আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের রক্ষণশীল দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরে এক রিপাবলিকান পরিবারে বড় হয়েছেন টাইলার রবিনসন। প্রতিবেশী ও সহপাঠীদের ভাষ্যমতে, তিনি ছিলেন চুপচাপ এবং বুদ্ধিমান। ভিডিও গেম, কমিক বই আর সমসাময়িক ঘটনাবলিতে ছিল তাঁর গভীর আগ্রহ।
কিন্তু গতকাল শুক্রবার বিকেলে, যাঁরা রবিনসনকে চিনতেন, তাঁরা তাঁদের স্মৃতির সঙ্গে তাঁর নতুন ভাবমূর্তি মেলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন; যিনি এই সপ্তাহের শুরুতে ইউটাহর একটি কলেজে রক্ষণশীল প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
রবিনসনের হাইস্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী ২২ বছর বয়সী কিটন ব্রুকসবি বলেন, ‘এটা সত্যিই দুঃখজনক যে এত বুদ্ধিমান একজন মানুষ তাঁর মেধার এমন অপব্যবহার করেছেন।’
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশের দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, রবিনসন সম্প্রতি তাঁর পরিবারের এক সদস্যকে বলেছিলেন, চার্লি কার্ক ইউটাহতে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাচ্ছেন। তিনি ও তাঁর ওই আত্মীয় ‘কেন তারা তাঁকে (কার্ক) এবং তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি পছন্দ করেন না’—তা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ডান ও বাম শিবির যখন কার্ককে হত্যার উদ্দেশ্য খুঁজতে ব্যস্ত, তখন রবিনসনের যে প্রাথমিক চিত্রটি ফুটে উঠেছে, তা মোটেই স্পষ্ট নয়। একজন বৃত্তিপ্রাপ্ত হাইস্কুলছাত্র থেকে শিক্ষানবিশ ইলেকট্রিশিয়ান এবং তারপর একজন সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁর এই পথচলা স্পষ্ট নয়।
ব্রুকসবি জানান, ইউটাহর রক্ষণশীল সেন্ট জর্জ এলাকায় বেড়ে ওঠার সময় সবাই রবিনসনকে শান্ত ছাত্র হিসেবেই জানত। তবে হাইস্কুলে একদিন দুপুরের খাবারের সময় লিবিয়ার বেনগাজি শহরে ২০১২ সালে মার্কিনদের ওপর হামলা নিয়ে আলোচনা ওঠে। বেনগাজিতে কী ঘটেছিল, সে সময় তা হাতে গোনা কয়েকজন ছাত্র জানতেন। তবে রবিনসন ওই ঘটনা সম্পর্কে তাঁর জানাবোঝায় নিশ্চিত ছিল।
ব্রুকসবি বলেন, ‘সে আমাদের পুরো ঘটনাটি বিস্তারিত বলেছিল। আমার শুধু মনে আছে, আমি তখন ভাবছিলাম, ১৪ বছর বয়সের একজন ছেলের কাছে এ বিষয়ে এত তথ্য কীভাবে থাকতে পারে।’
ওয়াশিংটন কাউন্টির ক্লার্কের তথ্য অনুযায়ী, রবিনসনের ইউটাহতে ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করা থাকলেও তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন এবং কোনো নির্বাচনে ভোট দেননি। তাঁর মা-বাবা রিপাবলিকান হিসেবে নিবন্ধিত। তাঁদের উভয়েরই শিকার করার লাইসেন্স রয়েছে।
বছরের পর বছর ধরে তাঁর পরিবারের পোস্ট করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ছবিতে রবিনসন এবং তাঁর দুই ছোট ভাইকে বন্দুক হাতে গুলি করতে এবং পোজ দিতে দেখা গেছে।
৩৩ ঘণ্টার টানা অভিযানের পর গত বৃহস্পতিবার রাতে নিজ শহরের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন রবিনসন।
আদালতে দাখিলকৃত এক শপথপত্রে এক পুলিশ কর্মকর্তা লিখেছেন, রবিনসনের এক আত্মীয় তাঁকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘আরও বেশি রাজনৈতিক’ হয়ে ওঠা বলে বর্ণনা করেছেন। সম্প্রতি এক নৈশভোজে কার্ক ও তাঁর উটাহতে অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গও তুলেছিলেন রবিনসন।
ইউটাহ কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘটনাস্থলে ফেলে যাওয়া অস্ত্রের সঙ্গে তারা অনাবিষ্কৃত গুলিও পেয়েছে; যেগুলোর গায়ে খোদাই করা ছিল ইন্টারনেট মিম থেকে নেওয়া রসিকতা ও স্ল্যাং। সঙ্গে লেখা ছিল, ‘এই ফ্যাসিস্ট! ধরো তো!’
২২ বছরের অ্যাড্রিয়ান রিভেরা, যিনি রবিনসনের সঙ্গে হাইস্কুলে কাঠের কাজের ক্লাসে ছিলেন। তিনি জানান, রবিনসন প্রায়ই জুনিয়র আরওটিসি (জুনিয়র রিজার্ভ অফিসার্স ট্রেনিং কর্পস) প্রোগ্রামে আগ্রহী অন্য ছাত্রদের সঙ্গে নির্দিষ্ট এলাকায় ঘোরাঘুরি করতেন।
তবে রবিনসন প্রকৃতপক্ষে এই কোরের সদস্য ছিলেন কি না, তা পরিষ্কার নয়।
রিভেরা বলেন, রবিনসন ছিলেন ‘বিশাল হালো ফ্যান’। জনপ্রিয় সাই-ফাই গেমের কথা উল্লেখ করে এমনটা বলেন তিনি।
তিনি জানান, রবিনসন কল অফ ডিউটি এবং অন্যান্য শুটার গেম খেলতেও পছন্দ করতেন।
রবিনসনের সঙ্গে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে পড়েছেন জাইদা ফাঙ্ক। ২২ বছর বয়সী এই তরুণী জানান, তিনি ছিলেন শিক্ষকপ্রিয় ছাত্রের স্বভাব। সব সময় সময়মতো আসতেন, শ্রদ্ধাশীল, কঠোর পরিশ্রমী এবং বুদ্ধিমান ছিলেন।
জাইদা বলেন, ‘সে এমন ধরনের ছেলে ছিল যে তুমি বন্ধু না হলেও গ্রুপ প্রজেক্টে তাকে দলে নেবে। যেভাবে সে নিজেকে উপস্থাপন করত আর অন্যদের সঙ্গে কথা বলত, আমার মনে হতো, একদিন সে সিইও বা ব্যবসায়ী হবে। তার মধ্যে ভালো নেতৃত্বের গুণাবলি ছিল।’

যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের রক্ষণশীল দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরে এক রিপাবলিকান পরিবারে বড় হয়েছেন টাইলার রবিনসন। প্রতিবেশী ও সহপাঠীদের ভাষ্যমতে, তিনি ছিলেন চুপচাপ এবং বুদ্ধিমান। ভিডিও গেম, কমিক বই আর সমসাময়িক ঘটনাবলিতে ছিল তাঁর গভীর আগ্রহ।
কিন্তু গতকাল শুক্রবার বিকেলে, যাঁরা রবিনসনকে চিনতেন, তাঁরা তাঁদের স্মৃতির সঙ্গে তাঁর নতুন ভাবমূর্তি মেলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন; যিনি এই সপ্তাহের শুরুতে ইউটাহর একটি কলেজে রক্ষণশীল প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
রবিনসনের হাইস্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী ২২ বছর বয়সী কিটন ব্রুকসবি বলেন, ‘এটা সত্যিই দুঃখজনক যে এত বুদ্ধিমান একজন মানুষ তাঁর মেধার এমন অপব্যবহার করেছেন।’
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশের দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, রবিনসন সম্প্রতি তাঁর পরিবারের এক সদস্যকে বলেছিলেন, চার্লি কার্ক ইউটাহতে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাচ্ছেন। তিনি ও তাঁর ওই আত্মীয় ‘কেন তারা তাঁকে (কার্ক) এবং তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি পছন্দ করেন না’—তা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ডান ও বাম শিবির যখন কার্ককে হত্যার উদ্দেশ্য খুঁজতে ব্যস্ত, তখন রবিনসনের যে প্রাথমিক চিত্রটি ফুটে উঠেছে, তা মোটেই স্পষ্ট নয়। একজন বৃত্তিপ্রাপ্ত হাইস্কুলছাত্র থেকে শিক্ষানবিশ ইলেকট্রিশিয়ান এবং তারপর একজন সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁর এই পথচলা স্পষ্ট নয়।
ব্রুকসবি জানান, ইউটাহর রক্ষণশীল সেন্ট জর্জ এলাকায় বেড়ে ওঠার সময় সবাই রবিনসনকে শান্ত ছাত্র হিসেবেই জানত। তবে হাইস্কুলে একদিন দুপুরের খাবারের সময় লিবিয়ার বেনগাজি শহরে ২০১২ সালে মার্কিনদের ওপর হামলা নিয়ে আলোচনা ওঠে। বেনগাজিতে কী ঘটেছিল, সে সময় তা হাতে গোনা কয়েকজন ছাত্র জানতেন। তবে রবিনসন ওই ঘটনা সম্পর্কে তাঁর জানাবোঝায় নিশ্চিত ছিল।
ব্রুকসবি বলেন, ‘সে আমাদের পুরো ঘটনাটি বিস্তারিত বলেছিল। আমার শুধু মনে আছে, আমি তখন ভাবছিলাম, ১৪ বছর বয়সের একজন ছেলের কাছে এ বিষয়ে এত তথ্য কীভাবে থাকতে পারে।’
ওয়াশিংটন কাউন্টির ক্লার্কের তথ্য অনুযায়ী, রবিনসনের ইউটাহতে ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করা থাকলেও তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন এবং কোনো নির্বাচনে ভোট দেননি। তাঁর মা-বাবা রিপাবলিকান হিসেবে নিবন্ধিত। তাঁদের উভয়েরই শিকার করার লাইসেন্স রয়েছে।
বছরের পর বছর ধরে তাঁর পরিবারের পোস্ট করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ছবিতে রবিনসন এবং তাঁর দুই ছোট ভাইকে বন্দুক হাতে গুলি করতে এবং পোজ দিতে দেখা গেছে।
৩৩ ঘণ্টার টানা অভিযানের পর গত বৃহস্পতিবার রাতে নিজ শহরের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন রবিনসন।
আদালতে দাখিলকৃত এক শপথপত্রে এক পুলিশ কর্মকর্তা লিখেছেন, রবিনসনের এক আত্মীয় তাঁকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘আরও বেশি রাজনৈতিক’ হয়ে ওঠা বলে বর্ণনা করেছেন। সম্প্রতি এক নৈশভোজে কার্ক ও তাঁর উটাহতে অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গও তুলেছিলেন রবিনসন।
ইউটাহ কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘটনাস্থলে ফেলে যাওয়া অস্ত্রের সঙ্গে তারা অনাবিষ্কৃত গুলিও পেয়েছে; যেগুলোর গায়ে খোদাই করা ছিল ইন্টারনেট মিম থেকে নেওয়া রসিকতা ও স্ল্যাং। সঙ্গে লেখা ছিল, ‘এই ফ্যাসিস্ট! ধরো তো!’
২২ বছরের অ্যাড্রিয়ান রিভেরা, যিনি রবিনসনের সঙ্গে হাইস্কুলে কাঠের কাজের ক্লাসে ছিলেন। তিনি জানান, রবিনসন প্রায়ই জুনিয়র আরওটিসি (জুনিয়র রিজার্ভ অফিসার্স ট্রেনিং কর্পস) প্রোগ্রামে আগ্রহী অন্য ছাত্রদের সঙ্গে নির্দিষ্ট এলাকায় ঘোরাঘুরি করতেন।
তবে রবিনসন প্রকৃতপক্ষে এই কোরের সদস্য ছিলেন কি না, তা পরিষ্কার নয়।
রিভেরা বলেন, রবিনসন ছিলেন ‘বিশাল হালো ফ্যান’। জনপ্রিয় সাই-ফাই গেমের কথা উল্লেখ করে এমনটা বলেন তিনি।
তিনি জানান, রবিনসন কল অফ ডিউটি এবং অন্যান্য শুটার গেম খেলতেও পছন্দ করতেন।
রবিনসনের সঙ্গে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে পড়েছেন জাইদা ফাঙ্ক। ২২ বছর বয়সী এই তরুণী জানান, তিনি ছিলেন শিক্ষকপ্রিয় ছাত্রের স্বভাব। সব সময় সময়মতো আসতেন, শ্রদ্ধাশীল, কঠোর পরিশ্রমী এবং বুদ্ধিমান ছিলেন।
জাইদা বলেন, ‘সে এমন ধরনের ছেলে ছিল যে তুমি বন্ধু না হলেও গ্রুপ প্রজেক্টে তাকে দলে নেবে। যেভাবে সে নিজেকে উপস্থাপন করত আর অন্যদের সঙ্গে কথা বলত, আমার মনে হতো, একদিন সে সিইও বা ব্যবসায়ী হবে। তার মধ্যে ভালো নেতৃত্বের গুণাবলি ছিল।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের রক্ষণশীল দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরে এক রিপাবলিকান পরিবারে বড় হয়েছেন টাইলার রবিনসন। প্রতিবেশী ও সহপাঠীদের ভাষ্যমতে, তিনি ছিলেন চুপচাপ এবং বুদ্ধিমান। ভিডিও গেম, কমিক বই আর সমসাময়িক ঘটনাবলিতে ছিল তাঁর গভীর আগ্রহ।
কিন্তু গতকাল শুক্রবার বিকেলে, যাঁরা রবিনসনকে চিনতেন, তাঁরা তাঁদের স্মৃতির সঙ্গে তাঁর নতুন ভাবমূর্তি মেলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন; যিনি এই সপ্তাহের শুরুতে ইউটাহর একটি কলেজে রক্ষণশীল প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
রবিনসনের হাইস্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী ২২ বছর বয়সী কিটন ব্রুকসবি বলেন, ‘এটা সত্যিই দুঃখজনক যে এত বুদ্ধিমান একজন মানুষ তাঁর মেধার এমন অপব্যবহার করেছেন।’
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশের দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, রবিনসন সম্প্রতি তাঁর পরিবারের এক সদস্যকে বলেছিলেন, চার্লি কার্ক ইউটাহতে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাচ্ছেন। তিনি ও তাঁর ওই আত্মীয় ‘কেন তারা তাঁকে (কার্ক) এবং তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি পছন্দ করেন না’—তা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ডান ও বাম শিবির যখন কার্ককে হত্যার উদ্দেশ্য খুঁজতে ব্যস্ত, তখন রবিনসনের যে প্রাথমিক চিত্রটি ফুটে উঠেছে, তা মোটেই স্পষ্ট নয়। একজন বৃত্তিপ্রাপ্ত হাইস্কুলছাত্র থেকে শিক্ষানবিশ ইলেকট্রিশিয়ান এবং তারপর একজন সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁর এই পথচলা স্পষ্ট নয়।
ব্রুকসবি জানান, ইউটাহর রক্ষণশীল সেন্ট জর্জ এলাকায় বেড়ে ওঠার সময় সবাই রবিনসনকে শান্ত ছাত্র হিসেবেই জানত। তবে হাইস্কুলে একদিন দুপুরের খাবারের সময় লিবিয়ার বেনগাজি শহরে ২০১২ সালে মার্কিনদের ওপর হামলা নিয়ে আলোচনা ওঠে। বেনগাজিতে কী ঘটেছিল, সে সময় তা হাতে গোনা কয়েকজন ছাত্র জানতেন। তবে রবিনসন ওই ঘটনা সম্পর্কে তাঁর জানাবোঝায় নিশ্চিত ছিল।
ব্রুকসবি বলেন, ‘সে আমাদের পুরো ঘটনাটি বিস্তারিত বলেছিল। আমার শুধু মনে আছে, আমি তখন ভাবছিলাম, ১৪ বছর বয়সের একজন ছেলের কাছে এ বিষয়ে এত তথ্য কীভাবে থাকতে পারে।’
ওয়াশিংটন কাউন্টির ক্লার্কের তথ্য অনুযায়ী, রবিনসনের ইউটাহতে ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করা থাকলেও তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন এবং কোনো নির্বাচনে ভোট দেননি। তাঁর মা-বাবা রিপাবলিকান হিসেবে নিবন্ধিত। তাঁদের উভয়েরই শিকার করার লাইসেন্স রয়েছে।
বছরের পর বছর ধরে তাঁর পরিবারের পোস্ট করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ছবিতে রবিনসন এবং তাঁর দুই ছোট ভাইকে বন্দুক হাতে গুলি করতে এবং পোজ দিতে দেখা গেছে।
৩৩ ঘণ্টার টানা অভিযানের পর গত বৃহস্পতিবার রাতে নিজ শহরের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন রবিনসন।
আদালতে দাখিলকৃত এক শপথপত্রে এক পুলিশ কর্মকর্তা লিখেছেন, রবিনসনের এক আত্মীয় তাঁকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘আরও বেশি রাজনৈতিক’ হয়ে ওঠা বলে বর্ণনা করেছেন। সম্প্রতি এক নৈশভোজে কার্ক ও তাঁর উটাহতে অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গও তুলেছিলেন রবিনসন।
ইউটাহ কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘটনাস্থলে ফেলে যাওয়া অস্ত্রের সঙ্গে তারা অনাবিষ্কৃত গুলিও পেয়েছে; যেগুলোর গায়ে খোদাই করা ছিল ইন্টারনেট মিম থেকে নেওয়া রসিকতা ও স্ল্যাং। সঙ্গে লেখা ছিল, ‘এই ফ্যাসিস্ট! ধরো তো!’
২২ বছরের অ্যাড্রিয়ান রিভেরা, যিনি রবিনসনের সঙ্গে হাইস্কুলে কাঠের কাজের ক্লাসে ছিলেন। তিনি জানান, রবিনসন প্রায়ই জুনিয়র আরওটিসি (জুনিয়র রিজার্ভ অফিসার্স ট্রেনিং কর্পস) প্রোগ্রামে আগ্রহী অন্য ছাত্রদের সঙ্গে নির্দিষ্ট এলাকায় ঘোরাঘুরি করতেন।
তবে রবিনসন প্রকৃতপক্ষে এই কোরের সদস্য ছিলেন কি না, তা পরিষ্কার নয়।
রিভেরা বলেন, রবিনসন ছিলেন ‘বিশাল হালো ফ্যান’। জনপ্রিয় সাই-ফাই গেমের কথা উল্লেখ করে এমনটা বলেন তিনি।
তিনি জানান, রবিনসন কল অফ ডিউটি এবং অন্যান্য শুটার গেম খেলতেও পছন্দ করতেন।
রবিনসনের সঙ্গে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে পড়েছেন জাইদা ফাঙ্ক। ২২ বছর বয়সী এই তরুণী জানান, তিনি ছিলেন শিক্ষকপ্রিয় ছাত্রের স্বভাব। সব সময় সময়মতো আসতেন, শ্রদ্ধাশীল, কঠোর পরিশ্রমী এবং বুদ্ধিমান ছিলেন।
জাইদা বলেন, ‘সে এমন ধরনের ছেলে ছিল যে তুমি বন্ধু না হলেও গ্রুপ প্রজেক্টে তাকে দলে নেবে। যেভাবে সে নিজেকে উপস্থাপন করত আর অন্যদের সঙ্গে কথা বলত, আমার মনে হতো, একদিন সে সিইও বা ব্যবসায়ী হবে। তার মধ্যে ভালো নেতৃত্বের গুণাবলি ছিল।’

যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের রক্ষণশীল দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরে এক রিপাবলিকান পরিবারে বড় হয়েছেন টাইলার রবিনসন। প্রতিবেশী ও সহপাঠীদের ভাষ্যমতে, তিনি ছিলেন চুপচাপ এবং বুদ্ধিমান। ভিডিও গেম, কমিক বই আর সমসাময়িক ঘটনাবলিতে ছিল তাঁর গভীর আগ্রহ।
কিন্তু গতকাল শুক্রবার বিকেলে, যাঁরা রবিনসনকে চিনতেন, তাঁরা তাঁদের স্মৃতির সঙ্গে তাঁর নতুন ভাবমূর্তি মেলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন; যিনি এই সপ্তাহের শুরুতে ইউটাহর একটি কলেজে রক্ষণশীল প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
রবিনসনের হাইস্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী ২২ বছর বয়সী কিটন ব্রুকসবি বলেন, ‘এটা সত্যিই দুঃখজনক যে এত বুদ্ধিমান একজন মানুষ তাঁর মেধার এমন অপব্যবহার করেছেন।’
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশের দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, রবিনসন সম্প্রতি তাঁর পরিবারের এক সদস্যকে বলেছিলেন, চার্লি কার্ক ইউটাহতে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাচ্ছেন। তিনি ও তাঁর ওই আত্মীয় ‘কেন তারা তাঁকে (কার্ক) এবং তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি পছন্দ করেন না’—তা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ডান ও বাম শিবির যখন কার্ককে হত্যার উদ্দেশ্য খুঁজতে ব্যস্ত, তখন রবিনসনের যে প্রাথমিক চিত্রটি ফুটে উঠেছে, তা মোটেই স্পষ্ট নয়। একজন বৃত্তিপ্রাপ্ত হাইস্কুলছাত্র থেকে শিক্ষানবিশ ইলেকট্রিশিয়ান এবং তারপর একজন সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁর এই পথচলা স্পষ্ট নয়।
ব্রুকসবি জানান, ইউটাহর রক্ষণশীল সেন্ট জর্জ এলাকায় বেড়ে ওঠার সময় সবাই রবিনসনকে শান্ত ছাত্র হিসেবেই জানত। তবে হাইস্কুলে একদিন দুপুরের খাবারের সময় লিবিয়ার বেনগাজি শহরে ২০১২ সালে মার্কিনদের ওপর হামলা নিয়ে আলোচনা ওঠে। বেনগাজিতে কী ঘটেছিল, সে সময় তা হাতে গোনা কয়েকজন ছাত্র জানতেন। তবে রবিনসন ওই ঘটনা সম্পর্কে তাঁর জানাবোঝায় নিশ্চিত ছিল।
ব্রুকসবি বলেন, ‘সে আমাদের পুরো ঘটনাটি বিস্তারিত বলেছিল। আমার শুধু মনে আছে, আমি তখন ভাবছিলাম, ১৪ বছর বয়সের একজন ছেলের কাছে এ বিষয়ে এত তথ্য কীভাবে থাকতে পারে।’
ওয়াশিংটন কাউন্টির ক্লার্কের তথ্য অনুযায়ী, রবিনসনের ইউটাহতে ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করা থাকলেও তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন এবং কোনো নির্বাচনে ভোট দেননি। তাঁর মা-বাবা রিপাবলিকান হিসেবে নিবন্ধিত। তাঁদের উভয়েরই শিকার করার লাইসেন্স রয়েছে।
বছরের পর বছর ধরে তাঁর পরিবারের পোস্ট করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ছবিতে রবিনসন এবং তাঁর দুই ছোট ভাইকে বন্দুক হাতে গুলি করতে এবং পোজ দিতে দেখা গেছে।
৩৩ ঘণ্টার টানা অভিযানের পর গত বৃহস্পতিবার রাতে নিজ শহরের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন রবিনসন।
আদালতে দাখিলকৃত এক শপথপত্রে এক পুলিশ কর্মকর্তা লিখেছেন, রবিনসনের এক আত্মীয় তাঁকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘আরও বেশি রাজনৈতিক’ হয়ে ওঠা বলে বর্ণনা করেছেন। সম্প্রতি এক নৈশভোজে কার্ক ও তাঁর উটাহতে অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গও তুলেছিলেন রবিনসন।
ইউটাহ কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘটনাস্থলে ফেলে যাওয়া অস্ত্রের সঙ্গে তারা অনাবিষ্কৃত গুলিও পেয়েছে; যেগুলোর গায়ে খোদাই করা ছিল ইন্টারনেট মিম থেকে নেওয়া রসিকতা ও স্ল্যাং। সঙ্গে লেখা ছিল, ‘এই ফ্যাসিস্ট! ধরো তো!’
২২ বছরের অ্যাড্রিয়ান রিভেরা, যিনি রবিনসনের সঙ্গে হাইস্কুলে কাঠের কাজের ক্লাসে ছিলেন। তিনি জানান, রবিনসন প্রায়ই জুনিয়র আরওটিসি (জুনিয়র রিজার্ভ অফিসার্স ট্রেনিং কর্পস) প্রোগ্রামে আগ্রহী অন্য ছাত্রদের সঙ্গে নির্দিষ্ট এলাকায় ঘোরাঘুরি করতেন।
তবে রবিনসন প্রকৃতপক্ষে এই কোরের সদস্য ছিলেন কি না, তা পরিষ্কার নয়।
রিভেরা বলেন, রবিনসন ছিলেন ‘বিশাল হালো ফ্যান’। জনপ্রিয় সাই-ফাই গেমের কথা উল্লেখ করে এমনটা বলেন তিনি।
তিনি জানান, রবিনসন কল অফ ডিউটি এবং অন্যান্য শুটার গেম খেলতেও পছন্দ করতেন।
রবিনসনের সঙ্গে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে পড়েছেন জাইদা ফাঙ্ক। ২২ বছর বয়সী এই তরুণী জানান, তিনি ছিলেন শিক্ষকপ্রিয় ছাত্রের স্বভাব। সব সময় সময়মতো আসতেন, শ্রদ্ধাশীল, কঠোর পরিশ্রমী এবং বুদ্ধিমান ছিলেন।
জাইদা বলেন, ‘সে এমন ধরনের ছেলে ছিল যে তুমি বন্ধু না হলেও গ্রুপ প্রজেক্টে তাকে দলে নেবে। যেভাবে সে নিজেকে উপস্থাপন করত আর অন্যদের সঙ্গে কথা বলত, আমার মনে হতো, একদিন সে সিইও বা ব্যবসায়ী হবে। তার মধ্যে ভালো নেতৃত্বের গুণাবলি ছিল।’

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। আগামী সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের ঠিক আগে গতকাল বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১ সেকেন্ড আগে
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে জেটেনকে এখন জোট সরকার গঠন করতে হবে, যা নেদারল্যান্ডসের রাজনৈতিক প্রথা অনুযায়ী কয়েক মাস সময় নিতে পারে। দেশটির ১৫০ আসনের সংসদে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় না। ফলে সরকার গঠনের জন্য সমঝোতা ও আলোচনাই মূল চাবিকাঠি।
১ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক সমাজতান্ত্রিক প্রার্থী জোহরান মামদানির প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছিলেন অন্তত ২৬ জন বিলিয়নিয়ার। শুধু তা-ই নয়, মামদানিকে হারাতে তাঁরা সম্মিলিতভাবে প্রায় ২২ মিলিয়ন ডলারের তহবিল দিয়েছিলেন।
২ ঘণ্টা আগে
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আজ শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালে একটি মসজিদে পরপর দুটি বিস্ফোরণে অন্তত ৫৫ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে দগ্ধ হয়েছেন এবং শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। আগামী সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের ঠিক আগে গতকাল বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া করা এই প্রস্তাবে সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আনাস খাত্তাবের ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটির পক্ষে ১৪টি ভোট পড়ে, তবে চীন ভোটদানে বিরত ছিল।
ওয়াশিংটন কয়েক মাস ধরে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদকে সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য তাগিদ দিচ্ছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত মে মাসে যখন সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন, তখনই যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে একটি বড় পরিবর্তন আসে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি, শারা দারুণ কাজ করছেন। অঞ্চলটি কঠিন, তিনিও কঠিন প্রকৃতির মানুষ, কিন্তু তাঁর সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমরা সিরিয়া নিয়ে অনেক দূর এগিয়েছি।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছি, যাতে তারা নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য নতুনভাবে লড়াইয়ের সুযোগ পায়।’
১৩ বছরের বিধ্বংসী গৃহযুদ্ধের পর গত ডিসেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বিদ্রোহী জোটের আকস্মিক হামলায় ক্ষমতাচ্যুত হন। ইসলামপন্থী সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নেতৃত্ব দেয় সেই হামলায়।
এইচটিএস একসময় আল-কায়েদার সিরীয় শাখা নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। ২০১৪ সালের মে মাস থেকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আল-কায়েদা ও আইএস-সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে এই সংগঠন।
এইচটিএসের একাধিক সদস্যের ওপর জাতিসংঘের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দ এবং অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। তবে এবার প্রেসিডেন্ট শারা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খাত্তাবের বিরুদ্ধে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলো।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে পর্যবেক্ষকেরা জানিয়েছেন, চলতি বছর আল-কায়েদা ও এইচটিএসের মধ্যে কোনো সক্রিয় সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে জুলাইয়ে রয়টার্সের হাতে আসা জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনেও এমন তথ্যের উল্লেখ ছিল।
নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকে চীন। জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ফু কং বলেন, ‘খসড়া প্রস্তাবটিতে সিরিয়ার সন্ত্রাসবিরোধী ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের উদ্বেগ যথাযথভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।’
চীন দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়ায় ইস্টার্ন তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্টের (ইটিআইএম) কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এই সংগঠনে চীন ও মধ্য এশিয়া থেকে আসা উইঘুর যোদ্ধারা যুক্ত রয়েছে।
তবে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ভোট দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, মস্কো এই সংক্ষিপ্ত প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে; কারণ, এটি ‘সিরীয় জনগণের নিজস্ব স্বার্থ ও আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে।’
গৃহযুদ্ধ চলাকালীন রাশিয়া বারবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ার আসাদ সরকারের পক্ষে ভেটো দেয়। এ সময় চীনও রাশিয়ার পাশে ছিল। প্রসঙ্গত, যুদ্ধকালীন সিরিয়া ইস্যুতে রাজনৈতিক, মানবিক ও রাসায়নিক অস্ত্রবিষয়ক আলোচনার জন্য পরিষদ মাসে একাধিকবার বৈঠকে বসত।
এদিকে, দীর্ঘ বিভাজনের পর নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সিরিয়ার জাতিসংঘ প্রতিনিধি ইব্রাহিম ওলাবি। তিনি বলেন, ‘এটি সিরিয়ার নারী-পুরুষদের জন্য মাতৃভূমি পুনর্গঠন এবং জীবন পুনঃস্থাপনে আশার সঞ্চার করবে।’
ইব্রাহিম ওলাবি আরও বলেন, ‘নতুন সিরিয়া হবে এক সাফল্যের গল্প। এটি প্রমাণ করবে যে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সর্বোত্তম পথ হলো ইতিবাচক সম্পৃক্ততা ও গঠনমূলক সহযোগিতা। যদি কারও কোনো উদ্বেগ থাকে, সিরিয়া তা সমাধানে সদিচ্ছাসহ পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে কাজ করতে প্রস্তুত।’

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। আগামী সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের ঠিক আগে গতকাল বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া করা এই প্রস্তাবে সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আনাস খাত্তাবের ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটির পক্ষে ১৪টি ভোট পড়ে, তবে চীন ভোটদানে বিরত ছিল।
ওয়াশিংটন কয়েক মাস ধরে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদকে সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য তাগিদ দিচ্ছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত মে মাসে যখন সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন, তখনই যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে একটি বড় পরিবর্তন আসে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি, শারা দারুণ কাজ করছেন। অঞ্চলটি কঠিন, তিনিও কঠিন প্রকৃতির মানুষ, কিন্তু তাঁর সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমরা সিরিয়া নিয়ে অনেক দূর এগিয়েছি।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছি, যাতে তারা নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য নতুনভাবে লড়াইয়ের সুযোগ পায়।’
১৩ বছরের বিধ্বংসী গৃহযুদ্ধের পর গত ডিসেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বিদ্রোহী জোটের আকস্মিক হামলায় ক্ষমতাচ্যুত হন। ইসলামপন্থী সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নেতৃত্ব দেয় সেই হামলায়।
এইচটিএস একসময় আল-কায়েদার সিরীয় শাখা নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। ২০১৪ সালের মে মাস থেকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আল-কায়েদা ও আইএস-সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে এই সংগঠন।
এইচটিএসের একাধিক সদস্যের ওপর জাতিসংঘের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দ এবং অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। তবে এবার প্রেসিডেন্ট শারা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খাত্তাবের বিরুদ্ধে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলো।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে পর্যবেক্ষকেরা জানিয়েছেন, চলতি বছর আল-কায়েদা ও এইচটিএসের মধ্যে কোনো সক্রিয় সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে জুলাইয়ে রয়টার্সের হাতে আসা জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনেও এমন তথ্যের উল্লেখ ছিল।
নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকে চীন। জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ফু কং বলেন, ‘খসড়া প্রস্তাবটিতে সিরিয়ার সন্ত্রাসবিরোধী ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের উদ্বেগ যথাযথভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।’
চীন দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়ায় ইস্টার্ন তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্টের (ইটিআইএম) কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এই সংগঠনে চীন ও মধ্য এশিয়া থেকে আসা উইঘুর যোদ্ধারা যুক্ত রয়েছে।
তবে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ভোট দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, মস্কো এই সংক্ষিপ্ত প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে; কারণ, এটি ‘সিরীয় জনগণের নিজস্ব স্বার্থ ও আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে।’
গৃহযুদ্ধ চলাকালীন রাশিয়া বারবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ার আসাদ সরকারের পক্ষে ভেটো দেয়। এ সময় চীনও রাশিয়ার পাশে ছিল। প্রসঙ্গত, যুদ্ধকালীন সিরিয়া ইস্যুতে রাজনৈতিক, মানবিক ও রাসায়নিক অস্ত্রবিষয়ক আলোচনার জন্য পরিষদ মাসে একাধিকবার বৈঠকে বসত।
এদিকে, দীর্ঘ বিভাজনের পর নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সিরিয়ার জাতিসংঘ প্রতিনিধি ইব্রাহিম ওলাবি। তিনি বলেন, ‘এটি সিরিয়ার নারী-পুরুষদের জন্য মাতৃভূমি পুনর্গঠন এবং জীবন পুনঃস্থাপনে আশার সঞ্চার করবে।’
ইব্রাহিম ওলাবি আরও বলেন, ‘নতুন সিরিয়া হবে এক সাফল্যের গল্প। এটি প্রমাণ করবে যে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সর্বোত্তম পথ হলো ইতিবাচক সম্পৃক্ততা ও গঠনমূলক সহযোগিতা। যদি কারও কোনো উদ্বেগ থাকে, সিরিয়া তা সমাধানে সদিচ্ছাসহ পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে কাজ করতে প্রস্তুত।’

রবিনসনের হাইস্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী ২২ বছর বয়সী কিটন ব্রুকসবি বলেন, ‘এটা সত্যিই দুঃখজনক, এত বুদ্ধিমান একজন মানুষ তাঁর মেধার এমন অপব্যবহার করেছেন।’
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে জেটেনকে এখন জোট সরকার গঠন করতে হবে, যা নেদারল্যান্ডসের রাজনৈতিক প্রথা অনুযায়ী কয়েক মাস সময় নিতে পারে। দেশটির ১৫০ আসনের সংসদে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় না। ফলে সরকার গঠনের জন্য সমঝোতা ও আলোচনাই মূল চাবিকাঠি।
১ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক সমাজতান্ত্রিক প্রার্থী জোহরান মামদানির প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছিলেন অন্তত ২৬ জন বিলিয়নিয়ার। শুধু তা-ই নয়, মামদানিকে হারাতে তাঁরা সম্মিলিতভাবে প্রায় ২২ মিলিয়ন ডলারের তহবিল দিয়েছিলেন।
২ ঘণ্টা আগে
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আজ শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালে একটি মসজিদে পরপর দুটি বিস্ফোরণে অন্তত ৫৫ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে দগ্ধ হয়েছেন এবং শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নেদারল্যান্ডসের নির্বাচনে ৩৮ বছর বয়সী মধ্যপন্থী নেতা রব জেটেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (স্থানীয় সময়) দেশটির নির্বাচন কমিশন এই ফলাফল ঘোষণা করে। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী ও প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন জেটেন।
কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইসলামবিরোধী ও কট্টর ডানপন্থী নেতা গির্ট উইল্ডার্সকে মাত্র ২৯ হাজার ৬৬৮ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে এ জয় পেয়েছেন জেটেন। সাম্প্রতিক এই নির্বাচন ইউরোপে ডানপন্থী উত্থানের এক সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।
ফলাফল ঘোষণার পর জেটেন বলেন, ‘আমরা ইউরোপ ও বিশ্বের কাছে প্রমাণ করেছি—একটি ইতিবাচক বার্তা নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে জনতাবাদী (পপুলিস্ট) আন্দোলনকে পরাজিত করা সম্ভব।’
তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে জেটেনকে এখন জোট সরকার গঠন করতে হবে, যা নেদারল্যান্ডসের রাজনৈতিক প্রথা অনুযায়ী কয়েক মাস সময় নিতে পারে। দেশটির ১৫০ আসনের সংসদে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় না। ফলে সরকার গঠনের জন্য সমঝোতা ও আলোচনাই মূল চাবিকাঠি।
নির্বাচন কমিশনের হিসাবে, জেটেনের দল ডি৬৬ পেয়েছে ২৬টি আসন, যা নেদারল্যান্ডসের ইতিহাসে নির্বাচনে বিজয়ী কোনো দলের জন্য সবচেয়ে কম সংখ্যা। ডানপন্থী উইল্ডার্সের পিভিভি দলও পেয়েছে ২৬টি আসন।
এই নির্বাচনে মোট ১৫টি দল সংসদে প্রতিনিধিত্ব পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাণী অধিকার রক্ষায় কাজ করা একটি দল এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের স্বার্থ রক্ষাকারী একটি সংগঠনভিত্তিক দল।
যদিও উইল্ডার্স ২০২৩ সালের নির্বাচনের তুলনায় ১১টি আসন হারিয়েছেন, তবু নেদারল্যান্ডসে ডানপন্থীদের উপস্থিতি এখনো শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, ডানপন্থী ফোরাম ফর ডেমোক্রেসি দলের আসন বেড়ে হয়েছে সাতটি (আগে ছিল তিনটি) আর কট্টর ডানপন্থী জে-এ২১ দল পেয়েছে ৯টি আসন, যা ২০২৩ সালের নির্বাচনে ছিল মাত্র একটি।
জেটেনের পছন্দ হলো চারদলীয় একটি জোট—যেখানে রাজনৈতিকভাবে ভিন্নমুখী দলগুলো একত্র হবে। তিনি চান মধ্য-ডানপন্থী সিডিএ (১৮ আসন), ডানপন্থী উদারপন্থী ভিডিভি (২২ আসন) এবং বামপন্থী গ্রিন/লেবার (২০ আসন) পার্টি তাঁর সঙ্গে যুক্ত হোক। এতে তাঁর মোট আসন দাঁড়াবে ৮৬, যা সংসদে তাঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেবে।
তবে ভিডিভি নেতা দিলান ইয়েসিলগোজ ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, তিনি গ্রিন/লেবারের সঙ্গে কোনো জোটে যাবেন না। তাঁর পছন্দ হলো ডানমুখী জোট, যাতে থাকবে সিডিএ, জে-এ২১ ও জেটেনের ডি৬৬। কিন্তু এ জোটে আসন হবে ঠিক ৭৫টি, যা ন্যূনতম সীমা এবং এটি ভবিষ্যতে সরকারকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
জেটেন যদিও বলেছেন, সংখ্যালঘু সরকার তাঁর পছন্দ নয়, তবে সেটিও এখন একটি সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে আলোচনায় আছে।
এদিকে পরাজয় মেনে নিয়ে উইল্ডার্স জেটেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভোট জালিয়াতির অভিযোগও তুলেছেন। তবে দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এ ধরনের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।
কমিশনের চেয়ারম্যান উইম কুইকেন জানান, এই নির্বাচনের ফলাফল নির্ভরযোগ্য। নেদারল্যান্ডসে ভোট গ্রহণ ও ফল ঘোষণার একটি অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও নির্ভরযোগ্য প্রক্রিয়া বিদ্যমান।
উইল্ডার্স প্রস্তাব দিয়েছেন, তিনি জোটে যোগ দিতে আগ্রহী। তবে নির্বাচনের আগে মূলধারার সব দল তাঁর সঙ্গে কাজ না করার ঘোষণা দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, উইল্ডার্সের দলই গত বছর সরকারের জোট থেকে সরে এসে এই আগাম নির্বাচন ডেকে আনে। কারণ, তিনি দাবি করেছিলেন, সরকার ‘ইতিহাসের সবচেয়ে কঠোর অভিবাসননীতি’ বাস্তবায়নে ধীরগতি দেখাচ্ছে।

নেদারল্যান্ডসের নির্বাচনে ৩৮ বছর বয়সী মধ্যপন্থী নেতা রব জেটেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (স্থানীয় সময়) দেশটির নির্বাচন কমিশন এই ফলাফল ঘোষণা করে। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী ও প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন জেটেন।
কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইসলামবিরোধী ও কট্টর ডানপন্থী নেতা গির্ট উইল্ডার্সকে মাত্র ২৯ হাজার ৬৬৮ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে এ জয় পেয়েছেন জেটেন। সাম্প্রতিক এই নির্বাচন ইউরোপে ডানপন্থী উত্থানের এক সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।
ফলাফল ঘোষণার পর জেটেন বলেন, ‘আমরা ইউরোপ ও বিশ্বের কাছে প্রমাণ করেছি—একটি ইতিবাচক বার্তা নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে জনতাবাদী (পপুলিস্ট) আন্দোলনকে পরাজিত করা সম্ভব।’
তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে জেটেনকে এখন জোট সরকার গঠন করতে হবে, যা নেদারল্যান্ডসের রাজনৈতিক প্রথা অনুযায়ী কয়েক মাস সময় নিতে পারে। দেশটির ১৫০ আসনের সংসদে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় না। ফলে সরকার গঠনের জন্য সমঝোতা ও আলোচনাই মূল চাবিকাঠি।
নির্বাচন কমিশনের হিসাবে, জেটেনের দল ডি৬৬ পেয়েছে ২৬টি আসন, যা নেদারল্যান্ডসের ইতিহাসে নির্বাচনে বিজয়ী কোনো দলের জন্য সবচেয়ে কম সংখ্যা। ডানপন্থী উইল্ডার্সের পিভিভি দলও পেয়েছে ২৬টি আসন।
এই নির্বাচনে মোট ১৫টি দল সংসদে প্রতিনিধিত্ব পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাণী অধিকার রক্ষায় কাজ করা একটি দল এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের স্বার্থ রক্ষাকারী একটি সংগঠনভিত্তিক দল।
যদিও উইল্ডার্স ২০২৩ সালের নির্বাচনের তুলনায় ১১টি আসন হারিয়েছেন, তবু নেদারল্যান্ডসে ডানপন্থীদের উপস্থিতি এখনো শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, ডানপন্থী ফোরাম ফর ডেমোক্রেসি দলের আসন বেড়ে হয়েছে সাতটি (আগে ছিল তিনটি) আর কট্টর ডানপন্থী জে-এ২১ দল পেয়েছে ৯টি আসন, যা ২০২৩ সালের নির্বাচনে ছিল মাত্র একটি।
জেটেনের পছন্দ হলো চারদলীয় একটি জোট—যেখানে রাজনৈতিকভাবে ভিন্নমুখী দলগুলো একত্র হবে। তিনি চান মধ্য-ডানপন্থী সিডিএ (১৮ আসন), ডানপন্থী উদারপন্থী ভিডিভি (২২ আসন) এবং বামপন্থী গ্রিন/লেবার (২০ আসন) পার্টি তাঁর সঙ্গে যুক্ত হোক। এতে তাঁর মোট আসন দাঁড়াবে ৮৬, যা সংসদে তাঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেবে।
তবে ভিডিভি নেতা দিলান ইয়েসিলগোজ ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, তিনি গ্রিন/লেবারের সঙ্গে কোনো জোটে যাবেন না। তাঁর পছন্দ হলো ডানমুখী জোট, যাতে থাকবে সিডিএ, জে-এ২১ ও জেটেনের ডি৬৬। কিন্তু এ জোটে আসন হবে ঠিক ৭৫টি, যা ন্যূনতম সীমা এবং এটি ভবিষ্যতে সরকারকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
জেটেন যদিও বলেছেন, সংখ্যালঘু সরকার তাঁর পছন্দ নয়, তবে সেটিও এখন একটি সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে আলোচনায় আছে।
এদিকে পরাজয় মেনে নিয়ে উইল্ডার্স জেটেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভোট জালিয়াতির অভিযোগও তুলেছেন। তবে দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এ ধরনের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।
কমিশনের চেয়ারম্যান উইম কুইকেন জানান, এই নির্বাচনের ফলাফল নির্ভরযোগ্য। নেদারল্যান্ডসে ভোট গ্রহণ ও ফল ঘোষণার একটি অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও নির্ভরযোগ্য প্রক্রিয়া বিদ্যমান।
উইল্ডার্স প্রস্তাব দিয়েছেন, তিনি জোটে যোগ দিতে আগ্রহী। তবে নির্বাচনের আগে মূলধারার সব দল তাঁর সঙ্গে কাজ না করার ঘোষণা দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, উইল্ডার্সের দলই গত বছর সরকারের জোট থেকে সরে এসে এই আগাম নির্বাচন ডেকে আনে। কারণ, তিনি দাবি করেছিলেন, সরকার ‘ইতিহাসের সবচেয়ে কঠোর অভিবাসননীতি’ বাস্তবায়নে ধীরগতি দেখাচ্ছে।

রবিনসনের হাইস্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী ২২ বছর বয়সী কিটন ব্রুকসবি বলেন, ‘এটা সত্যিই দুঃখজনক, এত বুদ্ধিমান একজন মানুষ তাঁর মেধার এমন অপব্যবহার করেছেন।’
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। আগামী সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের ঠিক আগে গতকাল বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১ সেকেন্ড আগে
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক সমাজতান্ত্রিক প্রার্থী জোহরান মামদানির প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছিলেন অন্তত ২৬ জন বিলিয়নিয়ার। শুধু তা-ই নয়, মামদানিকে হারাতে তাঁরা সম্মিলিতভাবে প্রায় ২২ মিলিয়ন ডলারের তহবিল দিয়েছিলেন।
২ ঘণ্টা আগে
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আজ শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালে একটি মসজিদে পরপর দুটি বিস্ফোরণে অন্তত ৫৫ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে দগ্ধ হয়েছেন এবং শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক সমাজতান্ত্রিক প্রার্থী জোহরান মামদানির প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছিলেন অন্তত ২৬ জন বিলিয়নিয়ার। শুধু তা-ই নয়, মামদানিকে হারাতে তাঁরা সম্মিলিতভাবে প্রায় ২২ মিলিয়ন ডলারের তহবিল দিয়েছিলেন। তবে এত কিছু করেও আটকানো যায়নি মামদানির বিজয়। জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো, নগর পরিচালিত মুদিদোকান, বিনা মূল্যে গণপরিবহন এবং সর্বজনীন শিশুযত্নের মতো প্রগতিশীল নীতি নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে নির্বাচনে বাজিমাত করেছেন তিনি।
ধনিক শ্রেণির প্রবল বিরোধিতার মুখেও মামদানির এই জয় মার্কিন রাজনীতিতে এক নতুন দৃষ্টান্ত। ফোর্বস-এর তথ্য অনুযায়ী, নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ, হেজ ফান্ড ম্যানেজার বিল অ্যাকম্যান, এয়ারবিএনবির সহপ্রতিষ্ঠাতা জো গেবিয়া এবং ইস্টি লন্ডারের উত্তরাধিকারী লডার পরিবারসহ নিউইয়র্কের অন্তত ২৬ জন ধনকুবের মিলে মামদানির প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুমোকে সমর্থন দেন এবং কুমোর নির্বাচনী প্রচারণায় ২২ মিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করেন।
এর মধ্যে ব্লুমবার্গ একাই দেন ৮.৩ মিলিয়ন ডলার, অ্যাকম্যান দেন ১.৭৫ মিলিয়ন, লডার পরিবার ২.৬ মিলিয়ন এবং জন হেজ ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেন। মোট এই তহবিলের অর্ধেকের বেশি, প্রায় ১৩.৬ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছিল মামদানির ডেমোক্রেটিক মনোনয়ন ঠেকাতেই।
মামদানি এক সমাবেশে বলেন, ‘বিল অ্যাকম্যান ও রোনাল্ড লডারের মতো বিলিয়নিয়াররা এই নির্বাচনে মিলিয়ন ডলার ঢেলেছেন। কারণ, তাঁরা বলেন, ‘আমরা তাঁদের অস্তিত্বের হুমকি। আমি স্বীকার করি, তাঁরা ঠিকই বলেছেন।’
তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, যাঁরা আগে মামদানির বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁদের কয়েকজন এখন তাঁকে সমর্থনের বার্তা দিচ্ছেন। এর মধ্যে মামদানির উদ্দেশে সামাজিক মাধ্যমে অ্যাকম্যান লিখেছেন, ‘এখন আপনার বড় দায়িত্ব। নিউইয়র্কের কল্যাণে যদি কিছু করতে পারি, জানাবেন।’
অন্যদিকে ‘জেপি-মরগান চেস’-এর সিইও জেমি ডাইমন একসময় মামদানিকে ‘সোশ্যালিস্টের চেয়ে বেশি মার্ক্সবাদী’ বলেছিলেন। তবে অবস্থান পাল্টে এখন বলছেন, তিনি নতুন মেয়রের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী এবং প্রয়োজনে সহায়তাও করতে প্রস্তুত।
জোহরান মামদানি ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি নিউইয়র্কের মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক সমাজতান্ত্রিক প্রার্থী জোহরান মামদানির প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছিলেন অন্তত ২৬ জন বিলিয়নিয়ার। শুধু তা-ই নয়, মামদানিকে হারাতে তাঁরা সম্মিলিতভাবে প্রায় ২২ মিলিয়ন ডলারের তহবিল দিয়েছিলেন। তবে এত কিছু করেও আটকানো যায়নি মামদানির বিজয়। জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো, নগর পরিচালিত মুদিদোকান, বিনা মূল্যে গণপরিবহন এবং সর্বজনীন শিশুযত্নের মতো প্রগতিশীল নীতি নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে নির্বাচনে বাজিমাত করেছেন তিনি।
ধনিক শ্রেণির প্রবল বিরোধিতার মুখেও মামদানির এই জয় মার্কিন রাজনীতিতে এক নতুন দৃষ্টান্ত। ফোর্বস-এর তথ্য অনুযায়ী, নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ, হেজ ফান্ড ম্যানেজার বিল অ্যাকম্যান, এয়ারবিএনবির সহপ্রতিষ্ঠাতা জো গেবিয়া এবং ইস্টি লন্ডারের উত্তরাধিকারী লডার পরিবারসহ নিউইয়র্কের অন্তত ২৬ জন ধনকুবের মিলে মামদানির প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুমোকে সমর্থন দেন এবং কুমোর নির্বাচনী প্রচারণায় ২২ মিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করেন।
এর মধ্যে ব্লুমবার্গ একাই দেন ৮.৩ মিলিয়ন ডলার, অ্যাকম্যান দেন ১.৭৫ মিলিয়ন, লডার পরিবার ২.৬ মিলিয়ন এবং জন হেজ ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেন। মোট এই তহবিলের অর্ধেকের বেশি, প্রায় ১৩.৬ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছিল মামদানির ডেমোক্রেটিক মনোনয়ন ঠেকাতেই।
মামদানি এক সমাবেশে বলেন, ‘বিল অ্যাকম্যান ও রোনাল্ড লডারের মতো বিলিয়নিয়াররা এই নির্বাচনে মিলিয়ন ডলার ঢেলেছেন। কারণ, তাঁরা বলেন, ‘আমরা তাঁদের অস্তিত্বের হুমকি। আমি স্বীকার করি, তাঁরা ঠিকই বলেছেন।’
তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, যাঁরা আগে মামদানির বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁদের কয়েকজন এখন তাঁকে সমর্থনের বার্তা দিচ্ছেন। এর মধ্যে মামদানির উদ্দেশে সামাজিক মাধ্যমে অ্যাকম্যান লিখেছেন, ‘এখন আপনার বড় দায়িত্ব। নিউইয়র্কের কল্যাণে যদি কিছু করতে পারি, জানাবেন।’
অন্যদিকে ‘জেপি-মরগান চেস’-এর সিইও জেমি ডাইমন একসময় মামদানিকে ‘সোশ্যালিস্টের চেয়ে বেশি মার্ক্সবাদী’ বলেছিলেন। তবে অবস্থান পাল্টে এখন বলছেন, তিনি নতুন মেয়রের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী এবং প্রয়োজনে সহায়তাও করতে প্রস্তুত।
জোহরান মামদানি ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি নিউইয়র্কের মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

রবিনসনের হাইস্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী ২২ বছর বয়সী কিটন ব্রুকসবি বলেন, ‘এটা সত্যিই দুঃখজনক, এত বুদ্ধিমান একজন মানুষ তাঁর মেধার এমন অপব্যবহার করেছেন।’
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। আগামী সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের ঠিক আগে গতকাল বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১ সেকেন্ড আগে
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে জেটেনকে এখন জোট সরকার গঠন করতে হবে, যা নেদারল্যান্ডসের রাজনৈতিক প্রথা অনুযায়ী কয়েক মাস সময় নিতে পারে। দেশটির ১৫০ আসনের সংসদে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় না। ফলে সরকার গঠনের জন্য সমঝোতা ও আলোচনাই মূল চাবিকাঠি।
১ ঘণ্টা আগে
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আজ শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালে একটি মসজিদে পরপর দুটি বিস্ফোরণে অন্তত ৫৫ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে দগ্ধ হয়েছেন এবং শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আজ শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালে একটি মসজিদে পরপর দুটি বিস্ফোরণে অন্তত ৫৫ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে দগ্ধ হয়েছেন এবং শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনতারা জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে পরপর দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি সম্ভাব্য হামলা হিসেবে তদন্ত করছে। এর মধ্যে ১৭ বছর বয়সী এক ছাত্রকে সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলটি ছিল রাজধানীর কেলাপা গ্যাডিং এলাকার একটি স্কুল কমপ্লেক্সের ভেতরের মসজিদ। বিস্ফোরণের সময় মসজিদের ভেতরে শতাধিক মানুষ ছিলেন।
স্কুলের ক্যানটিনে কাজ করছিলেন লুসিয়ানা (৪৩)। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ হলো। আমাদের হৃদ্স্পন্দন বেড়ে গেল, কেউ ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারছিল না। সবাই দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে গেল। একাধিক বিস্ফোরণ হয়েছিল, জানালার কাচ ভেঙে যায়, সবাই আতঙ্কে পালাতে শুরু করে।’
লুসিয়ানা আরও বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো বিদ্যুতের তারে শর্টসার্কিট হয়েছে বা সাউন্ড সিস্টেম বিস্ফোরিত হয়েছে। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছে—বুঝে ওঠার আগেই মসজিদ থেকে সাদা ধোঁয়া উঠতে শুরু করে।’
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার সুফমি দাসকো আহমাদ হাসপাতাল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের জানান, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সন্দেহভাজন ওই ছাত্রও রয়েছে। তাকে বর্তমানে অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তবে তিনি হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি।
ইন্দোনেশিয়ার পুলিশপ্রধান লিস্টিও সিগিট প্রাবোও জানান, সন্দেহভাজন কিশোরটি ওই স্কুলেরই ছাত্র। তার পরিচয়, আগে এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডে সে সম্পৃক্ত কি না ও হামলার সম্ভাব্য উদ্দেশ্য অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছি এবং তার পরিচয়, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, বাড়িঘরসহ সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
বিস্ফোরণের পর পুলিশ মসজিদ ও স্কুল কমপ্লেক্সটি ঘিরে ফেলে এবং এলাকাটি অপরাধস্থল (ক্রাইম সিন) হিসেবে ঘোষণা করে। কালো পোশাক পরা পুলিশ সদস্যরা স্বয়ংক্রিয় রাইফেল হাতে পাহারায় ছিলেন। রাস্তাজুড়ে ছিল অ্যাম্বুলেন্স ও সাঁজোয়া যানবাহন।
জানা গেছে, মসজিদটি নৌবাহিনীর মালিকানাধীন এলাকায় অবস্থিত এবং সেখানে বহু সামরিক কর্মকর্তা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য বাস করেন। স্থানীয় বাসিন্দা ইমানুয়েল তারিগান বলেন, ‘আমার বাচ্চারা ওই স্কুলেই পড়ে। বিস্ফোরণের পর আমি তাদের খুঁজতে গিয়েছিলাম। প্রচণ্ড ভিড় ছিল, অনেক আহত মানুষকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেছি। কারও কারও মুখ পুরোপুরি বিকৃত হয়ে গিয়েছিল।’
ইন্দোনেশিয়ায় চার্চ ও কিছু পশ্চিমা স্থাপনায় হামলার ইতিহাস থাকলেও মসজিদে হামলার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে জঙ্গি তৎপরতা বেড়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আজ শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালে একটি মসজিদে পরপর দুটি বিস্ফোরণে অন্তত ৫৫ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে দগ্ধ হয়েছেন এবং শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনতারা জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে পরপর দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি সম্ভাব্য হামলা হিসেবে তদন্ত করছে। এর মধ্যে ১৭ বছর বয়সী এক ছাত্রকে সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলটি ছিল রাজধানীর কেলাপা গ্যাডিং এলাকার একটি স্কুল কমপ্লেক্সের ভেতরের মসজিদ। বিস্ফোরণের সময় মসজিদের ভেতরে শতাধিক মানুষ ছিলেন।
স্কুলের ক্যানটিনে কাজ করছিলেন লুসিয়ানা (৪৩)। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ হলো। আমাদের হৃদ্স্পন্দন বেড়ে গেল, কেউ ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারছিল না। সবাই দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে গেল। একাধিক বিস্ফোরণ হয়েছিল, জানালার কাচ ভেঙে যায়, সবাই আতঙ্কে পালাতে শুরু করে।’
লুসিয়ানা আরও বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো বিদ্যুতের তারে শর্টসার্কিট হয়েছে বা সাউন্ড সিস্টেম বিস্ফোরিত হয়েছে। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছে—বুঝে ওঠার আগেই মসজিদ থেকে সাদা ধোঁয়া উঠতে শুরু করে।’
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার সুফমি দাসকো আহমাদ হাসপাতাল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের জানান, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সন্দেহভাজন ওই ছাত্রও রয়েছে। তাকে বর্তমানে অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তবে তিনি হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি।
ইন্দোনেশিয়ার পুলিশপ্রধান লিস্টিও সিগিট প্রাবোও জানান, সন্দেহভাজন কিশোরটি ওই স্কুলেরই ছাত্র। তার পরিচয়, আগে এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডে সে সম্পৃক্ত কি না ও হামলার সম্ভাব্য উদ্দেশ্য অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছি এবং তার পরিচয়, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, বাড়িঘরসহ সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
বিস্ফোরণের পর পুলিশ মসজিদ ও স্কুল কমপ্লেক্সটি ঘিরে ফেলে এবং এলাকাটি অপরাধস্থল (ক্রাইম সিন) হিসেবে ঘোষণা করে। কালো পোশাক পরা পুলিশ সদস্যরা স্বয়ংক্রিয় রাইফেল হাতে পাহারায় ছিলেন। রাস্তাজুড়ে ছিল অ্যাম্বুলেন্স ও সাঁজোয়া যানবাহন।
জানা গেছে, মসজিদটি নৌবাহিনীর মালিকানাধীন এলাকায় অবস্থিত এবং সেখানে বহু সামরিক কর্মকর্তা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য বাস করেন। স্থানীয় বাসিন্দা ইমানুয়েল তারিগান বলেন, ‘আমার বাচ্চারা ওই স্কুলেই পড়ে। বিস্ফোরণের পর আমি তাদের খুঁজতে গিয়েছিলাম। প্রচণ্ড ভিড় ছিল, অনেক আহত মানুষকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেছি। কারও কারও মুখ পুরোপুরি বিকৃত হয়ে গিয়েছিল।’
ইন্দোনেশিয়ায় চার্চ ও কিছু পশ্চিমা স্থাপনায় হামলার ইতিহাস থাকলেও মসজিদে হামলার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে জঙ্গি তৎপরতা বেড়েছে।

রবিনসনের হাইস্কুলের প্রাক্তন সহপাঠী ২২ বছর বয়সী কিটন ব্রুকসবি বলেন, ‘এটা সত্যিই দুঃখজনক, এত বুদ্ধিমান একজন মানুষ তাঁর মেধার এমন অপব্যবহার করেছেন।’
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। আগামী সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের ঠিক আগে গতকাল বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১ সেকেন্ড আগে
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে জেটেনকে এখন জোট সরকার গঠন করতে হবে, যা নেদারল্যান্ডসের রাজনৈতিক প্রথা অনুযায়ী কয়েক মাস সময় নিতে পারে। দেশটির ১৫০ আসনের সংসদে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় না। ফলে সরকার গঠনের জন্য সমঝোতা ও আলোচনাই মূল চাবিকাঠি।
১ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক সমাজতান্ত্রিক প্রার্থী জোহরান মামদানির প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছিলেন অন্তত ২৬ জন বিলিয়নিয়ার। শুধু তা-ই নয়, মামদানিকে হারাতে তাঁরা সম্মিলিতভাবে প্রায় ২২ মিলিয়ন ডলারের তহবিল দিয়েছিলেন।
২ ঘণ্টা আগে