Ajker Patrika

‘পুতিন ও জেলেনস্কিকে থাপ্পড় দিতে চাই’

আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ৩৩
‘পুতিন ও জেলেনস্কিকে থাপ্পড় দিতে চাই’

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। এরই মধ্যে ইউক্রেনের দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া এবং অঞ্চল দুটিতে সেনা পাঠানোরও নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ আসন্ন মনে করে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ। আনা ভেলিচকো তেমনই একজন ইউক্রেনীয়, যিনি ভীষণ ক্ষুব্ধ দুই দেশের প্রেসিডেন্টের ওপর। তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে থাপ্পড় দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। 

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩৯ বছর বয়সী আনা ভেলিচকো একটি ভগ্নপ্রায় ভবনের নবম তলায় থাকতেন। ভবনটি এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ, এর মধ্যে যদি রাশিয়া আক্রমণ করে বসে, তাহলে গোলার আঘাতে সবার আগে ধসে পড়বে ভবনটি—এমন আশঙ্কা থেকে তিনি ছেড়ে যাচ্ছেন ভবনটি। 

আনা ভেলিচকো বলেন, দোনেস্কর রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সম্পর্কে আমার স্পষ্ট ধারণা আছে। এরা আভদিভকা শহরের বাসিন্দাদের ওপর নিয়মিত গুলি চালায়। এখন পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে ২০১৫ সালে তারা যেভাবে নির্বিচারে গুলি চালাত, এখন আবার সেই অবস্থার দিকে যাচ্ছে। তখন তাদের গুলিতে প্রতিদিন ডজন ডজন মানুষ মারা গিয়েছিল। 

এসব কারণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের পশ্চিমা-সমর্থিত নেতা ভলোদিমির জেলেনস্কি উভয়ের প্রতিই ভীষণ ক্ষোভ আনা ভেলিচকোর। তিনি বলেন, ‘আমি পুতিন ও জেলেনস্কিকে থাপ্পড় দিতে চাই। দিনে দিনে যুদ্ধর আশঙ্কা বেড়েই যাচ্ছে, অথচ তারা বৈঠকে বসছেন না। আমি বুঝি না তারা কেন যুদ্ধ থামাতে একসঙ্গে বসছেন না! 

আনা ভেলিচকোর মতো বাড়ি ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তেতিয়ানা পোলিশচুক। অবসরভোগী ৬৭ বছর বয়সী এই ভদ্রলোক ইতিমধ্যে তল্পিতল্পা গুছিয়ে ফেলেছেন। তিনি বলেন, ‘সেনারা আগের চেয়ে অনেক বেশি গুলি চালাতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় এখানে খুব বেশি দিন থাকা যাবে না। আমি তল্পিতল্পা গুছিয়ে রেখেছি এবং দরজার কাছাকাছি রেখেছি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখলে দৌড় দিয়ে পালাব।’ 

এই যুদ্ধ-যুদ্ধ অবস্থা নিয়ে ভীষণ বিরক্ত ৩০ বছর বয়সী ইয়েভগেন ভ্যাসিলেনকো। তিনি বলেন, আট বছর আগে এসব অঞ্চল কার নিয়ন্ত্রণে ছিল তা নিয়ে আমার মোটেও মাথাব্যথা নেই। আমার চিন্তা যুদ্ধ নিয়ে। যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে কত সাধারণ মানুষ মারা যাবে তার ঠিক আছে? আমি চাই না ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সাল আবার ফিরে আসুক। ওই সময়টা বিভীষিকার মতো ছিল। 

২৭ বছর বয়সী ইয়েভগেন সিগানকও তার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে। কখন কোন দিক থেকে গুলি এসে শরীর ভেদ করে ফেলবে, আমরা জানি না। এত উৎকণ্ঠা নিয়ে বেঁচে থাকা যায় না।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেঘমল্লারের জবাবের পর ডাকসু ও বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে যা লিখলেন শশী থারুর

জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস, বিপক্ষে ভোট দিল যারা

একটি রাজনৈতিক দলের মুখে আল্লাহর নাম, নির্বাচনে জিততে করে মিথ্যাচার: জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম

রপ্তানিতে দ্বিতীয় থেকে ১০ নম্বরে নামল চিংড়ি

২০ শতাংশ অতিরিক্ত ভোটার কারা, প্রশ্ন অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তারের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত