অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর জনবল গত ৬ বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বর্তমানে দেশটির সেনাসদস্য প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার, যা ২০১৮ সালের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কম। আর এই লোকবল কমার কারণ, দেশটিতে জন্মহার হ্রাস পাওয়ায় জনসংখ্যার হ্রাস। খবর বিবিসির।
স্থানীয় সময় গতকাল রোববার ক্ষমতাসীন দলের এক আইনপ্রণেতার প্রকাশ করা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, জনবল হ্রাসের প্রধান কারণ, দেশের আশঙ্কাজনক জন্মহার। দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্তমানে একজন নারী গড়ে মাত্র দশমিক ৭৫টি সন্তান জন্ম দেন—যা বিশ্বের সর্বনিম্ন।
দক্ষিণ কোরিয়া বাধ্যতামূলক সেনা সেবা চালু রেখেছে মূলত প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধাবস্থা বহাল থাকার কারণে। উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১৩ লাখ সক্রিয় সেনা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। অন্যদিকে, গত জুলাইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার গবেষকদের একটি গবেষণায় বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তত ৫ লাখ সেনা প্রয়োজন। গবেষণায় সতর্ক করা হয়, এই জনবল ঘাটতি দেশটিকে প্রতিরক্ষায় ‘কাঠামোগতভাবে নাজুক অবস্থানে’ ফেলেছে এবং অন্তত ৫ লাখ সেনা বজায় রাখতে ‘জাতীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ’ নেওয়া জরুরি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০০৬ সাল থেকে সেনাবাহিনীর ডিভিশনের সংখ্যা ৫৯ থেকে কমে ৪২-এ নেমে এসেছে। এর মধ্যে কিছু ইউনিট বাতিল হয়েছে, আবার কিছু একীভূত হয়েছে। এই তথ্য ডেমোক্রেটিক পার্টির সংসদ সদস্য চু মি-আই-এর কাছে পাঠানো হয়েছিল এবং তিনিই তা রোববার প্রকাশ করেন।
এদিকে, আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া সামরিক বাজেট বাড়িয়ে চলেছে। ২০২৫ অর্থবছরে দেশটির প্রতিরক্ষা বাজেট দাঁড়িয়েছে ৬০ ট্রিলিয়ন উওন (প্রায় ৪৩ বিলিয়ন ডলার), যা উত্তর কোরিয়ার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) চেয়েও বেশি।
বর্তমান আইনে দক্ষিণ কোরিয়ায় সব সক্ষম পুরুষকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৮ মাস সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে হয়। যদিও বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং কখনো কখনো মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগও থাকে। তবে অনেক তরুণ পুরুষের কাছে এই বাধ্যতামূলক সেনা সেবা অজনপ্রিয়।
সমালোচকদের মতে, এটি তরুণদের কর্মজীবনের ধারাবাহিকতা নষ্ট করে দেয়। বিষয়টি এখন লিঙ্গসমতার আলোচনার সঙ্গেও যুক্ত হয়েছে। কিছু রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ বলছেন, নারীদেরও বাধ্যতামূলক সেনা সেবায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, বিশেষ করে বর্তমান জনসংখ্যা সংকট মোকাবিলায়।
দক্ষিণ কোরিয়া বারবার বিশ্বের সর্বনিম্ন জন্মহারের রেকর্ড ভেঙেছে—২০১৮ সালে ০.৯৮, ২০২০ সালে ০.৮৪, ২০২৩ সালে ০.৭২ এবং ২০২৪ সালে ০.৭৫। বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা অনুযায়ী, এই ধারা অব্যাহত থাকলে বর্তমানে ৫ কোটি জনসংখ্যার দেশটির জনসংখ্যা আগামী ৬০ বছরের মধ্যে অর্ধেকে নেমে আসতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর জনবল গত ৬ বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বর্তমানে দেশটির সেনাসদস্য প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার, যা ২০১৮ সালের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কম। আর এই লোকবল কমার কারণ, দেশটিতে জন্মহার হ্রাস পাওয়ায় জনসংখ্যার হ্রাস। খবর বিবিসির।
স্থানীয় সময় গতকাল রোববার ক্ষমতাসীন দলের এক আইনপ্রণেতার প্রকাশ করা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, জনবল হ্রাসের প্রধান কারণ, দেশের আশঙ্কাজনক জন্মহার। দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্তমানে একজন নারী গড়ে মাত্র দশমিক ৭৫টি সন্তান জন্ম দেন—যা বিশ্বের সর্বনিম্ন।
দক্ষিণ কোরিয়া বাধ্যতামূলক সেনা সেবা চালু রেখেছে মূলত প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধাবস্থা বহাল থাকার কারণে। উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১৩ লাখ সক্রিয় সেনা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। অন্যদিকে, গত জুলাইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার গবেষকদের একটি গবেষণায় বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তত ৫ লাখ সেনা প্রয়োজন। গবেষণায় সতর্ক করা হয়, এই জনবল ঘাটতি দেশটিকে প্রতিরক্ষায় ‘কাঠামোগতভাবে নাজুক অবস্থানে’ ফেলেছে এবং অন্তত ৫ লাখ সেনা বজায় রাখতে ‘জাতীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ’ নেওয়া জরুরি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০০৬ সাল থেকে সেনাবাহিনীর ডিভিশনের সংখ্যা ৫৯ থেকে কমে ৪২-এ নেমে এসেছে। এর মধ্যে কিছু ইউনিট বাতিল হয়েছে, আবার কিছু একীভূত হয়েছে। এই তথ্য ডেমোক্রেটিক পার্টির সংসদ সদস্য চু মি-আই-এর কাছে পাঠানো হয়েছিল এবং তিনিই তা রোববার প্রকাশ করেন।
এদিকে, আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া সামরিক বাজেট বাড়িয়ে চলেছে। ২০২৫ অর্থবছরে দেশটির প্রতিরক্ষা বাজেট দাঁড়িয়েছে ৬০ ট্রিলিয়ন উওন (প্রায় ৪৩ বিলিয়ন ডলার), যা উত্তর কোরিয়ার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) চেয়েও বেশি।
বর্তমান আইনে দক্ষিণ কোরিয়ায় সব সক্ষম পুরুষকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৮ মাস সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে হয়। যদিও বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং কখনো কখনো মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগও থাকে। তবে অনেক তরুণ পুরুষের কাছে এই বাধ্যতামূলক সেনা সেবা অজনপ্রিয়।
সমালোচকদের মতে, এটি তরুণদের কর্মজীবনের ধারাবাহিকতা নষ্ট করে দেয়। বিষয়টি এখন লিঙ্গসমতার আলোচনার সঙ্গেও যুক্ত হয়েছে। কিছু রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ বলছেন, নারীদেরও বাধ্যতামূলক সেনা সেবায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, বিশেষ করে বর্তমান জনসংখ্যা সংকট মোকাবিলায়।
দক্ষিণ কোরিয়া বারবার বিশ্বের সর্বনিম্ন জন্মহারের রেকর্ড ভেঙেছে—২০১৮ সালে ০.৯৮, ২০২০ সালে ০.৮৪, ২০২৩ সালে ০.৭২ এবং ২০২৪ সালে ০.৭৫। বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা অনুযায়ী, এই ধারা অব্যাহত থাকলে বর্তমানে ৫ কোটি জনসংখ্যার দেশটির জনসংখ্যা আগামী ৬০ বছরের মধ্যে অর্ধেকে নেমে আসতে পারে।
গত ছয় বছরে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী প্রায় ২০ শতাংশ কমে সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজারে। গতকাল রোববার দেশটির ক্ষমতাসীন দলের এক এমপির প্রকাশিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
১৮ মিনিট আগেসম্প্রতি ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এই ঘোষণার পরপরই ভারতে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর পণ্য বর্জনের ডাক উঠেছে। ম্যাকডোনাল্ডস, কোকা-কোলা, আমাজন ও অ্যাপলের মতো ব্র্যান্ডগুলো এখন অনলাইন-অফলাইনে (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) তীব্র...
২৮ মিনিট আগেফিলিপিনো কোস্ট গার্ডের মুখপাত্র কমোডর জে তারিয়েলা জানিয়েছেন, তাঁরা বিতর্কিত স্কারবরো শোল এলাকায় জেলেদের সহায়তা দিচ্ছিলেন। এ সময় চীনা কোস্ট গার্ড ঝুঁকিপূর্ণ কৌশল অবলম্বন করে। এর ফলে নিজেদের নৌযানের আঘাতে চীনা যুদ্ধজাহাজটির সামনের ডেকে বড়ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেমেঘালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলস অঞ্চলে বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশের যৌথ অভিযানে পাঁচজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, তাঁরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী এবং রাজনৈতিক নিরাপত্তার খোঁজে ভারতে প্রবেশ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে