আজকের পত্রিকা ডেস্ক
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তিব্বতে একটি বিরল ও অঘোষিত সফরে অংশ নিয়েছেন। গতকাল বুধবার রাজধানী লাসায় পৌঁছে তিনি তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর পূর্তির আনুষ্ঠানিকতা উদ্বোধন করেন। এবারই প্রথম কোনো চীনা প্রেসিডেন্ট তিব্বতে সরাসরি এমন আয়োজনে যোগ দিলেন।
সি চিন পিং বলেছেন, তিব্বতকে ‘আধুনিক সমাজতান্ত্রিক, ঐক্যবদ্ধ, সমৃদ্ধ, সভ্য ও সুন্দর অঞ্চল’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তিনি ধর্মীয় কার্যক্রমে কড়াকড়ি ও তিব্বতি বৌদ্ধধর্মকে সমাজতান্ত্রিক কাঠামোর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তাঁর ভাষায়, তিব্বত শাসনের মূল চাবিকাঠি হলো রাজনৈতিক শৃঙ্খলা, সামাজিক স্থিতি, জাতিগত ঐক্য ও ধর্মীয় সম্প্রীতি।
চীনা রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, সি চিন পিং লাসায় পৌঁছালে তিব্বতের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ ফুল ও নাচ-গানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় তিনি অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পর্যটন খাতের প্রসারের ওপর গুরুত্ব দেন। পাশাপাশি তিনি ইয়ারলুং সাংপো নদীতে ১৬৭ বিলিয়ন ডলারের বহুমুখী বাঁধ এবং সিচুয়ান-তিব্বত রেলপথ প্রকল্পেরও ইঙ্গিত দেন। এসব প্রকল্পকে তাঁর নেতৃত্বের অন্যতম বড় বাজি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে আন্তর্জাতিক মহল ও নির্বাসিত তিব্বতিদের মতে, এ সফরের মূল উদ্দেশ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইতিহাস আড়াল করা। ১৯৫১ সালে চীনের সেনা অভিযানের পর থেকে বেইজিংয়ের কড়াকড়ি দমননীতির মুখে আছে তিব্বত। ১৯৫৯ সালে ব্যর্থ বিদ্রোহের পর তিব্বতের ১৪তম দালাই লামা ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে তাঁর নেতৃত্বে সেখানেই নির্বাসিত সরকার গঠিত হয়। বেইজিং তাঁকে বিচ্ছিন্নতাবাদী মনে করলেও তিনি সর্বদা পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের সংসদ সদস্য দর্জে সেতেন বলেন, চীনের তৈরি করা এ তথাকথিত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল আসলে উপনিবেশিক শাসনের প্রতীক। ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন ফর তিব্বত’-এর প্রেসিডেন্ট তেনচো গ্যাতসো মন্তব্য করেন, সি চিন পিংয়ের সফর চীনের ভেতরের নিরাপত্তাহীনতাকে প্রকাশ করে।
সমালোচকদের মতে, ২০০৮ সালের প্রতিবাদ দমন করার পর থেকে তিব্বতে দমননীতি আরও গভীর হয়েছে। বিদেশিদের প্রবেশে কড়াকড়ি, তিব্বতি শিশুদের মান্দারিন-মাধ্যম আবাসিক বিদ্যালয়ে রাখা এবং রাজনৈতিক মতামত ও সাংস্কৃতিক প্রকাশের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণে পরিস্থিতি জটিল আকার নিয়েছে।
সি চিন পিংয়ের এ সফরকে তিব্বতি মানবাধিকারকর্মীরা দমনমূলক শাসনের বৈধতা দেওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। তাঁদের মতে, তিব্বতের এ তথাকথিত বার্ষিকী উদ্যাপন তিব্বতিদের কাছে কোনো আনন্দের উপলক্ষ নয়, বরং চীনা দখলদারির বেদনাদায়ক স্মৃতি।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তিব্বতে একটি বিরল ও অঘোষিত সফরে অংশ নিয়েছেন। গতকাল বুধবার রাজধানী লাসায় পৌঁছে তিনি তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর পূর্তির আনুষ্ঠানিকতা উদ্বোধন করেন। এবারই প্রথম কোনো চীনা প্রেসিডেন্ট তিব্বতে সরাসরি এমন আয়োজনে যোগ দিলেন।
সি চিন পিং বলেছেন, তিব্বতকে ‘আধুনিক সমাজতান্ত্রিক, ঐক্যবদ্ধ, সমৃদ্ধ, সভ্য ও সুন্দর অঞ্চল’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তিনি ধর্মীয় কার্যক্রমে কড়াকড়ি ও তিব্বতি বৌদ্ধধর্মকে সমাজতান্ত্রিক কাঠামোর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তাঁর ভাষায়, তিব্বত শাসনের মূল চাবিকাঠি হলো রাজনৈতিক শৃঙ্খলা, সামাজিক স্থিতি, জাতিগত ঐক্য ও ধর্মীয় সম্প্রীতি।
চীনা রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, সি চিন পিং লাসায় পৌঁছালে তিব্বতের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ ফুল ও নাচ-গানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় তিনি অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পর্যটন খাতের প্রসারের ওপর গুরুত্ব দেন। পাশাপাশি তিনি ইয়ারলুং সাংপো নদীতে ১৬৭ বিলিয়ন ডলারের বহুমুখী বাঁধ এবং সিচুয়ান-তিব্বত রেলপথ প্রকল্পেরও ইঙ্গিত দেন। এসব প্রকল্পকে তাঁর নেতৃত্বের অন্যতম বড় বাজি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তবে আন্তর্জাতিক মহল ও নির্বাসিত তিব্বতিদের মতে, এ সফরের মূল উদ্দেশ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইতিহাস আড়াল করা। ১৯৫১ সালে চীনের সেনা অভিযানের পর থেকে বেইজিংয়ের কড়াকড়ি দমননীতির মুখে আছে তিব্বত। ১৯৫৯ সালে ব্যর্থ বিদ্রোহের পর তিব্বতের ১৪তম দালাই লামা ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে তাঁর নেতৃত্বে সেখানেই নির্বাসিত সরকার গঠিত হয়। বেইজিং তাঁকে বিচ্ছিন্নতাবাদী মনে করলেও তিনি সর্বদা পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের সংসদ সদস্য দর্জে সেতেন বলেন, চীনের তৈরি করা এ তথাকথিত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল আসলে উপনিবেশিক শাসনের প্রতীক। ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন ফর তিব্বত’-এর প্রেসিডেন্ট তেনচো গ্যাতসো মন্তব্য করেন, সি চিন পিংয়ের সফর চীনের ভেতরের নিরাপত্তাহীনতাকে প্রকাশ করে।
সমালোচকদের মতে, ২০০৮ সালের প্রতিবাদ দমন করার পর থেকে তিব্বতে দমননীতি আরও গভীর হয়েছে। বিদেশিদের প্রবেশে কড়াকড়ি, তিব্বতি শিশুদের মান্দারিন-মাধ্যম আবাসিক বিদ্যালয়ে রাখা এবং রাজনৈতিক মতামত ও সাংস্কৃতিক প্রকাশের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণে পরিস্থিতি জটিল আকার নিয়েছে।
সি চিন পিংয়ের এ সফরকে তিব্বতি মানবাধিকারকর্মীরা দমনমূলক শাসনের বৈধতা দেওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। তাঁদের মতে, তিব্বতের এ তথাকথিত বার্ষিকী উদ্যাপন তিব্বতিদের কাছে কোনো আনন্দের উপলক্ষ নয়, বরং চীনা দখলদারির বেদনাদায়ক স্মৃতি।
তিব্বতের দিকের এভারেস্ট পর্বতের পূর্ব ঢালে ভয়াবহ তুষারঝড়ে প্রায় এক হাজার অভিযাত্রী আটকা পড়েছেন। চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার (৫ অক্টোবর) উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ রাস্তা পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেআগামী মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে এল সালভাদর। বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে দেশটি এ দিন বিটকয়েনকে বৈধ মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চলেছে। প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে মত দিয়েছেন—এই উদ্যোগ সালভাদরের প্রবাসীদের কোটি কোটি ডলার সাশ্রয় করবে।
৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ ২৫০তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক ডলার মূল্যের নতুন স্মারক কয়েনের খসড়া প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিকৃতি রয়েছে কয়েনটির দুই পাশেই। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মার্কিন ট্রেজারার ব্র্যান্ডন বিচ।
৯ ঘণ্টা আগেহামাস কার্যত ট্রাম্পের ২০ দফা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ, তারা নিরস্ত্রীকরণের শর্তে রাজি নয়। তারা গাজার প্রশাসনও ফিলিস্তিনিদের হাতে রাখতে চায়। গ্রাহাম কি ভুল বলছেন—জানতে চাইলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা খুব শিগগির তা জানতে পারব। সময়ই সব বলবে!’
৯ ঘণ্টা আগে