অনলাইন ডেস্ক
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে দেশটির বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এ পি সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠির সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এরপর আজ রোববার বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে এই বৈঠক। গত সপ্তাহে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
যদিও এই বৈঠকের কোনো আনুষ্ঠানিক বিবরণী গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করা হয়নি, তবে এটিকে পেহেলগাম হামলার পর সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে চলমান উচ্চপর্যায়ের আলোচনার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের অনেকে ছিলেন ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা পর্যটক। এই হামলা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কাশ্মীরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলাগুলোর একটি। ভারত এই হামলার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে। পরে এর পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেয় এবং আরও ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিন বাহিনীর প্রধান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভারতের সরকারি সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে মোদি স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন, হামলার প্রতিক্রিয়ার প্রকৃতি, লক্ষ্য ও সময় নির্ধারণের জন্য ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ‘সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা’ থাকবে।
পেহেলগাম হামলার দুই দিন পর মোদি ঘোষণা দেন, ‘আমি পুরো বিশ্বকে বলছি, ভারত প্রতিটি সন্ত্রাসী ও তাদের মদদদাতাদের চিহ্নিত করবে, খুঁজে বের করবে এবং শাস্তি দেবে। আমরা পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত তাদের ধাওয়া করব। সন্ত্রাসবাদ ভারতের মনোবল ভাঙতে পারবে না। সন্ত্রাসবাদের বিচার হবেই।’
ঐতিহাসিকভাবে ভারত এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার শক্তিশালী জবাব দিয়েছে। যেমন ২০১৬ সালে, জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে সেনাদের ওপর হামলার পর ভারত লাইন অব কন্ট্রোল (নিয়ন্ত্রণরেখা) পেরিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালে পুলওয়ামা বোমা হামলার পর বালাকোট বিমান হামলা চালানো হয়। বালাকোট অভিযানে বিমানবাহিনী একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, যেখানে তারা মিরাজ-২০০০ ফাইটার জেট ব্যবহার করে। সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী, এই অভিযানে বিমানবাহিনী একটি সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণকেন্দ্র ধ্বংস করে দেয়।
পেহেলগামে হামলার ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশই কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, বিশেষ করে ভারত। আর এই কঠোর পদক্ষেপ দুই দেশকে আবারও যুদ্ধের মুখোমুখি করবে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
এ ছাড়া কাশ্মীরের ইতিহাস অত্যন্ত সংঘাতপূর্ণ। ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই পুরো অঞ্চলের মালিকানা দাবি করে, তবে শাসন করে আংশিকভাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভারতের প্রতিক্রিয়া অতীতের ঘটনার পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতির ‘চাপ’ দ্বারাও প্রভাবিত হবে। তাই ভারত যে পথই বেছে নিক না কেন এবং পাকিস্তান যেভাবে সাড়া দিক না কেন—প্রতিটি পদক্ষেপ ঝুঁকিপূর্ণ।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে দেশটির বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এ পি সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠির সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এরপর আজ রোববার বিমানবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে এই বৈঠক। গত সপ্তাহে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
যদিও এই বৈঠকের কোনো আনুষ্ঠানিক বিবরণী গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করা হয়নি, তবে এটিকে পেহেলগাম হামলার পর সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে চলমান উচ্চপর্যায়ের আলোচনার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের অনেকে ছিলেন ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা পর্যটক। এই হামলা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কাশ্মীরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলাগুলোর একটি। ভারত এই হামলার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে। পরে এর পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেয় এবং আরও ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিন বাহিনীর প্রধান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন। ভারতের সরকারি সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে মোদি স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন, হামলার প্রতিক্রিয়ার প্রকৃতি, লক্ষ্য ও সময় নির্ধারণের জন্য ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ‘সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা’ থাকবে।
পেহেলগাম হামলার দুই দিন পর মোদি ঘোষণা দেন, ‘আমি পুরো বিশ্বকে বলছি, ভারত প্রতিটি সন্ত্রাসী ও তাদের মদদদাতাদের চিহ্নিত করবে, খুঁজে বের করবে এবং শাস্তি দেবে। আমরা পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত তাদের ধাওয়া করব। সন্ত্রাসবাদ ভারতের মনোবল ভাঙতে পারবে না। সন্ত্রাসবাদের বিচার হবেই।’
ঐতিহাসিকভাবে ভারত এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার শক্তিশালী জবাব দিয়েছে। যেমন ২০১৬ সালে, জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে সেনাদের ওপর হামলার পর ভারত লাইন অব কন্ট্রোল (নিয়ন্ত্রণরেখা) পেরিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালে পুলওয়ামা বোমা হামলার পর বালাকোট বিমান হামলা চালানো হয়। বালাকোট অভিযানে বিমানবাহিনী একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, যেখানে তারা মিরাজ-২০০০ ফাইটার জেট ব্যবহার করে। সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী, এই অভিযানে বিমানবাহিনী একটি সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণকেন্দ্র ধ্বংস করে দেয়।
পেহেলগামে হামলার ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশই কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, বিশেষ করে ভারত। আর এই কঠোর পদক্ষেপ দুই দেশকে আবারও যুদ্ধের মুখোমুখি করবে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
এ ছাড়া কাশ্মীরের ইতিহাস অত্যন্ত সংঘাতপূর্ণ। ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই পুরো অঞ্চলের মালিকানা দাবি করে, তবে শাসন করে আংশিকভাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভারতের প্রতিক্রিয়া অতীতের ঘটনার পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতির ‘চাপ’ দ্বারাও প্রভাবিত হবে। তাই ভারত যে পথই বেছে নিক না কেন এবং পাকিস্তান যেভাবে সাড়া দিক না কেন—প্রতিটি পদক্ষেপ ঝুঁকিপূর্ণ।
ভিয়েতনামের কৃষক নুয়েন থি হুয়ং। চিন্তায় ঠিকমতো ঘুমোতে পারছেন না। হাতছাড়া হতে যাচ্ছে তাঁর রুজি-রোজগারের একমাত্র উপায়। তাও আবার তাঁর নিজ দেশে ট্রাম্প পরিবারের সমর্থনে নির্মিত হতে যাওয়া একটি গলফ ক্লাবের জন্য। বিনিময়ে মিলবে মাত্র ৩২০০ মার্কিন ডলার এবং কয়েক মাসের জন্য চাল।
১০ মিনিট আগেপারমাণবিক হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের অনেকে ছিলেন অল্পবয়সী নারী, যাঁরা বোমা হামলার সময় গর্ভবতী বা সন্তান ধারণের উপযুক্ত বয়সে ছিলেন। কিন্তু তাঁদের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে তেজস্ক্রিয়তা প্রবেশ করতে পারে, এই ভয়ে একপ্রকার ধ্বংসই হয়ে গেছে তাঁদের জীবন। চিকিৎসক, পরিচিতজন, বন্ধুবান্ধব এমনকি পরিবারের...
১ ঘণ্টা আগেস্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন স্বামী। পথিমধ্যে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান স্ত্রী। দিশেহারা স্বামী আশপাশে মানুষের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন, কিন্তু ভারী বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কেউ এগিয়ে আসেনি।
১ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর জনবল গত ৬ বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বর্তমানে দেশটির সেনাসদস্য প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার, যা ২০১৮ সালের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কম। আর এই লোকবল কমার কারণ, দেশটিতে জন্মহার হ্রাস পাওয়ায় জনসংখ্যার হ্রাস। খবর বিবিসির।
১ ঘণ্টা আগে