আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইউক্রেন আগামী সপ্তাহে রাশিয়ার সঙ্গে নতুন করে শান্তি আলোচনায় বসতে চায়। গত মাসে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিশ্চিত এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের সচিব রুস্তেম উমেরভ এ সপ্তাহে রাশিয়ান মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি অর্জনের জন্য সবকিছু করা উচিত। রাশিয়ার পক্ষ যেন সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে আর পিছু না হটে।’ ইউক্রেনের এই নেতা আবারও পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, ‘দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নেতৃত্বের পর্যায়ে একটি বৈঠকের প্রয়োজন।’
তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এর আগে, তুরস্কের মধ্যস্থতায় চলতি বছর দুই দফা শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী উমেরভ। তবে ওই আলোচনায় বন্দী ও নিহত সেনাদের দেহ বিনিময়ের সামান্য চুক্তি ছাড়া তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। আলোচনাগুলোতে রাশিয়া বেশ কিছু কঠিন শর্ত দেয়, যা ইউক্রেনের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না। রাশিয়া ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে এবং পশ্চিমা সামরিক সহায়তা প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানায়।
তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শুক্রবার জেলেনস্কির এক বিবৃতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। সেই বার্তায় জেলেনস্কি শান্তি আলোচনায় ‘আরও বেশি গতি’ আনার কথা বলেছিলেন।
উভয় পক্ষ থেকে এই নরম সুরের বহিঃপ্রকাশ এমন এক সময়ে হলো যার আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে মস্কোর ওপর চাপ বৃদ্ধি করা হয়। ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের শুরু থেকে প্রথমে রাশিয়ার প্রতি কিছুটা নমনীয় মনোভাব দেখালেও পরে কঠোর অবস্থান নেন।
ট্রাম্প মস্কোকে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির জন্য ৫০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। অন্যথায় রাশিয়ার ওপর ‘১০০ শতাংশ শুল্ক’ এবং রাশিয়ান তেল ক্রেতা দেশগুলোর ওপরও সেকেন্ডারি স্যাংশন আরোপের হুমকি দিয়েছেন। পাশাপাশি, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ আরও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন ট্রাম্প।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের নতুন অবস্থানের বিষয়ে বলেন, মস্কো ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার হুমকিকে ‘ব্ল্যাকমেল’ হিসেবে দেখছে এবং অস্ত্র সরবরাহ পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের ‘শান্তি প্রক্রিয়া ত্যাগ করার’ একটি সংকেত।
এদিকে, কিয়েভ মস্কোর সঙ্গে আরও আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এর আগে শনিবার ভোরে রাশিয়ান বাহিনী কৃষ্ণসাগরের বন্দরনগরী ওদেসায় ব্যাপক ড্রোন হামলা চালায়। জেলেনস্কি জানান, এই হামলায় অন্তত একজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া রাতের বেলায় হামলায় ৩০ টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৩০০ টির বেশি ড্রোন ব্যবহার করে হামলা করেছে। দেশের অন্তত ১০টি অঞ্চলে আঘাত হেনেছে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন।
এর আগে, শনিবার মস্কোর মেয়র সের্গেই সোরোনিন টেলিগ্রামে জানান, রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শহরের দিকে আসা তিনটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। রাশিয়ার বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা রোসাভিয়াৎসিয়া জানিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে মস্কোর দুটি বিমানবন্দর—ভনুকোভো ও দোমোদোদোভো—কিছু সময়ের জন্য বিমান ওঠানামা বন্ধ রেখেছিল, তবে পরে কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।
ইউক্রেন আগামী সপ্তাহে রাশিয়ার সঙ্গে নতুন করে শান্তি আলোচনায় বসতে চায়। গত মাসে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিশ্চিত এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের সচিব রুস্তেম উমেরভ এ সপ্তাহে রাশিয়ান মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি অর্জনের জন্য সবকিছু করা উচিত। রাশিয়ার পক্ষ যেন সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে আর পিছু না হটে।’ ইউক্রেনের এই নেতা আবারও পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, ‘দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নেতৃত্বের পর্যায়ে একটি বৈঠকের প্রয়োজন।’
তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এর আগে, তুরস্কের মধ্যস্থতায় চলতি বছর দুই দফা শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী উমেরভ। তবে ওই আলোচনায় বন্দী ও নিহত সেনাদের দেহ বিনিময়ের সামান্য চুক্তি ছাড়া তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। আলোচনাগুলোতে রাশিয়া বেশ কিছু কঠিন শর্ত দেয়, যা ইউক্রেনের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না। রাশিয়া ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করে এবং পশ্চিমা সামরিক সহায়তা প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানায়।
তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শুক্রবার জেলেনস্কির এক বিবৃতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। সেই বার্তায় জেলেনস্কি শান্তি আলোচনায় ‘আরও বেশি গতি’ আনার কথা বলেছিলেন।
উভয় পক্ষ থেকে এই নরম সুরের বহিঃপ্রকাশ এমন এক সময়ে হলো যার আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে মস্কোর ওপর চাপ বৃদ্ধি করা হয়। ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের শুরু থেকে প্রথমে রাশিয়ার প্রতি কিছুটা নমনীয় মনোভাব দেখালেও পরে কঠোর অবস্থান নেন।
ট্রাম্প মস্কোকে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির জন্য ৫০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। অন্যথায় রাশিয়ার ওপর ‘১০০ শতাংশ শুল্ক’ এবং রাশিয়ান তেল ক্রেতা দেশগুলোর ওপরও সেকেন্ডারি স্যাংশন আরোপের হুমকি দিয়েছেন। পাশাপাশি, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ আরও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন ট্রাম্প।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের নতুন অবস্থানের বিষয়ে বলেন, মস্কো ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার হুমকিকে ‘ব্ল্যাকমেল’ হিসেবে দেখছে এবং অস্ত্র সরবরাহ পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের ‘শান্তি প্রক্রিয়া ত্যাগ করার’ একটি সংকেত।
এদিকে, কিয়েভ মস্কোর সঙ্গে আরও আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এর আগে শনিবার ভোরে রাশিয়ান বাহিনী কৃষ্ণসাগরের বন্দরনগরী ওদেসায় ব্যাপক ড্রোন হামলা চালায়। জেলেনস্কি জানান, এই হামলায় অন্তত একজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া রাতের বেলায় হামলায় ৩০ টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৩০০ টির বেশি ড্রোন ব্যবহার করে হামলা করেছে। দেশের অন্তত ১০টি অঞ্চলে আঘাত হেনেছে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন।
এর আগে, শনিবার মস্কোর মেয়র সের্গেই সোরোনিন টেলিগ্রামে জানান, রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শহরের দিকে আসা তিনটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। রাশিয়ার বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা রোসাভিয়াৎসিয়া জানিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে মস্কোর দুটি বিমানবন্দর—ভনুকোভো ও দোমোদোদোভো—কিছু সময়ের জন্য বিমান ওঠানামা বন্ধ রেখেছিল, তবে পরে কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।
ব্রিজিতের জন্ম পুরুষ হিসেবে হয়েছিল—এমন তথ্য প্রচার করেন ডানপন্থী ইনফ্লুয়েন্সার ক্যান্ডেস ওয়েন্স। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন মাখোঁ দম্পতি। তাঁদের আইনজীবী জানিয়েছেন, এ মামলায় তাঁরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আদালতে উপস্থাপন করবেন। এদিকে ওয়েন্সের আইনজীবীরা মামলাটি খারিজ করার জন্য একটি আবেদন করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগেনেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির মার্কস ও লেনিন পন্থী কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিএন–ইউএমএল) চেয়ারম্যান কেপি শর্মা অলি অবশেষে সেনাবাহিনীর সুরক্ষা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি শিবপুরীতে অবস্থিত নেপাল আর্মির স্টাফ কলেজে অবস্থান করছিলেন।
৫ ঘণ্টা আগেট্রাম্প স্বীকার করেন, তিনি ভেবেছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধান করা ‘সহজ’ হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, তিনি শেষ পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান করবেন।
৫ ঘণ্টা আগেনেপালের খ্যাতনামা চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. সন্দুক রুইত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি তাঁর রোগীদের ছেড়ে মন্ত্রী হতে চান না। মঙ্গলবার সকালে নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি কাঠমান্ডুর তিলগঙ্গা চক্ষু ইনস্টিটিউটে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
৬ ঘণ্টা আগে