আজকের পত্রিকা ডেস্ক
দীর্ঘ ১০ বছরের বিবাহিত জীবনের পুরোটা সময়ই পারিবারিক সহিংসতা ও যৌন নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে ব্রিটেনের সাবেক মেম্বার অব পার্লামেন্ট কেট নিভেটনকে। নিয়মিতই তাঁকে ধর্ষণ করতেন তাঁর সাবেক স্বামী সাবেক কনজারভেটিভ এমপি এন্ড্রু গ্রিফিথস। ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স: কেটস স্টোরি’ নামে এক ডকুমেন্টারিতে সেই বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথাই তুলে ধরেছেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেট্রোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেট নিভেটন বলেন, শুধু ওই ১০ বছরই নয়। এরপর আরও পাঁচ বছর আইনি নানা মারপ্যাঁচে তাঁর জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিলেন গ্রিফিথস।
বৈবাহিক জীবনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে কেট বলেন, ‘ওর নির্যাতনে মাঝেমধ্যেই ঘুম ভেঙে যেত। চোখ খুলে দেখতাম ও আমার শরীরের ওপর। মাঝে মাঝে দাঁতে দাঁত চেপে সয়ে যেতাম। মাঝে মাঝে পারতাম না। ডুকরে কেঁদে উঠতাম। বেশির ভাগ সময়ই তাতেও ও থামত না। তবে মাঝে মাঝে থামত। কিন্তু তারপর ওর মেজাজ খুব খারাপ থাকত। যতক্ষণ না আমি বিছানা থেকে পড়ে যাই, ততক্ষণ আমাকে লাথি মারতো। আমি তখন অন্য ঘরে গিয়ে দরজা আটকে থাকতাম। নয়তো বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতাম।’
তিনি বলেন, ‘বাইরে থেকে দেখে মনে হতো আমাদের সুখের সংসার। আমাদের সংসার একদম নিখুঁত। কিন্তু আসলে আমাদের সংসারটা আমার জন্য ছিল একটা বিভীষিকা। আসলে আগেই অনেক কিছু আমার চোখে পড়েছিল। কিন্তু আমি ভাবতাম ও অনেক চাপে থাকে, কাজে ব্যস্ত থাকে। এ জন্য এমন করে। কিন্তু পরে বুঝেছি, কত বড় ভুল করেছি আমি।’
তিনি জানান, সন্তানের নিরাপত্তাই ছিল সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কেট বলেন, ‘একদিন বাড়ির বাইরে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল গ্রিফিথস। আমাদের দুই সপ্তাহের মেয়েটা তখন ক্ষুধায় কান্না করছিল। হঠাৎ গ্রিফিথস চিৎকার করে ওঠে—“শাট দ্য ফাক আপ”। তখনই আমি বুঝে যাই এখানে আসলে আর সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না। কারণ, আমার সন্তানের ভবিষ্যৎও ঝুঁকির মুখে।’
কেট আরও বলেন, ‘মাঝে মাঝে রাগে-দুঃখে আমি ওকে বলতাম যে পুলিশে যাব। ওর বিরুদ্ধে অভিযোগ করব। ও তখন আমাকে বলত আমি এই এলাকার এমপি। সবার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। কেউ তোমার কথা বিশ্বাস করবে না।’
২০১৩ সালে এন্ড্রু গ্রিফিথসের সঙ্গে বিয়ে হয় কেট নিভেটনের। তাঁদের বিচ্ছেদ হয় ২০১৮ সালে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে একটি পারিবারিক আদালত রায় দেন, গ্রিফিথস তাঁর স্ত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করেছেন।
সাবেক এমপি কেট নিভেটন বলেন, বিচ্ছেদের পরও টানা পাঁচ বছর ধরে সাবেক স্বামী অ্যান্ড্রু গ্রিফিথস তাঁকে নানা আইনি জটিলতায় ফেলেছেন। বিভিন্ন আইনিপ্রক্রিয়ার অপব্যবহার করে মানসিকভাবে নিপীড়ন করে গেছেন। এই ধরনের ‘লিগ্যাল অ্যাবিউজ’ বা আইনগত হয়রানিকে তিনি সহিংসতার ধারাবাহিক রূপ হিসেবেই বিবেচনা করছেন।
২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বার্টনের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এই কেট। একজন পেশাদার, মধ্যবিত্ত নারী হয়েও দীর্ঘ সময় পারিবারিক সহিংসতার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে কেট নিভেটন বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, পারিবারিক সহিংসতা কেবল নিম্নবিত্ত পরিবারে ঘটে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এটি সমাজের যেকোনো শ্রেণি বা পেশার মানুষের সঙ্গে হতে পারে। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর আমি প্রতিজ্ঞা করেছি—নির্যাতনের শিকার নারীদের হয়ে কাজ করব।’
ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স: কেটস স্টোরি ডকুমেন্টারিতে যুক্তরাজ্যের পারিবারিক আদালতব্যবস্থার কাঠামোগত দুর্বলতা এবং শিশু সুরক্ষাব্যবস্থার সীমাবদ্ধতাও উঠে এসেছে। প্রতিবছর দেশটির পারিবারিক আদালতে প্রায় ৩০ হাজার মামলা পারিবারিক সহিংসতাসংশ্লিষ্ট অভিযোগ গৃহীত হয়।
উল্লেখ্য, অ্যান্ড্রু গ্রিফিথস একসময় নারী অধিকার নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন এবং ২০০৬ সালে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের চিফ অব স্টাফ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
দীর্ঘ ১০ বছরের বিবাহিত জীবনের পুরোটা সময়ই পারিবারিক সহিংসতা ও যৌন নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে ব্রিটেনের সাবেক মেম্বার অব পার্লামেন্ট কেট নিভেটনকে। নিয়মিতই তাঁকে ধর্ষণ করতেন তাঁর সাবেক স্বামী সাবেক কনজারভেটিভ এমপি এন্ড্রু গ্রিফিথস। ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স: কেটস স্টোরি’ নামে এক ডকুমেন্টারিতে সেই বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথাই তুলে ধরেছেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেট্রোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেট নিভেটন বলেন, শুধু ওই ১০ বছরই নয়। এরপর আরও পাঁচ বছর আইনি নানা মারপ্যাঁচে তাঁর জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিলেন গ্রিফিথস।
বৈবাহিক জীবনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে কেট বলেন, ‘ওর নির্যাতনে মাঝেমধ্যেই ঘুম ভেঙে যেত। চোখ খুলে দেখতাম ও আমার শরীরের ওপর। মাঝে মাঝে দাঁতে দাঁত চেপে সয়ে যেতাম। মাঝে মাঝে পারতাম না। ডুকরে কেঁদে উঠতাম। বেশির ভাগ সময়ই তাতেও ও থামত না। তবে মাঝে মাঝে থামত। কিন্তু তারপর ওর মেজাজ খুব খারাপ থাকত। যতক্ষণ না আমি বিছানা থেকে পড়ে যাই, ততক্ষণ আমাকে লাথি মারতো। আমি তখন অন্য ঘরে গিয়ে দরজা আটকে থাকতাম। নয়তো বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতাম।’
তিনি বলেন, ‘বাইরে থেকে দেখে মনে হতো আমাদের সুখের সংসার। আমাদের সংসার একদম নিখুঁত। কিন্তু আসলে আমাদের সংসারটা আমার জন্য ছিল একটা বিভীষিকা। আসলে আগেই অনেক কিছু আমার চোখে পড়েছিল। কিন্তু আমি ভাবতাম ও অনেক চাপে থাকে, কাজে ব্যস্ত থাকে। এ জন্য এমন করে। কিন্তু পরে বুঝেছি, কত বড় ভুল করেছি আমি।’
তিনি জানান, সন্তানের নিরাপত্তাই ছিল সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। কেট বলেন, ‘একদিন বাড়ির বাইরে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল গ্রিফিথস। আমাদের দুই সপ্তাহের মেয়েটা তখন ক্ষুধায় কান্না করছিল। হঠাৎ গ্রিফিথস চিৎকার করে ওঠে—“শাট দ্য ফাক আপ”। তখনই আমি বুঝে যাই এখানে আসলে আর সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না। কারণ, আমার সন্তানের ভবিষ্যৎও ঝুঁকির মুখে।’
কেট আরও বলেন, ‘মাঝে মাঝে রাগে-দুঃখে আমি ওকে বলতাম যে পুলিশে যাব। ওর বিরুদ্ধে অভিযোগ করব। ও তখন আমাকে বলত আমি এই এলাকার এমপি। সবার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। কেউ তোমার কথা বিশ্বাস করবে না।’
২০১৩ সালে এন্ড্রু গ্রিফিথসের সঙ্গে বিয়ে হয় কেট নিভেটনের। তাঁদের বিচ্ছেদ হয় ২০১৮ সালে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে একটি পারিবারিক আদালত রায় দেন, গ্রিফিথস তাঁর স্ত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করেছেন।
সাবেক এমপি কেট নিভেটন বলেন, বিচ্ছেদের পরও টানা পাঁচ বছর ধরে সাবেক স্বামী অ্যান্ড্রু গ্রিফিথস তাঁকে নানা আইনি জটিলতায় ফেলেছেন। বিভিন্ন আইনিপ্রক্রিয়ার অপব্যবহার করে মানসিকভাবে নিপীড়ন করে গেছেন। এই ধরনের ‘লিগ্যাল অ্যাবিউজ’ বা আইনগত হয়রানিকে তিনি সহিংসতার ধারাবাহিক রূপ হিসেবেই বিবেচনা করছেন।
২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বার্টনের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এই কেট। একজন পেশাদার, মধ্যবিত্ত নারী হয়েও দীর্ঘ সময় পারিবারিক সহিংসতার শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে কেট নিভেটন বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, পারিবারিক সহিংসতা কেবল নিম্নবিত্ত পরিবারে ঘটে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এটি সমাজের যেকোনো শ্রেণি বা পেশার মানুষের সঙ্গে হতে পারে। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর আমি প্রতিজ্ঞা করেছি—নির্যাতনের শিকার নারীদের হয়ে কাজ করব।’
ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স: কেটস স্টোরি ডকুমেন্টারিতে যুক্তরাজ্যের পারিবারিক আদালতব্যবস্থার কাঠামোগত দুর্বলতা এবং শিশু সুরক্ষাব্যবস্থার সীমাবদ্ধতাও উঠে এসেছে। প্রতিবছর দেশটির পারিবারিক আদালতে প্রায় ৩০ হাজার মামলা পারিবারিক সহিংসতাসংশ্লিষ্ট অভিযোগ গৃহীত হয়।
উল্লেখ্য, অ্যান্ড্রু গ্রিফিথস একসময় নারী অধিকার নিয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন এবং ২০০৬ সালে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের চিফ অব স্টাফ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বশান্তির জন্য অনেক কিছু করছেন। এর জন্য তিনি নোবেল পাওয়ার যোগ্য। একই সঙ্গে ট্রাম্পকে এই পুরস্কার না দেওয়ায় তিনি নোবেল কমিটির সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগেদুই বছর যুদ্ধের পর অবশেষে গাজায় কার্যকর হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। এই চুক্তির আওতায় হামাসের হাতে থাকা ৪৮ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে ২০ জন এখনো জীবিত আছেন। সোমবার পর্যন্ত জারি থাকা ৭২ ঘণ্টার সময়সীমার মধ্যে হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্
৫ ঘণ্টা আগেপ্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নিরস্ত্রীকরণ ‘অসম্ভব ও আলোচনাযোগ্য নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন হামাসের এক কর্মকর্তা। আজ শনিবার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘অস্ত্র সমর্পণের প্রশ্নই আসে না, এটি কোনোভাবেই আলোচনার বিষয় নয়।’
৫ ঘণ্টা আগেঘটনাটি ঘটে শুক্রবার স্থানীয় সময় গভীর রাতে ওয়াশিংটন কাউন্টির ছোট শহর লিল্যান্ডে। লিল্যান্ডের মেয়র জন লি শনিবার সকালে দ্য গার্ডিয়ানকে টেলিফোনে জানান, আহতদের মধ্যে অন্তত ১২ জনকে আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে