
আজ থেকে ২৮ বছর আগে বিজেপির নেতৃত্বে গঠিত হয় এনডিএ (ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স)। আর মাত্র এক বছর আগে কংগ্রেস, তৃণমূল ও অপরাপর আঞ্চলিক দলগুলোকে নিয়ে গড়া হয় ‘ইন্ডিয়া’ জোট। এই নবীন জোটের কাছেই নাস্তানাবুদ হচ্ছে এনডিএ।
ভারতের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন মূলত এই দুই জোটের লড়াই। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল ও প্রবণতাগুলো বলছে, নরেন্দ্র মোদির ম্যাজিক আর তেমন কাজে দিচ্ছে না। কট্টর হিন্দুত্ববাদের ধারও কমে গেছে। শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটই সরকার গঠন করলেই গত দুবারের মতো এবার আর বিজেপি সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আবকি বার, ৪০০ পার’-এর সম্ভাবনার ইতি ঘটে গেছে এরই মধ্যে। মাত্র সাড়ে ১১ মাস বয়সী ইন্ডিয়া জোটের কাছে তিনি ধরাশায়ী হয়েছেন!
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফল ও বিভিন্ন আসনে এগিয়ে থাকার প্রবণতা অনুযায়ী, বিজেপি এবার একক ভাবে ২৫০ আসনও পাবেন না। তাদের আসনসংখ্যা ২৪০-এর আশপাশে থাকতে পারে। ৫৪৫ আসনের (দুটি মনোনীত আসনসহ) লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ২৭৩টি আসন। অর্থাৎ, কেন্দ্রে সরকার গড়ার জন্য বিজেপিকে নির্ভর করতে হবে এনডিএ জোটের দুই শরিক: চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং নিতীশ কুমারের জেডিইউয়ের ওপর।
লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা যত এগোচ্ছে, কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া ব্লক ‘কী করতে যাচ্ছে’—এই গুঞ্জনই ক্রমে চাউর হচ্ছে। কারণ, স্পষ্টত নরেন্দ্র মোদির বিজেপি এবার আর এককভাবে সরকার গঠন করতে পারছেন না। ঝুঁকিও রয়েছে। অতীতে নিতীশ ও চন্দ্রবাবুর একাধিকবার এনডিএ জোট ত্যাগের ইতিহাস রয়েছে।
হিন্দিভাষী বেল্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিহার রাজ্য। ‘হিন্দি হার্টল্যান্ড’-এ ২৫০টিরও বেশি আসন রয়েছে। এর মধ্যে বিহার থেকে লোকসভায় এমপি রয়েছেন ৪২ জন। এই রাজ্য বিজেপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এবার এ রাজ্যে বিজেপি খুব একটা ভালো ফল করছে না। জনতা দলের (ইউনাইটেড) নেতা মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার এখানে ১২টি আসন পেতে যাচ্ছেন। নিতীশ কুমার ছিলেন ইন্ডিয়া জোটের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। পরে তিনি বিজেপিতে ভিড়েছেন।
যা-ই হোক সব ঠিকঠাক থাকলে নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর রেকর্ড স্পর্শ করবেন। প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরু টানা তিন দফায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। অবশ্য তাঁর মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার রেকর্ড হয়তো মোদি ভাঙতে পারবেন না।
ইন্ডিয়া জোট এখন পর্যন্ত ২৩৩টি আসনে এগিয়ে আছে। আপাতত নিতীশের এনডিএ ছাড়ার কোনো ইঙ্গিত মিলছে না। ফলে ইন্ডিয়া জোটের স্কোরে তাঁর দলের ১২টি আসন যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আবার শেষ মুহূর্তে নিতীশ মত পাল্টালেও তাঁর আসনসংখ্যা বিরোধী জোটকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজনীয় ২৭২-এর কাছাকাছি নিয়ে যাবে না। যেখানে বিজেপির একারই ২৪০টিরও বেশি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা এখনো রয়েছে।
নিতীশ কুমার যদিই ইন্ডিয়া জোটে থাকতেন তাহলে বিহারে বিজেপি হয়তো আরও খারাপ করত এবং তাঁর দল জেডিইউ আরও ভালো করতে পারত। যদি ইন্ডিয়া জেডিইউকে ধরে রাখতে পারত, তাহলে বিজেপিকে মাত্র ১৮টি আসন ছেড়ে দিতে হতো। আর জেডিইউর ১২ জন এবং চিরাগ পাসোয়ানের নেতৃত্বাধীন লোক জনশক্তি পার্টির (এলজেপি) পাঁচজন এমপি পাওয়া যেত।
এরই মধ্যে বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হচ্ছে, মহারাষ্ট্র রাজ্যের এনসিপি (এস) দলের প্রধান শারদ পাওয়ার ‘ইন্ডিয়া’ জোটের কলেবর বাড়াতে সক্রিয় হয়েছেন। এনডিএর বেশ কয়েকজন শরিক নেতার সঙ্গেও তাঁর আজ মঙ্গলবার যোগাযোগ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আশা প্রকাশ করেছেন, আরও কিছু দল অদূর ভবিষ্যতে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে শামিল হবে। মমতার তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে ধসিয়ে দিয়েছে।
গত ১৯ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বিজেপিবিরোধী নেতাদের দ্বিতীয় বৈঠকে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ১৯ বছর আগে গড়ে ওঠা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ (ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স) জোটের বিলোপ ঘটে। ইউপিএর যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালে। তৎকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে ওই বছর লোকসভা ভোটের আগেই অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির ভিত্তিতে গড়ে ওঠে এই জোট। সেই জোটের নেতৃত্বেই ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রে সরকার গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী হন কংগ্রেসের মনমোহন সিং।
এবার ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকদের সম্পূর্ণ বা আংশিক আসন ভাগাভাগি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল, কেরালায় বাম, পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টি (আপ), জম্মু ও কাশ্মীরে পিডিপির মতো কেউ আবার কংগ্রেসের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।
২০২৩ সালের ২৩ জুন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউর প্রধান নিতীশ কুমারের ডাকে পাটনায় বিরোধী জোটের বৈঠকে ১৫টি দল ছিল। জুলাইয়ে বেঙ্গালুরুতে সেই তালিকা বেড়ে হয় ২৬। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিতীশ বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএতে ফিরে যান। আর মার্চে বিজেপির সহযোগী হন চন্দ্রবাবু নায়ড়ু।
গত জুলাইয়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে ঘোষণার সময় যে দলগুলো ছিল কংগ্রেস তৃণমূল, ডিএমকে, আম আদমি পার্টি (আপ), জেডিইউ, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি), ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম), এনসিপি (শারদ), শিবসেনা (উদ্ধব), সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় লোকদল, আপনা দল (কে), ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি, সিপিএম, সিপিআই, সিপিআই (এমএল) লিবারেশন, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, এমডিএমকে, ভিসিকে, কেডিএমকে, এমএমকে, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, কেরল কংগ্রেস (মণি) এবং কেরল কংগ্রেস (জোসেফ)। জেডিইউর পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের আপনা দলও (কে) এখন জোটের বাইরে।
আর প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ির নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে গড়া হয় এনডিএ। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বাজপেয়ির প্রধানমন্ত্রিত্বে এই জোটের সরকার ছিল। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে জিতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ফের সরকার গঠন করে এই জোট। তবে গত এক দশকে অন্যতম শরিক পাঞ্জাবের শিরোমনি অকালি দল, তামিলনাড়ুর এডিএমকে, জম্মু ও কাশ্মীরে পিডিপি, হরিয়ানায় জেজেপি, রাজস্থানের রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি মোদির সঙ্গ ছেড়েছে। সহযোগী পেতে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা এবং শারদ পাওয়ারের এনসিপি ভেঙে দেওয়ার কলকাঠি নেড়েছে বিজেপি। এমনকি আদালতকে ব্যবহার করে শিবসেনার দলীয় প্রতীকও দখল করিয়েছে বিজেপি।
জেডিইউর মতোই এনডিএ ছাড়ার পর ফেরত এসেছে অন্ধ্রের তেলেগু দেশম পার্টি, তামিলনাড়ুর পিএমকে, অসমের অসম গণপরিষদ, এলজেপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ। উত্তর প্রদেশের রাষ্ট্রীয় লোকদল, কর্ণাটকে জেডিএস, অন্ধ্রে জনসেনা ত্রিপুরায় তিপ্রা মথার মতো নতুন সহযোগীও পেয়েছে এনডিএ।
মায়াবতীর বিএসপি, নবীন পট্টনায়কের বিজেডি বা জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস কোনো জোটে না থাকলেও ‘সংকট মুহূর্তে’ মোদির পাশে দাঁড়াতে পারে বলেও ভোটের আগে মনে করছিলেন অনেক পর্যবেক্ষক। কিন্তু উত্তর প্রদেশে মায়াবতীর ঝুলি শূন্য। নবীন ও জগন নিজেদের রাজ্যে বিজেপি এবং জোটসঙ্গীর কাছে পর্যুদস্ত হয়েছে। ওডিশায় বিজেডি পেয়েছে মাত্র একটি আসন। অন্ধ্রে ওয়াইএসআরসিপির পেয়েছে চারটি।

আজ থেকে ২৮ বছর আগে বিজেপির নেতৃত্বে গঠিত হয় এনডিএ (ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স)। আর মাত্র এক বছর আগে কংগ্রেস, তৃণমূল ও অপরাপর আঞ্চলিক দলগুলোকে নিয়ে গড়া হয় ‘ইন্ডিয়া’ জোট। এই নবীন জোটের কাছেই নাস্তানাবুদ হচ্ছে এনডিএ।
ভারতের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন মূলত এই দুই জোটের লড়াই। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল ও প্রবণতাগুলো বলছে, নরেন্দ্র মোদির ম্যাজিক আর তেমন কাজে দিচ্ছে না। কট্টর হিন্দুত্ববাদের ধারও কমে গেছে। শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটই সরকার গঠন করলেই গত দুবারের মতো এবার আর বিজেপি সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আবকি বার, ৪০০ পার’-এর সম্ভাবনার ইতি ঘটে গেছে এরই মধ্যে। মাত্র সাড়ে ১১ মাস বয়সী ইন্ডিয়া জোটের কাছে তিনি ধরাশায়ী হয়েছেন!
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফল ও বিভিন্ন আসনে এগিয়ে থাকার প্রবণতা অনুযায়ী, বিজেপি এবার একক ভাবে ২৫০ আসনও পাবেন না। তাদের আসনসংখ্যা ২৪০-এর আশপাশে থাকতে পারে। ৫৪৫ আসনের (দুটি মনোনীত আসনসহ) লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ২৭৩টি আসন। অর্থাৎ, কেন্দ্রে সরকার গড়ার জন্য বিজেপিকে নির্ভর করতে হবে এনডিএ জোটের দুই শরিক: চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং নিতীশ কুমারের জেডিইউয়ের ওপর।
লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা যত এগোচ্ছে, কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া ব্লক ‘কী করতে যাচ্ছে’—এই গুঞ্জনই ক্রমে চাউর হচ্ছে। কারণ, স্পষ্টত নরেন্দ্র মোদির বিজেপি এবার আর এককভাবে সরকার গঠন করতে পারছেন না। ঝুঁকিও রয়েছে। অতীতে নিতীশ ও চন্দ্রবাবুর একাধিকবার এনডিএ জোট ত্যাগের ইতিহাস রয়েছে।
হিন্দিভাষী বেল্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিহার রাজ্য। ‘হিন্দি হার্টল্যান্ড’-এ ২৫০টিরও বেশি আসন রয়েছে। এর মধ্যে বিহার থেকে লোকসভায় এমপি রয়েছেন ৪২ জন। এই রাজ্য বিজেপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এবার এ রাজ্যে বিজেপি খুব একটা ভালো ফল করছে না। জনতা দলের (ইউনাইটেড) নেতা মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার এখানে ১২টি আসন পেতে যাচ্ছেন। নিতীশ কুমার ছিলেন ইন্ডিয়া জোটের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। পরে তিনি বিজেপিতে ভিড়েছেন।
যা-ই হোক সব ঠিকঠাক থাকলে নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর রেকর্ড স্পর্শ করবেন। প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরু টানা তিন দফায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। অবশ্য তাঁর মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার রেকর্ড হয়তো মোদি ভাঙতে পারবেন না।
ইন্ডিয়া জোট এখন পর্যন্ত ২৩৩টি আসনে এগিয়ে আছে। আপাতত নিতীশের এনডিএ ছাড়ার কোনো ইঙ্গিত মিলছে না। ফলে ইন্ডিয়া জোটের স্কোরে তাঁর দলের ১২টি আসন যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আবার শেষ মুহূর্তে নিতীশ মত পাল্টালেও তাঁর আসনসংখ্যা বিরোধী জোটকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজনীয় ২৭২-এর কাছাকাছি নিয়ে যাবে না। যেখানে বিজেপির একারই ২৪০টিরও বেশি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা এখনো রয়েছে।
নিতীশ কুমার যদিই ইন্ডিয়া জোটে থাকতেন তাহলে বিহারে বিজেপি হয়তো আরও খারাপ করত এবং তাঁর দল জেডিইউ আরও ভালো করতে পারত। যদি ইন্ডিয়া জেডিইউকে ধরে রাখতে পারত, তাহলে বিজেপিকে মাত্র ১৮টি আসন ছেড়ে দিতে হতো। আর জেডিইউর ১২ জন এবং চিরাগ পাসোয়ানের নেতৃত্বাধীন লোক জনশক্তি পার্টির (এলজেপি) পাঁচজন এমপি পাওয়া যেত।
এরই মধ্যে বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হচ্ছে, মহারাষ্ট্র রাজ্যের এনসিপি (এস) দলের প্রধান শারদ পাওয়ার ‘ইন্ডিয়া’ জোটের কলেবর বাড়াতে সক্রিয় হয়েছেন। এনডিএর বেশ কয়েকজন শরিক নেতার সঙ্গেও তাঁর আজ মঙ্গলবার যোগাযোগ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আশা প্রকাশ করেছেন, আরও কিছু দল অদূর ভবিষ্যতে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে শামিল হবে। মমতার তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে ধসিয়ে দিয়েছে।
গত ১৯ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বিজেপিবিরোধী নেতাদের দ্বিতীয় বৈঠকে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ১৯ বছর আগে গড়ে ওঠা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ (ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স) জোটের বিলোপ ঘটে। ইউপিএর যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালে। তৎকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে ওই বছর লোকসভা ভোটের আগেই অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির ভিত্তিতে গড়ে ওঠে এই জোট। সেই জোটের নেতৃত্বেই ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রে সরকার গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী হন কংগ্রেসের মনমোহন সিং।
এবার ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকদের সম্পূর্ণ বা আংশিক আসন ভাগাভাগি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল, কেরালায় বাম, পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টি (আপ), জম্মু ও কাশ্মীরে পিডিপির মতো কেউ আবার কংগ্রেসের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।
২০২৩ সালের ২৩ জুন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউর প্রধান নিতীশ কুমারের ডাকে পাটনায় বিরোধী জোটের বৈঠকে ১৫টি দল ছিল। জুলাইয়ে বেঙ্গালুরুতে সেই তালিকা বেড়ে হয় ২৬। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিতীশ বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএতে ফিরে যান। আর মার্চে বিজেপির সহযোগী হন চন্দ্রবাবু নায়ড়ু।
গত জুলাইয়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে ঘোষণার সময় যে দলগুলো ছিল কংগ্রেস তৃণমূল, ডিএমকে, আম আদমি পার্টি (আপ), জেডিইউ, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি), ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম), এনসিপি (শারদ), শিবসেনা (উদ্ধব), সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় লোকদল, আপনা দল (কে), ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি, সিপিএম, সিপিআই, সিপিআই (এমএল) লিবারেশন, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, এমডিএমকে, ভিসিকে, কেডিএমকে, এমএমকে, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, কেরল কংগ্রেস (মণি) এবং কেরল কংগ্রেস (জোসেফ)। জেডিইউর পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের আপনা দলও (কে) এখন জোটের বাইরে।
আর প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ির নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে গড়া হয় এনডিএ। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বাজপেয়ির প্রধানমন্ত্রিত্বে এই জোটের সরকার ছিল। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে জিতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ফের সরকার গঠন করে এই জোট। তবে গত এক দশকে অন্যতম শরিক পাঞ্জাবের শিরোমনি অকালি দল, তামিলনাড়ুর এডিএমকে, জম্মু ও কাশ্মীরে পিডিপি, হরিয়ানায় জেজেপি, রাজস্থানের রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি মোদির সঙ্গ ছেড়েছে। সহযোগী পেতে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা এবং শারদ পাওয়ারের এনসিপি ভেঙে দেওয়ার কলকাঠি নেড়েছে বিজেপি। এমনকি আদালতকে ব্যবহার করে শিবসেনার দলীয় প্রতীকও দখল করিয়েছে বিজেপি।
জেডিইউর মতোই এনডিএ ছাড়ার পর ফেরত এসেছে অন্ধ্রের তেলেগু দেশম পার্টি, তামিলনাড়ুর পিএমকে, অসমের অসম গণপরিষদ, এলজেপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ। উত্তর প্রদেশের রাষ্ট্রীয় লোকদল, কর্ণাটকে জেডিএস, অন্ধ্রে জনসেনা ত্রিপুরায় তিপ্রা মথার মতো নতুন সহযোগীও পেয়েছে এনডিএ।
মায়াবতীর বিএসপি, নবীন পট্টনায়কের বিজেডি বা জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস কোনো জোটে না থাকলেও ‘সংকট মুহূর্তে’ মোদির পাশে দাঁড়াতে পারে বলেও ভোটের আগে মনে করছিলেন অনেক পর্যবেক্ষক। কিন্তু উত্তর প্রদেশে মায়াবতীর ঝুলি শূন্য। নবীন ও জগন নিজেদের রাজ্যে বিজেপি এবং জোটসঙ্গীর কাছে পর্যুদস্ত হয়েছে। ওডিশায় বিজেডি পেয়েছে মাত্র একটি আসন। অন্ধ্রে ওয়াইএসআরসিপির পেয়েছে চারটি।

আজ থেকে ২৮ বছর আগে বিজেপির নেতৃত্বে গঠিত হয় এনডিএ (ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স)। আর মাত্র এক বছর আগে কংগ্রেস, তৃণমূল ও অপরাপর আঞ্চলিক দলগুলোকে নিয়ে গড়া হয় ‘ইন্ডিয়া’ জোট। এই নবীন জোটের কাছেই নাস্তানাবুদ হচ্ছে এনডিএ।
ভারতের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন মূলত এই দুই জোটের লড়াই। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল ও প্রবণতাগুলো বলছে, নরেন্দ্র মোদির ম্যাজিক আর তেমন কাজে দিচ্ছে না। কট্টর হিন্দুত্ববাদের ধারও কমে গেছে। শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটই সরকার গঠন করলেই গত দুবারের মতো এবার আর বিজেপি সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আবকি বার, ৪০০ পার’-এর সম্ভাবনার ইতি ঘটে গেছে এরই মধ্যে। মাত্র সাড়ে ১১ মাস বয়সী ইন্ডিয়া জোটের কাছে তিনি ধরাশায়ী হয়েছেন!
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফল ও বিভিন্ন আসনে এগিয়ে থাকার প্রবণতা অনুযায়ী, বিজেপি এবার একক ভাবে ২৫০ আসনও পাবেন না। তাদের আসনসংখ্যা ২৪০-এর আশপাশে থাকতে পারে। ৫৪৫ আসনের (দুটি মনোনীত আসনসহ) লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ২৭৩টি আসন। অর্থাৎ, কেন্দ্রে সরকার গড়ার জন্য বিজেপিকে নির্ভর করতে হবে এনডিএ জোটের দুই শরিক: চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং নিতীশ কুমারের জেডিইউয়ের ওপর।
লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা যত এগোচ্ছে, কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া ব্লক ‘কী করতে যাচ্ছে’—এই গুঞ্জনই ক্রমে চাউর হচ্ছে। কারণ, স্পষ্টত নরেন্দ্র মোদির বিজেপি এবার আর এককভাবে সরকার গঠন করতে পারছেন না। ঝুঁকিও রয়েছে। অতীতে নিতীশ ও চন্দ্রবাবুর একাধিকবার এনডিএ জোট ত্যাগের ইতিহাস রয়েছে।
হিন্দিভাষী বেল্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিহার রাজ্য। ‘হিন্দি হার্টল্যান্ড’-এ ২৫০টিরও বেশি আসন রয়েছে। এর মধ্যে বিহার থেকে লোকসভায় এমপি রয়েছেন ৪২ জন। এই রাজ্য বিজেপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এবার এ রাজ্যে বিজেপি খুব একটা ভালো ফল করছে না। জনতা দলের (ইউনাইটেড) নেতা মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার এখানে ১২টি আসন পেতে যাচ্ছেন। নিতীশ কুমার ছিলেন ইন্ডিয়া জোটের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। পরে তিনি বিজেপিতে ভিড়েছেন।
যা-ই হোক সব ঠিকঠাক থাকলে নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর রেকর্ড স্পর্শ করবেন। প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরু টানা তিন দফায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। অবশ্য তাঁর মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার রেকর্ড হয়তো মোদি ভাঙতে পারবেন না।
ইন্ডিয়া জোট এখন পর্যন্ত ২৩৩টি আসনে এগিয়ে আছে। আপাতত নিতীশের এনডিএ ছাড়ার কোনো ইঙ্গিত মিলছে না। ফলে ইন্ডিয়া জোটের স্কোরে তাঁর দলের ১২টি আসন যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আবার শেষ মুহূর্তে নিতীশ মত পাল্টালেও তাঁর আসনসংখ্যা বিরোধী জোটকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজনীয় ২৭২-এর কাছাকাছি নিয়ে যাবে না। যেখানে বিজেপির একারই ২৪০টিরও বেশি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা এখনো রয়েছে।
নিতীশ কুমার যদিই ইন্ডিয়া জোটে থাকতেন তাহলে বিহারে বিজেপি হয়তো আরও খারাপ করত এবং তাঁর দল জেডিইউ আরও ভালো করতে পারত। যদি ইন্ডিয়া জেডিইউকে ধরে রাখতে পারত, তাহলে বিজেপিকে মাত্র ১৮টি আসন ছেড়ে দিতে হতো। আর জেডিইউর ১২ জন এবং চিরাগ পাসোয়ানের নেতৃত্বাধীন লোক জনশক্তি পার্টির (এলজেপি) পাঁচজন এমপি পাওয়া যেত।
এরই মধ্যে বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হচ্ছে, মহারাষ্ট্র রাজ্যের এনসিপি (এস) দলের প্রধান শারদ পাওয়ার ‘ইন্ডিয়া’ জোটের কলেবর বাড়াতে সক্রিয় হয়েছেন। এনডিএর বেশ কয়েকজন শরিক নেতার সঙ্গেও তাঁর আজ মঙ্গলবার যোগাযোগ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আশা প্রকাশ করেছেন, আরও কিছু দল অদূর ভবিষ্যতে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে শামিল হবে। মমতার তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে ধসিয়ে দিয়েছে।
গত ১৯ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বিজেপিবিরোধী নেতাদের দ্বিতীয় বৈঠকে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ১৯ বছর আগে গড়ে ওঠা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ (ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স) জোটের বিলোপ ঘটে। ইউপিএর যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালে। তৎকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে ওই বছর লোকসভা ভোটের আগেই অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির ভিত্তিতে গড়ে ওঠে এই জোট। সেই জোটের নেতৃত্বেই ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রে সরকার গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী হন কংগ্রেসের মনমোহন সিং।
এবার ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকদের সম্পূর্ণ বা আংশিক আসন ভাগাভাগি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল, কেরালায় বাম, পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টি (আপ), জম্মু ও কাশ্মীরে পিডিপির মতো কেউ আবার কংগ্রেসের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।
২০২৩ সালের ২৩ জুন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউর প্রধান নিতীশ কুমারের ডাকে পাটনায় বিরোধী জোটের বৈঠকে ১৫টি দল ছিল। জুলাইয়ে বেঙ্গালুরুতে সেই তালিকা বেড়ে হয় ২৬। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিতীশ বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএতে ফিরে যান। আর মার্চে বিজেপির সহযোগী হন চন্দ্রবাবু নায়ড়ু।
গত জুলাইয়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে ঘোষণার সময় যে দলগুলো ছিল কংগ্রেস তৃণমূল, ডিএমকে, আম আদমি পার্টি (আপ), জেডিইউ, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি), ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম), এনসিপি (শারদ), শিবসেনা (উদ্ধব), সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় লোকদল, আপনা দল (কে), ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি, সিপিএম, সিপিআই, সিপিআই (এমএল) লিবারেশন, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, এমডিএমকে, ভিসিকে, কেডিএমকে, এমএমকে, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, কেরল কংগ্রেস (মণি) এবং কেরল কংগ্রেস (জোসেফ)। জেডিইউর পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের আপনা দলও (কে) এখন জোটের বাইরে।
আর প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ির নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে গড়া হয় এনডিএ। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বাজপেয়ির প্রধানমন্ত্রিত্বে এই জোটের সরকার ছিল। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে জিতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ফের সরকার গঠন করে এই জোট। তবে গত এক দশকে অন্যতম শরিক পাঞ্জাবের শিরোমনি অকালি দল, তামিলনাড়ুর এডিএমকে, জম্মু ও কাশ্মীরে পিডিপি, হরিয়ানায় জেজেপি, রাজস্থানের রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি মোদির সঙ্গ ছেড়েছে। সহযোগী পেতে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা এবং শারদ পাওয়ারের এনসিপি ভেঙে দেওয়ার কলকাঠি নেড়েছে বিজেপি। এমনকি আদালতকে ব্যবহার করে শিবসেনার দলীয় প্রতীকও দখল করিয়েছে বিজেপি।
জেডিইউর মতোই এনডিএ ছাড়ার পর ফেরত এসেছে অন্ধ্রের তেলেগু দেশম পার্টি, তামিলনাড়ুর পিএমকে, অসমের অসম গণপরিষদ, এলজেপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ। উত্তর প্রদেশের রাষ্ট্রীয় লোকদল, কর্ণাটকে জেডিএস, অন্ধ্রে জনসেনা ত্রিপুরায় তিপ্রা মথার মতো নতুন সহযোগীও পেয়েছে এনডিএ।
মায়াবতীর বিএসপি, নবীন পট্টনায়কের বিজেডি বা জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস কোনো জোটে না থাকলেও ‘সংকট মুহূর্তে’ মোদির পাশে দাঁড়াতে পারে বলেও ভোটের আগে মনে করছিলেন অনেক পর্যবেক্ষক। কিন্তু উত্তর প্রদেশে মায়াবতীর ঝুলি শূন্য। নবীন ও জগন নিজেদের রাজ্যে বিজেপি এবং জোটসঙ্গীর কাছে পর্যুদস্ত হয়েছে। ওডিশায় বিজেডি পেয়েছে মাত্র একটি আসন। অন্ধ্রে ওয়াইএসআরসিপির পেয়েছে চারটি।

আজ থেকে ২৮ বছর আগে বিজেপির নেতৃত্বে গঠিত হয় এনডিএ (ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স)। আর মাত্র এক বছর আগে কংগ্রেস, তৃণমূল ও অপরাপর আঞ্চলিক দলগুলোকে নিয়ে গড়া হয় ‘ইন্ডিয়া’ জোট। এই নবীন জোটের কাছেই নাস্তানাবুদ হচ্ছে এনডিএ।
ভারতের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন মূলত এই দুই জোটের লড়াই। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল ও প্রবণতাগুলো বলছে, নরেন্দ্র মোদির ম্যাজিক আর তেমন কাজে দিচ্ছে না। কট্টর হিন্দুত্ববাদের ধারও কমে গেছে। শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটই সরকার গঠন করলেই গত দুবারের মতো এবার আর বিজেপি সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আবকি বার, ৪০০ পার’-এর সম্ভাবনার ইতি ঘটে গেছে এরই মধ্যে। মাত্র সাড়ে ১১ মাস বয়সী ইন্ডিয়া জোটের কাছে তিনি ধরাশায়ী হয়েছেন!
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফল ও বিভিন্ন আসনে এগিয়ে থাকার প্রবণতা অনুযায়ী, বিজেপি এবার একক ভাবে ২৫০ আসনও পাবেন না। তাদের আসনসংখ্যা ২৪০-এর আশপাশে থাকতে পারে। ৫৪৫ আসনের (দুটি মনোনীত আসনসহ) লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ২৭৩টি আসন। অর্থাৎ, কেন্দ্রে সরকার গড়ার জন্য বিজেপিকে নির্ভর করতে হবে এনডিএ জোটের দুই শরিক: চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এবং নিতীশ কুমারের জেডিইউয়ের ওপর।
লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা যত এগোচ্ছে, কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া ব্লক ‘কী করতে যাচ্ছে’—এই গুঞ্জনই ক্রমে চাউর হচ্ছে। কারণ, স্পষ্টত নরেন্দ্র মোদির বিজেপি এবার আর এককভাবে সরকার গঠন করতে পারছেন না। ঝুঁকিও রয়েছে। অতীতে নিতীশ ও চন্দ্রবাবুর একাধিকবার এনডিএ জোট ত্যাগের ইতিহাস রয়েছে।
হিন্দিভাষী বেল্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিহার রাজ্য। ‘হিন্দি হার্টল্যান্ড’-এ ২৫০টিরও বেশি আসন রয়েছে। এর মধ্যে বিহার থেকে লোকসভায় এমপি রয়েছেন ৪২ জন। এই রাজ্য বিজেপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এবার এ রাজ্যে বিজেপি খুব একটা ভালো ফল করছে না। জনতা দলের (ইউনাইটেড) নেতা মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার এখানে ১২টি আসন পেতে যাচ্ছেন। নিতীশ কুমার ছিলেন ইন্ডিয়া জোটের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। পরে তিনি বিজেপিতে ভিড়েছেন।
যা-ই হোক সব ঠিকঠাক থাকলে নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর রেকর্ড স্পর্শ করবেন। প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরু টানা তিন দফায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। অবশ্য তাঁর মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার রেকর্ড হয়তো মোদি ভাঙতে পারবেন না।
ইন্ডিয়া জোট এখন পর্যন্ত ২৩৩টি আসনে এগিয়ে আছে। আপাতত নিতীশের এনডিএ ছাড়ার কোনো ইঙ্গিত মিলছে না। ফলে ইন্ডিয়া জোটের স্কোরে তাঁর দলের ১২টি আসন যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আবার শেষ মুহূর্তে নিতীশ মত পাল্টালেও তাঁর আসনসংখ্যা বিরোধী জোটকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজনীয় ২৭২-এর কাছাকাছি নিয়ে যাবে না। যেখানে বিজেপির একারই ২৪০টিরও বেশি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা এখনো রয়েছে।
নিতীশ কুমার যদিই ইন্ডিয়া জোটে থাকতেন তাহলে বিহারে বিজেপি হয়তো আরও খারাপ করত এবং তাঁর দল জেডিইউ আরও ভালো করতে পারত। যদি ইন্ডিয়া জেডিইউকে ধরে রাখতে পারত, তাহলে বিজেপিকে মাত্র ১৮টি আসন ছেড়ে দিতে হতো। আর জেডিইউর ১২ জন এবং চিরাগ পাসোয়ানের নেতৃত্বাধীন লোক জনশক্তি পার্টির (এলজেপি) পাঁচজন এমপি পাওয়া যেত।
এরই মধ্যে বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হচ্ছে, মহারাষ্ট্র রাজ্যের এনসিপি (এস) দলের প্রধান শারদ পাওয়ার ‘ইন্ডিয়া’ জোটের কলেবর বাড়াতে সক্রিয় হয়েছেন। এনডিএর বেশ কয়েকজন শরিক নেতার সঙ্গেও তাঁর আজ মঙ্গলবার যোগাযোগ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আশা প্রকাশ করেছেন, আরও কিছু দল অদূর ভবিষ্যতে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে শামিল হবে। মমতার তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে ধসিয়ে দিয়েছে।
গত ১৯ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বিজেপিবিরোধী নেতাদের দ্বিতীয় বৈঠকে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ১৯ বছর আগে গড়ে ওঠা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ (ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স) জোটের বিলোপ ঘটে। ইউপিএর যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালে। তৎকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে ওই বছর লোকসভা ভোটের আগেই অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির ভিত্তিতে গড়ে ওঠে এই জোট। সেই জোটের নেতৃত্বেই ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রে সরকার গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী হন কংগ্রেসের মনমোহন সিং।
এবার ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকদের সম্পূর্ণ বা আংশিক আসন ভাগাভাগি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল, কেরালায় বাম, পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টি (আপ), জম্মু ও কাশ্মীরে পিডিপির মতো কেউ আবার কংগ্রেসের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।
২০২৩ সালের ২৩ জুন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউর প্রধান নিতীশ কুমারের ডাকে পাটনায় বিরোধী জোটের বৈঠকে ১৫টি দল ছিল। জুলাইয়ে বেঙ্গালুরুতে সেই তালিকা বেড়ে হয় ২৬। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিতীশ বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএতে ফিরে যান। আর মার্চে বিজেপির সহযোগী হন চন্দ্রবাবু নায়ড়ু।
গত জুলাইয়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে ঘোষণার সময় যে দলগুলো ছিল কংগ্রেস তৃণমূল, ডিএমকে, আম আদমি পার্টি (আপ), জেডিইউ, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি), ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম), এনসিপি (শারদ), শিবসেনা (উদ্ধব), সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় লোকদল, আপনা দল (কে), ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি, সিপিএম, সিপিআই, সিপিআই (এমএল) লিবারেশন, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক, এমডিএমকে, ভিসিকে, কেডিএমকে, এমএমকে, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, কেরল কংগ্রেস (মণি) এবং কেরল কংগ্রেস (জোসেফ)। জেডিইউর পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের আপনা দলও (কে) এখন জোটের বাইরে।
আর প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ির নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে গড়া হয় এনডিএ। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বাজপেয়ির প্রধানমন্ত্রিত্বে এই জোটের সরকার ছিল। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে জিতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ফের সরকার গঠন করে এই জোট। তবে গত এক দশকে অন্যতম শরিক পাঞ্জাবের শিরোমনি অকালি দল, তামিলনাড়ুর এডিএমকে, জম্মু ও কাশ্মীরে পিডিপি, হরিয়ানায় জেজেপি, রাজস্থানের রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি মোদির সঙ্গ ছেড়েছে। সহযোগী পেতে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা এবং শারদ পাওয়ারের এনসিপি ভেঙে দেওয়ার কলকাঠি নেড়েছে বিজেপি। এমনকি আদালতকে ব্যবহার করে শিবসেনার দলীয় প্রতীকও দখল করিয়েছে বিজেপি।
