ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় থাইল্যান্ডের এক বিখ্যাত কুমির খামারির ঘের। এতে কুমিরগুলো গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে মানুষের জন্য বিপদ ডেকে আনার ঝুঁকি তৈরি হয়। ওই খামারি তখন বিপন্ন প্রজাতির শতাধিক কুমিরকে মেরে ফেলতে বাধ্য হন।
‘ক্রোকোডাইল এক্স’ নামে পরিচিত নাথাপাক খামকাদ নামের ওই ব্যক্তির কুমির খামারটি উত্তর থাইল্যান্ডের লামফানে। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ে বিপন্ন প্রজাতির সিয়ামিজ কুমিরের ঘেরটিকে নিরাপত্তা দেওয়া দেয়ালটি যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে আবিষ্কার করে প্রাণীগুলোর জন্য নতুন একটি আবাসের খোঁজ করতে থাকেন তড়িঘড়ি করে। তবে কুমিরগুলোকে জায়গা দেওয়ার মতো বড় আকারের এবং নিরাপদ কিছুর ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হন। এই কুমিরগুলোর কোনো কোনোটি চার মিটার বা ১৩ ফুট লম্বা।
আর তাই এগুলো যেন আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে হুমকি তৈরি করতে না পারে, সে জন্য ২২ সেপ্টেম্বর ১২৫টি কুমিরকে মেরে ফেলতে বাধ্য হন তিনি।
‘এদের মারাটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত।’ নাথাপাক খামকাদ সিএনএনকে বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করি আমি বিষয়টি নিয়ে। আমরা বুঝতে পারি দেয়ালটি ধসে পড়লে মানুষের যে ক্ষতি হবে তা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। এতে মানুষের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে পারে।’
সিয়ামিজ কুমিরকে একটি মহাবিপন্ন প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারও কারও ধারণা, এখন কেবল কয়েক শ এই জাতের কুমির টিকে আছে প্রকৃতিতে।
এ বছর এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি এ মাসে দক্ষিণ চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আঘাত হানে। এতে প্রবল বৃষ্টিপাত এবং শক্তিশালী বাতাস ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়। মুষলধারে বৃষ্টিতে থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘর এবং নদীর ধারের গ্রামগুলো ডুবে যাওয়ার পাশাপাশি অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে।
বৃষ্টি এবং শক্তিশালী বাতাস বাসস্থান ও পশুর আশ্রয়কেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। যেমন—২০২২ সালে ঘূর্ণিঝড় ইয়ান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আঘাত হানে এবং পুন্টা গোর্দার লিটল বিয়ার অভয়ারণ্য ধ্বংস করে। এতে গরু, ঘোড়া, গাধা, শূকর, পাখিসহ ২০০ প্রাণী আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে।
মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলোকে আরও নিয়মিত করে তুলেছে। এতে বিপদগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে বিভিন্ন প্রাণীর।
নাথাপাক জানান, তাঁর খামারের বয়স ১৭ বছর। এ বছরের আগে পর্যন্ত প্রতিটি বর্ষাতেই খামারের প্রাণীগুলোকে রক্ষা করতে পেরেছিলেন। কিন্তু এবার প্রবল বর্ষণে কুমিরের ট্যাংকের দেয়াল ভেঙে যায়।
নাথাপাক বলেন, ‘দেয়ালটি দ্রুত ধসে পড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। সিদ্ধান্ত নিতে ২৪ ঘণ্টারও কম সময় পাই আমি।’ বিদ্যুতায়িত করে কুমিরগুলোর মৃত্যু নিশ্চিত করা হয় বলে জানান এই খামারি।
লামফান মৎস্য কার্যালয়ের প্রধান পর্নথিপ নুয়ালানোং জানান, প্রবল বৃষ্টি খামারটিকে হুমকিতে ফেলে দেওয়ার বিষয়টি নাথাপাক তাঁদের নজরে এনেছিলেন। তিনি বলেন, ‘কুমির মারার বিষয়টি সাহসী এবং দায়িত্বশীল একটি সিদ্ধান্ত। কারণ এ ধরনের বাড়ন্ত কুমিরের কোনোটি যদি কাছের ধানের জমিতে চলে যেত, তা মানুষের নিরাপত্তায় বড় হুমকি তৈরি করত।’
সিয়ামিজ কুমিরের মহাবিপন্ন একটি প্রজাতি, তবে থাইল্যান্ডে এগুলো ব্যাপক হারে বিক্রি এ বংশবৃদ্ধি করা হয়।
পর্নথিপ নুয়ালানোং জানান, কুমির চাষ দেশটিতে একটি লাভজনক শিল্প এবং প্রায় ১১০০টি নিবন্ধিত বাণিজ্যিক খামার গড়ে উঠেছে। এখান থেকে বার্ষিক রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি থাই বাথ (২২০০ থেকে ২৬০০ কোটি টাকা)।
একসময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়েই পাওয়া যেত সিয়ামিজ কুমির। কিন্তু শিকার এবং বিপুল চাষের কারণে বুনো সিয়ামিজ কুমিরের সংখ্যা ব্যাপক হারে হ্রাস পায়। বর্তমানে বুনো পরিবেশে কেবল কয়েক শ এ জাতের কুমির টিকে আছে বলে ধারণা করা হয়।
এ বছরের গোড়ার দিকে কম্বোডিয়ায় সিয়ামিজ কুমিরের ৬০টি ডিম ফুটে বাচ্চা বের করা সম্ভব হয়। এটি এই শতকে প্রজাতিটির সবচেয়ে বড় প্রজননের ঘটনা।
নাথাপাক উত্তর থাইল্যান্ডের লামফান প্রদেশের সবচেয়ে বড় কুমির খামারের মালিক। খামারটি চামড়ার কারখানায় কুমিরের চামড়া সরবরাহ করে, থাইল্যান্ডে হিমায়িত মাংস বিক্রি করে এবং শুকনো কুমিরের মাংস হংকংয়ে রপ্তানি করে।
পরিবারটি শুরুতে পাঁচটি কুমির কিনেছিল। তারপর থেকে প্রায় দুই দশকে সংখ্যাটি বেড়ে এখনকার অবস্থায় পৌঁছে। নাথাপাক কিংবা ক্রোকোডাইল এক্সের এখনো ৫০০ কুমিরের ছানা আছে। এগুলো ৩০ থেকে ১২০ সেন্টিমিটার (১-৪ ফুট) লম্বা।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় থাইল্যান্ডের এক বিখ্যাত কুমির খামারির ঘের। এতে কুমিরগুলো গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে মানুষের জন্য বিপদ ডেকে আনার ঝুঁকি তৈরি হয়। ওই খামারি তখন বিপন্ন প্রজাতির শতাধিক কুমিরকে মেরে ফেলতে বাধ্য হন।
‘ক্রোকোডাইল এক্স’ নামে পরিচিত নাথাপাক খামকাদ নামের ওই ব্যক্তির কুমির খামারটি উত্তর থাইল্যান্ডের লামফানে। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ে বিপন্ন প্রজাতির সিয়ামিজ কুমিরের ঘেরটিকে নিরাপত্তা দেওয়া দেয়ালটি যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে আবিষ্কার করে প্রাণীগুলোর জন্য নতুন একটি আবাসের খোঁজ করতে থাকেন তড়িঘড়ি করে। তবে কুমিরগুলোকে জায়গা দেওয়ার মতো বড় আকারের এবং নিরাপদ কিছুর ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হন। এই কুমিরগুলোর কোনো কোনোটি চার মিটার বা ১৩ ফুট লম্বা।
আর তাই এগুলো যেন আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে হুমকি তৈরি করতে না পারে, সে জন্য ২২ সেপ্টেম্বর ১২৫টি কুমিরকে মেরে ফেলতে বাধ্য হন তিনি।
‘এদের মারাটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত।’ নাথাপাক খামকাদ সিএনএনকে বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করি আমি বিষয়টি নিয়ে। আমরা বুঝতে পারি দেয়ালটি ধসে পড়লে মানুষের যে ক্ষতি হবে তা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। এতে মানুষের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে পারে।’
সিয়ামিজ কুমিরকে একটি মহাবিপন্ন প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারও কারও ধারণা, এখন কেবল কয়েক শ এই জাতের কুমির টিকে আছে প্রকৃতিতে।
এ বছর এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি এ মাসে দক্ষিণ চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আঘাত হানে। এতে প্রবল বৃষ্টিপাত এবং শক্তিশালী বাতাস ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়। মুষলধারে বৃষ্টিতে থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘর এবং নদীর ধারের গ্রামগুলো ডুবে যাওয়ার পাশাপাশি অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে।
বৃষ্টি এবং শক্তিশালী বাতাস বাসস্থান ও পশুর আশ্রয়কেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। যেমন—২০২২ সালে ঘূর্ণিঝড় ইয়ান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আঘাত হানে এবং পুন্টা গোর্দার লিটল বিয়ার অভয়ারণ্য ধ্বংস করে। এতে গরু, ঘোড়া, গাধা, শূকর, পাখিসহ ২০০ প্রাণী আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে।
মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলোকে আরও নিয়মিত করে তুলেছে। এতে বিপদগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে বিভিন্ন প্রাণীর।
নাথাপাক জানান, তাঁর খামারের বয়স ১৭ বছর। এ বছরের আগে পর্যন্ত প্রতিটি বর্ষাতেই খামারের প্রাণীগুলোকে রক্ষা করতে পেরেছিলেন। কিন্তু এবার প্রবল বর্ষণে কুমিরের ট্যাংকের দেয়াল ভেঙে যায়।
নাথাপাক বলেন, ‘দেয়ালটি দ্রুত ধসে পড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। সিদ্ধান্ত নিতে ২৪ ঘণ্টারও কম সময় পাই আমি।’ বিদ্যুতায়িত করে কুমিরগুলোর মৃত্যু নিশ্চিত করা হয় বলে জানান এই খামারি।
লামফান মৎস্য কার্যালয়ের প্রধান পর্নথিপ নুয়ালানোং জানান, প্রবল বৃষ্টি খামারটিকে হুমকিতে ফেলে দেওয়ার বিষয়টি নাথাপাক তাঁদের নজরে এনেছিলেন। তিনি বলেন, ‘কুমির মারার বিষয়টি সাহসী এবং দায়িত্বশীল একটি সিদ্ধান্ত। কারণ এ ধরনের বাড়ন্ত কুমিরের কোনোটি যদি কাছের ধানের জমিতে চলে যেত, তা মানুষের নিরাপত্তায় বড় হুমকি তৈরি করত।’
সিয়ামিজ কুমিরের মহাবিপন্ন একটি প্রজাতি, তবে থাইল্যান্ডে এগুলো ব্যাপক হারে বিক্রি এ বংশবৃদ্ধি করা হয়।
পর্নথিপ নুয়ালানোং জানান, কুমির চাষ দেশটিতে একটি লাভজনক শিল্প এবং প্রায় ১১০০টি নিবন্ধিত বাণিজ্যিক খামার গড়ে উঠেছে। এখান থেকে বার্ষিক রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি থাই বাথ (২২০০ থেকে ২৬০০ কোটি টাকা)।
একসময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়েই পাওয়া যেত সিয়ামিজ কুমির। কিন্তু শিকার এবং বিপুল চাষের কারণে বুনো সিয়ামিজ কুমিরের সংখ্যা ব্যাপক হারে হ্রাস পায়। বর্তমানে বুনো পরিবেশে কেবল কয়েক শ এ জাতের কুমির টিকে আছে বলে ধারণা করা হয়।
এ বছরের গোড়ার দিকে কম্বোডিয়ায় সিয়ামিজ কুমিরের ৬০টি ডিম ফুটে বাচ্চা বের করা সম্ভব হয়। এটি এই শতকে প্রজাতিটির সবচেয়ে বড় প্রজননের ঘটনা।
নাথাপাক উত্তর থাইল্যান্ডের লামফান প্রদেশের সবচেয়ে বড় কুমির খামারের মালিক। খামারটি চামড়ার কারখানায় কুমিরের চামড়া সরবরাহ করে, থাইল্যান্ডে হিমায়িত মাংস বিক্রি করে এবং শুকনো কুমিরের মাংস হংকংয়ে রপ্তানি করে।
পরিবারটি শুরুতে পাঁচটি কুমির কিনেছিল। তারপর থেকে প্রায় দুই দশকে সংখ্যাটি বেড়ে এখনকার অবস্থায় পৌঁছে। নাথাপাক কিংবা ক্রোকোডাইল এক্সের এখনো ৫০০ কুমিরের ছানা আছে। এগুলো ৩০ থেকে ১২০ সেন্টিমিটার (১-৪ ফুট) লম্বা।
ওয়াশিংটনে ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তুরস্কের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে দেশটির কাছে আবারও নিজেদের তৈরি উন্নত এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাঁচ বছরের শিশু টিম হ্রিশচুক কল্পনাও করেনি, তার স্কুলজীবনের প্রথম দিনটি কাটাতে হবে ভূগর্ভস্থ আশ্রয়ে। ২ সেপ্টেম্বর সকালে যখন বিমান হামলার সাইরেন বাজল, তখন সে এবং তার সহপাঠীরা ক্লাসরুম ছেড়ে সোজা চলে যায় বাংকারে।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রায় ৬০ বছর পর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিলেন সিরিয়ার কোনো নেতা। এ নেতা আর কেউ নন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা। তাঁর এ যাত্রা এক অপ্রত্যাশিত মাইলফলক। একসময় আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত শারা ছিলেন সিরিয়ার আল-কায়েদা শাখার নেতা।
৪ ঘণ্টা আগেব্যবসার সংকট কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে কফি জায়ান্ট স্টারবাকস। কোম্পানিটি ঘোষণা দিয়েছে, তাদের কয়েক শ ক্যাফে বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং সদর দপ্তরে নতুন করে ছাঁটাই করা হবে। এসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সিইও ব্রায়ান নিকোলের নেতৃত্বে।
৫ ঘণ্টা আগে