অনলাইন ডেস্ক
ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরের বিরুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘কেবল প্রচারের উদ্দেশ্যে’ এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার করেছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার পুতিন অপ্রত্যাশিতভাবে তাঁর সেনাবাহিনীকে শনিবার মস্কো সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার মধ্যরাত (ইস্টার্ন সময় বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৫টা) পর্যন্ত সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন। পুতিনের এই নির্দেশে ইউক্রেন সন্দেহ প্রকাশ করলেও পরবর্তী সময় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। কিন্তু এরপরেই অভিযোগ উঠেছে, ইস্টার সানডে উপলক্ষে এই সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে উভয় পক্ষ।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই ঘোষণার পেছনে পুতিনের কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি আলোচনা থেকে সরে যাওয়ার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। যাতে মনে হয়, তিনি শান্তি আলোচনায় আগ্রহী।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানান, এক দিন আগে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও স্থানীয় সময় রোববার সকাল ১০টা থেকে রাশিয়ার গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলা বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে, হয় পুতিনের সেনাবাহিনীর ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই, না হয় রাশিয়া আসলে যুদ্ধ বন্ধে আন্তরিক নয়—তাদের শুধু প্রচার চাই।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে জেলেনস্কি লেখেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত রাশিয়া ৩৮৭ বার গোলাবর্ষণ ও ১৯ বার আক্রমণ চালিয়েছে।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল ওলেক্সান্দ্র সিরস্কির রিপোর্ট উদ্ধৃত করে জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়ান সেনাবাহিনী সামগ্রিকভাবে যুদ্ধবিরতির একটা আবহ তৈরি করার চেষ্টা করলেও কিছু অঞ্চলে আক্রমণ ও ক্ষয়ক্ষতি চালিয়ে যাচ্ছে।’
অন্যদিকে, রাশিয়া দাবি করেছে, শনিবার সন্ধ্যা থেকে ইউক্রেন শতাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, তারা শনিবার সন্ধ্যা থেকে প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে ‘কঠোরভাবে’ যুদ্ধবিরতি মেনে চলেছে। কিন্তু ইউক্রেন ১ হাজারবারের বেশি এটি লঙ্ঘন করেছে। তাদের বক্তব্য, ইউক্রেন রাশিয়ার বিভিন্ন স্থানে ৪৪৪ বার গুলি চালিয়েছে, ৯০০-এর বেশি ড্রোন হামলা করেছে। এতে অসংখ্য বেসামরিক নাগরিক হতাহত ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবনা অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি ৩০ দিন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তবে রাশিয়া ইতিমধ্যে তাঁর এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণ সীমিত রাখবে, তবে প্রথমে আক্রান্ত হলে জবাব দেবে। মাঠপর্যায়ের এক কমান্ডার সতর্ক করে বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছে রাশিয়ানদের ওপর গুলি কমাতে। তারা যদি আক্রমণ বা উত্তেজনা না বাড়ায়, আমরা গুলি করব না। কিন্তু তারা যদি গুলি করে, আমরা জবাব দেব।’
এদিকে পুতিনও বলেছেন, এই যুদ্ধবিরতি মানবিক কারণে। কিন্তু কোনো কারণে তারা যদি হামলা চালায়, তবে তাঁর সেনারা এর কঠিন জবাব দেবে।
ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরের বিরুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘কেবল প্রচারের উদ্দেশ্যে’ এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার করেছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার পুতিন অপ্রত্যাশিতভাবে তাঁর সেনাবাহিনীকে শনিবার মস্কো সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার মধ্যরাত (ইস্টার্ন সময় বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৫টা) পর্যন্ত সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন। পুতিনের এই নির্দেশে ইউক্রেন সন্দেহ প্রকাশ করলেও পরবর্তী সময় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। কিন্তু এরপরেই অভিযোগ উঠেছে, ইস্টার সানডে উপলক্ষে এই সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে উভয় পক্ষ।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই ঘোষণার পেছনে পুতিনের কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি আলোচনা থেকে সরে যাওয়ার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই সাময়িক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। যাতে মনে হয়, তিনি শান্তি আলোচনায় আগ্রহী।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানান, এক দিন আগে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও স্থানীয় সময় রোববার সকাল ১০টা থেকে রাশিয়ার গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলা বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে, হয় পুতিনের সেনাবাহিনীর ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই, না হয় রাশিয়া আসলে যুদ্ধ বন্ধে আন্তরিক নয়—তাদের শুধু প্রচার চাই।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে জেলেনস্কি লেখেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত রাশিয়া ৩৮৭ বার গোলাবর্ষণ ও ১৯ বার আক্রমণ চালিয়েছে।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল ওলেক্সান্দ্র সিরস্কির রিপোর্ট উদ্ধৃত করে জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়ান সেনাবাহিনী সামগ্রিকভাবে যুদ্ধবিরতির একটা আবহ তৈরি করার চেষ্টা করলেও কিছু অঞ্চলে আক্রমণ ও ক্ষয়ক্ষতি চালিয়ে যাচ্ছে।’
অন্যদিকে, রাশিয়া দাবি করেছে, শনিবার সন্ধ্যা থেকে ইউক্রেন শতাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, তারা শনিবার সন্ধ্যা থেকে প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে ‘কঠোরভাবে’ যুদ্ধবিরতি মেনে চলেছে। কিন্তু ইউক্রেন ১ হাজারবারের বেশি এটি লঙ্ঘন করেছে। তাদের বক্তব্য, ইউক্রেন রাশিয়ার বিভিন্ন স্থানে ৪৪৪ বার গুলি চালিয়েছে, ৯০০-এর বেশি ড্রোন হামলা করেছে। এতে অসংখ্য বেসামরিক নাগরিক হতাহত ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবনা অনুযায়ী যুদ্ধবিরতি ৩০ দিন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তবে রাশিয়া ইতিমধ্যে তাঁর এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণ সীমিত রাখবে, তবে প্রথমে আক্রান্ত হলে জবাব দেবে। মাঠপর্যায়ের এক কমান্ডার সতর্ক করে বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছে রাশিয়ানদের ওপর গুলি কমাতে। তারা যদি আক্রমণ বা উত্তেজনা না বাড়ায়, আমরা গুলি করব না। কিন্তু তারা যদি গুলি করে, আমরা জবাব দেব।’
এদিকে পুতিনও বলেছেন, এই যুদ্ধবিরতি মানবিক কারণে। কিন্তু কোনো কারণে তারা যদি হামলা চালায়, তবে তাঁর সেনারা এর কঠিন জবাব দেবে।
পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৭ ঘণ্টা আগেবি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দুটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
৭ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৭ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে লোহিতসাগরে মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে
৮ ঘণ্টা আগে