
ভারতে বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর থেকেই ভারতজুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। তবে বিক্ষোভ-প্রতিবাদকারীদের আশ্বস্ত করে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ‘সিএএ মুসলিমবিরোধী নয় এবং এই আইনে এমন কোনো ধারা নেই, যা দিয়ে কোনো ভারতীয় নাগরিকের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে।’
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে (এএনআই) দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ অভিযোগ করেছেন, বিরোধী পক্ষ বিষয়টি নিয়ে ‘মিথ্যার রাজনীতি’ করছে। তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অন্তত ৪১ বার সিএএ নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছি। আমি বলেছি যে, দেশের সংখ্যালঘুদের (মুসলমানসহ অন্যান্য ধর্মের অনুসারী) এই আইন নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো দরকার নেই। কারণ এতে কোনো নাগরিকের অধিকার ফিরিয়ে নেওয়ার মতো কোনো বিধান নেই।’
অমিত শাহ আরও বলেন, সিএএ মূলত ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যেসব নির্যাতিত হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পারসি ও খ্রিষ্টান তথা অমুসলিম বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসে পৌঁছেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মুসলমানদেরও সংবিধান অনুসারে ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার অধিকার আছে। তবে এই আইন মূলত উল্লিখিত তিন দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুদের জন্য।’ এ সময় তিনি জানান, বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মুখেও সিএএ আইন বাতিল বা ফিরিয়ে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এ সময় অমিত শাহ বিরোধী দল বিশেষ করে কংগ্রেসের প্রতি তোপ দেগে বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোটও জানে যে, তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদির সরকার সিএএন এনেছে। এটিকে বাতিল করা অসম্ভব। আমরা এটি নিয়ে সারা দেশে সচেতনতা সৃষ্টি করব, যাতে যারা এই আইনের বিরোধিতা করবে তারা হালে পানি না পায়।’
সিএএ সংবিধান লঙ্ঘন করছে না উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেন, ‘এই আইন অনুচ্ছেদ-১৪ লঙ্ঘন করছে না। এই আইনে পরিষ্কার ও যৌক্তিক শ্রেণিকরণ উল্লেখ করা হয়েছে। এই আইন সেই সব সংখ্যালঘুর জন্য, যারা দেশভাগের কারণে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে থেকে গিয়েছিলেন কিন্তু ধর্মীয় নিপীড়নের মুখোমুখি হয়ে পরে ভারতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’
সিএএ আইন এমন সময়ে কার্যকর করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যার মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরই ভারতে লোকসভা নির্বাচন শুরু হবে। এই অবস্থায় বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের লক্ষ্যে এই সময়ে এসে সিএএ কার্যকরের ঘোষণা দিল—এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে দলটির এই নেতা বলেন, ‘এটি আনুষ্ঠানিকভাবে আইন কার্যকরের ঘোষণা মাত্র। তাই এখান থেকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের প্রশ্নই আসে না।’
এই আইনকে দেশভাগের ইতিহাস থেকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেন, ‘১৯৪৭-এর ১৫ আগস্ট আমাদের দেশ তিন অংশে ভাগ হয়েছে। এটাই এই আইনের ভিত্তি। ভারতীয় জনসংঘ ও বিজেপি সব সময়ই দেশভাগের বিরুদ্ধে। আমরা কখনোই ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ চাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাই যখন ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হয়েছে, তখন সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হয়েছে, জোর করে তাদের ধর্মান্তরিত করা হয়েছে, নারীদের নির্যাতন করা হয়েছে এবং এ কারণে তারা ভারতে চলে এসেছে। তারা আমাদের এখানে এসেছে শরণার্থী হিসেবে; তাদের কি নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার নেই?’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে অমিত শাহ বলেন, ‘মমতাজির কাছে আমার অনুরোধ, রাজনীতি করার অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে, কিন্তু দয়া করে বাংলাদেশ থেকে আসা বাঙালি হিন্দুদের ক্ষতি করবেন না।’ এ সময় তিনি আরও বলেন, তাঁর উদ্দেশ্য হলো হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে ভোট ব্যাংক মজবুত করা।’

ভারতে বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। এরপর থেকেই ভারতজুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। তবে বিক্ষোভ-প্রতিবাদকারীদের আশ্বস্ত করে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ‘সিএএ মুসলিমবিরোধী নয় এবং এই আইনে এমন কোনো ধারা নেই, যা দিয়ে কোনো ভারতীয় নাগরিকের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে।’
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে (এএনআই) দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ অভিযোগ করেছেন, বিরোধী পক্ষ বিষয়টি নিয়ে ‘মিথ্যার রাজনীতি’ করছে। তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অন্তত ৪১ বার সিএএ নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছি। আমি বলেছি যে, দেশের সংখ্যালঘুদের (মুসলমানসহ অন্যান্য ধর্মের অনুসারী) এই আইন নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো দরকার নেই। কারণ এতে কোনো নাগরিকের অধিকার ফিরিয়ে নেওয়ার মতো কোনো বিধান নেই।’
অমিত শাহ আরও বলেন, সিএএ মূলত ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যেসব নির্যাতিত হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পারসি ও খ্রিষ্টান তথা অমুসলিম বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসে পৌঁছেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মুসলমানদেরও সংবিধান অনুসারে ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার অধিকার আছে। তবে এই আইন মূলত উল্লিখিত তিন দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুদের জন্য।’ এ সময় তিনি জানান, বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মুখেও সিএএ আইন বাতিল বা ফিরিয়ে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এ সময় অমিত শাহ বিরোধী দল বিশেষ করে কংগ্রেসের প্রতি তোপ দেগে বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোটও জানে যে, তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদির সরকার সিএএন এনেছে। এটিকে বাতিল করা অসম্ভব। আমরা এটি নিয়ে সারা দেশে সচেতনতা সৃষ্টি করব, যাতে যারা এই আইনের বিরোধিতা করবে তারা হালে পানি না পায়।’
সিএএ সংবিধান লঙ্ঘন করছে না উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেন, ‘এই আইন অনুচ্ছেদ-১৪ লঙ্ঘন করছে না। এই আইনে পরিষ্কার ও যৌক্তিক শ্রেণিকরণ উল্লেখ করা হয়েছে। এই আইন সেই সব সংখ্যালঘুর জন্য, যারা দেশভাগের কারণে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে থেকে গিয়েছিলেন কিন্তু ধর্মীয় নিপীড়নের মুখোমুখি হয়ে পরে ভারতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’
সিএএ আইন এমন সময়ে কার্যকর করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যার মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরই ভারতে লোকসভা নির্বাচন শুরু হবে। এই অবস্থায় বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের লক্ষ্যে এই সময়ে এসে সিএএ কার্যকরের ঘোষণা দিল—এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে দলটির এই নেতা বলেন, ‘এটি আনুষ্ঠানিকভাবে আইন কার্যকরের ঘোষণা মাত্র। তাই এখান থেকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের প্রশ্নই আসে না।’
এই আইনকে দেশভাগের ইতিহাস থেকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেন, ‘১৯৪৭-এর ১৫ আগস্ট আমাদের দেশ তিন অংশে ভাগ হয়েছে। এটাই এই আইনের ভিত্তি। ভারতীয় জনসংঘ ও বিজেপি সব সময়ই দেশভাগের বিরুদ্ধে। আমরা কখনোই ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ চাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাই যখন ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ হয়েছে, তখন সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হয়েছে, জোর করে তাদের ধর্মান্তরিত করা হয়েছে, নারীদের নির্যাতন করা হয়েছে এবং এ কারণে তারা ভারতে চলে এসেছে। তারা আমাদের এখানে এসেছে শরণার্থী হিসেবে; তাদের কি নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার নেই?’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে অমিত শাহ বলেন, ‘মমতাজির কাছে আমার অনুরোধ, রাজনীতি করার অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে, কিন্তু দয়া করে বাংলাদেশ থেকে আসা বাঙালি হিন্দুদের ক্ষতি করবেন না।’ এ সময় তিনি আরও বলেন, তাঁর উদ্দেশ্য হলো হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে ভোট ব্যাংক মজবুত করা।’

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া এসআইআর কার্যক্রম নিয়ে বিজেপি এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্যাপক আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো প্রকৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না। যদি যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে টেনে নামাবেন তিন
৫ মিনিট আগে
জোহরান মামদানি—৩৪ বছর বয়সী এই যুবক নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতেই চমক দেখিয়েছেন। ওই সময় কেবল মার্কিন রাজনীতিতেই নয়, দক্ষিণ এশীয় মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়লেন।
১৩ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিলের একটি বিমানবন্দরে পরিবহন সংস্থা ইউনাইটেড পারসেল সার্ভিস–ইউপিএসের কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় বিশাল অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয় এবং ‘অনেকজন’ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর বিজয় ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছেন জোহরান মামদানি। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সমালোচনার মুখে থাকা এই নেতা তাঁর বিজয় ভাষণে ট্রাম্পকে নাম ধরে সম্বোধন করে বলেন, এ জয় ‘পরিবর্তনের ম্যান্ডেট।’ খবর ইউএস টুডের।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া এসআইআর কার্যক্রম নিয়ে বিজেপি এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্যাপক আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো প্রকৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না। যদি যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে টেনে নামাবেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করে বলেছেন—যদি রাজ্যের তালিকা থেকে একটিও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকার পতন অনিবার্য হবে। তিনি রাজ্যের নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘যদি কাগজপত্র না থাকে, আমাদের শিবিরে আসুন। আমরা যেকোনো মূল্যে সাহায্য করব। প্রয়োজনে থালাবাটি বিক্রি করে হলেও সাহায্য করব।’
পশ্চিমবঙ্গে গতকাল মঙ্গলবারই এসআইআর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৮০ হাজারের বেশি মাঠকর্মী ঘরে ঘরে গিয়ে জরিপ শুরু করেছেন। এদিন কলকাতায় ৪ কিলোমিটার পদযাত্রার মাধ্যমে এসআইআর-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানা মমতা ও তাঁর ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পদযাত্রা শুরু হয় ড. বিআর আম্বেদকরের ভাস্কর্যের সামনে থেকে এবং শেষ হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মভূমি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে।
পদযাত্রার পর জনসমক্ষে মমতা বলেন, এসআইআর হলো ‘নীরব, অদৃশ্য কেলেঙ্কারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ভয় পাবেন না। সবই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হচ্ছে। প্রয়োজনে আইনি সহায়তা নিন। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের বলছি, ভয় পাবেন না, দিদি আছেন। যেকোনো উপায়ে রক্ষা করব। যদি জোরপূর্বক বিতাড়ন করা হয়, সবাই মিলে তা মোকাবিলা করতে হবে। সংখ্যালঘুদেরও কোনো ভয় নেই।’
এসআইআর প্রক্রিয়ার ‘হঠাৎ বাস্তবায়ন’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০১ সালের পর। ২০০২-২০০৩ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি। ২০০৪ সালে নির্বাচনের আগে এসআইআর চলেছিল দেড় থেকে দুই বছর ধরে। আজ এত তাড়াহুড়া কেন? একটিও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ গেলে, আমি বিজেপি সরকার উল্টে দেব।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম না নিয়ে তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি এত বড় জাতীয়তাবাদীই হবেন, তাহলে বলুন—চার নির্বাচনী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল, আসাম এবং তিনটি বিরোধী দল শাসিত রাজ্যে এসআইআর চালু করলেন, কিন্তু আসামে কেন নয়? ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঘোষণা করবেন। তিন মাসে কি ১০ কোটি মানুষকে এই ফরম পূরণ করানো সম্ভব? কেন নির্বাচন পরে করা যায়নি? আসামে কেন নয়? কারণ আপনি হেরে যেতেন। আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, মিথ্যা ভোট দিয়ে সব সময় জিততে পারবেন না।’
মোদির দল বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়া ‘অবৈধ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি’দের তালিকা থেকে সরিয়ে দেবে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা কোথা থেকে আসবে? নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ থেকে। সেখানেও কি এসআইআর হলো? বাংলাদেশিরা ত্রিপুরা ও আসাম থেকেও আসে। আসামে ১৯ লাখ নাম বাদ পড়েছিল, যার মধ্যে ১২ লাখ হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মের মানুষ। ক্ষমতায় থাকার কারণে বিজেপি যা ইচ্ছে তাই করছে।’
অমিত শাহের দ্বিচারী নীতির সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘তিনি পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির সমালোচনা করেন, অথচ নিজের ছেলেকে আইসিসির সর্বোচ্চ পদে নিয়োগ দিয়েছেন।’ নির্বাচন কমিশনের ওপর আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘কারও পিতামাতার নাম তালিকায় নেই, তাহলে কি আবার প্রমাণ দিতে হবে যে তারা এই রাজ্যে জন্মেছেন? কমিশন তালিকায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। ভুলের দায়িত্ব কে নেবে? নির্বাচনের পর করাই ভালো হতো না কি? জন্ম ও স্বাধীনতার এত বছর পরও কি নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে?’

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া এসআইআর কার্যক্রম নিয়ে বিজেপি এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্যাপক আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো প্রকৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না। যদি যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে টেনে নামাবেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করে বলেছেন—যদি রাজ্যের তালিকা থেকে একটিও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকার পতন অনিবার্য হবে। তিনি রাজ্যের নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘যদি কাগজপত্র না থাকে, আমাদের শিবিরে আসুন। আমরা যেকোনো মূল্যে সাহায্য করব। প্রয়োজনে থালাবাটি বিক্রি করে হলেও সাহায্য করব।’
পশ্চিমবঙ্গে গতকাল মঙ্গলবারই এসআইআর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৮০ হাজারের বেশি মাঠকর্মী ঘরে ঘরে গিয়ে জরিপ শুরু করেছেন। এদিন কলকাতায় ৪ কিলোমিটার পদযাত্রার মাধ্যমে এসআইআর-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানা মমতা ও তাঁর ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পদযাত্রা শুরু হয় ড. বিআর আম্বেদকরের ভাস্কর্যের সামনে থেকে এবং শেষ হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মভূমি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে।
পদযাত্রার পর জনসমক্ষে মমতা বলেন, এসআইআর হলো ‘নীরব, অদৃশ্য কেলেঙ্কারি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ভয় পাবেন না। সবই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হচ্ছে। প্রয়োজনে আইনি সহায়তা নিন। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের বলছি, ভয় পাবেন না, দিদি আছেন। যেকোনো উপায়ে রক্ষা করব। যদি জোরপূর্বক বিতাড়ন করা হয়, সবাই মিলে তা মোকাবিলা করতে হবে। সংখ্যালঘুদেরও কোনো ভয় নেই।’
এসআইআর প্রক্রিয়ার ‘হঠাৎ বাস্তবায়ন’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০১ সালের পর। ২০০২-২০০৩ সালে কোনো নির্বাচন হয়নি। ২০০৪ সালে নির্বাচনের আগে এসআইআর চলেছিল দেড় থেকে দুই বছর ধরে। আজ এত তাড়াহুড়া কেন? একটিও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ গেলে, আমি বিজেপি সরকার উল্টে দেব।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম না নিয়ে তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি এত বড় জাতীয়তাবাদীই হবেন, তাহলে বলুন—চার নির্বাচনী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল, আসাম এবং তিনটি বিরোধী দল শাসিত রাজ্যে এসআইআর চালু করলেন, কিন্তু আসামে কেন নয়? ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঘোষণা করবেন। তিন মাসে কি ১০ কোটি মানুষকে এই ফরম পূরণ করানো সম্ভব? কেন নির্বাচন পরে করা যায়নি? আসামে কেন নয়? কারণ আপনি হেরে যেতেন। আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, মিথ্যা ভোট দিয়ে সব সময় জিততে পারবেন না।’
মোদির দল বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়া ‘অবৈধ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি’দের তালিকা থেকে সরিয়ে দেবে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা কোথা থেকে আসবে? নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ থেকে। সেখানেও কি এসআইআর হলো? বাংলাদেশিরা ত্রিপুরা ও আসাম থেকেও আসে। আসামে ১৯ লাখ নাম বাদ পড়েছিল, যার মধ্যে ১২ লাখ হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মের মানুষ। ক্ষমতায় থাকার কারণে বিজেপি যা ইচ্ছে তাই করছে।’
অমিত শাহের দ্বিচারী নীতির সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘তিনি পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির সমালোচনা করেন, অথচ নিজের ছেলেকে আইসিসির সর্বোচ্চ পদে নিয়োগ দিয়েছেন।’ নির্বাচন কমিশনের ওপর আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘কারও পিতামাতার নাম তালিকায় নেই, তাহলে কি আবার প্রমাণ দিতে হবে যে তারা এই রাজ্যে জন্মেছেন? কমিশন তালিকায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। ভুলের দায়িত্ব কে নেবে? নির্বাচনের পর করাই ভালো হতো না কি? জন্ম ও স্বাধীনতার এত বছর পরও কি নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে?’

বিক্ষোভ-প্রতিবাদকারীদের আশ্বস্ত করে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, সিএএ মুসলিমবিরোধী নয় এবং এই আইনে এমন কোনো ধারা নেই, যা দিয়ে কোনো ভারতীয় নাগরিকের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে
১৪ মার্চ ২০২৪
জোহরান মামদানি—৩৪ বছর বয়সী এই যুবক নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতেই চমক দেখিয়েছেন। ওই সময় কেবল মার্কিন রাজনীতিতেই নয়, দক্ষিণ এশীয় মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়লেন।
১৩ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিলের একটি বিমানবন্দরে পরিবহন সংস্থা ইউনাইটেড পারসেল সার্ভিস–ইউপিএসের কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় বিশাল অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয় এবং ‘অনেকজন’ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর বিজয় ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছেন জোহরান মামদানি। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সমালোচনার মুখে থাকা এই নেতা তাঁর বিজয় ভাষণে ট্রাম্পকে নাম ধরে সম্বোধন করে বলেন, এ জয় ‘পরিবর্তনের ম্যান্ডেট।’ খবর ইউএস টুডের।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জোহরান মামদানি—৩৪ বছর বয়সী এই যুবক নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতেই চমক দেখিয়েছেন। ওই সময় কেবল মার্কিন রাজনীতিতেই নয়, দক্ষিণ এশীয় মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়লেন।
গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক আদর্শের এই নেতা হেভিওয়েট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকে পরাজিত করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তবে ভোটের ময়দানে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার একটি দিক বিশেষভাবে নজর কেড়েছে—আর তা হলো তাঁর ‘বাংলা প্রীতি’।
জোহরান মামদানি তাঁর ক্যাম্পেইনের শুরুতে বিভিন্ন ভাষার ব্যবহার করেছিলেন, যার মধ্যে বাংলা ছিল অন্যতম। নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা লিটল বাংলাদেশ কেনসিংটনে তিনি স্থানীয় কাউন্সিল মেম্বার শাহানা আরিফের সঙ্গে একটি বিশেষ প্রচার ভিডিও বানান।
এই ভিডিওটিতে একটি বিশেষ দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। মামদানি বাঙালির ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির প্লেট সামনে নিয়ে ভাঙা ভাঙা বাংলায় ‘র্যাংকড চয়েস ভোটিং’ পদ্ধতি সাধারণ ভোটারদের কাছে ব্যাখ্যা করছিলেন। ভিডিওর শেষে নিজের বাংলা দক্ষতা নিয়ে তাঁর কৌতূহলী প্রশ্ন, ‘আমার বাংলা ভালোই, না?’ শাহানা আরিফের দ্বিধান্বিত উত্তর ছিল, ‘খারাপ না!’ এই কথোপকথন ভোটারদের মধ্যে এক বন্ধুত্বপূর্ণ উষ্ণতা তৈরি করেছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই নেতা হিন্দি ও উর্দুর পাশাপাশি যে বাংলাতেও মোটামুটি সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন, তাতে জ্যাকসন হাইটসসহ বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকার অনেকে মুগ্ধ হয়েছেন। প্রচারে বেরিয়ে তাঁকে বাঙালি ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে বাংলায় ছোটখাটো আলাপ করতেও দেখা গেছে।
প্রাইমারিতে চমক জাগানো জয়ের পর দেওয়া ‘অ্যাকসেপ্টেন্স স্পিচ’-এও মামদানি বাঙালি সমাজের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেননি। এই সাফল্যের পেছনে ‘বাংলাদেশি আন্টি’দের ভূমিকার কথা তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। প্রাইমারিতে জেতার পর তিনি বেশ কয়েকবার বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় গেছেন। হিলসাইড অ্যাভিনিউ মুখরিত হয়েছিল ‘আমার মেয়র, তোমার মেয়র, মামদানি, মামদানি, জোহরান মামদানি!’ স্লোগানে।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, ভোটের প্রয়োজনেই কি মামদানির এই বাংলা-প্রীতি, নাকি এর পেছনে অন্য কারণ আছে?
সংক্ষেপে উত্তর হলো, জোহরানের বাংলা যোগের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা তাঁর মা মীরা নায়ারের। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রপরিচালক।
মীরা নায়ারের জন্ম ভারতের ওডিশা রাজ্যের বাঙালি অধ্যুষিত শহর রাউরকেল্লাতে। তিনি বেড়ে উঠেছেন ওই রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বরে, যেখানে জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বাঙালি। তাঁর শৈশবে অনেক বাঙালি বন্ধু ছিল এবং তাঁর গানের শিক্ষকও ছিলেন একজন বাঙালি। এই প্রত্যক্ষ সংযোগের কারণেই মীরা নায়ার নিজে বাংলা বোঝেন এবং কিছুটা বলতেও পারেন।
মীরা নায়ারের বিখ্যাত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে একটি ‘নেমসেক’। এটি বাঙালি পরিবারের আমেরিকান লেখিকা, পুলিৎজার-জয়ী ঝুম্পা লাহিড়ির একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করেন। সিনেমাটির মূল বিষয়বস্তু ছিল আমেরিকায় পাড়ি দেওয়া প্রথম প্রজন্মের অভিবাসী বাঙালি দম্পতি অশোক ও অসীমা গাঙ্গুলির জীবনসংগ্রাম।
মজার বিষয় হলো, জোহরান মামদানিই তাঁর মাকে ‘নেমসেক’ ছবিটি বানাতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। ২০০৭ সালে, যখন মীরা নায়ার ‘নেমসেক’ নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন, ঠিক তখনই তিনি বিখ্যাত হ্যারি পটার ফ্র্যাঞ্চাইজির পঞ্চম পর্ব পরিচালনার একটি লোভনীয় প্রস্তাব পান। দ্বিধান্বিত মা তখন কিশোর ছেলে জোহরানের কাছে পরামর্শ চান।
তখন জোহরানের বয়স মাত্র চৌদ্দ, এবং তিনি নিজেও হ্যারি পটার সিরিজের পাঁড় ভক্ত। তবুও তিনি মাকে বলেছিলেন, ‘আরও অনেক ভালো ভালো পরিচালক আছেন যারা হ্যারি পটার বানাতে পারবেন—কিন্তু নেমসেক একজনই বানাতে পারবে, আর সেটা তুমি!’ ছেলের এই অনুপ্রেরণাতেই মীরা নায়ার শেষ পর্যন্ত বাঙালি অভিবাসী সংস্কৃতি নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেন। বাঙালি দর্শকের হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে এই সিনেমা।
জোহরান মামদানির মতো দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত বাবা-মায়ের সন্তানেরা আমেরিকায় দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসী হিসেবে বেড়ে ওঠেন। আত্মপরিচয়ের সংকটে ভোগা এই প্রজন্মকে অনেকেই ‘আমেরিকা বর্ন কনফিউজড দিশি’ বা ‘এবিসিডি’ প্রজন্ম বলে বর্ণনা করেন। ‘নেমসেক’-এর মুখ্য চরিত্র গোগল গাঙ্গুলীও এমন এক তরুণ।
নির্বাচনী সমাবেশে জোহরান মামদানিও সেদিকই ভোটারদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই শহরে যাদের কখনো সন্ত্রাসী বলা হয়েছে, কিংবা কর্মস্থলে নিজের নাম বিকৃত হতে শুনেছেন—তাঁদের হাত তুলতে বলছি। আমরা যারা নিজেদের পরিচয়ের কারণে হেয়বোধ করেছি, এই নির্বাচনের লড়াই আমাদের সবার জন্য।’
তবে জোহরান মামদানি তাঁর সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক জীবনে প্রমাণ করেছেন, পরিচয়ে ‘এবিসিডি’ হলেও তাঁর জীবনদর্শন বা রাজনৈতিক ভাবনায় কোনো বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। তাঁর টিম ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দি, উর্দু ও বাংলাতে ক্যাম্পেইন ভিডিও তৈরি করেছে। এর মধ্যে কোনো কোনোটিতে ব্যবহৃত হয়েছে বলিউডের পুরোনো ব্লকবাস্টার ‘দিওয়ার’ ছবির থিম। এই ‘দিওয়ার’-এর বিখ্যাত সংলাপ ‘মেরে পাস মা হ্যায়’-এর আদলে মামদানিও যেন নীরবে বারবার বার্তা দিয়েছেন—তাঁর সঙ্গে তাঁর মা।

জোহরান মামদানি—৩৪ বছর বয়সী এই যুবক নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতেই চমক দেখিয়েছেন। ওই সময় কেবল মার্কিন রাজনীতিতেই নয়, দক্ষিণ এশীয় মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়লেন।
গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক আদর্শের এই নেতা হেভিওয়েট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকে পরাজিত করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তবে ভোটের ময়দানে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার একটি দিক বিশেষভাবে নজর কেড়েছে—আর তা হলো তাঁর ‘বাংলা প্রীতি’।
জোহরান মামদানি তাঁর ক্যাম্পেইনের শুরুতে বিভিন্ন ভাষার ব্যবহার করেছিলেন, যার মধ্যে বাংলা ছিল অন্যতম। নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা লিটল বাংলাদেশ কেনসিংটনে তিনি স্থানীয় কাউন্সিল মেম্বার শাহানা আরিফের সঙ্গে একটি বিশেষ প্রচার ভিডিও বানান।
এই ভিডিওটিতে একটি বিশেষ দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। মামদানি বাঙালির ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির প্লেট সামনে নিয়ে ভাঙা ভাঙা বাংলায় ‘র্যাংকড চয়েস ভোটিং’ পদ্ধতি সাধারণ ভোটারদের কাছে ব্যাখ্যা করছিলেন। ভিডিওর শেষে নিজের বাংলা দক্ষতা নিয়ে তাঁর কৌতূহলী প্রশ্ন, ‘আমার বাংলা ভালোই, না?’ শাহানা আরিফের দ্বিধান্বিত উত্তর ছিল, ‘খারাপ না!’ এই কথোপকথন ভোটারদের মধ্যে এক বন্ধুত্বপূর্ণ উষ্ণতা তৈরি করেছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই নেতা হিন্দি ও উর্দুর পাশাপাশি যে বাংলাতেও মোটামুটি সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন, তাতে জ্যাকসন হাইটসসহ বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকার অনেকে মুগ্ধ হয়েছেন। প্রচারে বেরিয়ে তাঁকে বাঙালি ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে বাংলায় ছোটখাটো আলাপ করতেও দেখা গেছে।
প্রাইমারিতে চমক জাগানো জয়ের পর দেওয়া ‘অ্যাকসেপ্টেন্স স্পিচ’-এও মামদানি বাঙালি সমাজের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেননি। এই সাফল্যের পেছনে ‘বাংলাদেশি আন্টি’দের ভূমিকার কথা তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। প্রাইমারিতে জেতার পর তিনি বেশ কয়েকবার বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় গেছেন। হিলসাইড অ্যাভিনিউ মুখরিত হয়েছিল ‘আমার মেয়র, তোমার মেয়র, মামদানি, মামদানি, জোহরান মামদানি!’ স্লোগানে।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে, ভোটের প্রয়োজনেই কি মামদানির এই বাংলা-প্রীতি, নাকি এর পেছনে অন্য কারণ আছে?
সংক্ষেপে উত্তর হলো, জোহরানের বাংলা যোগের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা তাঁর মা মীরা নায়ারের। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রপরিচালক।
মীরা নায়ারের জন্ম ভারতের ওডিশা রাজ্যের বাঙালি অধ্যুষিত শহর রাউরকেল্লাতে। তিনি বেড়ে উঠেছেন ওই রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বরে, যেখানে জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বাঙালি। তাঁর শৈশবে অনেক বাঙালি বন্ধু ছিল এবং তাঁর গানের শিক্ষকও ছিলেন একজন বাঙালি। এই প্রত্যক্ষ সংযোগের কারণেই মীরা নায়ার নিজে বাংলা বোঝেন এবং কিছুটা বলতেও পারেন।
মীরা নায়ারের বিখ্যাত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে একটি ‘নেমসেক’। এটি বাঙালি পরিবারের আমেরিকান লেখিকা, পুলিৎজার-জয়ী ঝুম্পা লাহিড়ির একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করেন। সিনেমাটির মূল বিষয়বস্তু ছিল আমেরিকায় পাড়ি দেওয়া প্রথম প্রজন্মের অভিবাসী বাঙালি দম্পতি অশোক ও অসীমা গাঙ্গুলির জীবনসংগ্রাম।
মজার বিষয় হলো, জোহরান মামদানিই তাঁর মাকে ‘নেমসেক’ ছবিটি বানাতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। ২০০৭ সালে, যখন মীরা নায়ার ‘নেমসেক’ নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন, ঠিক তখনই তিনি বিখ্যাত হ্যারি পটার ফ্র্যাঞ্চাইজির পঞ্চম পর্ব পরিচালনার একটি লোভনীয় প্রস্তাব পান। দ্বিধান্বিত মা তখন কিশোর ছেলে জোহরানের কাছে পরামর্শ চান।
তখন জোহরানের বয়স মাত্র চৌদ্দ, এবং তিনি নিজেও হ্যারি পটার সিরিজের পাঁড় ভক্ত। তবুও তিনি মাকে বলেছিলেন, ‘আরও অনেক ভালো ভালো পরিচালক আছেন যারা হ্যারি পটার বানাতে পারবেন—কিন্তু নেমসেক একজনই বানাতে পারবে, আর সেটা তুমি!’ ছেলের এই অনুপ্রেরণাতেই মীরা নায়ার শেষ পর্যন্ত বাঙালি অভিবাসী সংস্কৃতি নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেন। বাঙালি দর্শকের হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে এই সিনেমা।
জোহরান মামদানির মতো দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত বাবা-মায়ের সন্তানেরা আমেরিকায় দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসী হিসেবে বেড়ে ওঠেন। আত্মপরিচয়ের সংকটে ভোগা এই প্রজন্মকে অনেকেই ‘আমেরিকা বর্ন কনফিউজড দিশি’ বা ‘এবিসিডি’ প্রজন্ম বলে বর্ণনা করেন। ‘নেমসেক’-এর মুখ্য চরিত্র গোগল গাঙ্গুলীও এমন এক তরুণ।
নির্বাচনী সমাবেশে জোহরান মামদানিও সেদিকই ভোটারদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই শহরে যাদের কখনো সন্ত্রাসী বলা হয়েছে, কিংবা কর্মস্থলে নিজের নাম বিকৃত হতে শুনেছেন—তাঁদের হাত তুলতে বলছি। আমরা যারা নিজেদের পরিচয়ের কারণে হেয়বোধ করেছি, এই নির্বাচনের লড়াই আমাদের সবার জন্য।’
তবে জোহরান মামদানি তাঁর সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক জীবনে প্রমাণ করেছেন, পরিচয়ে ‘এবিসিডি’ হলেও তাঁর জীবনদর্শন বা রাজনৈতিক ভাবনায় কোনো বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। তাঁর টিম ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দি, উর্দু ও বাংলাতে ক্যাম্পেইন ভিডিও তৈরি করেছে। এর মধ্যে কোনো কোনোটিতে ব্যবহৃত হয়েছে বলিউডের পুরোনো ব্লকবাস্টার ‘দিওয়ার’ ছবির থিম। এই ‘দিওয়ার’-এর বিখ্যাত সংলাপ ‘মেরে পাস মা হ্যায়’-এর আদলে মামদানিও যেন নীরবে বারবার বার্তা দিয়েছেন—তাঁর সঙ্গে তাঁর মা।

বিক্ষোভ-প্রতিবাদকারীদের আশ্বস্ত করে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, সিএএ মুসলিমবিরোধী নয় এবং এই আইনে এমন কোনো ধারা নেই, যা দিয়ে কোনো ভারতীয় নাগরিকের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে
১৪ মার্চ ২০২৪
পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া এসআইআর কার্যক্রম নিয়ে বিজেপি এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্যাপক আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো প্রকৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না। যদি যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে টেনে নামাবেন তিন
৫ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিলের একটি বিমানবন্দরে পরিবহন সংস্থা ইউনাইটেড পারসেল সার্ভিস–ইউপিএসের কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় বিশাল অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয় এবং ‘অনেকজন’ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর বিজয় ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছেন জোহরান মামদানি। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সমালোচনার মুখে থাকা এই নেতা তাঁর বিজয় ভাষণে ট্রাম্পকে নাম ধরে সম্বোধন করে বলেন, এ জয় ‘পরিবর্তনের ম্যান্ডেট।’ খবর ইউএস টুডের।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিলের একটি বিমানবন্দরে পরিবহন সংস্থা ইউনাইটেড পারসেল সার্ভিস–ইউপিএসের কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় বিশাল অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয় এবং ‘অনেকজন’ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলেছে, ইউপিএ ফ্লাইট–২৯৭৬ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে লুইসভিলের মুহাম্মদ আলী বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় বিধ্বস্ত হয়।
দুর্ঘটনার পর প্রথম বার্তায় ইউপিএস জানায়, বিমানে তিনজন ক্রু ছিলেন। তবে কোনো হতাহতের তথ্য তারা দেয়নি। তবে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, নিহত সাতজনের মধ্যে চারজন বিমানটির বাইরে ছিলেন।
কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার বলেন, ‘যারা ছবির বা ভিডিও দেখেছেন, তারা জানেন এই দুর্ঘটনা কতটা ভয়ানক।’ আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, তিনজনের মৃত্যু নিশ্চিত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘এখন কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে কিছু গুরুতর। স্থানীয় হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। আশঙ্কা করছি, এই সংখ্যা আরও বাড়বে।’ বেসিয়ার জানান, জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করবে, ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তাদের সহায়তা করবে।
দুর্ঘটনা স্থলের এয়ারিয়াল ফুটেজে দেখা গেছে, দীর্ঘ দুর্ঘটনার ধ্বংসাবশেষের পথ এবং অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা আগুনে পানি ঢালছেন। ধোঁয়া অনেক দূর পর্যন্ত উড়ছে। বেসিয়ার জানান, বিমানটি সরাসরি দুটি স্থানীয় ভবনকে ধাক্কা দিয়েছে। যার মধ্যে একটি ভবন একটি জ্বালানি তেল রিসাইক্লিং কোম্পানির এবং একটি অটো পার্টস কোম্পানির।
লুইসভিল মেট্রো পুলিশ জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে তারা সব স্থানে ৮ কিলোমিটার (৫ মাইল) ব্যাসার্ধের মধ্যে ‘শেল্টার-ইন-প্লেস’ বা এই ব্যাসার্ধের মধ্যে থাকা নাগরিকদের নিরাপদে আশ্রয়ে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
শহরের মেয়র ক্রেইগ গ্রিনবার্গ সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমরা সব জরুরি সংস্থা ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। অনেক মানুষ আহত হয়েছেন এবং আগুন এখনো জ্বলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এলাকার অনেক রাস্তা বন্ধ। অনুগ্রহ করে সেখানে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।’ তিনি এই দুর্ঘটনাকে স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য ‘এক অবিশ্বাস্য ট্র্যাজেডি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
লুইসভিল বিমানবন্দর ইউপিএস ওয়ার্ল্ড পোর্টের অন্যতম মূল কেন্দ্র। এটি কোম্পানিটির বিশ্বব্যাপী কার্গো অপারেশনের প্রধান কেন্দ্র। এই বিমানবন্দর বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্যাকেজ হ্যান্ডেলিং সুবিধা দেয়। এখানে হাজার হাজার কর্মী কাজ করেন এবং দিনে প্রায় ৩০০টি কার্গো ফ্লাইট চলাচল করে।
ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানটি একটি ম্যাকডনেল ডগলাস এমডি–১১ মডেলের কার্গো বিমান ছিল। এই ফ্লাইটটি লুইসভিল থেকে হাওয়াইয়ের হনলুলু যাচ্ছিল। ফ্লাইট ট্র্যাকিং সাইট ফ্লাইটরাডার ২৪ জানিয়েছে, বিমানটি মঙ্গলবার লুইসভিল থেকে বাল্টিমোরে গিয়েছিল এবং পরে লুইসভিলে ফিরে এসেছে।
লুইসভিল বিমানবন্দর জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দর বন্ধ করা হয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনা ইউপিএস কোম্পানির ডেলিভারিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। এতে কোম্পানির বড় গ্রাহকেরা যেমন—অ্যামাজন, ওয়ালমার্ট এবং মার্কিন ডাকসেবা প্রভাবিত হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিলের একটি বিমানবন্দরে পরিবহন সংস্থা ইউনাইটেড পারসেল সার্ভিস–ইউপিএসের কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় বিশাল অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয় এবং ‘অনেকজন’ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলেছে, ইউপিএ ফ্লাইট–২৯৭৬ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে লুইসভিলের মুহাম্মদ আলী বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় বিধ্বস্ত হয়।
দুর্ঘটনার পর প্রথম বার্তায় ইউপিএস জানায়, বিমানে তিনজন ক্রু ছিলেন। তবে কোনো হতাহতের তথ্য তারা দেয়নি। তবে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, নিহত সাতজনের মধ্যে চারজন বিমানটির বাইরে ছিলেন।
কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার বলেন, ‘যারা ছবির বা ভিডিও দেখেছেন, তারা জানেন এই দুর্ঘটনা কতটা ভয়ানক।’ আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, তিনজনের মৃত্যু নিশ্চিত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘এখন কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে কিছু গুরুতর। স্থানীয় হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। আশঙ্কা করছি, এই সংখ্যা আরও বাড়বে।’ বেসিয়ার জানান, জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করবে, ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তাদের সহায়তা করবে।
দুর্ঘটনা স্থলের এয়ারিয়াল ফুটেজে দেখা গেছে, দীর্ঘ দুর্ঘটনার ধ্বংসাবশেষের পথ এবং অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা আগুনে পানি ঢালছেন। ধোঁয়া অনেক দূর পর্যন্ত উড়ছে। বেসিয়ার জানান, বিমানটি সরাসরি দুটি স্থানীয় ভবনকে ধাক্কা দিয়েছে। যার মধ্যে একটি ভবন একটি জ্বালানি তেল রিসাইক্লিং কোম্পানির এবং একটি অটো পার্টস কোম্পানির।
লুইসভিল মেট্রো পুলিশ জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে তারা সব স্থানে ৮ কিলোমিটার (৫ মাইল) ব্যাসার্ধের মধ্যে ‘শেল্টার-ইন-প্লেস’ বা এই ব্যাসার্ধের মধ্যে থাকা নাগরিকদের নিরাপদে আশ্রয়ে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
শহরের মেয়র ক্রেইগ গ্রিনবার্গ সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমরা সব জরুরি সংস্থা ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। অনেক মানুষ আহত হয়েছেন এবং আগুন এখনো জ্বলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এলাকার অনেক রাস্তা বন্ধ। অনুগ্রহ করে সেখানে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।’ তিনি এই দুর্ঘটনাকে স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য ‘এক অবিশ্বাস্য ট্র্যাজেডি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
লুইসভিল বিমানবন্দর ইউপিএস ওয়ার্ল্ড পোর্টের অন্যতম মূল কেন্দ্র। এটি কোম্পানিটির বিশ্বব্যাপী কার্গো অপারেশনের প্রধান কেন্দ্র। এই বিমানবন্দর বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্যাকেজ হ্যান্ডেলিং সুবিধা দেয়। এখানে হাজার হাজার কর্মী কাজ করেন এবং দিনে প্রায় ৩০০টি কার্গো ফ্লাইট চলাচল করে।
ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানটি একটি ম্যাকডনেল ডগলাস এমডি–১১ মডেলের কার্গো বিমান ছিল। এই ফ্লাইটটি লুইসভিল থেকে হাওয়াইয়ের হনলুলু যাচ্ছিল। ফ্লাইট ট্র্যাকিং সাইট ফ্লাইটরাডার ২৪ জানিয়েছে, বিমানটি মঙ্গলবার লুইসভিল থেকে বাল্টিমোরে গিয়েছিল এবং পরে লুইসভিলে ফিরে এসেছে।
লুইসভিল বিমানবন্দর জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দর বন্ধ করা হয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, এই দুর্ঘটনা ইউপিএস কোম্পানির ডেলিভারিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। এতে কোম্পানির বড় গ্রাহকেরা যেমন—অ্যামাজন, ওয়ালমার্ট এবং মার্কিন ডাকসেবা প্রভাবিত হতে পারে।

বিক্ষোভ-প্রতিবাদকারীদের আশ্বস্ত করে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, সিএএ মুসলিমবিরোধী নয় এবং এই আইনে এমন কোনো ধারা নেই, যা দিয়ে কোনো ভারতীয় নাগরিকের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে
১৪ মার্চ ২০২৪
পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া এসআইআর কার্যক্রম নিয়ে বিজেপি এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্যাপক আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো প্রকৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না। যদি যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে টেনে নামাবেন তিন
৫ মিনিট আগে
জোহরান মামদানি—৩৪ বছর বয়সী এই যুবক নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতেই চমক দেখিয়েছেন। ওই সময় কেবল মার্কিন রাজনীতিতেই নয়, দক্ষিণ এশীয় মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়লেন।
১৩ মিনিট আগে
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর বিজয় ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছেন জোহরান মামদানি। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সমালোচনার মুখে থাকা এই নেতা তাঁর বিজয় ভাষণে ট্রাম্পকে নাম ধরে সম্বোধন করে বলেন, এ জয় ‘পরিবর্তনের ম্যান্ডেট।’ খবর ইউএস টুডের।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর বিজয় ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছেন জোহরান মামদানি। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সমালোচনার মুখে থাকা এই নেতা তাঁর বিজয় ভাষণে ট্রাম্পকে নাম ধরে সম্বোধন করে বলেন, এ জয় ‘পরিবর্তনের ম্যান্ডেট।’ খবর ইউএস টুডের।
ভাষণে ৩৪ বছর বয়সী মামদানি বলেন, ‘যদি এমন কেউ থাকে, যদি কোনো শহর ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো একজনের দ্বারা প্রতারিত একটি জাতিকে শেখাতে পারে কীভাবে তাঁকে হারাতে হয়, তবে তা হলো সেই শহর—যে শহর ট্রাম্পকে জন্ম দিয়েছে। আর কোনো স্বৈরশাসককে হারানোর একমাত্র উপায় হলো সেই ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলা, যে ব্যবস্থা তাঁকে ক্ষমতায় যেতে সাহায্য করেছে।’
মামদানি আরও বলেন, ‘এভাবে আমরা শুধু ট্রাম্পকেই থামাব না, থামাব পরের জনকেও। তাই ডোনাল্ড ট্রাম্প, আপনার জন্য দুটি কথা আছে। আমি জানি, আপনি এই ভাষণ দেখছেন। আপনাকে বলছি, ভলিউমটা বাড়ান।’ এ সময় ব্রুকলিন প্যারামাউন্টে উপস্থিত সমর্থকেরা তখন করতালিতে মুখর হয়ে ওঠেন।
মামদানির অনুমান সত্যি প্রমাণিত হয়। ভাষণ চলাকালেই ট্রাম্প নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে লিখেন, ‘...এবং শুরু হলো!’ ট্রাম্প আগেও মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ ও ‘পাগল’ বলে উপহাস করেছেন। এমনকি হুমকি দিয়েছেন, মেয়র হিসেবে মামদানি দায়িত্ব নিলে নিউইয়র্ক সিটিকে কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে বঞ্চিত করা হতে পারে। তবে এসব হুমকি মামদানিকে থামাতে পারেনি। মেয়র নির্বাচিত হয়েই প্রথম ভাষণেই তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন।
নবনির্বাচিত এই মেয়র বলেন, তাঁর প্রশাসন ভূমি–বাড়ি মালিকদের জবাবদিহির আওতায় আনবে। কারণ ‘আমাদের শহরের ডোনাল্ড ট্রাম্পরা অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে ভাড়াটিয়াদের শোষণ করে চলেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শ্রমিক ইউনিয়নের পাশে থাকব, শ্রম অধিকার বাড়াব। কারণ আমরা জানি—যেমনটা ডোনাল্ড ট্রাম্পও জানে—যখন শ্রমজীবী মানুষদের অধিকার দৃঢ় হয়, তখন মালিকেরা যারা তাদের শোষণ করতে চায়, তারা খুবই ক্ষুদ্র হয়ে পড়ে।’
সবচেয়ে জোরালো করতালিটি আসে যখন মামদানি ঘোষণা করেন, ‘নিউইয়র্ক থাকবে অভিবাসীদের শহর—অভিবাসীদের হাতে গড়া, অভিবাসীদের শক্তিতে চালিত, আর আজ রাত থেকে অভিবাসীর নেতৃত্বে।’ তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুনে রাখুন—আমাদের কারও কাছে পৌঁছাতে চাইলে, আপনাকে আগে আমাদের সবাইকে ডিঙিয়ে যেতে হবে।’
মামদানি ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা এক নতুন রাজনীতির ম্যান্ডেট দিয়েছেন। এমন এক শহরের ম্যান্ডেট দিয়েছেন, যেখানে মানুষ বাস করতে পারবে। আর এমন এক সরকারের ম্যান্ডেট দিয়েছেন, যা তা বাস্তবায়ন করবে।’

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর বিজয় ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছেন জোহরান মামদানি। ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সমালোচনার মুখে থাকা এই নেতা তাঁর বিজয় ভাষণে ট্রাম্পকে নাম ধরে সম্বোধন করে বলেন, এ জয় ‘পরিবর্তনের ম্যান্ডেট।’ খবর ইউএস টুডের।
ভাষণে ৩৪ বছর বয়সী মামদানি বলেন, ‘যদি এমন কেউ থাকে, যদি কোনো শহর ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো একজনের দ্বারা প্রতারিত একটি জাতিকে শেখাতে পারে কীভাবে তাঁকে হারাতে হয়, তবে তা হলো সেই শহর—যে শহর ট্রাম্পকে জন্ম দিয়েছে। আর কোনো স্বৈরশাসককে হারানোর একমাত্র উপায় হলো সেই ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলা, যে ব্যবস্থা তাঁকে ক্ষমতায় যেতে সাহায্য করেছে।’
মামদানি আরও বলেন, ‘এভাবে আমরা শুধু ট্রাম্পকেই থামাব না, থামাব পরের জনকেও। তাই ডোনাল্ড ট্রাম্প, আপনার জন্য দুটি কথা আছে। আমি জানি, আপনি এই ভাষণ দেখছেন। আপনাকে বলছি, ভলিউমটা বাড়ান।’ এ সময় ব্রুকলিন প্যারামাউন্টে উপস্থিত সমর্থকেরা তখন করতালিতে মুখর হয়ে ওঠেন।
মামদানির অনুমান সত্যি প্রমাণিত হয়। ভাষণ চলাকালেই ট্রাম্প নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে লিখেন, ‘...এবং শুরু হলো!’ ট্রাম্প আগেও মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ ও ‘পাগল’ বলে উপহাস করেছেন। এমনকি হুমকি দিয়েছেন, মেয়র হিসেবে মামদানি দায়িত্ব নিলে নিউইয়র্ক সিটিকে কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে বঞ্চিত করা হতে পারে। তবে এসব হুমকি মামদানিকে থামাতে পারেনি। মেয়র নির্বাচিত হয়েই প্রথম ভাষণেই তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন।
নবনির্বাচিত এই মেয়র বলেন, তাঁর প্রশাসন ভূমি–বাড়ি মালিকদের জবাবদিহির আওতায় আনবে। কারণ ‘আমাদের শহরের ডোনাল্ড ট্রাম্পরা অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে ভাড়াটিয়াদের শোষণ করে চলেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শ্রমিক ইউনিয়নের পাশে থাকব, শ্রম অধিকার বাড়াব। কারণ আমরা জানি—যেমনটা ডোনাল্ড ট্রাম্পও জানে—যখন শ্রমজীবী মানুষদের অধিকার দৃঢ় হয়, তখন মালিকেরা যারা তাদের শোষণ করতে চায়, তারা খুবই ক্ষুদ্র হয়ে পড়ে।’
সবচেয়ে জোরালো করতালিটি আসে যখন মামদানি ঘোষণা করেন, ‘নিউইয়র্ক থাকবে অভিবাসীদের শহর—অভিবাসীদের হাতে গড়া, অভিবাসীদের শক্তিতে চালিত, আর আজ রাত থেকে অভিবাসীর নেতৃত্বে।’ তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুনে রাখুন—আমাদের কারও কাছে পৌঁছাতে চাইলে, আপনাকে আগে আমাদের সবাইকে ডিঙিয়ে যেতে হবে।’
মামদানি ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা এক নতুন রাজনীতির ম্যান্ডেট দিয়েছেন। এমন এক শহরের ম্যান্ডেট দিয়েছেন, যেখানে মানুষ বাস করতে পারবে। আর এমন এক সরকারের ম্যান্ডেট দিয়েছেন, যা তা বাস্তবায়ন করবে।’

বিক্ষোভ-প্রতিবাদকারীদের আশ্বস্ত করে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, সিএএ মুসলিমবিরোধী নয় এবং এই আইনে এমন কোনো ধারা নেই, যা দিয়ে কোনো ভারতীয় নাগরিকের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে
১৪ মার্চ ২০২৪
পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন প্রক্রিয়া এসআইআর কার্যক্রম নিয়ে বিজেপি এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্যাপক আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো প্রকৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে না। যদি যায়, তাহলে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে টেনে নামাবেন তিন
৫ মিনিট আগে
জোহরান মামদানি—৩৪ বছর বয়সী এই যুবক নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতেই চমক দেখিয়েছেন। ওই সময় কেবল মার্কিন রাজনীতিতেই নয়, দক্ষিণ এশীয় মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে ইতিহাস গড়লেন।
১৩ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিলের একটি বিমানবন্দরে পরিবহন সংস্থা ইউনাইটেড পারসেল সার্ভিস–ইউপিএসের কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় বিশাল অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয় এবং ‘অনেকজন’ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগে