঁর প্রশাসন গঠনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নতুন প্রশাসন গঠনে যে ট্রানজিশন টিম গঠন করা হয়েছে, তাতে পাঁচজনই নারী। আগামী ১ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার দিন থেকেই কাজ শুরু করার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, তাঁর নেতৃত্বে গড়ে উঠবে এক দক্ষ ও সহানুভূত
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সরকারি অচলাবস্থার (শাটডাউন) মধ্যে এবার বিমান চলাচলে বড় ধরনের সীমাবদ্ধতা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি জানিয়েছেন, দেশের ৪০টি বড় বিমানবন্দরে ১০ শতাংশ ফ্লাইট কমানোর নির্দেশ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি অচলাবস্থা টানা ৩৬ দিন পার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে দীর্ঘ। এর আগে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে—২০১৮ সালের শেষ দিকে শুরু হয়ে ২০১৯ সালের শুরুর দিক পর্যন্ত টানা ৩৪ দিন শাটডাউন স্থায়ী ছিল।
এদিকে এই অচলাবস্থার মধ্যে ১৩ হাজার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার ও ৫০ হাজার পরিবহন নিরাপত্তা কর্মকর্তা (টিএসএ এজেন্ট) বেতন ছাড়াই কাজ করছেন। পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি বলেন, এমন পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব, যদি ডেমোক্র্যাটরা পুনরায় সরকার চালু করতে রাজি হন।
ডাফির ঘোষণার পরপরই এয়ারলাইনগুলো ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ফ্লাইট সময়সূচি পরিবর্তনের কাজে নেমে পড়ে। যাত্রীরা হেল্পলাইনে ফোন করে টিকিট বাতিল বা পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে থাকেন।
ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, ফ্লাইট কমানো ধাপে ধাপে শুরু হবে—প্রথমে ৪ শতাংশ, শনিবার ৫ শতাংশ, রোববার ৬ শতাংশ এবং আগামী সপ্তাহে এটি ১০ শতাংশে পৌঁছাবে। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো এই কাটছাঁটের বাইরে থাকবে।
এফএএ প্রশাসক ব্রায়ান বেডফোর্ড বলেন, ‘যখন আমরা দেখি ৪০টি বড় শহরের বিমান চলাচলে চাপ তৈরি হচ্ছে, তখন সেটি উপেক্ষা করা যায় না। আমরা এখনই পদক্ষেপ নিচ্ছি, যেন পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।’
তবে সরকার বিমানবন্দরগুলোর নাম প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, শিকাগো, আটলান্টা, লস অ্যাঞ্জেলেস, ডালাসসহ দেশের বড় ও ব্যস্ত ৩০টি বিমানবন্দর এর আওতায় পড়বে। এতে প্রায় ১ হাজার ৮০০ ফ্লাইট ও ২ লাখ ৬৮ হাজার আসন কমে যাবে বলে জানিয়েছে বিমান বিশ্লেষণ সংস্থা সিরিয়াম।
যুক্তরাষ্ট্রে অচলাবস্থা শুরু হওয়ার পর থেকে আকাশপথে লক্ষাধিক ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩২ লাখের বেশি যাত্রী বিমান নিয়ন্ত্রণ-সংকটে ভুগেছেন বলে জানিয়েছে বিমান সংস্থাগুলো।
পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি বলেন, ‘আমাদের প্রধান দায়িত্ব, নিরাপদ আকাশসীমা নিশ্চিত করা। কঠিন সিদ্ধান্ত হলেও তা নিতে হবে।’
এফএএ সূত্রে জানা গেছে, সংস্থাটিতে বর্তমানে ৩ হাজার ৫০০ জন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের ঘাটতি রয়েছে। অনেকে বাধ্যতামূলক অতিরিক্ত সময় ও ছয় দিন কাজ করছেন। শাটডাউন শুরু হওয়ার আগে থেকে এ সংকট ছিল।
ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী স্কট কারবি বলেন, আন্তর্জাতিক ও হাব-টু-হাব রুটের ফ্লাইট স্বাভাবিক থাকবে, তবে দেশীয় ও আঞ্চলিক রুটে কাটছাঁট করা হবে। কোনো যাত্রী এ সময় ভ্রমণ করতে না চাইলে বা ফ্লাইট বাতিল না হলে তিনি সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত পাবেন।
আমেরিকান এয়ারলাইনস জানিয়েছে, তাদের যাত্রীদের ওপর প্রভাব খুব সীমিত থাকবে।
সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনস যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় দেশীয় বিমান সংস্থা। এর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা কাটছাঁটের প্রভাব বিশ্লেষণ করছে এবং দ্রুত যাত্রীদের বিষয়টি অবহিত করবে।
ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ইউনিয়ন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টস—সিডব্লিউএ’ এই শাটডাউনকে ‘আমেরিকানদের ওপর নিষ্ঠুর আঘাত’ বলে আখ্যা দিয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি সারা নেলসন বলেন, ফেডারেল কর্মীদের বেতন দেওয়া অথবা স্বাস্থ্যসেবা রক্ষা—এ দুটির মধ্যে কোনো একটি বেছে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। এই দুই সংকট যাঁরা তৈরি করেছেন, তাঁরাই এটা সমাধান করতে পারেন।
শাটডাউনের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কর্মকাণ্ড কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ, রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা কংগ্রেসে ফেডারেল সরকারের ব্যয় বরাদ্দ নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিমা ভর্তুকি না বাড়ানো পর্যন্ত তাঁরা কোনো বিল অনুমোদন করবেন না। এদিকে রিপাবলিকানরা সেটি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রিপাবলিকানরা ডেমোক্র্যাটদের ওপর চাপ বাড়াতে এখন জনজীবনে অচলাবস্থার প্রভাব আরও দৃশ্যমান করার চেষ্টা করছেন।

মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সরকারি অচলাবস্থার (শাটডাউন) মধ্যে এবার বিমান চলাচলে বড় ধরনের সীমাবদ্ধতা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি জানিয়েছেন, দেশের ৪০টি বড় বিমানবন্দরে ১০ শতাংশ ফ্লাইট কমানোর নির্দেশ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি অচলাবস্থা টানা ৩৬ দিন পার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে দীর্ঘ। এর আগে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে—২০১৮ সালের শেষ দিকে শুরু হয়ে ২০১৯ সালের শুরুর দিক পর্যন্ত টানা ৩৪ দিন শাটডাউন স্থায়ী ছিল।
এদিকে এই অচলাবস্থার মধ্যে ১৩ হাজার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার ও ৫০ হাজার পরিবহন নিরাপত্তা কর্মকর্তা (টিএসএ এজেন্ট) বেতন ছাড়াই কাজ করছেন। পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি বলেন, এমন পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব, যদি ডেমোক্র্যাটরা পুনরায় সরকার চালু করতে রাজি হন।
ডাফির ঘোষণার পরপরই এয়ারলাইনগুলো ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ফ্লাইট সময়সূচি পরিবর্তনের কাজে নেমে পড়ে। যাত্রীরা হেল্পলাইনে ফোন করে টিকিট বাতিল বা পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে থাকেন।
ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, ফ্লাইট কমানো ধাপে ধাপে শুরু হবে—প্রথমে ৪ শতাংশ, শনিবার ৫ শতাংশ, রোববার ৬ শতাংশ এবং আগামী সপ্তাহে এটি ১০ শতাংশে পৌঁছাবে। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো এই কাটছাঁটের বাইরে থাকবে।
এফএএ প্রশাসক ব্রায়ান বেডফোর্ড বলেন, ‘যখন আমরা দেখি ৪০টি বড় শহরের বিমান চলাচলে চাপ তৈরি হচ্ছে, তখন সেটি উপেক্ষা করা যায় না। আমরা এখনই পদক্ষেপ নিচ্ছি, যেন পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।’
তবে সরকার বিমানবন্দরগুলোর নাম প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, শিকাগো, আটলান্টা, লস অ্যাঞ্জেলেস, ডালাসসহ দেশের বড় ও ব্যস্ত ৩০টি বিমানবন্দর এর আওতায় পড়বে। এতে প্রায় ১ হাজার ৮০০ ফ্লাইট ও ২ লাখ ৬৮ হাজার আসন কমে যাবে বলে জানিয়েছে বিমান বিশ্লেষণ সংস্থা সিরিয়াম।
যুক্তরাষ্ট্রে অচলাবস্থা শুরু হওয়ার পর থেকে আকাশপথে লক্ষাধিক ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩২ লাখের বেশি যাত্রী বিমান নিয়ন্ত্রণ-সংকটে ভুগেছেন বলে জানিয়েছে বিমান সংস্থাগুলো।
পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি বলেন, ‘আমাদের প্রধান দায়িত্ব, নিরাপদ আকাশসীমা নিশ্চিত করা। কঠিন সিদ্ধান্ত হলেও তা নিতে হবে।’
এফএএ সূত্রে জানা গেছে, সংস্থাটিতে বর্তমানে ৩ হাজার ৫০০ জন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের ঘাটতি রয়েছে। অনেকে বাধ্যতামূলক অতিরিক্ত সময় ও ছয় দিন কাজ করছেন। শাটডাউন শুরু হওয়ার আগে থেকে এ সংকট ছিল।
ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী স্কট কারবি বলেন, আন্তর্জাতিক ও হাব-টু-হাব রুটের ফ্লাইট স্বাভাবিক থাকবে, তবে দেশীয় ও আঞ্চলিক রুটে কাটছাঁট করা হবে। কোনো যাত্রী এ সময় ভ্রমণ করতে না চাইলে বা ফ্লাইট বাতিল না হলে তিনি সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত পাবেন।
আমেরিকান এয়ারলাইনস জানিয়েছে, তাদের যাত্রীদের ওপর প্রভাব খুব সীমিত থাকবে।
সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনস যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় দেশীয় বিমান সংস্থা। এর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা কাটছাঁটের প্রভাব বিশ্লেষণ করছে এবং দ্রুত যাত্রীদের বিষয়টি অবহিত করবে।
ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ইউনিয়ন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টস—সিডব্লিউএ’ এই শাটডাউনকে ‘আমেরিকানদের ওপর নিষ্ঠুর আঘাত’ বলে আখ্যা দিয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি সারা নেলসন বলেন, ফেডারেল কর্মীদের বেতন দেওয়া অথবা স্বাস্থ্যসেবা রক্ষা—এ দুটির মধ্যে কোনো একটি বেছে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। এই দুই সংকট যাঁরা তৈরি করেছেন, তাঁরাই এটা সমাধান করতে পারেন।
শাটডাউনের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কর্মকাণ্ড কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ, রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা কংগ্রেসে ফেডারেল সরকারের ব্যয় বরাদ্দ নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিমা ভর্তুকি না বাড়ানো পর্যন্ত তাঁরা কোনো বিল অনুমোদন করবেন না। এদিকে রিপাবলিকানরা সেটি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রিপাবলিকানরা ডেমোক্র্যাটদের ওপর চাপ বাড়াতে এখন জনজীবনে অচলাবস্থার প্রভাব আরও দৃশ্যমান করার চেষ্টা করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির পর এবার ফিলিস্তিন অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী সহিংস ইসরায়েলিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। ইইউর শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেলকে উদ্ধৃত করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।
১২ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জিহাদ মাশামউন এ যুদ্ধকে ‘পাল্টাপাল্টি দখল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে বলেন, এটা কোনো একতরফা অভিযান নয়, বরং একধরনের দেওয়া–নেওয়া পরিস্থিতি। কয়েক মাস ধরে উভয় পক্ষই পালাক্রমে কিছু জায়গা দখল করছে, আবার হারাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সেনারা আশা করছে, তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক শহর সম্পূর্ণ দখল করতে পারবে। শহরটি দখলে অভিযান চালানো ইউনিটের কমান্ডার এমন তথ্য দিয়েছেন। তবে কিয়েভ এখনো জায়গায় পরিস্থিতির গুরুত্ব স্বীকার করছে না। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি বুধবার ঘোষণা করেছেন, তিনি তাঁর প্রশাসন গঠনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নতুন প্রশাসন গঠনে যে ট্রানজিশন টিম গঠন করা হয়েছে, তাতে পাঁচজনই নারী। আগামী ১ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার দিন থেকেই কাজ শুরু করার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, তাঁর নেতৃত্বে গড়ে উঠবে এক দক্ষ ও সহানুভূত
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার সেনারা আশা করছে, তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক শহর সম্পূর্ণ দখল করতে পারবে। শহরটি দখলে অভিযান চালানো ইউনিটের কমান্ডার এমন তথ্য দিয়েছেন। তবে কিয়েভ এখনো জায়গায় পরিস্থিতির গুরুত্ব স্বীকার করছে না। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কুপিয়ানস্কের কাছে ঘেরাও হওয়া ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবস্থার অবনতি দ্রুত ঘটছে। রুশ সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া, এখান থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের পালানোর আর কোনো পথ নেই।
রুশ সেনাবাহিনীর ৬৮ তম মোটরাইজড রাইফেল ডিভিশনের ১২১ তম রেজিমেন্টের কমান্ডার, যার কল সাইন লাভরিক—বলেছেন, তাঁর ইউনিট কেবল বুধবারই শহরে ২৫টি ভবন ক্লিয়ার করেছে এবং ‘অগ্রগতি অব্যাহত।’ তিনি এক ভিডিওতে বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শহর সম্পূর্ণ মুক্ত হবে। আমাদের মনোবল খুবই ভালো, এবং আমরা আমাদের মিশন সফল করব।’
গত মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেছিলেন, খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক এবং দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের ক্রাসনোআর্মেইস্ক শহর রুশ সেনারা ঘেরাও করেছে। তিনি ঘেরাও হওয়া সৈন্যদের সম্মানজনকভাবে আত্মসমর্পণ করতে অনুরোধ করেছিলেন।
মস্কোর হিসাব অনুযায়ী, দুই শহরে ১০ হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা আটকা পড়েছে। কিয়েভ এখনো জানায়নি যে, তারা শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পেরেছে এবং রাশিয়ান সেনারা পিছিয়ে পড়ছে। তবে জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ড মঙ্গলবার জানিয়েছে, ‘ভেতরের বিশ্লেষণ অন্য গল্প বলছে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা ও সেনা কমান্ডার জানিয়েছেন, ‘গুরুতর পরাজয়ের’ আশঙ্কা বাড়ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগে দাবি করেছিলেন, কুপিয়ানস্কের কাছে রাশিয়ান সেনার উপস্থিতি মাত্র ৬০ জন এবং ইউক্রেনীয় সেনারা ওই এলাকায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে। বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, জেলেনস্কি ‘বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন।’ তারা জানিয়েছে, ‘কিয়েভ রেজিমের প্রধান বাস্তবতা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। ইউক্রেনীয় (সশস্ত্র বাহিনী প্রধান আলেকজান্দর) সিরস্কির ভুল রিপোর্ট শোনার পর, তার কাছে মাঠের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নেই।’
কুপিয়ানস্ক উত্তর–পূর্ব রণাঙ্গনে এক গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিক হাব হিসেবে বিবেচিত। রাশিয়ার সেনারা আগে শহরের আংশিক নিয়ন্ত্রণ দাবি করেছিল। সেপ্টেম্বরে তারা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল, যেখানে শহরের কেন্দ্র, প্রশাসনিক ভবন, স্টেডিয়াম এবং টিভি টাওয়ারের কাছে তাদের সেনাদের দেখা যায়।

রাশিয়ার সেনারা আশা করছে, তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক শহর সম্পূর্ণ দখল করতে পারবে। শহরটি দখলে অভিযান চালানো ইউনিটের কমান্ডার এমন তথ্য দিয়েছেন। তবে কিয়েভ এখনো জায়গায় পরিস্থিতির গুরুত্ব স্বীকার করছে না। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কুপিয়ানস্কের কাছে ঘেরাও হওয়া ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবস্থার অবনতি দ্রুত ঘটছে। রুশ সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া, এখান থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের পালানোর আর কোনো পথ নেই।
রুশ সেনাবাহিনীর ৬৮ তম মোটরাইজড রাইফেল ডিভিশনের ১২১ তম রেজিমেন্টের কমান্ডার, যার কল সাইন লাভরিক—বলেছেন, তাঁর ইউনিট কেবল বুধবারই শহরে ২৫টি ভবন ক্লিয়ার করেছে এবং ‘অগ্রগতি অব্যাহত।’ তিনি এক ভিডিওতে বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শহর সম্পূর্ণ মুক্ত হবে। আমাদের মনোবল খুবই ভালো, এবং আমরা আমাদের মিশন সফল করব।’
গত মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেছিলেন, খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক এবং দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের ক্রাসনোআর্মেইস্ক শহর রুশ সেনারা ঘেরাও করেছে। তিনি ঘেরাও হওয়া সৈন্যদের সম্মানজনকভাবে আত্মসমর্পণ করতে অনুরোধ করেছিলেন।
মস্কোর হিসাব অনুযায়ী, দুই শহরে ১০ হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা আটকা পড়েছে। কিয়েভ এখনো জানায়নি যে, তারা শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পেরেছে এবং রাশিয়ান সেনারা পিছিয়ে পড়ছে। তবে জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ড মঙ্গলবার জানিয়েছে, ‘ভেতরের বিশ্লেষণ অন্য গল্প বলছে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা ও সেনা কমান্ডার জানিয়েছেন, ‘গুরুতর পরাজয়ের’ আশঙ্কা বাড়ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগে দাবি করেছিলেন, কুপিয়ানস্কের কাছে রাশিয়ান সেনার উপস্থিতি মাত্র ৬০ জন এবং ইউক্রেনীয় সেনারা ওই এলাকায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে। বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, জেলেনস্কি ‘বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন।’ তারা জানিয়েছে, ‘কিয়েভ রেজিমের প্রধান বাস্তবতা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। ইউক্রেনীয় (সশস্ত্র বাহিনী প্রধান আলেকজান্দর) সিরস্কির ভুল রিপোর্ট শোনার পর, তার কাছে মাঠের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নেই।’
কুপিয়ানস্ক উত্তর–পূর্ব রণাঙ্গনে এক গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিক হাব হিসেবে বিবেচিত। রাশিয়ার সেনারা আগে শহরের আংশিক নিয়ন্ত্রণ দাবি করেছিল। সেপ্টেম্বরে তারা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল, যেখানে শহরের কেন্দ্র, প্রশাসনিক ভবন, স্টেডিয়াম এবং টিভি টাওয়ারের কাছে তাদের সেনাদের দেখা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির পর এবার ফিলিস্তিন অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী সহিংস ইসরায়েলিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। ইইউর শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেলকে উদ্ধৃত করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।
১২ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জিহাদ মাশামউন এ যুদ্ধকে ‘পাল্টাপাল্টি দখল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে বলেন, এটা কোনো একতরফা অভিযান নয়, বরং একধরনের দেওয়া–নেওয়া পরিস্থিতি। কয়েক মাস ধরে উভয় পক্ষই পালাক্রমে কিছু জায়গা দখল করছে, আবার হারাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
সরকারি অচলাবস্থা টানা ৩৬ দিন পার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে দীর্ঘ। এর আগে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে—২০১৮ সালের শেষ দিকে শুরু হয়ে ২০১৯ সালের শুরুর দিক পর্যন্ত টানা ৩৪ দিন শাটডাউন স্থায়ী ছিল।
২ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি বুধবার ঘোষণা করেছেন, তিনি তাঁর প্রশাসন গঠনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নতুন প্রশাসন গঠনে যে ট্রানজিশন টিম গঠন করা হয়েছে, তাতে পাঁচজনই নারী। আগামী ১ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার দিন থেকেই কাজ শুরু করার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, তাঁর নেতৃত্বে গড়ে উঠবে এক দক্ষ ও সহানুভূত
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি বুধবার ঘোষণা করেছেন, তিনি তাঁর প্রশাসন গঠনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নতুন প্রশাসন গঠনে যে ট্রানজিশন টিম গঠন করা হয়েছে, তাতে পাঁচজনই নারী। আগামী ১ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার দিন থেকেই কাজ শুরু করার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, তাঁর নেতৃত্বে গড়ে উঠবে এক দক্ষ ও সহানুভূতিশীল সিটি হল, যা এই প্রচারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সক্ষম হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এই নবনির্বাচিত মেয়র কুইন্সে সংবাদ সম্মেলনে পুরোপুরি নারী নেতৃত্বে গঠিত ট্রানজিশন টিম ঘোষণা করেন। এই টিমের নির্বাহী পরিচালক ইলানা লিওপোল্ড। ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকছেন সাবেক ফার্স্ট ডেপুটি মেয়র মারিয়া তোরেস-স্প্রিংগার, ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (এফটিসি) সাবেক চেয়ারম্যান লিনা খান, ইউনাইটেড ওয়ের প্রেসিডেন্ট ও সিইও গ্রেস বোনিলা এবং সাবেক ডেপুটি মেয়র ফর হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস মেলানি হার্টজগ।
লিনা খানকে দলে নেওয়া মামদানির প্রশাসনে সংস্কারক নীতি প্রয়োগের ইঙ্গিত দেয়। জো বাইডেনের সময় এফটিসিতে আক্রমণাত্মক অ্যান্টি–ট্রাস্ট পদক্ষেপের জন্য খান জাতীয়ভাবে পরিচিত হন এবং প্রগতিশীল ও রক্ষণশীল উভয় মহলে প্রশংসিত।
অ্যান্ড্রু কুমো ও রিপাবলিকান কার্টিস স্লিওয়াকে পরাজিত করার পর প্রথম টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মামদানি বলেন, ‘এই শহর আমাদের প্রস্তুত দেখতে চায়। আমাদের হাতে আছে ৫৭ দিন—এটাই কাজ শুরু করার সময়।’ তাঁর জয় নিউইয়র্কের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়—প্রথম মুসলিম মেয়র, প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত, প্রথম আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া এবং শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী মেয়র।
তবে তাঁর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হুমকি দিয়েছেন, মামদানি দায়িত্ব নিলে ফেডারেল তহবিল বন্ধ করবেন। ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছিলেন, ‘যদি মামদানি জয়ী হন, নিউইয়র্কে আমি আইনে বাধ্য না হলে ফেডারেল ফান্ড দেব না।’ প্রায়ই তিনি মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ বলে আখ্যা দেন।
২০২৬ অর্থবছরে নিউইয়র্কের বাজেটে ফেডারেল তহবিল প্রায় ৭৪০ কোটি ডলার, যা মোট ব্যয়ের ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। নির্বাচনের দিন ট্রাম্প আরও উসকানিমূলক পোস্টে লেখেন, ‘কোনো ইহুদি যদি জোহরান মামদানিকে ভোট দেয়, সে নির্বোধ।’ যদিও মামদানি বহুবার ইহুদিবিদ্বেষের নিন্দা করেছেন।
প্রচারণাজুড়ে তাঁকে ঘিরে চলেছে তীব্র ইসলামবিদ্বেষী হামলা। রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান র্যান্ডি ফাইন ও অ্যান্ডি ওগলস বিচার বিভাগকে আহ্বান জানান মামদানির নাগরিকত্ব বাতিল করতে। টেক্সাসের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান চিপ রয় নির্বাচনের আগে লেখেন, মামদানি ‘আধুনিক ডেমোক্র্যাট দলের প্রতীক’ এবং তাঁর নেতৃত্বে ‘একটি ইসলামি সাংস্কৃতিক বিপ্লব’ ঘটছে।
সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে তুলনায় অক্টোবরে মামদানিকে নিয়ে ইসলামবিদ্বেষী পোস্ট বেড়েছে ৪৫০ শতাংশ। এক মাসে ১৭ হাজার অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৬ হাজার পোস্ট হয়েছে, যা ৭৩ লাখের বেশি লাইক পেয়েছে।
তবে মামদানি আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘আমরা গত এক বছর যে নীতিগুলোর কথা বলেছি, আমি নিশ্চিত সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারব। রাজনীতি যাই হোক, নিউইয়র্কবাসীর সমস্যা একটাই—আমরা সবাই একই সংকটে ভুগছি।’
মামদানির প্রগতিশীল নীতিগুলোর মধ্যে আছে অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া স্থির করা, বাসে বিনা মূল্যে যাতায়াত, সর্বজনীন শিশুসেবা, শহর পরিচালিত মুদি দোকান ও ধনীদের ওপর বাড়তি কর। তাঁর প্রচার তহবিলে ২০ মিলিয়ন ডলার এসেছে সাধারণ দাতাদের কাছ থেকে, গড়ে প্রতি অনুদান প্রায় ৮০ ডলার।
মামদানির দপ্তর জানিয়েছে, শিগগিরই তাঁরা ডেপুটি মেয়র ও বিভিন্ন দপ্তরের কমিশনারদের নাম ঘোষণা করবেন। তিনি বলেন, ‘কিছু নাম পরিচিত হবে, কিছু নতুন। কিন্তু সবাই এক লক্ষ্যেই ঐক্যবদ্ধ—পুরোনো সমস্যার নতুন সমাধান।’ মামদানি বলেন, ‘১ জানুয়ারি যখন আমরা নতুন প্রশাসনের শপথ নেব, নিউইয়র্কবাসী তখন শুধু নতুন মেয়র নয়, নতুন এক যুগকেও স্বাগত জানাবে—যেখানে প্রত্যেকে নিজের অংশীদারত্ব অনুভব করবে, আর এই শহরের সাফল্য হবে আমাদের সবার।’

নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি বুধবার ঘোষণা করেছেন, তিনি তাঁর প্রশাসন গঠনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নতুন প্রশাসন গঠনে যে ট্রানজিশন টিম গঠন করা হয়েছে, তাতে পাঁচজনই নারী। আগামী ১ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার দিন থেকেই কাজ শুরু করার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, তাঁর নেতৃত্বে গড়ে উঠবে এক দক্ষ ও সহানুভূতিশীল সিটি হল, যা এই প্রচারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সক্ষম হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এই নবনির্বাচিত মেয়র কুইন্সে সংবাদ সম্মেলনে পুরোপুরি নারী নেতৃত্বে গঠিত ট্রানজিশন টিম ঘোষণা করেন। এই টিমের নির্বাহী পরিচালক ইলানা লিওপোল্ড। ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকছেন সাবেক ফার্স্ট ডেপুটি মেয়র মারিয়া তোরেস-স্প্রিংগার, ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (এফটিসি) সাবেক চেয়ারম্যান লিনা খান, ইউনাইটেড ওয়ের প্রেসিডেন্ট ও সিইও গ্রেস বোনিলা এবং সাবেক ডেপুটি মেয়র ফর হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস মেলানি হার্টজগ।
লিনা খানকে দলে নেওয়া মামদানির প্রশাসনে সংস্কারক নীতি প্রয়োগের ইঙ্গিত দেয়। জো বাইডেনের সময় এফটিসিতে আক্রমণাত্মক অ্যান্টি–ট্রাস্ট পদক্ষেপের জন্য খান জাতীয়ভাবে পরিচিত হন এবং প্রগতিশীল ও রক্ষণশীল উভয় মহলে প্রশংসিত।
অ্যান্ড্রু কুমো ও রিপাবলিকান কার্টিস স্লিওয়াকে পরাজিত করার পর প্রথম টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মামদানি বলেন, ‘এই শহর আমাদের প্রস্তুত দেখতে চায়। আমাদের হাতে আছে ৫৭ দিন—এটাই কাজ শুরু করার সময়।’ তাঁর জয় নিউইয়র্কের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়—প্রথম মুসলিম মেয়র, প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত, প্রথম আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া এবং শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী মেয়র।
তবে তাঁর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হুমকি দিয়েছেন, মামদানি দায়িত্ব নিলে ফেডারেল তহবিল বন্ধ করবেন। ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছিলেন, ‘যদি মামদানি জয়ী হন, নিউইয়র্কে আমি আইনে বাধ্য না হলে ফেডারেল ফান্ড দেব না।’ প্রায়ই তিনি মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ বলে আখ্যা দেন।
২০২৬ অর্থবছরে নিউইয়র্কের বাজেটে ফেডারেল তহবিল প্রায় ৭৪০ কোটি ডলার, যা মোট ব্যয়ের ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। নির্বাচনের দিন ট্রাম্প আরও উসকানিমূলক পোস্টে লেখেন, ‘কোনো ইহুদি যদি জোহরান মামদানিকে ভোট দেয়, সে নির্বোধ।’ যদিও মামদানি বহুবার ইহুদিবিদ্বেষের নিন্দা করেছেন।
প্রচারণাজুড়ে তাঁকে ঘিরে চলেছে তীব্র ইসলামবিদ্বেষী হামলা। রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান র্যান্ডি ফাইন ও অ্যান্ডি ওগলস বিচার বিভাগকে আহ্বান জানান মামদানির নাগরিকত্ব বাতিল করতে। টেক্সাসের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান চিপ রয় নির্বাচনের আগে লেখেন, মামদানি ‘আধুনিক ডেমোক্র্যাট দলের প্রতীক’ এবং তাঁর নেতৃত্বে ‘একটি ইসলামি সাংস্কৃতিক বিপ্লব’ ঘটছে।
সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে তুলনায় অক্টোবরে মামদানিকে নিয়ে ইসলামবিদ্বেষী পোস্ট বেড়েছে ৪৫০ শতাংশ। এক মাসে ১৭ হাজার অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৬ হাজার পোস্ট হয়েছে, যা ৭৩ লাখের বেশি লাইক পেয়েছে।
তবে মামদানি আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘আমরা গত এক বছর যে নীতিগুলোর কথা বলেছি, আমি নিশ্চিত সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারব। রাজনীতি যাই হোক, নিউইয়র্কবাসীর সমস্যা একটাই—আমরা সবাই একই সংকটে ভুগছি।’
মামদানির প্রগতিশীল নীতিগুলোর মধ্যে আছে অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়া স্থির করা, বাসে বিনা মূল্যে যাতায়াত, সর্বজনীন শিশুসেবা, শহর পরিচালিত মুদি দোকান ও ধনীদের ওপর বাড়তি কর। তাঁর প্রচার তহবিলে ২০ মিলিয়ন ডলার এসেছে সাধারণ দাতাদের কাছ থেকে, গড়ে প্রতি অনুদান প্রায় ৮০ ডলার।
মামদানির দপ্তর জানিয়েছে, শিগগিরই তাঁরা ডেপুটি মেয়র ও বিভিন্ন দপ্তরের কমিশনারদের নাম ঘোষণা করবেন। তিনি বলেন, ‘কিছু নাম পরিচিত হবে, কিছু নতুন। কিন্তু সবাই এক লক্ষ্যেই ঐক্যবদ্ধ—পুরোনো সমস্যার নতুন সমাধান।’ মামদানি বলেন, ‘১ জানুয়ারি যখন আমরা নতুন প্রশাসনের শপথ নেব, নিউইয়র্কবাসী তখন শুধু নতুন মেয়র নয়, নতুন এক যুগকেও স্বাগত জানাবে—যেখানে প্রত্যেকে নিজের অংশীদারত্ব অনুভব করবে, আর এই শহরের সাফল্য হবে আমাদের সবার।’

যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির পর এবার ফিলিস্তিন অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারী সহিংস ইসরায়েলিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। ইইউর শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেলকে উদ্ধৃত করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।
১২ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জিহাদ মাশামউন এ যুদ্ধকে ‘পাল্টাপাল্টি দখল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে বলেন, এটা কোনো একতরফা অভিযান নয়, বরং একধরনের দেওয়া–নেওয়া পরিস্থিতি। কয়েক মাস ধরে উভয় পক্ষই পালাক্রমে কিছু জায়গা দখল করছে, আবার হারাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
সরকারি অচলাবস্থা টানা ৩৬ দিন পার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে দীর্ঘ। এর আগে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে—২০১৮ সালের শেষ দিকে শুরু হয়ে ২০১৯ সালের শুরুর দিক পর্যন্ত টানা ৩৪ দিন শাটডাউন স্থায়ী ছিল।
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার সেনারা আশা করছে, তারা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের কুপিয়ানস্ক শহর সম্পূর্ণ দখল করতে পারবে। শহরটি দখলে অভিযান চালানো ইউনিটের কমান্ডার এমন তথ্য দিয়েছেন। তবে কিয়েভ এখনো জায়গায় পরিস্থিতির গুরুত্ব স্বীকার করছে না। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৬ ঘণ্টা আগে