কলকাতা প্রতিনিধি
ভারতে ধর্মীয় পরিচয়ের নামে উসকানিমূলক প্রচারণার ফলে দেশজুড়ে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, পরিকল্পিতভাবে বিভাজনের রাজনীতি সামনে আনা হচ্ছে এবং এই ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত হয়ে উঠেছে।
প্রথমে দক্ষিণ ভারতের কিছু শহরে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ লেখা পোস্টার দেখা যায়, যা স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই রাতারাতি বিভিন্ন দেয়ালে সেঁটে দেওয়া হয়। এর পাল্টা জবাব আসে উত্তর ভারত থেকে, যেখানে ‘আই লাভ মহাকাল’ ও ‘আই লাভ মহাদেব’ লেখা পোস্টার প্রচার শুরু হয়। কিছু জায়গায় পাশাপাশি দুই ধরনের পোস্টার সেঁটে দেওয়া হয় এবং পাল্টাপাল্টি শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা বাড়ে।
এই উত্তেজনার জেরে উত্তর প্রদেশের মেরঠ, সাহারানপুর, বাগপত ও আলিগড়ে দুপক্ষের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মেরঠে হাতাহাতি ও ভাঙচুরের পর পুলিশকে লাঠিপেটা করতে হয়। সাহারানপুরে বাজার এলাকায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং আলিগড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র বাগ্বিতণ্ডা হয়।
মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়ন, ভোপাল ও ইন্দোরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। উজ্জয়নে ‘আই লাভ মহাকাল’ স্লোগান নিয়ে বিশাল মিছিল বের হয়, যার প্রতিক্রিয়ায় মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ পাল্টা স্লোগান দেয়। এমনকি ভোপালে দুটি মসজিদের সামনে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়।
মহারাষ্ট্রের মুম্বাই ও পুনেতে সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই এই বিতর্ক শুরু হয়। মুম্বাইয়ে মিছিল হয় এবং পুনেতে সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে।
এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, ‘দেশে পরিকল্পিতভাবে বিভেদ ছড়ানো হচ্ছে। বিজেপি নেতারা এই ইস্যুকে উসকে দিয়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজন গভীর করছেন।’
সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব ও আবু আজমিসহ অনেকেই বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম, বেকারত্ব ও কৃষকদের সমস্যা থেকে মানুষের মনোযোগ সরাতে বিজেপি ইচ্ছে করেই ধর্মীয় উত্তেজনা তৈরি করছে।
তবে বিজেপির নেতারা ভিন্ন সুরে কথা বলছেন। তাঁদের মতে, কেউ যদি ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ বলতে পারে, তবে হিন্দুরাও নিশ্চিন্তে ‘আই লাভ মহাদেব’ বলতে পারে। তাঁরা এটিকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে দাবি করছেন।
কংগ্রেস তুলনামূলকভাবে নরম ভূমিকা নিয়েছে। এ দলের নেতারা বলেন, ধর্মীয় অনুভূতি প্রকাশ করা যেতে পারে, তবে তা যদি অন্য সম্প্রদায়ের আবেগে আঘাত হানে, তবে তা অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপির কৌশল এখানে স্পষ্ট। তারা জানে যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা নিয়ে আলোচনায় গেলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ তাদের বিরুদ্ধেই যাবে। তাই ভোটের আগে বিভাজনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ বনাম ‘আই লাভ মহাদেব’—এই বিতর্ককে বিজেপি ভোট মেরুকরণের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
অনেক স্থানে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কোথাও পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে, আবার কোথাও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের অভিযোগ, আলিগড়ে পুলিশ তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা প্রদান করেছে। অন্যদিকে, হিন্দু সংগঠনগুলোর দাবি, মুসলিমরা জোর করে মহাকালের পোস্টার ছিঁড়েছে।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এই ধরনের স্লোগান ব্যক্তিগত পর্যায়ে থাকলে সমস্যা হতো না। কিন্তু যখন রাজনৈতিক দলগুলো এটিকে পরিকল্পিতভাবে রাস্তায় নিয়ে আসে, তখন তা সংঘাতে রূপ নেয়।
সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হলো, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ইস্যু নিয়ে ভুয়ো খবর ও উসকানিমূলক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি বাড়াচ্ছে। এই বিতর্ক এখন কেবল ধর্মীয় আবেগের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এটি সরাসরি রাজনীতির অংশ হয়ে গেছে। বিজেপি এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে এবং বিরোধীরা বিভাজন ঠেকাতে পারছে না।
ভারতে ধর্মীয় পরিচয়ের নামে উসকানিমূলক প্রচারণার ফলে দেশজুড়ে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, পরিকল্পিতভাবে বিভাজনের রাজনীতি সামনে আনা হচ্ছে এবং এই ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত হয়ে উঠেছে।
প্রথমে দক্ষিণ ভারতের কিছু শহরে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ লেখা পোস্টার দেখা যায়, যা স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই রাতারাতি বিভিন্ন দেয়ালে সেঁটে দেওয়া হয়। এর পাল্টা জবাব আসে উত্তর ভারত থেকে, যেখানে ‘আই লাভ মহাকাল’ ও ‘আই লাভ মহাদেব’ লেখা পোস্টার প্রচার শুরু হয়। কিছু জায়গায় পাশাপাশি দুই ধরনের পোস্টার সেঁটে দেওয়া হয় এবং পাল্টাপাল্টি শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা বাড়ে।
এই উত্তেজনার জেরে উত্তর প্রদেশের মেরঠ, সাহারানপুর, বাগপত ও আলিগড়ে দুপক্ষের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মেরঠে হাতাহাতি ও ভাঙচুরের পর পুলিশকে লাঠিপেটা করতে হয়। সাহারানপুরে বাজার এলাকায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং আলিগড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র বাগ্বিতণ্ডা হয়।
মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়ন, ভোপাল ও ইন্দোরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। উজ্জয়নে ‘আই লাভ মহাকাল’ স্লোগান নিয়ে বিশাল মিছিল বের হয়, যার প্রতিক্রিয়ায় মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশ পাল্টা স্লোগান দেয়। এমনকি ভোপালে দুটি মসজিদের সামনে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়।
মহারাষ্ট্রের মুম্বাই ও পুনেতে সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই এই বিতর্ক শুরু হয়। মুম্বাইয়ে মিছিল হয় এবং পুনেতে সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে।
এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, ‘দেশে পরিকল্পিতভাবে বিভেদ ছড়ানো হচ্ছে। বিজেপি নেতারা এই ইস্যুকে উসকে দিয়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজন গভীর করছেন।’
সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব ও আবু আজমিসহ অনেকেই বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম, বেকারত্ব ও কৃষকদের সমস্যা থেকে মানুষের মনোযোগ সরাতে বিজেপি ইচ্ছে করেই ধর্মীয় উত্তেজনা তৈরি করছে।
তবে বিজেপির নেতারা ভিন্ন সুরে কথা বলছেন। তাঁদের মতে, কেউ যদি ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ বলতে পারে, তবে হিন্দুরাও নিশ্চিন্তে ‘আই লাভ মহাদেব’ বলতে পারে। তাঁরা এটিকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে দাবি করছেন।
কংগ্রেস তুলনামূলকভাবে নরম ভূমিকা নিয়েছে। এ দলের নেতারা বলেন, ধর্মীয় অনুভূতি প্রকাশ করা যেতে পারে, তবে তা যদি অন্য সম্প্রদায়ের আবেগে আঘাত হানে, তবে তা অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপির কৌশল এখানে স্পষ্ট। তারা জানে যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা নিয়ে আলোচনায় গেলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ তাদের বিরুদ্ধেই যাবে। তাই ভোটের আগে বিভাজনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ বনাম ‘আই লাভ মহাদেব’—এই বিতর্ককে বিজেপি ভোট মেরুকরণের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
অনেক স্থানে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কোথাও পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে, আবার কোথাও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের অভিযোগ, আলিগড়ে পুলিশ তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা প্রদান করেছে। অন্যদিকে, হিন্দু সংগঠনগুলোর দাবি, মুসলিমরা জোর করে মহাকালের পোস্টার ছিঁড়েছে।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এই ধরনের স্লোগান ব্যক্তিগত পর্যায়ে থাকলে সমস্যা হতো না। কিন্তু যখন রাজনৈতিক দলগুলো এটিকে পরিকল্পিতভাবে রাস্তায় নিয়ে আসে, তখন তা সংঘাতে রূপ নেয়।
সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হলো, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ইস্যু নিয়ে ভুয়ো খবর ও উসকানিমূলক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি বাড়াচ্ছে। এই বিতর্ক এখন কেবল ধর্মীয় আবেগের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এটি সরাসরি রাজনীতির অংশ হয়ে গেছে। বিজেপি এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে এবং বিরোধীরা বিভাজন ঠেকাতে পারছে না।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে শুক্রবার দেওয়া বক্তব্যে ঘোষণা করেছেন—গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে ‘কাজ শেষ করতেই হবে’। তাঁর এই মন্তব্য এমন সময় এল, যখন একাধিক পশ্চিমা দেশ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে ইসরায়েল ক্রমবর্ধমানভাবে
১ ঘণ্টা আগেকানাডায় গ্রেপ্তারের এক সপ্তাহের মধ্যেই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী ইন্দরজিৎ সিং গোসাল। কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পরই তিনি ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী গুরপতবন্ত সিং পান্নুন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে হুমকি দিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালে এক অদ্ভুত বিবাহবিচ্ছেদের মামলা নিয়ে সরগরম আদালত। মাত্র ৯ মাস আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসা এক দম্পতি এখন আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ, তাঁদের পোষা কুকুর ও বিড়াল একে অপরের সঙ্গে মোটেও মানিয়ে নিতে পারছে না।
২ ঘণ্টা আগেদুটি নিরাপত্তা সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, আগুনের সূত্রপাত বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে। এর ফলে আগুনের শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ভবনের ওপরের তলায় থাকা একটি বয়লারে বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ভবনের একাংশ ধসে পড়ে।
২ ঘণ্টা আগে