ইউক্রেনে শান্তি স্থাপনের উপায় খুঁজে বের করতে গত জুনে সুইজারল্যান্ডের বার্গেনস্টকে দুই দিনব্যাপী এক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি ‘সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি’ খুঁজে বের করার লক্ষ্যে আয়োজিত এই সম্মেলনে ৭৮ টির বেশি দেশ অংশ নেয়। তবে রাশিয়াকে এতে আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। চলতি বছরই দ্বিতীয় শান্তি সম্মেলন আয়োজনের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে ইউক্রেন। দেশটির মিত্র জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস জানিয়েছেন, আসন্ন সম্মেলনে রাশিয়ার অংশগ্রহণের পক্ষপাতী তিনি।
জার্মানির জেডডিএফ টেলিভিশনে গত রোববার সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ওলাফ শলৎস। তিনি বলেন, বিদ্যমান যুদ্ধাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আলোচনার সময় এসেছে। সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ হয়েছে। তিনিও আসন্ন ইউক্রেন শান্তি সম্মেলনে রাশিয়াকে যুক্ত করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
জার্মানির সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, দেশটিতে সাম্প্রতিক দুই আঞ্চলিক নির্বাচনে জোট সরকারের তিন শরিক দলের শোচনীয় ফলাফলের পেছনে ইউক্রেন যুদ্ধে জার্মানির ভূমিকা সম্পর্কে মানুষের ক্ষোভকে অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আক্রান্ত দেশ হিসেবে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার পাশাপাশি ওলাফ শলৎসের সরকার যথেষ্ট কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তির কোনো প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠছে। বিশেষ করে মস্কোর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত চরম দক্ষিণপন্থী দল এএফডি ও বাম রক্ষণশীল বিএসডব্লিউ মানুষের মনে সেই মনোভাবের ফায়দা তুলে নির্বাচনে ভালো ফল করেছে। এমনকি ওলাফ শলৎসের নিজ দল এসপিডির একাংশও এ ইস্যুতে আরও কূটনৈতিক তৎপরতা প্রত্যাশা করছে।
গত ১৫ ও ১৬ জুন সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত প্রথম ইউক্রেন শান্তি সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো ইউক্রেনের ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন জানালেও সেই লক্ষ্য অর্জনের পথ সম্পর্কে কোনো ঐকমত্যে আসতে পারেনি। সম্মেলন শেষে দেওয়া চূড়ান্ত ঘোষণার বিষয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান নেয় ইন্দোনেশিয়া, লিবিয়া, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১৬ টির বেশি রাষ্ট্র ও সংস্থা।
ওই ঘোষণা নিয়ে ভিন্নমত সত্ত্বেও অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে সুইস প্রেসিডেন্ট ভায়োলা আমহার্ড বলেন, ‘আমরা একটি সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গিতে এক হতে পেরেছি। এর মাধ্যমে আমরা ইউক্রেনের জনগণ ও যুদ্ধে সরাসরিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সবার কাছে এই স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশ পরিবর্তন আনতে চায়।’
চূড়ান্ত ঘোষণায় ভায়োলা আমহার্ড তিনটি বিষয় উল্লেখ করেন, যেগুলো নিয়ে রাষ্ট্রগুলো কাজ করবে। প্রথমত, পারমাণবিক শক্তি ও পারমাণবিক স্থাপনার যেকোনো ব্যবহার অবশ্যই নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং পরিবেশের জন্য ভালো হতে হবে। দ্বিতীয়ত, খাদ্যনিরাপত্তাকে কোনোভাবেই অস্ত্রের মতো ব্যবহার করা যাবে না। বন্দরের বাণিজ্যিক জাহাজে ও পুরো রুটের পাশাপাশি বেসামরিক বন্দর ও বেসামরিক বন্দর অবকাঠামোর ওপর হামলা অগ্রহণযোগ্য। তৃতীয়ত, সব যুদ্ধবন্দীকে অবশ্যই একটি পূর্ণাঙ্গ বিনিময়ের মাধ্যমে মুক্তি দিতে হবে। সব নির্বাসিত ও বেআইনিভাবে বাস্তুচ্যুত ইউক্রেনীয় শিশু এবং বেআইনিভাবে আটক ছিল—এমন অন্য সব ইউক্রেনীয় বেসামরিককে অবশ্যই ইউক্রেনে ফিরিয়ে দিতে হবে।’
সম্মেলনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ১০ দফা ফর্মুলা তুলে ধরেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। এতে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সব সেনা তাড়িয়ে দেওয়া এবং সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের মতো বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া হয়।
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে ইউক্রেনের জন্য সহায়তার তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জার্মানি। দেশটির চ্যান্সেলর শলৎস যত দিন প্রয়োজন, তত দিন পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রতি সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
ইউক্রেনে শান্তি স্থাপনের উপায় খুঁজে বের করতে গত জুনে সুইজারল্যান্ডের বার্গেনস্টকে দুই দিনব্যাপী এক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি ‘সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি’ খুঁজে বের করার লক্ষ্যে আয়োজিত এই সম্মেলনে ৭৮ টির বেশি দেশ অংশ নেয়। তবে রাশিয়াকে এতে আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। চলতি বছরই দ্বিতীয় শান্তি সম্মেলন আয়োজনের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে ইউক্রেন। দেশটির মিত্র জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস জানিয়েছেন, আসন্ন সম্মেলনে রাশিয়ার অংশগ্রহণের পক্ষপাতী তিনি।
জার্মানির জেডডিএফ টেলিভিশনে গত রোববার সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ওলাফ শলৎস। তিনি বলেন, বিদ্যমান যুদ্ধাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আলোচনার সময় এসেছে। সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এ নিয়ে আলাপ হয়েছে। তিনিও আসন্ন ইউক্রেন শান্তি সম্মেলনে রাশিয়াকে যুক্ত করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
জার্মানির সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, দেশটিতে সাম্প্রতিক দুই আঞ্চলিক নির্বাচনে জোট সরকারের তিন শরিক দলের শোচনীয় ফলাফলের পেছনে ইউক্রেন যুদ্ধে জার্মানির ভূমিকা সম্পর্কে মানুষের ক্ষোভকে অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আক্রান্ত দেশ হিসেবে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার পাশাপাশি ওলাফ শলৎসের সরকার যথেষ্ট কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তির কোনো প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠছে। বিশেষ করে মস্কোর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত চরম দক্ষিণপন্থী দল এএফডি ও বাম রক্ষণশীল বিএসডব্লিউ মানুষের মনে সেই মনোভাবের ফায়দা তুলে নির্বাচনে ভালো ফল করেছে। এমনকি ওলাফ শলৎসের নিজ দল এসপিডির একাংশও এ ইস্যুতে আরও কূটনৈতিক তৎপরতা প্রত্যাশা করছে।
গত ১৫ ও ১৬ জুন সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত প্রথম ইউক্রেন শান্তি সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো ইউক্রেনের ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন জানালেও সেই লক্ষ্য অর্জনের পথ সম্পর্কে কোনো ঐকমত্যে আসতে পারেনি। সম্মেলন শেষে দেওয়া চূড়ান্ত ঘোষণার বিষয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান নেয় ইন্দোনেশিয়া, লিবিয়া, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১৬ টির বেশি রাষ্ট্র ও সংস্থা।
ওই ঘোষণা নিয়ে ভিন্নমত সত্ত্বেও অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে সুইস প্রেসিডেন্ট ভায়োলা আমহার্ড বলেন, ‘আমরা একটি সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গিতে এক হতে পেরেছি। এর মাধ্যমে আমরা ইউক্রেনের জনগণ ও যুদ্ধে সরাসরিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সবার কাছে এই স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশ পরিবর্তন আনতে চায়।’
চূড়ান্ত ঘোষণায় ভায়োলা আমহার্ড তিনটি বিষয় উল্লেখ করেন, যেগুলো নিয়ে রাষ্ট্রগুলো কাজ করবে। প্রথমত, পারমাণবিক শক্তি ও পারমাণবিক স্থাপনার যেকোনো ব্যবহার অবশ্যই নিরাপদ, সুরক্ষিত এবং পরিবেশের জন্য ভালো হতে হবে। দ্বিতীয়ত, খাদ্যনিরাপত্তাকে কোনোভাবেই অস্ত্রের মতো ব্যবহার করা যাবে না। বন্দরের বাণিজ্যিক জাহাজে ও পুরো রুটের পাশাপাশি বেসামরিক বন্দর ও বেসামরিক বন্দর অবকাঠামোর ওপর হামলা অগ্রহণযোগ্য। তৃতীয়ত, সব যুদ্ধবন্দীকে অবশ্যই একটি পূর্ণাঙ্গ বিনিময়ের মাধ্যমে মুক্তি দিতে হবে। সব নির্বাসিত ও বেআইনিভাবে বাস্তুচ্যুত ইউক্রেনীয় শিশু এবং বেআইনিভাবে আটক ছিল—এমন অন্য সব ইউক্রেনীয় বেসামরিককে অবশ্যই ইউক্রেনে ফিরিয়ে দিতে হবে।’
সম্মেলনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ১০ দফা ফর্মুলা তুলে ধরেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। এতে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সব সেনা তাড়িয়ে দেওয়া এবং সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের মতো বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া হয়।
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে ইউক্রেনের জন্য সহায়তার তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জার্মানি। দেশটির চ্যান্সেলর শলৎস যত দিন প্রয়োজন, তত দিন পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রতি সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের কিছু এলাকা ফেরত আনার চেষ্টা করবেন তিনি। আগামী শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের মূল ভূমির বড় অংশ দখল করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত মনটক এলাকাটি একসময় ছিল শান্তশিষ্ট ছেলেদের একটি গ্রাম। এখন অবশ্য তা রূপ নিয়েছে বিলাসবহুল ছুটি কাটানোর কেন্দ্রস্থলে। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিড় এবং জমজমাট রাতের জীবন এলাকাটির পুরোনো চেহারা দ্রুত বদলে দিচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগেএভারেস্টের ভিড় কমাতে নেপাল সরকার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের দুর্গম ও অনাবিষ্কৃত আরও ৯৭টি শৃঙ্গ পর্বতারোহীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, নতুন উদ্যোগের ফলে এভারেস্টের ওপর চাপ কমবে এবং পর্যটন থেকে আয় দূরবর্তী দরিদ্র অঞ্চলেও পৌঁছাবে।
৮ ঘণ্টা আগেরাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে গৃহহীন মানুষদের উচ্ছেদ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানীতে কয়েক শ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।
১১ ঘণ্টা আগে