Ajker Patrika

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা

সাবেক ‘র’-এর প্রধানের নেতৃত্বে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ২৩: ২৪
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান, সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি। ছবি: পিটিআই
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, সিডিএস জেনারেল অনিল চৌহান, সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি। ছবি: পিটিআই

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদ (এনএসএবি) পুনর্গঠন করেছে ভারত সরকার। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) সাবেক প্রধান অলোক জোশীকে নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

পুনর্গঠিত সাত সদস্যের এই পরিষদে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ ও কূটনৈতিক সেবার সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মিশ্রণ রয়েছে। নতুন সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা এয়ার মার্শাল পি এম সিনহা (সাবেক ওয়েস্টার্ন এয়ার কমান্ডার), লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ কে সিং (সাবেক সাউদার্ন আর্মি কমান্ডার) ও রিয়ার অ্যাডমিরাল মন্টি খান্না। ভারতীয় পুলিশ সার্ভিস থেকে রাজীব রঞ্জন ভার্মা এবং মনমোহন সিংকে এই পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিষদের সদস্য হিসেবে রয়েছেন ভারতীয় পররাষ্ট্র সার্ভিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বি ভেঙ্কটেশ ভার্মা।

এনএসএবি সরকারের বাইরের বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞদের একটি সংস্থা, যেখানে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের বিশেষজ্ঞরা অন্তর্ভুক্ত থাকেন। এনএসএবির প্রধান কাজ হলো, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি বিশ্লেষণ ও নীতিগত সুপারিশ করা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) নিরাপত্তা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিএস) একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সিসিএস ছাড়াও রাজনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিপিএ) ও অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) বৈঠকও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বৈঠকটি ছিল পেহেলগাম হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় সিসিএস বৈঠক। এ বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল জাতীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি মূল্যায়ন এবং কোথাও কমতি থাকলে সেগুলোর উন্নতি করা। এর আগে ২৩ এপ্রিল এসব বিষয়ে আলোচনার জন্য সিসিএস বৈঠক হয়েছিল বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, তিন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত