আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির একটি কপি পেয়েছে লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই। ইসরায়েল, হামাস ও মিসরে মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে স্বাক্ষরিত সেই চুক্তির মাধ্যমেই গাজায় গণহত্যা বন্ধের সমঝোতা হয়েছে।
নথিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফসহ একাধিক মধ্যস্থতাকারীর স্বাক্ষর রয়েছে। চুক্তির শিরোনাম—“প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘গাজা যুদ্ধের স্থায়ী অবসান’ প্রস্তাব বাস্তবায়নের ধাপসমূহ। ” নথিতে ছয়টি ধাপ উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেবেন যে—গাজার যুদ্ধ শেষ হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো যুদ্ধের অবসানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে বলা আছে, ‘ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের পরই যুদ্ধ সঙ্গে সঙ্গে শেষ হবে।’ ইসরায়েলি সরকার বৃহস্পতিবার এই চুক্তির প্রথম ধাপ অনুমোদন করেছে। তৃতীয় ধাপে বলা হয়েছে, ‘মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ সামগ্রীর পূর্ণ প্রবেশ সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে।’ চতুর্থ ধাপে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) সংযুক্ত মানচিত্র অনুযায়ী সম্মত সীমারেখায় পিছু হটবে, যা ট্রাম্পের ঘোষণার পর ও ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন হবে।’
সেখানে আরও বলা হয়েছে, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত হামাস এই চুক্তি সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করবে, আইডিএফ ওই প্রত্যাহার করা এলাকাগুলোতে আর ফিরবে না।’ পঞ্চম ধাপে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় আটক সব ইসরায়েলি জিম্মিকে—জীবিত ও মৃত—মুক্তি দেওয়া হবে।’ এই ধাপের এক উপ-ধারায় বলা হয়েছে, ‘যেসব মৃত জিম্মির মরদেহ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, তাদের বিষয়ে তথ্য আদান–প্রদানের জন্য একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। একই ব্যবস্থার মাধ্যমে ইসরায়েলে আটক মৃত ফিলিস্তিনিদের দেহাবশেষ সম্পর্কেও তথ্য বিনিময় করা হবে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘এই ব্যবস্থার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে, সব জিম্মির মরদেহ নিরাপদে উদ্ধার ও হস্তান্তর করা হয়েছে। হামাস যত দ্রুত সম্ভব এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে।’ পরবর্তী উপধারায় বলা হয়েছে, ‘হামাস যত জিম্মি মুক্তি দেবে, ইসরায়েলও সমান সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে, যা সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী সম্পন্ন হবে।’
আরও একটি উপধারায় বলা হয়েছে, ‘জিম্মি ও বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়া মধ্যস্থতাকারী ও আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) মাধ্যমে সম্পন্ন হবে, কোনো প্রকাশ্য অনুষ্ঠান বা গণমাধ্যম কাভারেজ ছাড়াই।’ শেষ ধাপে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর, তুরস্ক ও অন্যান্য সম্মত দেশসমূহের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে, যারা চুক্তির বাস্তবায়ন তদারকি করবে এবং দুই পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করবে।’
ট্রাম্পের ‘গাজা যুদ্ধের স্থায়ী অবসান’ প্রস্তাব বাস্তবায়নের ধাপসমূহ
১. প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দেবেন যে—গাজার যুদ্ধ শেষ হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো যুদ্ধের অবসানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে।
২. ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের পর যুদ্ধ সঙ্গে সঙ্গে শেষ হবে। সব ধরনের সামরিক অভিযান—বিমান ও গোলাবর্ষণসহ টার্গেটিং অপারেশন—স্থগিত থাকবে। আইডিএফ যেসব এলাকা থেকে পিছু হটবে, সেই এলাকাগুলোয় ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত আকাশ পর্যবেক্ষণ বন্ধ থাকবে।
৩. মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ কার্যক্রম অবিলম্বে শুরু হবে। এটি ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারির মানবিক সহায়তা চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। ত্রাণ সরবরাহের বিস্তারিত পদক্ষেপ সংযুক্ত করা হয়েছে।
৪. আইডিএফ সংযুক্ত মানচিত্র অনুযায়ী নির্ধারিত সীমারেখায় পিছু হটবে। ট্রাম্পের ঘোষণার পর এবং ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই প্রত্যাহার সম্পন্ন হবে। হামাস পুরো চুক্তি বাস্তবায়ন করলে আইডিএফ আর ওই এলাকাগুলোয় ফিরে যাবে না।
৫. ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় আটক সব ইসরায়েলি জিম্মিকে (জীবিত ও মৃত) মুক্তি দেওয়া হবে (সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী)।
ক. আইডিএফ প্রত্যাহার শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হামাস সব জিম্মির অবস্থার তদন্ত শুরু করবে ও প্রাপ্ত তথ্য মধ্যস্থতাকারী ও আইসিআরসির মাধ্যমে জানাবে। ইসরায়েল গাজা থেকে আটক ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিষয়ে তথ্য দেবে।
খ.৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামাস জীবিত সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে, গাজায় থাকা সব ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর হেফাজতে থাকা জিম্মিসহ।
গ. একই সময়ের মধ্যে হামাস মৃত জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেবে।
ঘ. হামাস যেসব মৃত জিম্মির বিষয়ে তথ্য পাবে, তা নির্ধারিত তথ্য আদান–প্রদান ব্যবস্থার মাধ্যমে জানাবে। ইসরায়েলও গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মরদেহ সম্পর্কিত তথ্য দেবে।
ঙ. মধ্যস্থতাকারী ও আইসিআরসির মাধ্যমে একটি তথ্য বিনিময় ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে, যাতে উদ্ধার না হওয়া জিম্মিদের মরদেহ ও ইসরায়েলে আটক গাজাবাসীর দেহাবশেষ সম্পর্কে তথ্য বিনিময় সম্ভব হয়। হামাস যত দ্রুত সম্ভব এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
চ. হামাস যত জিম্মি মুক্তি দেবে, ইসরায়েলও সমান সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে (সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী)।
ছ. জিম্মি ও বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়া মধ্যস্থতাকারী ও আইসিআরসির মাধ্যমে গোপনে সম্পন্ন হবে, কোনো প্রকাশ্য অনুষ্ঠান বা সংবাদ কাভারেজ ছাড়াই।
৬. যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর, তুরস্ক ও অন্য সম্মত দেশসমূহের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে, যা দুই পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে চুক্তির বাস্তবায়ন তদারকি করবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির একটি কপি পেয়েছে লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই। ইসরায়েল, হামাস ও মিসরে মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে স্বাক্ষরিত সেই চুক্তির মাধ্যমেই গাজায় গণহত্যা বন্ধের সমঝোতা হয়েছে।
নথিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফসহ একাধিক মধ্যস্থতাকারীর স্বাক্ষর রয়েছে। চুক্তির শিরোনাম—“প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘গাজা যুদ্ধের স্থায়ী অবসান’ প্রস্তাব বাস্তবায়নের ধাপসমূহ। ” নথিতে ছয়টি ধাপ উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেবেন যে—গাজার যুদ্ধ শেষ হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো যুদ্ধের অবসানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে বলা আছে, ‘ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের পরই যুদ্ধ সঙ্গে সঙ্গে শেষ হবে।’ ইসরায়েলি সরকার বৃহস্পতিবার এই চুক্তির প্রথম ধাপ অনুমোদন করেছে। তৃতীয় ধাপে বলা হয়েছে, ‘মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ সামগ্রীর পূর্ণ প্রবেশ সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে।’ চতুর্থ ধাপে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) সংযুক্ত মানচিত্র অনুযায়ী সম্মত সীমারেখায় পিছু হটবে, যা ট্রাম্পের ঘোষণার পর ও ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন হবে।’
সেখানে আরও বলা হয়েছে, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত হামাস এই চুক্তি সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করবে, আইডিএফ ওই প্রত্যাহার করা এলাকাগুলোতে আর ফিরবে না।’ পঞ্চম ধাপে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় আটক সব ইসরায়েলি জিম্মিকে—জীবিত ও মৃত—মুক্তি দেওয়া হবে।’ এই ধাপের এক উপ-ধারায় বলা হয়েছে, ‘যেসব মৃত জিম্মির মরদেহ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, তাদের বিষয়ে তথ্য আদান–প্রদানের জন্য একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। একই ব্যবস্থার মাধ্যমে ইসরায়েলে আটক মৃত ফিলিস্তিনিদের দেহাবশেষ সম্পর্কেও তথ্য বিনিময় করা হবে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘এই ব্যবস্থার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে, সব জিম্মির মরদেহ নিরাপদে উদ্ধার ও হস্তান্তর করা হয়েছে। হামাস যত দ্রুত সম্ভব এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে।’ পরবর্তী উপধারায় বলা হয়েছে, ‘হামাস যত জিম্মি মুক্তি দেবে, ইসরায়েলও সমান সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে, যা সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী সম্পন্ন হবে।’
আরও একটি উপধারায় বলা হয়েছে, ‘জিম্মি ও বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়া মধ্যস্থতাকারী ও আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) মাধ্যমে সম্পন্ন হবে, কোনো প্রকাশ্য অনুষ্ঠান বা গণমাধ্যম কাভারেজ ছাড়াই।’ শেষ ধাপে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর, তুরস্ক ও অন্যান্য সম্মত দেশসমূহের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে, যারা চুক্তির বাস্তবায়ন তদারকি করবে এবং দুই পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করবে।’
ট্রাম্পের ‘গাজা যুদ্ধের স্থায়ী অবসান’ প্রস্তাব বাস্তবায়নের ধাপসমূহ
১. প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দেবেন যে—গাজার যুদ্ধ শেষ হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো যুদ্ধের অবসানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে।
২. ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের পর যুদ্ধ সঙ্গে সঙ্গে শেষ হবে। সব ধরনের সামরিক অভিযান—বিমান ও গোলাবর্ষণসহ টার্গেটিং অপারেশন—স্থগিত থাকবে। আইডিএফ যেসব এলাকা থেকে পিছু হটবে, সেই এলাকাগুলোয় ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত আকাশ পর্যবেক্ষণ বন্ধ থাকবে।
৩. মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ কার্যক্রম অবিলম্বে শুরু হবে। এটি ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারির মানবিক সহায়তা চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। ত্রাণ সরবরাহের বিস্তারিত পদক্ষেপ সংযুক্ত করা হয়েছে।
৪. আইডিএফ সংযুক্ত মানচিত্র অনুযায়ী নির্ধারিত সীমারেখায় পিছু হটবে। ট্রাম্পের ঘোষণার পর এবং ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই প্রত্যাহার সম্পন্ন হবে। হামাস পুরো চুক্তি বাস্তবায়ন করলে আইডিএফ আর ওই এলাকাগুলোয় ফিরে যাবে না।
৫. ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় আটক সব ইসরায়েলি জিম্মিকে (জীবিত ও মৃত) মুক্তি দেওয়া হবে (সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী)।
ক. আইডিএফ প্রত্যাহার শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হামাস সব জিম্মির অবস্থার তদন্ত শুরু করবে ও প্রাপ্ত তথ্য মধ্যস্থতাকারী ও আইসিআরসির মাধ্যমে জানাবে। ইসরায়েল গাজা থেকে আটক ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিষয়ে তথ্য দেবে।
খ.৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামাস জীবিত সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে, গাজায় থাকা সব ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর হেফাজতে থাকা জিম্মিসহ।
গ. একই সময়ের মধ্যে হামাস মৃত জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেবে।
ঘ. হামাস যেসব মৃত জিম্মির বিষয়ে তথ্য পাবে, তা নির্ধারিত তথ্য আদান–প্রদান ব্যবস্থার মাধ্যমে জানাবে। ইসরায়েলও গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মরদেহ সম্পর্কিত তথ্য দেবে।
ঙ. মধ্যস্থতাকারী ও আইসিআরসির মাধ্যমে একটি তথ্য বিনিময় ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে, যাতে উদ্ধার না হওয়া জিম্মিদের মরদেহ ও ইসরায়েলে আটক গাজাবাসীর দেহাবশেষ সম্পর্কে তথ্য বিনিময় সম্ভব হয়। হামাস যত দ্রুত সম্ভব এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
চ. হামাস যত জিম্মি মুক্তি দেবে, ইসরায়েলও সমান সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে (সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী)।
ছ. জিম্মি ও বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়া মধ্যস্থতাকারী ও আইসিআরসির মাধ্যমে গোপনে সম্পন্ন হবে, কোনো প্রকাশ্য অনুষ্ঠান বা সংবাদ কাভারেজ ছাড়াই।
৬. যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর, তুরস্ক ও অন্য সম্মত দেশসমূহের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে, যা দুই পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে চুক্তির বাস্তবায়ন তদারকি করবে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির একটি কপি পেয়েছে লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই। ইসরায়েল, হামাস ও মিসরে মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে স্বাক্ষরিত সেই চুক্তির মাধ্যমেই গাজায় গণহত্যা বন্ধের সমঝোতা হয়েছে।
নথিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফসহ একাধিক মধ্যস্থতাকারীর স্বাক্ষর রয়েছে। চুক্তির শিরোনাম—“প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘গাজা যুদ্ধের স্থায়ী অবসান’ প্রস্তাব বাস্তবায়নের ধাপসমূহ। ” নথিতে ছয়টি ধাপ উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেবেন যে—গাজার যুদ্ধ শেষ হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো যুদ্ধের অবসানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে বলা আছে, ‘ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের পরই যুদ্ধ সঙ্গে সঙ্গে শেষ হবে।’ ইসরায়েলি সরকার বৃহস্পতিবার এই চুক্তির প্রথম ধাপ অনুমোদন করেছে। তৃতীয় ধাপে বলা হয়েছে, ‘মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ সামগ্রীর পূর্ণ প্রবেশ সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে।’ চতুর্থ ধাপে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) সংযুক্ত মানচিত্র অনুযায়ী সম্মত সীমারেখায় পিছু হটবে, যা ট্রাম্পের ঘোষণার পর ও ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন হবে।’
সেখানে আরও বলা হয়েছে, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত হামাস এই চুক্তি সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করবে, আইডিএফ ওই প্রত্যাহার করা এলাকাগুলোতে আর ফিরবে না।’ পঞ্চম ধাপে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় আটক সব ইসরায়েলি জিম্মিকে—জীবিত ও মৃত—মুক্তি দেওয়া হবে।’ এই ধাপের এক উপ-ধারায় বলা হয়েছে, ‘যেসব মৃত জিম্মির মরদেহ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, তাদের বিষয়ে তথ্য আদান–প্রদানের জন্য একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। একই ব্যবস্থার মাধ্যমে ইসরায়েলে আটক মৃত ফিলিস্তিনিদের দেহাবশেষ সম্পর্কেও তথ্য বিনিময় করা হবে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘এই ব্যবস্থার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে, সব জিম্মির মরদেহ নিরাপদে উদ্ধার ও হস্তান্তর করা হয়েছে। হামাস যত দ্রুত সম্ভব এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে।’ পরবর্তী উপধারায় বলা হয়েছে, ‘হামাস যত জিম্মি মুক্তি দেবে, ইসরায়েলও সমান সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে, যা সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী সম্পন্ন হবে।’
আরও একটি উপধারায় বলা হয়েছে, ‘জিম্মি ও বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়া মধ্যস্থতাকারী ও আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) মাধ্যমে সম্পন্ন হবে, কোনো প্রকাশ্য অনুষ্ঠান বা গণমাধ্যম কাভারেজ ছাড়াই।’ শেষ ধাপে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর, তুরস্ক ও অন্যান্য সম্মত দেশসমূহের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে, যারা চুক্তির বাস্তবায়ন তদারকি করবে এবং দুই পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করবে।’
ট্রাম্পের ‘গাজা যুদ্ধের স্থায়ী অবসান’ প্রস্তাব বাস্তবায়নের ধাপসমূহ
১. প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দেবেন যে—গাজার যুদ্ধ শেষ হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো যুদ্ধের অবসানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে।
২. ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের পর যুদ্ধ সঙ্গে সঙ্গে শেষ হবে। সব ধরনের সামরিক অভিযান—বিমান ও গোলাবর্ষণসহ টার্গেটিং অপারেশন—স্থগিত থাকবে। আইডিএফ যেসব এলাকা থেকে পিছু হটবে, সেই এলাকাগুলোয় ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত আকাশ পর্যবেক্ষণ বন্ধ থাকবে।
৩. মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ কার্যক্রম অবিলম্বে শুরু হবে। এটি ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারির মানবিক সহায়তা চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। ত্রাণ সরবরাহের বিস্তারিত পদক্ষেপ সংযুক্ত করা হয়েছে।
৪. আইডিএফ সংযুক্ত মানচিত্র অনুযায়ী নির্ধারিত সীমারেখায় পিছু হটবে। ট্রাম্পের ঘোষণার পর এবং ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই প্রত্যাহার সম্পন্ন হবে। হামাস পুরো চুক্তি বাস্তবায়ন করলে আইডিএফ আর ওই এলাকাগুলোয় ফিরে যাবে না।
৫. ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় আটক সব ইসরায়েলি জিম্মিকে (জীবিত ও মৃত) মুক্তি দেওয়া হবে (সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী)।
ক. আইডিএফ প্রত্যাহার শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হামাস সব জিম্মির অবস্থার তদন্ত শুরু করবে ও প্রাপ্ত তথ্য মধ্যস্থতাকারী ও আইসিআরসির মাধ্যমে জানাবে। ইসরায়েল গাজা থেকে আটক ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিষয়ে তথ্য দেবে।
খ.৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামাস জীবিত সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে, গাজায় থাকা সব ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর হেফাজতে থাকা জিম্মিসহ।
গ. একই সময়ের মধ্যে হামাস মৃত জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেবে।
ঘ. হামাস যেসব মৃত জিম্মির বিষয়ে তথ্য পাবে, তা নির্ধারিত তথ্য আদান–প্রদান ব্যবস্থার মাধ্যমে জানাবে। ইসরায়েলও গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মরদেহ সম্পর্কিত তথ্য দেবে।
ঙ. মধ্যস্থতাকারী ও আইসিআরসির মাধ্যমে একটি তথ্য বিনিময় ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে, যাতে উদ্ধার না হওয়া জিম্মিদের মরদেহ ও ইসরায়েলে আটক গাজাবাসীর দেহাবশেষ সম্পর্কে তথ্য বিনিময় সম্ভব হয়। হামাস যত দ্রুত সম্ভব এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
চ. হামাস যত জিম্মি মুক্তি দেবে, ইসরায়েলও সমান সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে (সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী)।
ছ. জিম্মি ও বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়া মধ্যস্থতাকারী ও আইসিআরসির মাধ্যমে গোপনে সম্পন্ন হবে, কোনো প্রকাশ্য অনুষ্ঠান বা সংবাদ কাভারেজ ছাড়াই।
৬. যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর, তুরস্ক ও অন্য সম্মত দেশসমূহের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে, যা দুই পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে চুক্তির বাস্তবায়ন তদারকি করবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির একটি কপি পেয়েছে লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই। ইসরায়েল, হামাস ও মিসরে মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে স্বাক্ষরিত সেই চুক্তির মাধ্যমেই গাজায় গণহত্যা বন্ধের সমঝোতা হয়েছে।
নথিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফসহ একাধিক মধ্যস্থতাকারীর স্বাক্ষর রয়েছে। চুক্তির শিরোনাম—“প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘গাজা যুদ্ধের স্থায়ী অবসান’ প্রস্তাব বাস্তবায়নের ধাপসমূহ। ” নথিতে ছয়টি ধাপ উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেবেন যে—গাজার যুদ্ধ শেষ হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো যুদ্ধের অবসানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে বলা আছে, ‘ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের পরই যুদ্ধ সঙ্গে সঙ্গে শেষ হবে।’ ইসরায়েলি সরকার বৃহস্পতিবার এই চুক্তির প্রথম ধাপ অনুমোদন করেছে। তৃতীয় ধাপে বলা হয়েছে, ‘মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ সামগ্রীর পূর্ণ প্রবেশ সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে।’ চতুর্থ ধাপে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) সংযুক্ত মানচিত্র অনুযায়ী সম্মত সীমারেখায় পিছু হটবে, যা ট্রাম্পের ঘোষণার পর ও ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন হবে।’
সেখানে আরও বলা হয়েছে, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত হামাস এই চুক্তি সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করবে, আইডিএফ ওই প্রত্যাহার করা এলাকাগুলোতে আর ফিরবে না।’ পঞ্চম ধাপে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় আটক সব ইসরায়েলি জিম্মিকে—জীবিত ও মৃত—মুক্তি দেওয়া হবে।’ এই ধাপের এক উপ-ধারায় বলা হয়েছে, ‘যেসব মৃত জিম্মির মরদেহ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, তাদের বিষয়ে তথ্য আদান–প্রদানের জন্য একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। একই ব্যবস্থার মাধ্যমে ইসরায়েলে আটক মৃত ফিলিস্তিনিদের দেহাবশেষ সম্পর্কেও তথ্য বিনিময় করা হবে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘এই ব্যবস্থার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে, সব জিম্মির মরদেহ নিরাপদে উদ্ধার ও হস্তান্তর করা হয়েছে। হামাস যত দ্রুত সম্ভব এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে।’ পরবর্তী উপধারায় বলা হয়েছে, ‘হামাস যত জিম্মি মুক্তি দেবে, ইসরায়েলও সমান সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে, যা সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী সম্পন্ন হবে।’
আরও একটি উপধারায় বলা হয়েছে, ‘জিম্মি ও বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়া মধ্যস্থতাকারী ও আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) মাধ্যমে সম্পন্ন হবে, কোনো প্রকাশ্য অনুষ্ঠান বা গণমাধ্যম কাভারেজ ছাড়াই।’ শেষ ধাপে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর, তুরস্ক ও অন্যান্য সম্মত দেশসমূহের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে, যারা চুক্তির বাস্তবায়ন তদারকি করবে এবং দুই পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করবে।’
ট্রাম্পের ‘গাজা যুদ্ধের স্থায়ী অবসান’ প্রস্তাব বাস্তবায়নের ধাপসমূহ
১. প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দেবেন যে—গাজার যুদ্ধ শেষ হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো যুদ্ধের অবসানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে।
২. ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের পর যুদ্ধ সঙ্গে সঙ্গে শেষ হবে। সব ধরনের সামরিক অভিযান—বিমান ও গোলাবর্ষণসহ টার্গেটিং অপারেশন—স্থগিত থাকবে। আইডিএফ যেসব এলাকা থেকে পিছু হটবে, সেই এলাকাগুলোয় ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত আকাশ পর্যবেক্ষণ বন্ধ থাকবে।
৩. মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ কার্যক্রম অবিলম্বে শুরু হবে। এটি ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারির মানবিক সহায়তা চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। ত্রাণ সরবরাহের বিস্তারিত পদক্ষেপ সংযুক্ত করা হয়েছে।
৪. আইডিএফ সংযুক্ত মানচিত্র অনুযায়ী নির্ধারিত সীমারেখায় পিছু হটবে। ট্রাম্পের ঘোষণার পর এবং ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই প্রত্যাহার সম্পন্ন হবে। হামাস পুরো চুক্তি বাস্তবায়ন করলে আইডিএফ আর ওই এলাকাগুলোয় ফিরে যাবে না।
৫. ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় আটক সব ইসরায়েলি জিম্মিকে (জীবিত ও মৃত) মুক্তি দেওয়া হবে (সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী)।
ক. আইডিএফ প্রত্যাহার শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হামাস সব জিম্মির অবস্থার তদন্ত শুরু করবে ও প্রাপ্ত তথ্য মধ্যস্থতাকারী ও আইসিআরসির মাধ্যমে জানাবে। ইসরায়েল গাজা থেকে আটক ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিষয়ে তথ্য দেবে।
খ.৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামাস জীবিত সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে, গাজায় থাকা সব ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর হেফাজতে থাকা জিম্মিসহ।
গ. একই সময়ের মধ্যে হামাস মৃত জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেবে।
ঘ. হামাস যেসব মৃত জিম্মির বিষয়ে তথ্য পাবে, তা নির্ধারিত তথ্য আদান–প্রদান ব্যবস্থার মাধ্যমে জানাবে। ইসরায়েলও গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মরদেহ সম্পর্কিত তথ্য দেবে।
ঙ. মধ্যস্থতাকারী ও আইসিআরসির মাধ্যমে একটি তথ্য বিনিময় ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে, যাতে উদ্ধার না হওয়া জিম্মিদের মরদেহ ও ইসরায়েলে আটক গাজাবাসীর দেহাবশেষ সম্পর্কে তথ্য বিনিময় সম্ভব হয়। হামাস যত দ্রুত সম্ভব এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
চ. হামাস যত জিম্মি মুক্তি দেবে, ইসরায়েলও সমান সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে (সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী)।
ছ. জিম্মি ও বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়া মধ্যস্থতাকারী ও আইসিআরসির মাধ্যমে গোপনে সম্পন্ন হবে, কোনো প্রকাশ্য অনুষ্ঠান বা সংবাদ কাভারেজ ছাড়াই।
৬. যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর, তুরস্ক ও অন্য সম্মত দেশসমূহের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে, যা দুই পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে চুক্তির বাস্তবায়ন তদারকি করবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

‘ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের পরই যুদ্ধ সঙ্গে সঙ্গে শেষ হবে।’ ইসরায়েলি সরকার বৃহস্পতিবার এই চুক্তির প্রথম ধাপ অনুমোদন করেছে। তৃতীয় ধাপে বলা হয়েছে, ‘মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ সামগ্রীর পূর্ণ প্রবেশ সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে।’ চতুর্থ ধাপে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) সংযুক্ত মানচিত্র অনুযায়ী সম্মত...
১৩ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

‘ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের পরই যুদ্ধ সঙ্গে সঙ্গে শেষ হবে।’ ইসরায়েলি সরকার বৃহস্পতিবার এই চুক্তির প্রথম ধাপ অনুমোদন করেছে। তৃতীয় ধাপে বলা হয়েছে, ‘মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ সামগ্রীর পূর্ণ প্রবেশ সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে।’ চতুর্থ ধাপে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) সংযুক্ত মানচিত্র অনুযায়ী সম্মত...
১৩ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

‘ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের পরই যুদ্ধ সঙ্গে সঙ্গে শেষ হবে।’ ইসরায়েলি সরকার বৃহস্পতিবার এই চুক্তির প্রথম ধাপ অনুমোদন করেছে। তৃতীয় ধাপে বলা হয়েছে, ‘মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ সামগ্রীর পূর্ণ প্রবেশ সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে।’ চতুর্থ ধাপে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) সংযুক্ত মানচিত্র অনুযায়ী সম্মত...
১৩ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

‘ইসরায়েলি সরকারের অনুমোদনের পরই যুদ্ধ সঙ্গে সঙ্গে শেষ হবে।’ ইসরায়েলি সরকার বৃহস্পতিবার এই চুক্তির প্রথম ধাপ অনুমোদন করেছে। তৃতীয় ধাপে বলা হয়েছে, ‘মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ সামগ্রীর পূর্ণ প্রবেশ সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে।’ চতুর্থ ধাপে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) সংযুক্ত মানচিত্র অনুযায়ী সম্মত...
১৩ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে