কলকাতা পুলিশ কলকাতা থেকে একজন এবং নদীয়া থেকে চারজন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু কলকাতায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে বিএনপির সাবেক নেতা বলে দাবি করেছে।
হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতায় গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তি দুই বছর ধরে ভুয়া পাসপোর্ট এবং আধার কার্ড নিয়ে ভারতে বসবাস করছিলেন। গত শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) মধ্যরাতে তাঁকে কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে সেলিম মাতব্বর হিসেবে শনাক্ত করা হয়। তিনি বাংলাদেশের মাদারীপুরের বাসিন্দা। তাঁর ভুয়া নথিপত্রে নাম ছিল ‘রবি শর্মা’।
কলকাতার পার্ক স্ট্রিট থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং সমস্ত ভুয়া নথিপত্র পুলিশ জব্দ করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশি নাগরিক আইন এবং প্রতারণা সংক্রান্ত ধারায় মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি কয়েকটি রাজ্যে বসবাস করার পর কয়েক মাস আগে কলকাতায় আসেন। তিনি শহরের মারকুইস স্ট্রিটের একটি হোটেলে কাজ করছিলেন।
এদিকে গতকাল শনিবার পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার মাজদিয়া থেকে আরও চারজন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারীকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের বিরুদ্ধে বৈধ ভিসা বা পাসপোর্ট ছাড়া অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়েছে।
এদিকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর কলকাতার জে. এন. রায় হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
শুক্রবার হাসপাতালটি একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তারা আর কোনো বাংলাদেশি রোগীকে ভর্তি করবে না বা তাঁদের চিকিৎসা করবে না। হাসপাতালের প্রতিনিধি শুভ্রাংশু ভক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের দেশের লাখ লাখ সৈনিক বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত ঝরিয়েছে। তাই যখন তারা আমাদের জাতীয় পতাকাকে অপমান করে, তখন আমরা তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে পারি না।’
তবে পশ্চিমবঙ্গ মেডিকেল কাউন্সিল (ডব্লিউবিএমসি) হাসপাতালের অবস্থান সমর্থন করেনি এবং বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে বলেছে। ডব্লিউবিএমসির সভাপতি ড. সুদীপ্ত রায় বলেছেন, তাঁরা রোগীদের মধ্যে কোনো বৈষম্য করেন না এবং সবার চিকিৎসা করবেন।
চলমান উত্তেজনার প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, এই বিষয়ে মন্তব্য করা তাঁর কাজ নয়। কারণ এটি একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি আলাদা দেশ। ভারত একটি আলাদা দেশ। এই বিষয়ে আমাদের ভূমিকা সীমিত। ভারত সরকার বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিতে পারে। পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে, আমরা ভারতের সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আছি, যে কোনো দল ক্ষমতায় থাকুক না কেন।’
তবে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নেতা দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা আক্রমণ করে বলেছেন, যদি মুখ্যমন্ত্রী গাজার (ফিলিস্তিন) বিষয়ে কথা বলতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশ নিয়েও তাঁকে কথা বলতে হবে। তিনি বলেন, ‘যখন বাংলাদেশে হিন্দুদের মারধর করা হয়, তখন তিনি চান মোদি এটা সামলাক।’
এই ঘটনাগুলো এমন সময়ে ঘটছে যখন বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার এবং ভারতের প্রতিবাদের পর ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক উত্তপ্ত রয়েছে।
কলকাতা পুলিশ কলকাতা থেকে একজন এবং নদীয়া থেকে চারজন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু কলকাতায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে বিএনপির সাবেক নেতা বলে দাবি করেছে।
হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতায় গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তি দুই বছর ধরে ভুয়া পাসপোর্ট এবং আধার কার্ড নিয়ে ভারতে বসবাস করছিলেন। গত শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) মধ্যরাতে তাঁকে কলকাতার পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে সেলিম মাতব্বর হিসেবে শনাক্ত করা হয়। তিনি বাংলাদেশের মাদারীপুরের বাসিন্দা। তাঁর ভুয়া নথিপত্রে নাম ছিল ‘রবি শর্মা’।
কলকাতার পার্ক স্ট্রিট থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং সমস্ত ভুয়া নথিপত্র পুলিশ জব্দ করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশি নাগরিক আইন এবং প্রতারণা সংক্রান্ত ধারায় মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি কয়েকটি রাজ্যে বসবাস করার পর কয়েক মাস আগে কলকাতায় আসেন। তিনি শহরের মারকুইস স্ট্রিটের একটি হোটেলে কাজ করছিলেন।
এদিকে গতকাল শনিবার পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার মাজদিয়া থেকে আরও চারজন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারীকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের বিরুদ্ধে বৈধ ভিসা বা পাসপোর্ট ছাড়া অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁদের আদালতে হাজির করা হয়েছে।
এদিকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর কলকাতার জে. এন. রায় হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
শুক্রবার হাসপাতালটি একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তারা আর কোনো বাংলাদেশি রোগীকে ভর্তি করবে না বা তাঁদের চিকিৎসা করবে না। হাসপাতালের প্রতিনিধি শুভ্রাংশু ভক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের দেশের লাখ লাখ সৈনিক বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত ঝরিয়েছে। তাই যখন তারা আমাদের জাতীয় পতাকাকে অপমান করে, তখন আমরা তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে পারি না।’
তবে পশ্চিমবঙ্গ মেডিকেল কাউন্সিল (ডব্লিউবিএমসি) হাসপাতালের অবস্থান সমর্থন করেনি এবং বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে বলেছে। ডব্লিউবিএমসির সভাপতি ড. সুদীপ্ত রায় বলেছেন, তাঁরা রোগীদের মধ্যে কোনো বৈষম্য করেন না এবং সবার চিকিৎসা করবেন।
চলমান উত্তেজনার প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, এই বিষয়ে মন্তব্য করা তাঁর কাজ নয়। কারণ এটি একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি আলাদা দেশ। ভারত একটি আলাদা দেশ। এই বিষয়ে আমাদের ভূমিকা সীমিত। ভারত সরকার বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিতে পারে। পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে, আমরা ভারতের সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আছি, যে কোনো দল ক্ষমতায় থাকুক না কেন।’
তবে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নেতা দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা আক্রমণ করে বলেছেন, যদি মুখ্যমন্ত্রী গাজার (ফিলিস্তিন) বিষয়ে কথা বলতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশ নিয়েও তাঁকে কথা বলতে হবে। তিনি বলেন, ‘যখন বাংলাদেশে হিন্দুদের মারধর করা হয়, তখন তিনি চান মোদি এটা সামলাক।’
এই ঘটনাগুলো এমন সময়ে ঘটছে যখন বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার এবং ভারতের প্রতিবাদের পর ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক উত্তপ্ত রয়েছে।
তাঁর ভাষ্য, ইরানের রাজনৈতিক শাসন টিকে গেছে এবং সম্ভবত আরও শক্ত অবস্থানে পৌঁছেছে। দেশটির মানুষ এখন আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। এমনকি যারা আগে নির্লিপ্ত ছিল বা বিরোধিতা করত, তারাও এখন এই নেতৃত্বের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
২৪ মিনিট আগে৪৫ মিনিটের এই ফোনালাপের উদ্যোগ এসেছিল ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের কাছ থেকে। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পরেই তিনি এই উদ্যোগ নেন।
৩২ মিনিট আগেখোররামশহর-৪ বা খাইবার ক্ষেপণাস্ত্রকে ইরানের চতুর্থ প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে ধরা হয়। এটি শব্দের গতির চেয়ে ১৬ গুণ বেশি গতিতে বায়ুমণ্ডলের বাইরে এবং শব্দের গতির চেয়ে ৮ গুণ বেশি গতিতে বায়ুমণ্ডলের ভেতরে চলতে সক্ষম। উচ্চ গতি এবং কৌশলগত সক্ষমতার জন্য এটিকে শনাক্ত ও প্রতিহত করা কঠিন...
৩৬ মিনিট আগেইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া ও স্পেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলার যে দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা যে যুক্তিই তুলে ধরা হোক না কেন, তা আন্তর্জা
৪৪ মিনিট আগে