অনলাইন ডেস্ক
অবাক করা বিষয়! মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক শুল্ক আরোপের তালিকায় আছে অস্ট্রেলিয়ার প্রায় জনশূন্য, দুর্গম অ্যান্টার্কটিক দ্বীপ। সামান্যতম রপ্তানি না থাকলেও এই ক্ষুদ্র ভূখণ্ডটি বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে ট্রাম্পের শুল্কের তালিকায় উঠে এসেছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দা ও কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে পড়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন নরফোক দ্বীপের কংক্রিট মিশ্রণ ব্যবসার মালিক রিচার্ড কটেল দ্বীপটির ওপর ২৯ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণার একমাত্র কারণ হিসেবে বলেন, ‘এটা একটা ভুল ছিল।’
অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ৬০০ মাইল পূর্বে অবস্থিত দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের এই বন্ধুর আগ্নেয় দ্বীপটি সামান্য পরিমাণে কেন্টয়া পাম বীজ বিদেশে রপ্তানি করে, যার বার্ষিক মূল্য ১ মিলিয়ন ডলারের কম এবং বেশির ভাগই ইউরোপে যায়। তবে বৃহস্পতিবার দ্বীপের ২ হাজার ১৮৮ জন বাসিন্দার মধ্যে এই অস্বাভাবিকভাবে বেশি শুল্কের খবরটি কৌতুক ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।
কটেল ফোনে রয়টার্সকে বলেন, ‘নরফোক দ্বীপ বিশ্বের একটি ক্ষুদ্র বিন্দু। আমরা কিছুই রপ্তানি করি না।’ নরফোক দ্বীপ ডোনাল্ড ট্রাম্পের বহুল আলোচিত শুল্ক ব্যবস্থার তালিকায় থাকা কয়েক ডজন ক্ষুদ্র অঞ্চলগুলোর একটি। এমনকি এসব দ্বীপের কোনো উল্লেখযোগ্য উৎপাদন বা রপ্তানি শিল্প নেই।
অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত হার্ড ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপের মতো কিছু অঞ্চলও নরফোক দ্বীপের মতো অস্ট্রেলিয়ার তত্ত্বাবধানে আছে। সেখানে কোনো মানুষও বাস করে না। তাতে কী! বৃহস্পতিবার থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের রপ্তানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়েছে এ দুটি দ্বীপের ওপরও।
এক মাস পর হতে যাওয়া নির্বাচনের আগে প্রচারণায় থাকা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ গণমাধ্যমকে বলেন, তাঁর দেশ ১০ শতাংশ শুল্কের কারণে অন্যদের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে। তবে নরফোক দ্বীপের বিষয়ে তার কোনো ব্যাখ্যা জানা নেই।
অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে (এবিসি) তিনি বলেন, ‘যত দূর জানি, নরফোক দ্বীপ অস্ট্রেলিয়ার অংশ।’ তিনি আরও বলেন, আলাদাভাবে এত বেশি শুল্ক ‘কিছুটা অপ্রত্যাশিত এবং অদ্ভুত।’
মার্কিন সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নরফোক দ্বীপের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল। ২০২২ সালে দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রে ৩ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে, ২০২৩ সালে ৭ লাখ ডলার এবং ২০২৪ সালে ২ ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে। ওই বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাদের আমদানি ছিল ১ লাখ ডলার করে।
তবে ২০২০ সালে নরফোক দ্বীপের যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি ১১ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল, যখন কোনো রপ্তানি রেকর্ড করা হয়নি। তবে কোন পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা হয়েছিল, তা তথ্যে উল্লেখ করা হয়নি।
রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলা নরফোক দ্বীপের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা দ্বীপটিতে কোনো উৎপাদন শিল্পের কথা মনে করতে পারেননি এবং তাঁরা বলেছেন যে, এখানকার প্রধান শিল্প হলো পর্যটন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কীট নিয়ন্ত্রণ ব্যবসার মালিক বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি না করলেও অস্ট্রেলিয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিছু ইঁদুর মারার বিষ আমদানি করেন। দ্বীপের কর পরামর্শক সংস্থার মালিক গাই ডানকান বলেন, ‘নরফোক দ্বীপের পণ্যের ওপর ২৯ শতাংশ শুল্ক? ভালো, এখানে তো কোনো পণ্যই নেই, তাই এর কোনো প্রভাব পড়বে না।’
নরফোক দ্বীপে বসবাসকারী অবসরপ্রাপ্ত অস্ট্রেলিয়ান সরকারি কর্মকর্তা এবং নরফোক আইল্যান্ড চেম্বার অব কমার্সের প্রাক্তন সভাপতি মাইলস হাওয়ে বলেন, তিনি মনে করেন না যে শুল্ক নিয়ে নরফোক দ্বীপের মানুষ চিন্তিত। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো কারও নজরেও আমরা এসেছি, এই ধারণাটাই সবার কাছে বেশ মজার।’
অবাক করা বিষয়! মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক শুল্ক আরোপের তালিকায় আছে অস্ট্রেলিয়ার প্রায় জনশূন্য, দুর্গম অ্যান্টার্কটিক দ্বীপ। সামান্যতম রপ্তানি না থাকলেও এই ক্ষুদ্র ভূখণ্ডটি বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে ট্রাম্পের শুল্কের তালিকায় উঠে এসেছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দা ও কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে পড়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন নরফোক দ্বীপের কংক্রিট মিশ্রণ ব্যবসার মালিক রিচার্ড কটেল দ্বীপটির ওপর ২৯ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণার একমাত্র কারণ হিসেবে বলেন, ‘এটা একটা ভুল ছিল।’
অস্ট্রেলিয়ার প্রায় ৬০০ মাইল পূর্বে অবস্থিত দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের এই বন্ধুর আগ্নেয় দ্বীপটি সামান্য পরিমাণে কেন্টয়া পাম বীজ বিদেশে রপ্তানি করে, যার বার্ষিক মূল্য ১ মিলিয়ন ডলারের কম এবং বেশির ভাগই ইউরোপে যায়। তবে বৃহস্পতিবার দ্বীপের ২ হাজার ১৮৮ জন বাসিন্দার মধ্যে এই অস্বাভাবিকভাবে বেশি শুল্কের খবরটি কৌতুক ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।
কটেল ফোনে রয়টার্সকে বলেন, ‘নরফোক দ্বীপ বিশ্বের একটি ক্ষুদ্র বিন্দু। আমরা কিছুই রপ্তানি করি না।’ নরফোক দ্বীপ ডোনাল্ড ট্রাম্পের বহুল আলোচিত শুল্ক ব্যবস্থার তালিকায় থাকা কয়েক ডজন ক্ষুদ্র অঞ্চলগুলোর একটি। এমনকি এসব দ্বীপের কোনো উল্লেখযোগ্য উৎপাদন বা রপ্তানি শিল্প নেই।
অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত হার্ড ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপের মতো কিছু অঞ্চলও নরফোক দ্বীপের মতো অস্ট্রেলিয়ার তত্ত্বাবধানে আছে। সেখানে কোনো মানুষও বাস করে না। তাতে কী! বৃহস্পতিবার থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের রপ্তানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করা হয়েছে এ দুটি দ্বীপের ওপরও।
এক মাস পর হতে যাওয়া নির্বাচনের আগে প্রচারণায় থাকা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ গণমাধ্যমকে বলেন, তাঁর দেশ ১০ শতাংশ শুল্কের কারণে অন্যদের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে। তবে নরফোক দ্বীপের বিষয়ে তার কোনো ব্যাখ্যা জানা নেই।
অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে (এবিসি) তিনি বলেন, ‘যত দূর জানি, নরফোক দ্বীপ অস্ট্রেলিয়ার অংশ।’ তিনি আরও বলেন, আলাদাভাবে এত বেশি শুল্ক ‘কিছুটা অপ্রত্যাশিত এবং অদ্ভুত।’
মার্কিন সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নরফোক দ্বীপের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল। ২০২২ সালে দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রে ৩ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে, ২০২৩ সালে ৭ লাখ ডলার এবং ২০২৪ সালে ২ ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে। ওই বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাদের আমদানি ছিল ১ লাখ ডলার করে।
তবে ২০২০ সালে নরফোক দ্বীপের যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি ১১ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল, যখন কোনো রপ্তানি রেকর্ড করা হয়নি। তবে কোন পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা হয়েছিল, তা তথ্যে উল্লেখ করা হয়নি।
রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলা নরফোক দ্বীপের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা দ্বীপটিতে কোনো উৎপাদন শিল্পের কথা মনে করতে পারেননি এবং তাঁরা বলেছেন যে, এখানকার প্রধান শিল্প হলো পর্যটন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কীট নিয়ন্ত্রণ ব্যবসার মালিক বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি না করলেও অস্ট্রেলিয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিছু ইঁদুর মারার বিষ আমদানি করেন। দ্বীপের কর পরামর্শক সংস্থার মালিক গাই ডানকান বলেন, ‘নরফোক দ্বীপের পণ্যের ওপর ২৯ শতাংশ শুল্ক? ভালো, এখানে তো কোনো পণ্যই নেই, তাই এর কোনো প্রভাব পড়বে না।’
নরফোক দ্বীপে বসবাসকারী অবসরপ্রাপ্ত অস্ট্রেলিয়ান সরকারি কর্মকর্তা এবং নরফোক আইল্যান্ড চেম্বার অব কমার্সের প্রাক্তন সভাপতি মাইলস হাওয়ে বলেন, তিনি মনে করেন না যে শুল্ক নিয়ে নরফোক দ্বীপের মানুষ চিন্তিত। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো কারও নজরেও আমরা এসেছি, এই ধারণাটাই সবার কাছে বেশ মজার।’
ইরানের ৩ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করার সময় বি–২ বোমারু বিমান ও সাবমেরিন ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনটাই দাবি করেছেন মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজের উপস্থাপক শন হ্যানিটি। তাঁর দাবি, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে বাংকার বাস্টার বোমা ফেলা হয়েছে এবং সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র সহযোগে হামলা করা হয়
২ মিনিট আগেফোরদো, ইস্পাহান এবং নাতাঞ্জে মার্কিন হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইরানি কর্মকর্তারা। তবে ক্ষয়ক্ষতি কেমন হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি তারা। ইরানের আধা-সরকারি তাসনিম বার্তা সংস্থা নিশ্চিত করেছিল, যুক্তরাষ্ট্র ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।
১৫ মিনিট আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুক্ষণ আগেই ঘোষণা দেন, ইরানের ৩টি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করেছে তাঁর দেশ। তিনি বলেন, ফোরদো ‘শেষ।’ এর কিছুক্ষণ পর ইরানের কৌম প্রদেশের এক কর্মকর্তা জানান, ফোরদোর একাংশ শত্রুর হামলার শিকার হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সফলভাবে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্য়ালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, হামলার পর সব মার্কিন যুদ্ধবিমান নিরাপদে ইরানি আকাশসীমা ত্যাগ করেছে।
১ ঘণ্টা আগে