যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার গোপন তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার চাঞ্চল্যকর নায়ক এডওয়ার্ড স্নোডেন রাশিয়ার নাগরিক হিসেবে শপথ নিয়েছেন। রাশিয়া তাঁকে একটি পাসপোর্টও দিয়েছে। স্নোডেনের আইনজীবী গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফক্স জানিয়েছে, এডওয়ার্ড স্নোডেনের আইনজীবী আনাতোলি কুচেরেনা বলেছেন, এডওয়ার্ড গতকাল রাশিয়ার পাসপোর্ট পেয়েছেন এবং আইন অনুযায়ী শপথ নিয়েছেন। এ জন্য তিনি ভীষণ আনন্দিত এবং রুশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, রাশিয়ার সংবিধানমতে, তাঁকে আর কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা যাবে না।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাসপোর্ট গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে স্নোডেন রুশ আনুগত্যের শপথ নিয়েছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে কোনো বিদেশি যখন রাশিয়ান নাগরিক হন, তখন দুটি সাধারণ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। প্রথমত, রুশ ফেডারেশনের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য রাশিয়ার প্রতি অনুগত থাকা ও দেশটির ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সম্মান করা এবং দ্বিতীয়ত, সমাজ ও রাষ্ট্রের ভালোর জন্য একজন রুশ নাগরিকের দায়িত্ব পালন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া।
স্নোডেনের আইনজীবী আনাতোলি কুচেরেনা বলেছেন, স্নোডেনের স্ত্রী লিন্ডসে মিলসও রাশিয়ার নাগরিকত্বের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাঁর আবেদন গৃহীত হলে এই দম্পতির সন্তানেরা রাশিয়ার স্কুলে যাবে। কুচেরেনা জানিয়েছেন, তিনি তাঁর মক্কেলের সঙ্গে প্রধানত ইংরেজিতে যোগাযোগ করেছেন। তবে স্নোডেন অল্পবিস্তর রুশ ভাষাও বলতে পারেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত সেপ্টেম্বরে একটি ডিক্রি জারি করে ৭২ জন বিদেশিকে নাগরিকত্ব দিয়েছেন। তার মধ্যে স্নোডেনও ছিলেন। পুতিন বলেছেন, ‘স্নোডেন বিশ্বাসঘাতক ছিলেন না। তিনি তাঁর দেশের স্বার্থের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি।’
রুশ নাগরিকত্ব পাওয়ার পর স্নোডেন এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী বহু বছর ধরে আমাদের মা-বাবার কাছে থেকে দূরে আছি। আমরা আমাদের ছেলের কাছে থেকে দূরে থাকতে চাই না। দীর্ঘ ১০ বছরের নির্বাসিত জীবনের পর আমরা একটু স্থিতিশীলতা চাই। এ জন্য আমার গোটা পরিবার নিয়ে দুই বছর ধরে অপেক্ষা করছি। আমি আমার পরিবারসহ সব মানুষের গোপনীয়তার জন্য প্রার্থনা করি।’
২০১৩ সালে মার্কিন গোপন নজরদারির বিভিন্ন তথ্য ফাঁস করে দুনিয়াজুড়ে আলোড়ন তুলেছিলেন স্নোডেন। এর পর থেকেই স্নোডেন পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন নিজ দেশ থেকে। একপর্যায়ে রাশিয়া তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিল। পরে ২০২০ সালে তাঁকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেয় রাশিয়া। তখন স্নোডেনের আইনজীবী বলেছিলেন, ‘এডওয়ার্ড স্নোডেন তাঁর মার্কিন নাগরিকত্ব ত্যাগ না করেই রাশিয়ার পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন।’
দ্বৈত নাগরিকত্ব চাওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে স্নোডেন তখন এক টুইটার পোস্টে বলেছিলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে আমার ছেলের দূরত্ব তৈরি হওয়া ঠেকানো প্রয়োজন। এ জন্য এই মহামারি ও বন্ধ সীমান্তের যুগে আমি ও আমার স্ত্রী দ্বৈত নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করেছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার গোপন তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার চাঞ্চল্যকর নায়ক এডওয়ার্ড স্নোডেন রাশিয়ার নাগরিক হিসেবে শপথ নিয়েছেন। রাশিয়া তাঁকে একটি পাসপোর্টও দিয়েছে। স্নোডেনের আইনজীবী গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফক্স জানিয়েছে, এডওয়ার্ড স্নোডেনের আইনজীবী আনাতোলি কুচেরেনা বলেছেন, এডওয়ার্ড গতকাল রাশিয়ার পাসপোর্ট পেয়েছেন এবং আইন অনুযায়ী শপথ নিয়েছেন। এ জন্য তিনি ভীষণ আনন্দিত এবং রুশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, রাশিয়ার সংবিধানমতে, তাঁকে আর কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা যাবে না।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাসপোর্ট গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে স্নোডেন রুশ আনুগত্যের শপথ নিয়েছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে কোনো বিদেশি যখন রাশিয়ান নাগরিক হন, তখন দুটি সাধারণ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। প্রথমত, রুশ ফেডারেশনের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য রাশিয়ার প্রতি অনুগত থাকা ও দেশটির ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সম্মান করা এবং দ্বিতীয়ত, সমাজ ও রাষ্ট্রের ভালোর জন্য একজন রুশ নাগরিকের দায়িত্ব পালন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া।
স্নোডেনের আইনজীবী আনাতোলি কুচেরেনা বলেছেন, স্নোডেনের স্ত্রী লিন্ডসে মিলসও রাশিয়ার নাগরিকত্বের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাঁর আবেদন গৃহীত হলে এই দম্পতির সন্তানেরা রাশিয়ার স্কুলে যাবে। কুচেরেনা জানিয়েছেন, তিনি তাঁর মক্কেলের সঙ্গে প্রধানত ইংরেজিতে যোগাযোগ করেছেন। তবে স্নোডেন অল্পবিস্তর রুশ ভাষাও বলতে পারেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত সেপ্টেম্বরে একটি ডিক্রি জারি করে ৭২ জন বিদেশিকে নাগরিকত্ব দিয়েছেন। তার মধ্যে স্নোডেনও ছিলেন। পুতিন বলেছেন, ‘স্নোডেন বিশ্বাসঘাতক ছিলেন না। তিনি তাঁর দেশের স্বার্থের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি।’
রুশ নাগরিকত্ব পাওয়ার পর স্নোডেন এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী বহু বছর ধরে আমাদের মা-বাবার কাছে থেকে দূরে আছি। আমরা আমাদের ছেলের কাছে থেকে দূরে থাকতে চাই না। দীর্ঘ ১০ বছরের নির্বাসিত জীবনের পর আমরা একটু স্থিতিশীলতা চাই। এ জন্য আমার গোটা পরিবার নিয়ে দুই বছর ধরে অপেক্ষা করছি। আমি আমার পরিবারসহ সব মানুষের গোপনীয়তার জন্য প্রার্থনা করি।’
২০১৩ সালে মার্কিন গোপন নজরদারির বিভিন্ন তথ্য ফাঁস করে দুনিয়াজুড়ে আলোড়ন তুলেছিলেন স্নোডেন। এর পর থেকেই স্নোডেন পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন নিজ দেশ থেকে। একপর্যায়ে রাশিয়া তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিল। পরে ২০২০ সালে তাঁকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেয় রাশিয়া। তখন স্নোডেনের আইনজীবী বলেছিলেন, ‘এডওয়ার্ড স্নোডেন তাঁর মার্কিন নাগরিকত্ব ত্যাগ না করেই রাশিয়ার পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন।’
দ্বৈত নাগরিকত্ব চাওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে স্নোডেন তখন এক টুইটার পোস্টে বলেছিলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে আমার ছেলের দূরত্ব তৈরি হওয়া ঠেকানো প্রয়োজন। এ জন্য এই মহামারি ও বন্ধ সীমান্তের যুগে আমি ও আমার স্ত্রী দ্বৈত নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন করেছি।’
বিয়ের আগে অনেকেই জীবনের সঙ্গীকে খুঁজে পান। কিন্তু নিউইয়র্কের মিশের ফক্স খুঁজে পেলেন জীবনের সঙ্গীর পাশাপাশি এক অমূল্য হিরাও। ৩১ বছর বয়সী ফক্স দুই বছর আগে সিদ্ধান্ত নেন, নিজের বিয়ের আংটির জন্য হিরা তিনি নিজেই খুঁজে বের করবেন। আর এর জন্য তিনি পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় যেতে প্রস্তুত ছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির ৭৬ বছর বয়সী থংবুয়ে ওংবানডু (ডাকনাম ‘বু’) একদিন হঠাৎ একদিন পরিবারকে জানালেন, তিনি নিউইয়র্কে এক পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। বৃদ্ধের মুখে এই কথা শুনে তাঁর স্ত্রী লিন্ডা কিছুটা অবাকই হলেন—কারণ, বহু বছর আগে নিউইয়র্ক ছেড়ে আসা বু সেখানে কাউকেই চিনতেন না।
৬ ঘণ্টা আগেকাশ্মীরের কিসতওয়ার জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম চশোতি আজ পরিণত হয়েছে এক ভয়াবহ মৃত্যুকূপে। দুপুরের পর হঠাৎ করেই ঘটে যায় প্রবল ক্লাউডবার্স্ট। মুহূর্তের মধ্যেই পাহাড়ি ঝরনাগুলো দানবীয় রূপে নেমে আসে গ্রাম ও তার আশপাশে। জল, কাদা, পাথর মিশে তৈরি হয় এক অপ্রতিরোধ্য ধ্বংস স্রোত।
৭ ঘণ্টা আগেএ বৈঠক ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, অতীতের মতো পুতিনের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবাপন্ন ট্রাম্প নাকি সম্প্রতি কঠোর অবস্থান নেওয়া ট্রাম্প বৈঠকে উপস্থিত হবেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ২০১৮ সালে হেলসিঙ্কিতে পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকটি বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল।
৭ ঘণ্টা আগে