জেডিইউর মতোই এনডিএ ছাড়ার পর ফেরত এসেছে অন্ধ্রের তেলেগু দেশম পার্টি, তামিলনাড়ুর পিএমকে, অসমের অসম গণপরিষদ, এলজেপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ। উত্তর প্রদেশের রাষ্ট্রীয় লোকদল, কর্ণাটকে জেডিএস, অন্ধ্রে জনসেনা ত্রিপুরায় তিপ্রা মথার মতো নতুন সহযোগীও পেয়েছে এনডিএ।
মায়াবতীর বিএসপি, নবীন পট্টনায়কের বিজেডি বা জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস কোনো জোটে না থাকলেও ‘সংকট মুহূর্তে’ মোদির পাশে দাঁড়াতে পারে বলেও ভোটের আগে মনে করছিলেন অনেক পর্যবেক্ষক। কিন্তু উত্তর প্রদেশে মায়াবতীর ঝুলি শূন্য। নবীন ও জগন নিজেদের রাজ্যে বিজেপি এবং জোটসঙ্গীর কাছে পর্যুদস্ত হয়েছে। ওডিশায় বিজেডি পেয়েছে মাত্র একটি আসন। অন্ধ্রে ওয়াইএসআরসিপির পেয়েছে চারটি।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডি বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
১ ঘণ্টা আগে
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আহ্বান জানাচ্ছেন— বিষয়টি নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
২ ঘণ্টা আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডি বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়, আর মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে হামলার মুহূর্তটির বর্ণনা দিয়েছেন মার্কোস কারভালহো নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী। গুলির শব্দকে আতশবাজি ভেবেছিলেন তিনিও। কারভালহো জানান, সারা দিন সমুদ্রসৈকতে থাকার পর তিনি নিজের জিনিসপত্র গোছাচ্ছিলেন। এমন সময়ই গুলির শব্দ ভেসে আসে।
তিনি বলেন, ‘এক মিলিয়ন বছরেও ভাবিনি, বন্ডির মতো জায়গায় এমন গুলিবর্ষণ হতে পারে।’ তিনি জানান, মানুষ যখন বুঝতে শুরু করে কী হচ্ছে, তখনই সবাই দিগ্বিদিক ছুটে পালাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করেন তিনি নিজেও।
কারভালহো বলেন, ‘আমি প্রাণ বাঁচাতে নর্থ বন্ডি গ্রাসি নলের দিকে দৌড়াই। পরে আরও কয়েকজন সহ আমরা একটি একটি আইসক্রিম ভ্যানের পেছনে লুকাই।’
জরুরি সেবা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরই গুলির শব্দ থামে। এরপর হামলার জায়গাটির পাশ দিয়েই বাড়ি ফেরেন কারভালহো। এ সময় তিনি মাটিতে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, বন্ডি বিচে উপস্থিত ছিলেন হাইম লেভি। তিনি ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-কে জানান, হানুকা উৎসবের সময় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি সৈকতে বসেছিলেন। তখনই হামলা শুরু হয়। লেভি বলেন, ‘হঠাৎ ধোঁয়া দেখলাম, আর গুলির শব্দ শুনলাম। প্রথমে বুঝতে পারিনি গুলি আকাশে ছোড়া হচ্ছে নাকি ভিড়ের দিকে। তবে তাৎক্ষণিকভাবেই বোঝা গেল ভয়াবহ কিছু ঘটছে।’
লেভি জানান, তিনি স্ত্রীকে দৌড়াতে বলেন। পরে মেয়েকে নিয়ে ছুটতে শুরু করেন স্ত্রী, আর ছেলেকে নিয়ে একটি গাড়ির পেছনে লুকিয়ে পড়েন তিনি। প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাঁদের মাথার ওপর দিয়ে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে একটি বেড়া টপকে ছেলেকে নিয়ে গাড়ির কাছে পৌঁছান। খুঁজে পান স্ত্রীকেও। তাঁরা দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়েন।
লেভি আরও জানান, হামলার মুহূর্তটিকে তাঁর দুই বছর বয়সী ছেলে কান্না করছিল। গুলিবর্ষণকারীরা শুনে ফেললে মেরে ফেলতে পারে—এমন ভয়ে তিনি ছেলের মুখ চেপে ধরেন।
অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমবর্ধমান ইহুদিবিদ্বেষের সমালোচনা করে লেভি বলেন, ‘এমন কিছু যে ঘটবে, তা স্পষ্ট ছিল। কিন্তু কখনো ভাবিনি আমি নিজে পরিবার নিয়ে এর মাঝখানে পড়ব।’ গুলিবর্ষণের মধ্যে দিয়ে বেঁচে ফেরাকে তিনি ‘অলৌকিক’ বলেই মনে করছেন লেভি।
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, বন্ডি বিচে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বন্ডি বিচ ও এর সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারের অপারেশন শুরু করেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলিশি অভিযান এখনো চলছে এবং জনসাধারণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডি বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়, আর মানুষ প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে হামলার মুহূর্তটির বর্ণনা দিয়েছেন মার্কোস কারভালহো নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী। গুলির শব্দকে আতশবাজি ভেবেছিলেন তিনিও। কারভালহো জানান, সারা দিন সমুদ্রসৈকতে থাকার পর তিনি নিজের জিনিসপত্র গোছাচ্ছিলেন। এমন সময়ই গুলির শব্দ ভেসে আসে।
তিনি বলেন, ‘এক মিলিয়ন বছরেও ভাবিনি, বন্ডির মতো জায়গায় এমন গুলিবর্ষণ হতে পারে।’ তিনি জানান, মানুষ যখন বুঝতে শুরু করে কী হচ্ছে, তখনই সবাই দিগ্বিদিক ছুটে পালাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াতে শুরু করেন তিনি নিজেও।
কারভালহো বলেন, ‘আমি প্রাণ বাঁচাতে নর্থ বন্ডি গ্রাসি নলের দিকে দৌড়াই। পরে আরও কয়েকজন সহ আমরা একটি একটি আইসক্রিম ভ্যানের পেছনে লুকাই।’
জরুরি সেবা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরই গুলির শব্দ থামে। এরপর হামলার জায়গাটির পাশ দিয়েই বাড়ি ফেরেন কারভালহো। এ সময় তিনি মাটিতে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, বন্ডি বিচে উপস্থিত ছিলেন হাইম লেভি। তিনি ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-কে জানান, হানুকা উৎসবের সময় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি সৈকতে বসেছিলেন। তখনই হামলা শুরু হয়। লেভি বলেন, ‘হঠাৎ ধোঁয়া দেখলাম, আর গুলির শব্দ শুনলাম। প্রথমে বুঝতে পারিনি গুলি আকাশে ছোড়া হচ্ছে নাকি ভিড়ের দিকে। তবে তাৎক্ষণিকভাবেই বোঝা গেল ভয়াবহ কিছু ঘটছে।’
লেভি জানান, তিনি স্ত্রীকে দৌড়াতে বলেন। পরে মেয়েকে নিয়ে ছুটতে শুরু করেন স্ত্রী, আর ছেলেকে নিয়ে একটি গাড়ির পেছনে লুকিয়ে পড়েন তিনি। প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাঁদের মাথার ওপর দিয়ে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে একটি বেড়া টপকে ছেলেকে নিয়ে গাড়ির কাছে পৌঁছান। খুঁজে পান স্ত্রীকেও। তাঁরা দ্রুত সেখান থেকে কেটে পড়েন।
লেভি আরও জানান, হামলার মুহূর্তটিকে তাঁর দুই বছর বয়সী ছেলে কান্না করছিল। গুলিবর্ষণকারীরা শুনে ফেললে মেরে ফেলতে পারে—এমন ভয়ে তিনি ছেলের মুখ চেপে ধরেন।
অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমবর্ধমান ইহুদিবিদ্বেষের সমালোচনা করে লেভি বলেন, ‘এমন কিছু যে ঘটবে, তা স্পষ্ট ছিল। কিন্তু কখনো ভাবিনি আমি নিজে পরিবার নিয়ে এর মাঝখানে পড়ব।’ গুলিবর্ষণের মধ্যে দিয়ে বেঁচে ফেরাকে তিনি ‘অলৌকিক’ বলেই মনে করছেন লেভি।
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, বন্ডি বিচে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বন্ডি বিচ ও এর সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারের অপারেশন শুরু করেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলিশি অভিযান এখনো চলছে এবং জনসাধারণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।

আজ থেকে ২৮ বছর আগে বিজেপির নেতৃত্বে গঠিত হয় এনডিএ (ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স)। আর মাত্র এক বছর আগে কংগ্রেস, তৃণমূল ও অপরাপর আঞ্চলিক দলগুলোকে নিয়ে গড়া হয় ‘ইন্ডিয়া’ জোট। এই নবীন জোটের কাছেই নাস্তানাবুদ হচ্ছে এনডিএ।
০৪ জুন ২০২৪
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আহ্বান জানাচ্ছেন— বিষয়টি নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
২ ঘণ্টা আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলবের পর অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতিতে উত্থাপিত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। একই সঙ্গে তলব করে যে বক্তব্য জানানো হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে নয়াদিল্লি নিজের অবস্থান তুলে ধরেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসনোটে উত্থাপিত অভিযোগগুলো ভারত দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে সব সময়ই ভারতের অবস্থান। ভারত আরও দাবি করে, বাংলাদেশের ‘জনগণের স্বার্থবিরোধী’ কোনো কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কখনোই ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আশা করি, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনসহ অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।’
এর আগে দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে অবস্থানরত পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সমর্থকদের আহ্বান জানাচ্ছেন—এ নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়। এসব কর্মকাণ্ড আসন্ন সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা বলেও অভিযোগ করে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিচারের মুখোমুখি করতে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দ্রুত প্রত্যর্পণের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতে অবস্থানরত পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড, পরিকল্পনা ও সন্ত্রাসী তৎপরতায়’ সহায়তার অভিযোগও তুলে ধরা হয়।
এ ছাড়া সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদির ওপর হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনেরা যেন ভারতে পালাতে না পারেন, সে বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়। কেউ ভারতে প্রবেশ করলে তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশে হস্তান্তরের আহ্বান জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো ভারতের দায়িত্ব।
অন্য দিকে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বৈঠকে জানান, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় ভারত এবং এ লক্ষ্যে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে তাঁর দেশ।

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলবের পর অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতিতে উত্থাপিত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। একই সঙ্গে তলব করে যে বক্তব্য জানানো হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে নয়াদিল্লি নিজের অবস্থান তুলে ধরেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসনোটে উত্থাপিত অভিযোগগুলো ভারত দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে সব সময়ই ভারতের অবস্থান। ভারত আরও দাবি করে, বাংলাদেশের ‘জনগণের স্বার্থবিরোধী’ কোনো কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কখনোই ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আশা করি, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনসহ অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।’
এর আগে দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে অবস্থানরত পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সমর্থকদের আহ্বান জানাচ্ছেন—এ নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়। এসব কর্মকাণ্ড আসন্ন সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা বলেও অভিযোগ করে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিচারের মুখোমুখি করতে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দ্রুত প্রত্যর্পণের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে ভারতে অবস্থানরত পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের ‘বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড, পরিকল্পনা ও সন্ত্রাসী তৎপরতায়’ সহায়তার অভিযোগও তুলে ধরা হয়।
এ ছাড়া সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদির ওপর হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনেরা যেন ভারতে পালাতে না পারেন, সে বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়। কেউ ভারতে প্রবেশ করলে তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশে হস্তান্তরের আহ্বান জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো ভারতের দায়িত্ব।
অন্য দিকে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বৈঠকে জানান, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় ভারত এবং এ লক্ষ্যে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে তাঁর দেশ।

আজ থেকে ২৮ বছর আগে বিজেপির নেতৃত্বে গঠিত হয় এনডিএ (ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স)। আর মাত্র এক বছর আগে কংগ্রেস, তৃণমূল ও অপরাপর আঞ্চলিক দলগুলোকে নিয়ে গড়া হয় ‘ইন্ডিয়া’ জোট। এই নবীন জোটের কাছেই নাস্তানাবুদ হচ্ছে এনডিএ।
০৪ জুন ২০২৪
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডি বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
১ ঘণ্টা আগে
সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
২ ঘণ্টা আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় আকরাম গুলিবিদ্ধ হন। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং বর্তমানে তিনি হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্য বন্দুকধারী ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
বর্তমানে বনিরিগের পাতিয়া এলাকায় আকরামের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এই সম্পত্তি তাঁর পরিবার এক বছর ধরে ব্যবহার করছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে বলছেন, নাভিদ আকরাম পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। তবে এ বিষয়ে এখনো তেমন শক্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এই ভয়াবহ হামলায় এখন পর্যন্ত শিশুসহ ১২ জন নিহত ও কমপক্ষে ১৭ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় বন্ডি বিচে ইহুদিদের অন্যতম প্রধান উৎসব হানুক্কার প্রথম দিনের একটি অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানটির নাম ছিল ‘চানুকা বাই দ্য সি ২০২৫’। আজ রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে বিচসংলগ্ন শিশুদের খেলার মাঠে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। চাবাদ অব বন্ডি নামের একটি ইহুদি কেন্দ্র এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আজ সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে ক্যাম্পবেল প্যারেডসংলগ্ন বন্ডি প্যাভিলিয়নের কাছে একটি গাড়ি থেকে দুই ব্যক্তি নেমে আসেন। এরপর তাঁরা গুলি চালাতে শুরু করেন।
এদিকে এ ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইমামস কাউন্সিল ও কাউন্সিল অব ইমামস এনএসডব্লিউ এক যৌথ বিবৃতিতে বন্ডি বিচে গুলিবর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সমাজে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের পূর্ণ জবাবদিহি ও আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।’
তারা নিহত ব্যক্তিদের পরিবার, ক্ষতিগ্রস্ত ও এই ভয়াবহ হামলার প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়সহ সব অস্ট্রেলিয়ানের উচিত ঐক্য, সহানুভূতি ও সংহতি নিয়ে একসঙ্গে দাঁড়ানো, সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করা এবং সামাজিক সম্প্রীতি ও সব অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপত্তার প্রতি আমাদের যৌথ অঙ্গীকার নিশ্চিত করা।’

সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় আকরাম গুলিবিদ্ধ হন। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং বর্তমানে তিনি হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্য বন্দুকধারী ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
বর্তমানে বনিরিগের পাতিয়া এলাকায় আকরামের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এই সম্পত্তি তাঁর পরিবার এক বছর ধরে ব্যবহার করছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে বলছেন, নাভিদ আকরাম পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। তবে এ বিষয়ে এখনো তেমন শক্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এই ভয়াবহ হামলায় এখন পর্যন্ত শিশুসহ ১২ জন নিহত ও কমপক্ষে ১৭ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার সময় বন্ডি বিচে ইহুদিদের অন্যতম প্রধান উৎসব হানুক্কার প্রথম দিনের একটি অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানটির নাম ছিল ‘চানুকা বাই দ্য সি ২০২৫’। আজ রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে বিচসংলগ্ন শিশুদের খেলার মাঠে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। চাবাদ অব বন্ডি নামের একটি ইহুদি কেন্দ্র এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আজ সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে ক্যাম্পবেল প্যারেডসংলগ্ন বন্ডি প্যাভিলিয়নের কাছে একটি গাড়ি থেকে দুই ব্যক্তি নেমে আসেন। এরপর তাঁরা গুলি চালাতে শুরু করেন।
এদিকে এ ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইমামস কাউন্সিল ও কাউন্সিল অব ইমামস এনএসডব্লিউ এক যৌথ বিবৃতিতে বন্ডি বিচে গুলিবর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সমাজে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের পূর্ণ জবাবদিহি ও আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।’
তারা নিহত ব্যক্তিদের পরিবার, ক্ষতিগ্রস্ত ও এই ভয়াবহ হামলার প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়সহ সব অস্ট্রেলিয়ানের উচিত ঐক্য, সহানুভূতি ও সংহতি নিয়ে একসঙ্গে দাঁড়ানো, সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করা এবং সামাজিক সম্প্রীতি ও সব অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপত্তার প্রতি আমাদের যৌথ অঙ্গীকার নিশ্চিত করা।’

আজ থেকে ২৮ বছর আগে বিজেপির নেতৃত্বে গঠিত হয় এনডিএ (ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স)। আর মাত্র এক বছর আগে কংগ্রেস, তৃণমূল ও অপরাপর আঞ্চলিক দলগুলোকে নিয়ে গড়া হয় ‘ইন্ডিয়া’ জোট। এই নবীন জোটের কাছেই নাস্তানাবুদ হচ্ছে এনডিএ।
০৪ জুন ২০২৪
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডি বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
১ ঘণ্টা আগে
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আহ্বান জানাচ্ছেন— বিষয়টি নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

আজ থেকে ২৮ বছর আগে বিজেপির নেতৃত্বে গঠিত হয় এনডিএ (ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স)। আর মাত্র এক বছর আগে কংগ্রেস, তৃণমূল ও অপরাপর আঞ্চলিক দলগুলোকে নিয়ে গড়া হয় ‘ইন্ডিয়া’ জোট। এই নবীন জোটের কাছেই নাস্তানাবুদ হচ্ছে এনডিএ।
০৪ জুন ২০২৪
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত বন্ডি বিচে ইহুদিদের হানুক্কা উৎসবে হামলার সময়টিতে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁরা বলছেন, শুরুতে অনেকেই বুঝতেই পারেননি কী ঘটছে। অনেকেই ভেবেছিলেন আতশবাজি ফাটছে।
১ ঘণ্টা আগে
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আহ্বান জানাচ্ছেন— বিষয়টি নিয়ে ভারতের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
সিডনির বন্ডি বিচে দুই হামলাকারীর মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ নিশ্চিত করেছে, হামলাকারী যুবক ২৪ বছর বয়সী নাভিদ আকরাম। তিনি সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমের বনিরিগ এলাকার বাসিন্দা।
২ ঘণ্টা আগে